বিষয়বস্তুতে চলুন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

স্থানাঙ্ক: ২৪°২২′১২″ উত্তর ৮৮°৩৮′১৩″ পূর্ব / ২৪.৩৭০° উত্তর ৮৮.৬৩৭° পূর্ব / 24.370; 88.637
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো
ধরনগবেষণাধর্মী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
স্থাপিত৬ জুলাই ১৯৫৩; ৭১ বছর আগে (1953-07-06) []
বাজেট৳ ৪৭৯,১৫,০০০০০ (২০২৪-২৫)[]
ইআইআইএন১৩৬৫৮৬ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
আচার্যরাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন
উপাচার্যসালেহ হাসান নকীব
প্রাধ্যক্ষ১৭
ডিন১২ (মার্চ ২০২৪)
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ
১৭৫৮ (ডিসেম্বর ২০১৫)
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ
২২৫৮ (ডিসেম্বর ২০১৫)
শিক্ষার্থী৩২,৭৪৬ (মার্চ ২০২৪)
স্নাতকোত্তর৭,০৭১ (জুলাই ২০১৯)
২১১২ (ডিসেম্বর ২০১৫)
অবস্থান
মতিহার, রাজশাহী
,
২৪°২২′১২″ উত্তর ৮৮°৩৮′১৩″ পূর্ব / ২৪.৩৭০° উত্তর ৮৮.৬৩৭° পূর্ব / 24.370; 88.637
শিক্ষাঙ্গনশহরে, ৭৫৩ একর (৩ কিমি)
সংক্ষিপ্ত নামরাবি
অধিভুক্তিবিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন
ওয়েবসাইটwww.ru.ac.bd
মানচিত্র

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী জেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়[] এটি একটি সরকারি স্বায়ত্বশাসিত গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দের ৬ জুলাই এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।[] রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩২ হাজার৷[] প্রাচ্যের ক্যামব্রিজ খ্যাত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রেলওয়ে স্টেশন ও ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পাশে রাজশাহী শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত৷[]

ইতিহাস

ব্রিটিশ যুগে রাজশাহী অঞ্চলের শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য ১৮৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় রাজশাহী কলেজ৷ সে সময়ে রাজশাহী কলেজে আইন বিভাগসহ পোস্ট গ্রাজুয়েট শ্রেণী চালু করা হয়৷ কিন্ত এর কিছুদিন পরেই বন্ধ হয়ে যায় এসব কার্যক্রম৷ সে সময়েই রাজশাহীতে একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রয়োজন অনুভূত হয়৷ ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর পাকিস্তান সরকার দেশের সব কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করে৷ রাজশাহীতে এ সময় স্যাডলার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পক্ষে আন্দোলন শুরু হয়৷

ভাষা আন্দোলনের কিছুদিন আগ থেকেই মূলত রাজশাহীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন শুরু হয়৷ ১৯৫০ সালের ১৫ নভেম্বর রাজশাহীর বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে ৬৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়৷ রাজশাহীতে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ স্থাপনের জন্য সর্বপ্রথম জনসভা অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী শহরের ভুবন মোহন পার্কে ৷ প্রথম অবশ্য দাবি ওঠে রাজশাহী কলেজেই৷ ১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি শহরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রাজশাহী কলেজ প্রাঙ্গনে সমবেত হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ পাস করার দাবি তোলে৷

পরবর্তীতে ১৩ই ফেব্রুয়ারি ভূবন মোহন পার্কেই আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ এমএলএ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় আরও একটি জনসভা৷ উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন ইদ্রিস আহমেদ এমএলএ, প্রভাষ চন্দ্র লাহিড়ী, খোরশেদ আলম, আনসার আলী, আব্দুল জব্বার প্রমূখ৷ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি ক্রমেই তীব্র হতে থাকে৷ এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানাতে গিয়ে কারারুদ্ধ হন ১৫ ছাত্রনেতা ৷ পরে ছাত্রজনতার পক্ষ থেকে ঢাকায় একটি ডেলিগেশন পাঠানো হয়৷ ওই ডেলিগেশনের সদস্যদের মধ্যে মরহুম আবুল কালাম চৌধুরী ও আব্দুর রহমানের নাম উল্লেখযোগ্য৷ এভাবে একের পর এক আন্দালনের চাপে স্থানীয় আইন পরিষদ রাজশাহীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়৷ এই আন্দোলনে একাত্ব হন পূর্ববঙ্গীয় আইনসভার সদস্য প্রখ্যাত আইনজীবী মাদার বখশ৷

১৯৫৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ভুবন মোহন পার্কে আরও একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মাদার বখশ সরকারকে হুশিয়ার করে বলেন, যদি রাজশাহীতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন না হয় তবে উত্তরবঙ্গকে একটি স্বতন্ত্র প্রদেশ দাবি করতে আমরা বাধ্য হব৷ মাদার বখশের এই বক্তব্যে সাড়া পড়ে দেশের সুধী মহলে এবং সাথে সাথে টনক নড়ে সরকারেরও৷ অবশেষে ১৯৫৩ সালের ৩১ মার্চ প্রাদেশিক আইনসভায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা আইন পাশ হয়। নতুন উপাচার্য প্রফেসর ইতরাত হোসেন জুবেরীকে সঙ্গে নিয়ে মাদারবখশ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো পরিকল্পনা প্রণয়ন করে৷ এ দুজনকে যুগ্ম সম্পাদক করে মোট ৬৪ সদস্য বিশিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়৷ এর পৃষ্ঠপোষক ছিলেন তৎকালীন বিভাগীয় কমিশনার এম এ খুরশীদ৷ একই বছর ৬ জুলাই প্রফেসর ইতরাত হোসেন জুবেরীকে উপাচার্য নিয়োগ করে বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করে। শুরুতে ১৬১ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।[] প্রথম ক্লাস শুরু হয় রাজশাহী কলেজে৷ উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের দফতর প্রতিষ্ঠা করা হয় পদ্মার তীরের বড়কুঠি নামে পরিচিত ঐতিহাসিক রেশম কুঠি বা নীল কুঠির উপর তলায়৷ বড়কুঠির কাছেই তৎকালীন ভোলানাথ বিশ্বেশ্বর হিন্দু একাডেমিতে চিকিৎসাকেন্দ্র ও পাঠাগার তেরি করা হয়৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দফতর স্থাপন করা হয় জমিদার কুঞ্জমোহন মৈত্রের বাড়িতে৷ বড়কুঠি পাড়ার মাতৃধামে স্থাপন করা হয় কলেজ পরিদর্শক দফতর৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম রেজিস্ট্রার নিযুক্ত হন ওসমান গনি ও প্রথম পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নিযুক্ত হন অধ্যাপক আব্দুল করিম৷ শহরের বিভিন্ন স্থানে ভাড়া করা বাড়িতে গড়ে ওঠে ছাত্রাবাস৷ রাজশাহী কলেজ সংলগ্ন ফুলার হোস্টেলকে রুপান্তরিত করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস হিসেবে৷ বড়কুঠি এলাকার লালকুঠি ভবন ও আরেকটি ভাড়া করা ভবনে ছাত্রী নিবাস স্থাপন করা হয়৷

১৯৫৮ সালে বর্তমান ক্যাম্পাসে দালান-কোঠা ও রাস্তাঘাট নির্মাণ শুরু হয়।[] রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম স্থানান্তর করা হয় মতিহারের নিজস্ব ক্যাম্পাসে এবং ১৯৬৪ সালের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অফিস ও বিভাগ এখানে স্থানান্তরিত হয়৷ এই ক্যাম্পাসটি গড়ে ওঠে অস্ট্রেলিয়ান স্থপতি ড. সোয়ানি টমাসের স্থাপত্য পরিকল্পনায়৷

বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মরনে নির্মিত ভাষ্কর্য সাবাস বাংলাদেশ

১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ড. মোহাম্মদ শামসুজ্জোহার প্রাণের বিনিময়ে স্বাধিকার সংগ্রামের ইতিহাসে যুক্ত হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। প্রক্টর হিসেবে শান্তিরক্ষার দায়িত্ব পালনরত ড. জোহা ছাত্রদের মিছিলকে সংযত রাখার চেষ্টা করেছিলেন, চেষ্টা করছিলেন তার প্রাণপ্রিয় ছাত্ররা যাতে পশ্চিমা শাসক চক্রের লেলিয়ে দেয়া সশস্ত্র বাহিনীর আক্রমণের শিকার না হয়। কিন্তু ওদের বর্বর আক্রোশ মুহূর্তে বিদীর্ণ করে তার বুক। ড. জোহার মৃত্যুতে সারাদেশ বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিল। প্রতিবাদে টলে উঠেছিল আইয়ুব খানের গদি, পতন হয়েছিল সেই স্বৈরশাসকের। তারই ফলে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির পথের একটি ধাপ পেরিয়ে এসেছিল মুক্তিকামী বাঙালী। বাঙালীর মনে অধ্যাপক জোহা বেঁচে আছেন শহীদ জোহা হিসেবে। মুক্তিযুদ্ধের প্রাথমিক পর্বেই বর্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে প্রাণ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শহীদ হবিবুর রহমান, শহীদ [মীর আবদুল কাইয়ুম], শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার। অকথ্য নির্যাতন ভোগ করেছিলেন গণিত বিভাগের শিক্ষক মজিবর রহমান। এছাড়া আরও ত্রিশ জন ছাত্র, কর্মচারী-কর্মকর্তাও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন।

প্রতীক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র প্রতীক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতীকে[] রয়েছে একটি বৃত্ত; সেটা বিশ্বের প্রতীক। একটি উন্মুক্ত গ্রন্থ; যা জ্ঞানের প্রতীক এবং আকাশদৃষ্টি থেকে শাপলা ফুল; যা সৌন্দর্য, পবিত্রতা ও জাতীয় প্রতীক। এটি সূর্য অর্থেও প্রাণ ও শক্তির প্রতীক। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রতীকের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করে নকশা আহ্বান করা হয়। শিল্পী গোলাম সারওয়ারের আঁকা মূল নকশা নির্বাচনের পর কিছুটা পরিবর্তন করে বর্তমান প্রতীকে[] রুপ দেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন ও শিল্পী হাশেম খান

প্রতীকের রং বৃত্ত ও মূল গ্রন্থ কোবাল্ট ব্লু। সেটা আকাশ, নদী ও উদারতার রং। গ্রন্থের বহিঃরেখা রক্তলাল, জাতীয় পতাকার রং। গ্রন্থের মধ্যরেখা সোনালি, সোনার মতই মূল্যবান শিক্ষার গুনগত মূল্য।[]

ক্যাম্পাস

প্রায় ৭৫৩ একর বা ৩০৪ হেক্টর এলাকাজুড়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস৷ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ৫টি উচ্চতর গবেষণা ইন্সটিটিউট, ৯টি অনুষদের অধীনে ৫৯টি বিভাগে বর্তমানে পরিচালিত হচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম৷ ক্যাম্পাসের উত্তর পূর্ব দিক জুড়ে রয়েছে ছাত্রদের জন্য ১১টি আবাসিক হল ৷ ছাত্রীদের জন্য রয়েছে ৬টি আবাসিক হল যা ক্যাম্পাসের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত৷ পূর্ব দিকে গবেষকদের জন্য রয়েছে একটি ডরমিটরি। পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্ত জুড়ে রয়েছে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক এলাকা৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা এদেশের সর্বপ্রথম স্থাপিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। তাছাড়া রয়েছে সাবাস বাংলাদেশ নামে একটি ভাষ্কর্য৷ এছাড়াও রয়েছে গোল্ডেন জুবিলি টাওয়ার৷

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে তিনটি সাংবাদিক সংগঠন সক্রিয় রয়েছে। ১৫টি সংগঠন নিয়ে রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোট। রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং ফোরাম - আরইউডিএফ (পূর্বে বিজনেস স্টাডিজ ফ্যাকাল্টি ডিবেটিং ফোরাম - বিএফডিএফ নামে পরিচিত) ও গোল্ড বাংলাদেশ প্রধান দুটি বিতর্ক সংগঠন। এছাড়া আছে বিভিন্ন হল ভিত্তিক বিতর্ক ক্লাব। আইন বিভাগে রয়েছে একটি বিখ্যাত মুট কোর্ট সংগঠন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাব শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার সম্পর্কে সচেতন বা সহায়তা করতে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য সহায়তায় রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হায়ার স্টাডি ক্লাব। উদ্যোগ, বিজনেস এবং ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করছে স্টার্টআপ আরইউ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পাঠক ফোরাম শিক্ষার্থীদের বই পাঠে মাধ্যমে বিকশিত হওয়ার একটি প্লার্টফর্ম হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।

শিক্ষা সহায়ক সুবিধা

সাধারণ শিক্ষার্থী ও গবেষকদের শিক্ষা সহায়ক হিসেবে এখানে রয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, বিভাগীয় সেমিনার লাইব্রেরী, বিভাগীয় কম্পিউটার ল্যাব, ইন্সটিটিউট ও অনুষদ লাইব্রেরী, বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর ও লাইব্রেরী এবং কম্পিউটার সেন্টার। [] সংস্কৃতি চর্চার জন্য রয়েছে শিক্ষক-ছাত্র সাংস্কৃতিক কেন্দ্র - টিএসসিসি এবং খেলাধুলার জন্য স্টেডিয়াম, জিমনেশিয়াম, সুইমিং পুলসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো রয়েছে।

বিভিন্ন ভবন পরিচিতি

প্রশাসন ভবন
কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার
শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ সিনেট ভবন
ড. মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা একাডেমিক ভবন
ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবন
রবীন্দ্র ভবন
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন একাডেমিক ভবন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মানচিত্র
প্রশাসন ভবন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেট পেরিয়ে বৃক্ষশোভিত গোল চত্বর। এখানে শায়িত ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ড. মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা। সামনেই প্রশাসন ভবন। এর নিচতলায় জনসংযোগ দপ্তর, প্রক্টর এবং ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তর, তথ্য সেল, বীমা ইউনিট, একাডেমিক শাখার একাংশ, অর্থ ও হিসাব দপ্তরের একাংশ, টেলিফোন শাখা। দোতালায় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্টার দপ্তর, সংস্থাপন শাখা - ১, অর্থ ও হিসাব দপ্তর, পরিকল্পনা এবং উন্নয়ন দপ্তর, লিগ্যাল সেল। তিনতলায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তর ও সংস্থাপন শাখা - ২।

বিশ্ববিদ্যালয় মেইন গেট থেকে শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরের দিকে যতই এগোনো যায় বৃক্ষরাজির মধ্যে দিয়ে এই ভবনটি ততই উন্মুক্ত হতে থাকে। শেষে শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এসে পুরো ভবনটি বিশাল আকারে দর্শনার্থীর চোখে ধরা দেয়। এই অনুপম স্থাপত্য বৈশিষ্ট্যটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহারের সবুজ চত্বরের আলিঙ্গনে লুকিয়ে থাকা জ্ঞানের বিশালত্বকেই ফুটিয়ে তোলে। বামে গেলে প্যারিস রোডের সুউচ্চ গগনশিরীষের ফাঁকে শুভ্র মেঘ আর নীল আকাশের লুকোচুরি খেয়াল করা যায়। পুরো সড়কটি বিখ্যাত এর অসাধারণ সৌন্দর্য আর সবুজ আচ্ছাদনের জন্য।

শহীদ ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী প্রশাসন ভবন
কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পশ্চিমে এই ভবনে প্রকৌশল দপ্তর, এস্টেট শাখা, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের বিল শাখা, একডেমিক শাখার একাংশ, কেন্দ্রীয় ভাণ্ডার, প্রকাশনা দপ্তর ও কৃষি প্রকল্প অফিস অবস্থিত। এই ভবনের পাশেই অগ্রণী ব্যাংক, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
সিনেট ভবন
আধুনিক অডিও সিস্টেমসহ ২০৬ আসনবিশিষ্ট শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সিনেট ভবন প্রশাসন ভবনের সামনে, ডান দিকে এবং সাবাস বাংলাদেশের পেছনে । এখানে রয়েছে পরিষদ শাখা।

ডিনস কমপ্লেক্স এটি মূলত বিভিন্ন বিভাগের সমন্বয়ক দপ্তরের কেন্দ্র। এখানে অনেক প্রখ্যাত অধ্যাপকগনের চেম্বার এবং ডীন অফিস রয়েছে। শহীদুল্লাহ কলাভবনের ডানে এই ভবনে কলা, আইন, বিজনেস স্টাডিজ ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ অফিস। এই ভবনে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস বিভাগের অফিস আছে। ডিনস কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলায় একটি সম্মেলন কক্ষ রয়েছে। এছাড়াও ভবনটির নীচ তলায় রয়েছে একটি ক্যান্টিন।

বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কেন্দ্রস্থলে প্রশাসন ভবন-১ এর দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে অবস্থিত মনোরম স্থাপত্য সমৃদ্ধ ভবনই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার। [] এতে রয়েছে প্রায় তিনলক্ষ পুস্তকের একটি সুবিশাল সংগ্রহ। বিভিন্ন বিভাগের প্রয়োজনীয় বই সহ রয়েছে বহু দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থ। যা এটিকে দেশের বৃহত্তম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক গ্রন্থাগারের মর্যাদা দিয়েছে। গ্রন্থাগারটি খোলা থাকে প্রতি শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮.১৫ থেকে সন্ধ্যা ৭.৪৫ পর্যন্ত। শুক্রবার দুপুর ৩.০০ থেকে সন্ধ্যা ৭.৪৫ পর্যন্ত। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি থাকলে এই সময় সূচিতে সমান্য পরিবর্তন হয়। গ্রন্থাগারের দোতলায় ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দুটি মনোরম পাঠকক্ষ রয়েছে। তিনতলায় রয়েছে সাময়িকী, পত্র-পত্রিকা, ইন্টারনেট কক্ষ ও গ্রন্থাগার প্রশাসকের কার্যালয়। প্রায় সম্পূর্ণ নিচতলা জুড়ে সকল বইয়ের কপি এবং পুরাতন পত্র-পত্রিকা সংরক্ষণ করা আছে। দোতলায় প্রবেশ পথে একটি ক্যাটলগ ক্যাবিনেট রয়েছে। ক্যাবিনেটে সংরক্ষিত কার্ডে বইয়ের নাম এবং গ্রন্থাকারের নাম ক্রমানুসারে সাজানো থাকে। প্রতিটি কার্ডের জন্য একটি সতন্ত্র কল নাম্বার রয়েছে। এই কল নাম্বার অনুসারে গ্রন্থাগারে বই সজ্জিত থাকে। গ্রন্থাগারের নিচতলায় ধার শাখা রয়েছে যেখান থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা গ্রন্থাগার কার্ড দেখিয়ে বই ধার নিতে পারে। পুরো লাইব্রেরীর তিন লক্ষেরও অধিক পুস্তক ডিজিটালাইজড এবং গ্রন্থাগার ওয়েবসাইটে সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের সেমিনার লাইব্রেরীর সাথে সংযুক্ত এবং মূল ওয়েবসাইটের একটি অংশ। তাই ঘরে বসে বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তথ্যের বিবরণ ও প্রাপ্যতা যাচাই করা যায়। এছাড়া দোতলার একটি কক্ষে বই ফটোকপি করারও ব্যবস্থা রয়েছে। গ্রন্থাগারে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটি দ্রুতগতির ওয়াইফাই জোন রয়েছে। সম্পূর্ণ গ্রন্থাগার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবন
লাইব্রেরীর পশ্চিমে শহীদুল্লাহ কলাভবনের পেছনে এই ভবনের অবস্থান। উত্তর ব্লকে পশ্চিমাংশ জুড়ে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী আইন বিভাগ। পূর্বের দোতলায় ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ। মধ্য ব্লকে দোতলায় ফাইনান্স বিভাগ। দক্ষিণ ব্লকে দোতলায় হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যব্যবস্থা বিভাগ এবং তিনতলায় মার্কেটিং বিভাগ এবং ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স বিভাগ। পশ্চিম ব্লকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, ইনফরমেশন সায়েন্স এন্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট, লোক প্রশাসন এবং আইন বিভাগ।
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ একাডেমিক ভবন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এককালীন শিক্ষক, জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর নামানুসারে এই ভবনটি লাইব্রেরির পশ্চিম দিকে অবস্থিত। নিচতলায় ইতিহাস, ইংরেজি, বাংলা এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ। দোতলায় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ এবং কলা অনুষদের কম্পিউটার সেল। তিনতলায় আরবি ও সংস্কৃত বিভাগ।
ড. মমতাজউদ্দিন আহমেদ একাডেমিক ভবন
ডিনস কমপ্লেক্সের ডানে এই ভবনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় উপাচার্যের নামে। নিচতলায় সমাজকর্ম বিভাগ। দোতালায় অর্থনীতি, দর্শন ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগ।
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী একাডেমিক ভবন
নিচতলায় ফোকলোর এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগ। দোতালায় নাট্যকলা এবং সংগীত বিভাগ এবং ভাষা বিভাগ (একাংশ) এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট। এবং তিন তলায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ রয়েছে।
সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবন

এই ভবনের পূর্ব নাম ছিল প্রথম বিজ্ঞান ভবন। বাস স্ট্যান্ডের উত্তরে নিচতলায় আহমেদ হোসেন গ্যালারি। এই ভবনের দক্ষিণ পাশে পদার্থবিজ্ঞান, উত্তর পাশে ফলিত পদার্থ বিজ্ঞানইলেক্ট্রনিক ইনজিনিয়ারিং এবং প্রকৌশল অনুষদের ডীন অফিস।

ড. মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা একাডেমিক ভবন
প্রথম বিজ্ঞান ভবনের উত্তরে এই ভবন। এই ভবনের পূর্ব নাম ছিল দ্বিতীয় বিজ্ঞান ভবন। এই ভবনের প্রথম এবং দ্বিতীয় তলায় রসায়ন এবং এপ্লাইড কেমিস্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। তিনতলায় মনোবিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা এবং গণিত বিভাগ। চারতলায় প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগ ও বিজ্ঞান অনুষদ রয়েছে।
স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবন
এই ভবনের পূর্ব নাম ছিল তৃতীয় বিজ্ঞান ভবন। দ্বিতীয় বিজ্ঞানভবনের পশ্চিমে এই ভবনের নিচতলায় ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ। তিনতলায় প্রাণিবিদ্যা ও পরিসংখ্যান বিভাগ। চারতলায় ইন্সটিটিউট অব বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলোজি, পপুলেশন সায়েন্স এন্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট, অ্যানিম্যাল হাজব্র্যান্ডি এন্ড ভেটেরিনারি সায়েন্স বিভাগ এবং জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদ অফিস।
ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবন
এই ভবনের পূর্ব নাম ছিল চতুর্থ বিজ্ঞান ভবন। গ্রন্থাগার ভবনের উত্তরে এই ভবনের নিচতলায় কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি ও ফলিত গণিত বিভাগ, পরিবেশ বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট এবং সেন্ট্রাল সায়েন্স লাইব্রেরি। দ্বিতীয় তলায় ফার্মেসি বিভাগ, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ও কম্পিউটার সেন্টার।
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন একাডেমিক ভবন
বোটানিক্যাল গার্ডেন এর পাশে, রেল লাইন এর পর, ক্যাম্পাস এর উত্তর গেট পেরিয়েই ডান দিকে চারুকলা অনুষদ অবস্থিত। এই ভবনের পূর্বের নাম ছিল চারুকলা বিভাগ (২০১৫ সালের পূর্বে)। এই ভবনের নিচতলায় ডীন অফিস, চিত্রকলা, ছাপচিত্র ও প্রাচ্যকলা বিভাগ, মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগ, দ্বিতীয় তলায় শিক্ষকদের অফিস, তৃতীয় তলায় গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের অফিস ও ক্লাসরুম এবং অনুষদের লাইব্রেরি অবস্থিত। মূল ভবনটির পেছনে রয়েছে একতলা বিশিষ্ট পুরাতন ভবনটি। পুরাতন ভবনের ঠিক পাশেই রয়েছে মৃৎশিল্পের ফায়ারিং রুম।
কৃষি অনুষদ ভবন
কৃষি অনুষদ ও চারুকলা অনুষদ পাশাপাশি অবস্থিত। বোটানিক্যাল গার্ডেন এর পাশে, রেল লাইন এর পর, ক্যাম্পাস এর উত্তর গেট পেরিয়ে বাম দিকে এর অবস্থান। এর উত্তর ব্লকে ফিসারিজ, দক্ষিণ ব্লকে এগ্রোনমি এন্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগ এবং কৃষি অনুষদ অফিস।
নারিকেলবাড়িয়া ক্যাম্পাস
রাজশাহী নওগাঁ মহাসড়কের, রাজশাহী বাইপাস রোড থেকে ডানে এক কিলোমিটার ভিতরে এই ক্যাম্পাসে ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগসহ কৃষি অনুষদের পরীক্ষণ ও গবেষণা খামার আছে।
শেখ কামাল স্টেডিয়াম
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাল স্টেডিয়ামটি দেশের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়াম। সুইমিংপুলে নিয়মিত সাঁতার ও ওয়াটার ভলি খেলা হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই খেলাধুলার জন্য বিখ্যাত।
শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার শিক্ষক-ছাত্র সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (টিএসসিসি)
প্রথম বিজ্ঞান ভবনের পূর্ব পাশেই রয়েছে শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার শিক্ষক-ছাত্র সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বা টিএসসিসি।[]
রাকসু ভবন
শহিদ মিনারের উত্তরে এই ভবনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ অফিস। এছাড়া বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের অফিস এখানে।
কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া
রাকসু ভবনের পেছনে ও শহীদ মিনারের উত্তর-পূর্বে কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া। এখানে সুলভে নাস্তা এবং দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা আছে।
বিজ্ঞান ওয়ার্কশপ
রাকসু ভবনের উত্তর পাশে অবস্থিত। এখানে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি মেরামত ও রক্ষনাবেক্ষণ করা হয়।
কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তন
আধুনিক শব্দ এবং আলোক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সজ্জিত মিলনায়তন। ভবনটি এর স্থাপত্যকলা ও অত্যাধুনিম ডিজাইনের জন্য বিখ্যাত। এটি মানের দিক দিয়ে কোন পাশ্চাত্য অডিটোরিয়ামের চেয়ে কোন অংশেই কম নয়। ভবনের দক্ষিণাংশে রাকসু কোষাধ্যক্ষ অফিস।
বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্র
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিকিৎসার জন্য একটি চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বদিকে বিনোদপুর গেটের কাছে অবস্থিত। এখানে সাধারণ বিভাগ, প্যাথলজি, এক্স-রে, ইসিজি, চক্ষু, ডেন্টাল ও পরিবার পরিকল্পনা ইউনিট রয়েছে। ১ জন প্রধান চিকিৎসক সহ মোট ২৫ জন চিকিৎসক আছেন এই কেন্দ্রে। চক্ষু, প্যাথলজি, অর্থপেডিক ও চর্মরোগ বিভাগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। এখানে ছাত্র-ছাত্রীদের সকল প্রকার চিকিৎসা বিনামূল্যে দেয়া হয় এবং বিনামূল্যে ঔষধ প্রদান করা হয়। জরুরী প্রয়োজনে রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের জন্য রয়েছে চিকিৎসা কেন্দ্রের নিজস্ব এম্বুলেন্স। []
ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ (আইবিএস)
ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ এ বাংলদেশের জীবন ও সমাজের সঙ্গে বিশেষভাবে সম্পর্কযুক্ত বিষয়ে এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া হয়। ভবনটি বিনোদপুর গেটের পূর্বদিকে।
বিএনসিসি ভবন
প্রধান গেটের পাশে এই ভবনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর - বিএনসিসি অফিস অবস্থিত।

ধারণা করা হয় এই প্রান্তরেই এক সময় প্রাচীন ডাচ কুঠি ছিল।

জুবেরী ভবন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্যের নাম অনুসারে এই অতিথি ভবনটি ক্যাম্পাসের পশ্চিম এলাকায়, কাজলা গেটের উত্তরে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষক ক্লাবও এখানে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল
কাজলা গেটের পাশেই স্কুল ভবন। এর কলেজ শাখাও এখানে।
শেখ রাসেল মডেল স্কুল
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেটের পাশে, রাজশাহী বিশবিদ্যালয় স্কুলের বিপরীতে এই স্কুলটি অবস্থিত। পূর্বে মমতাজ উদ্দিন কলা ভবনের পশ্চিমে ও মন্নুজান হলের দক্ষিণে শেখ রাসেল মডেল স্কুল অবস্থিত ছিল।
বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর

১৯১০ সালে প্রতিষ্ঠিত দেশের সর্বপ্রাচীন সংগ্রহশালা - বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর বঙ্গীয় শিল্পকলার বিপুল ও বর্ণাঢ্য সংগ্রহের জন্য সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত। রাজশাহী শহরে অবস্থিত, বাংলদেশের সুপ্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্মারক এই জাদুঘরটি ১৯৬৪ সাল থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছে।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাপাখানা
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের সামনে, কেন্দ্রীয় মন্দিরের পাশে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব একটি ছাপাখানা রয়েছে।
কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদটি সুপরিসর ও সুন্দর তুর্কি স্থাপনাসমৃদ্ধ। এখানে একটি ইসলামি পাঠাগার রয়েছে।
কেন্দ্রীয় হিন্দু মন্দির
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মন্দিরে প্রতিবছর সরস্বতী পূজা উপলক্ষে বাণী অর্চনা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও জন্মাষ্টমীদীপাবলি উদযাপিত হয়ে থাকে।
পরিবহন অফিস এবং বাস স্ট্যান্ড
প্রশাসন ভবনের উত্তরে পরিবহন অফিস। অফিসের পেছনেই আছে একটা মার্কেট যা 'পরিবহন মার্কেট' নামে পরিচিত এবং সমাদৃত। পরিবহন অফিসের সামনেই সুপরিসর বাস স্ট্যান্ড। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পেট্রোলপাম্প রয়েছে।

উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস পরিবহন ব্যবস্থা বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক বাস পরিবহন নেটওয়ার্ক।

স্ফুলিঙ্গ (শহীদ শামসুজ্জোহা স্মৃতি ভাস্কর্য)

স্মৃতিস্তম্ভ ও ভাস্কর্য

সুবর্ণ জয়ন্তী টাওয়ার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বুদ্ধিজীবী ফলক
শহীদ মিনার কমপ্লেক্স
এখানে আছে রাবি শহীদ মিনার, শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা দুটি ম্যুরাল ও উন্মুক্ত মঞ্চ। উল্লেখ্য, এটি একটি ওয়াই ফাই জোন।
সাবাশ বাংলাদেশ
মুক্তিযুদ্ধের স্মারক সাবাশ বাংলাদেশ ভাস্কর্যটি সিনেট ভবনের দক্ষিণ চত্বরে। প্রয়াত শিল্পী নিতুন কুণ্ডুর তৈরি এই ভাস্কর্যের পাদদেশে একটি মুক্ত মঞ্চ আছে।
বিদ্যার্ঘ
মুক্তিযুদ্ধকালে শহীদ গণিত বিভাগের শিক্ষক হবিবুর রহমান স্মরনে "বিদ্যার্ঘ" স্মারকসৌধটি নির্মিত হয়। এটি শহীদ হবিবুর রহমান হল চত্বরে অবস্থিত|[]
স্ফুলিঙ্গ
উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ডঃ শামসুজ্জোহা স্মরনে নির্মিত স্ফুলিঙ্গ ভাস্কর্যটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বপাশে শহীদ শামসুজ্জোহা হল প্রাঙ্গণে অবস্থিত।
সুবর্ণ জয়ন্তী টাওয়ার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুবর্ণ জয়ন্তির স্মারক এই সুবর্ণ জয়ন্তী টাওয়ার। প্রধান ফটক পেরিয়ে সড়ক দ্বীপের ডানে, প্রশাসন ভবনের সামনে গোল চত্বরের দক্ষিণপূর্বে।
বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলের প্রায় আধ কিলোমিটার দূরে বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ অবস্থিত।
শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের কাছে এই ফলকটি অবস্থিত।

অনুষদ ও ইনস্টিটিউটসমূহ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বমোট ১২ টি অনুষদের অধীনে ৫৯টি বিভাগ রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির অধিভুক্ত সরকারি কলেজ রয়েছে ৪টি,[১০] প্রকৌশল কলেজ রয়েছে ৬টি এবং কৃষি কলেজ/ইনস্টিটিউট রয়েছে ৬টি; যার মধ্যে সরকারি ২টি ও বেসরকারি ১২টি।[১১] এছাড়া উচ্চতর গবেষণা ইনস্টিটিউট রয়েছে ৬টি।

অনুষদসমূহঃ

  1. কলা অনুষদ
  2. বিজ্ঞান অনুষদ
  3. প্রকৌশল অনুষদ
  4. কৃষি অনুষদ
  5. বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ
  6. সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ
  7. আইন অনুষদ
  8. জীববিজ্ঞান অনুষদ
  9. ভূ-বিজ্ঞান অনুষদ
  10. ফিশারীজ অনুষদ
  11. চারুকলা অনুষদ
  12. ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস অনুষদ [১২]

উচ্চতর গবেষণা ইন্সটিটিউটসমূহ:

  1. ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ
  2. ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল সায়েন্স
  3. ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট
  4. পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট
  5. শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট
  6. ইনস্টিটিউট অব ইংলিশ এন্ড আদার ল্যাংগুয়েজেজ

রাবি অধিভুক্ত সরকারি কলেজসমূহ:

  1. রাজশাহী কলেজ
  2. রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ
  3. রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ
  4. রাজশাহী নিউ গভঃ ডিগ্রি কলেজ

প্রদত্ত ডিগ্রীসমূহ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশ্বমানের নিম্নলিখিত ডিগ্রী প্রদান করা হয়:-

স্নাতক (অনার্স)

বিএ, বিএফএ, বিপিএ, বিএসসি, বিফার্ম, এলএলবি, বিবিএ, বিএসএস, বিএসসি এজি, বিএসসি ফিশারীজ।

স্নাতক

বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, বিএসসি ইন ফিজিওথেরাপি, বিএসসি ইন নার্সিং, বিএসসি ( পোস্ট বেসিক) নার্সিং/পাবলিল হেলথ নার্সিং, বিএসসি ইন মেডিকেল টেকনোলজি ( ল্যাবরেটরি/ডেন্টাল)।

স্নাতকোত্তর

এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, এম ইঞ্জিনিয়ারিং, এমএ, এমএফএ, এমপিএ, এমএসসি, এমফার্ম, এলএলএম, এমবিএ, এমএসএস, এমএস এজি, এমএস ফিশারীজ, এমপিএস।

বৃত্তিমূলক

এমবিবিএস, বিডিএস, ডিভিএম।

স্নাতকোত্তর (চিকিৎসা)

এমফিল, এমএস, এমডি, এমপিএইচ, ডিপ্লোমা।

উচ্চতর

এমফিল, পিএইচডি।

অন্যান্য

সার্টিফিকেট ইন ল্যাংগুয়েজেস, সিনিয়র সার্টিফিকেট ইন ল্যাংগুয়েজেস, পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন জেনারেল সেরিকালচার, পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন।

আবাসিক হল সমূহ

শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী হল
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল
নবাব আবদুল লতিফ হল
সৈয়দ আমীর আলী হল
শহীদ হবিবুর রহমান হল
শাহ্‌ মখদুম হল

বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য মোট ১৭টি হল এবং একটি আন্তর্জাতিক মানের ডরমেটরি রয়েছে, যার মধ্যে ১১টি হল ছেলেদের এবং ৬টি মেয়েদের হল।

ছেলেদের হল
ছেলেদের সবগুলো হল ক্যাম্পাসের পূর্বদিকে অবস্থিত। হলে কোনো গণরুম নেই।
  • মতিহার হল
রাজশাহীর মতিহার থানার নাম অনুসারে এই হলটির নামকরণ করা হয়। ক্যাম্পাসটি এই থানার অধীনে থাকায় শিক্ষার্থীরা প্রায়ই বলে থাকেন মতিহারের সবুজ চত্বর। ১৯৫৮ সালে টিনসেড দিয়ে তৈরী করা হয় হলটি। তবে ১৯৮০ সালে নতুন করে আবারও তিনতলা বিশিষ্ট হল তৈরী করা হয়।
  • শের-ই-বাংলা ফজলুল হক হল
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় হলটির নাম ‘শের-ই-বাংলা ফজলুল হক হল’। যদিও ১৯৬২-৭১ সাল পর্যন্ত হলটির নামকরণ ছিল ‘জিন্নাহ হল’। পরবর্তীতে দেশ স্বাধীনের পর ৭২ সালে ফজলুল হকের নাম অনুসারে এই হলটির নামকরণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ সংলগ্ন জমিতে এই হলটির অবস্থান। এই হলে আবাসিক শিক্ষার্থী রয়েছেন ৩০০ জন। হলটিতে একই কক্ষে চারজন থেকে শুরু করে একক সিটেরও কক্ষ রয়েছে।
  • শাহ্‌ মখদুম হল
বিশিষ্ট সুফিসাধক হয়রত শাহ মখদুম রুপস এর নাম অনুসারে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় হলটির নামকরণ করা হয় ‘শাহ মখদুম হল’। তিনতলা বিশিষ্ট এ হলটি ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। হলের প্রশাসনিক কাজকর্ম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য হলকে অফিসিয়ালী পূর্ব ও পশ্চিম ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। নীচতলা উত্তরে প্রাধ্যক্ষ কক্ষ সহ অতিথি কক্ষ, অফিস সমূহ, লাইব্রেরি ও ইন্টারনেট রুম। পশ্চিমে ক্যান্টিন, পত্রিকা কক্ষ, মসজিদ ও কমনরুম, আর পূর্বে আছে ২ টি ডাইনিং। হলের আসন সংখা ৪৩০। হলের আবাসিক ও অনাবাসিক ছাত্র সংখ্যা যথাক্রমে ৪৩০ ও ১৮৬৮ জন।
  • নবাব আবদুল লতিফ হল
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেদের চতুর্থ হলটি অবস্থান শাহ মখদুম হলের সামনেই। দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ স্যার নবাব আব্দুল লতিফের নাম অনুসরনে হলটির নামকরণ করা হয়। নবাব আব্দুল লতিফ হলটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৪ সালে। হলটিতে ৩০০ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এটিই একমাত্র হল যেখানে কোনো রুমেই দুই জনের বেশি শিক্ষার্থী থাকার ব্যবস্থা নেই।
  • সৈয়দ আমীর আলী হল
একই বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাবিদ সৈয়দ আমীর আলীর নাম অনুসারে পঞ্চম হলটি নির্মান করা হয়। শাহ মখদুম ও লতিফ হলের পূর্ব পার্শ্বে এই ‘সৈয়দ আমীর আলী হল’টির অবস্থান। হলটিতে ৪২০ জন শিক্ষার্থীর এক সাথে আবাসিকতার ব্যবস্থা রয়েছে। এই হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব চেয়ে বেশি হিন্দু শিক্ষার্থী থাকেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র এই হলটিতেই হিন্দু শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা একটি ডাইনিং চালু রয়েছে। এছাড়া মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ডাইনিংসহ খাওয়ার জন্য রয়েছে একটি ক্যান্টিন।
  • শহীদ শামসুজ্জোহা হল
বাংলাদেশের প্রথম শহীদ শিক্ষক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক এবং সাবেক প্রক্টর শহীদ শামসুজ্জোহার নাম অনুসরণে এখানে ষষ্ট হলটি নির্মাণ করা হয়। ১৯৬৯ সালে শহীদ শামসুজ্জোহা হলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বপাড়ায় বধ্যভূমি এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেইট দিয়ে উত্তর দিকে বেশ কিছুটা পথ আসার পরই এই হলটি পাওয়া যাবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষকদের জন্য শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ূম ডরমেটরি নামে একমাত্র আন্তর্জাতিক হলের সামনেই হলটির অবস্থান। এই হলটিতে একসাথে ৩২০ জন শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে।
  • শহীদ হবিবুর রহমান হল
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক হবিবুর রহমান। পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ হবিবুর রহমান নামে একটি হল প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে কিছুটা সামনে এসে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তন থেকে কিছুটা পা বাড়ালে দেখা মিলবে সপ্তম হলটির। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই হলটিতেই সর্বোচ্চ ছাত্রের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। হলটিতে একসাথে ৬১৪ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। সম্প্রতি হলটি নতুনভাবে নির্মান করা হয়। হলটির সামনে হবিবুর রহমানের একটি প্রতিকৃতি তৈরী করা হয়েছে।
  • মাদার বখশ হল
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা মাদার বখশের নামের সাথে মিল রেখে অষ্টম হলটি নির্মাণ করা হয় ১৯৭৪ সালে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলস্টেশন এলাকায় মাদার বখশ হলের অবস্থান। হলটিতে একসাথে ৫৮৪ জন শিক্ষার্থী থাকতে পারেন।
  • শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী হল
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম হলটি নির্মাণ করা হয় ১৯৭৮ সালে। শহীদ সোহরাওয়ার্দী নামে এই হলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলের পিছনে স্টেশন এলাকায়। হলটিতে ৫৯২ জন শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। হলটিতে একক সিট থেকে শুরু করে এক কক্ষে চারজন শিক্ষার্থীরও থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।
  • শহীদ জিয়াউর রহমান হল
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম অনুসরণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম হলটি বির্মাণ করা হয় ১৯৯৩ সালে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ ও শহীদ হবিবুর রহমনা হলের মাঝখানে এই হলটির অবস্থান। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়াম থেকে কিছুটা উত্তর পার্শ্বে এই হলটি। ৫৯৮ জন শিক্ষার্থী একসাথে হলটিতে থাকতে পারেন।
  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল
বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধুর নাম অনুসারে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সর্বশেষ হলটি নির্মাণ করা হয় ২০০৩ সালে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলটি বিশ্ববিদ্যালরে কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেয়িার পেছনে অবস্থিত। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র এই হলেই গবেষকদের থাকার জন্য আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। হলটিতে ৪৫০ জন শিক্ষার্থীর এক সাথে আবাসন ব্যবস্থা পেয়ে থাকেন।
মেয়েদের হল
মেয়েদের হলগুলো মূল ক্যাম্পাসের পশ্চিম পাশে অবস্থিত। []
  • মন্নুজান হল
ক্যাম্পাসের প্রথম এই ছাত্রী হল নির্মিত হয় স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রায় ৭ বছর পূর্বে। ১৯৬৪ সালে ছাত্রীদের প্রথম আবাসিক হল দানবীর হাজী মুহম্মদ মহসিনের বড় বোন বেগম মন্নুজানের নামানুসারে নামকরণ করা হয়।
  • রোকেয়া হল
মুসলিম নারী শিক্ষা আন্দোলনের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াৎ হোসেনের স্মৃতির উদ্দেশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের দ্বিতীয় আবাসিক হল স্থাপিত হয় ১৯৮০ সালে।
  • তাপসী রাবেয়া হল
ছাত্রীদের তৃতীয় আবাসিক হলের নামকরণ করা হয়েছে তাপসী রাবেয়া হল।
  • বেগম খালেদা জিয়া হল
২০০১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় ছাত্রীদের চতুর্থ হল। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামানুসারে এ হলের নাম রাখা হয় ‘বেগম খালেদা জিয়া হল’।
  • রহমতুন্নেসা হল
মেয়েদের জন্য নির্মিত ৫ম হল এটি।
  • বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল
এই হলটির নামকরণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী এবং বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাতা "বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের" নামানুসারে।এটি মেয়েদের ৬ষ্ঠ হল। এটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে অত্যাধুনিক হল।

এছাড়াও গবেষক ও বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটি আন্তর্জাতিক মানের ডরমেটরি রয়েছে। যার নাম শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ুম ইন্টারন্যাশনাল ডরমেটরি। যেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলের পাশে অবস্থিত।

সংগঠনসমূহ

রাজনৈতিক

বিজ্ঞান

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাব

বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এগ্রিকালচারাল ক্লাব:কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক সম্পর্ক, দক্ষতা ও লিডারশিপ উন্নয়নের পাশাপাশি কৃষির উন্নয়ন ও কৃষি বিষয়ক গবেষণার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত সংগঠন ।(পূর্বনাম AFSA)

ধর্মীয়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্তমানে অনেকগুলি সক্রিয় ধর্মীয় দল রয়েছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

তাবলীগ জামাআত।

বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ।

শিক্ষা

  • রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এডুকেশন ক্লাব
  • বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম
  • মলাট[১৩]

সাংস্কৃতিক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্তমানে ২২ টিরও বেশি সক্রিয় সাংস্কৃতিক দল রয়েছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

কবিতার সংগঠন

স্বনন, ঐকতান

নাটকের সংগঠন

অনুশীলন নাট্যদল, সমকাল নাট্যচক্র, রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ড্রামা এসোসিয়েশন (রুডা), তীর্থক নাটক, বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার রাজশাহী, অ্যাসোসিয়েশন ফর কালচার অ্যান্ড এডুকেশন (এস্), বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্টি রা.বি. সংসদ।

গানের সংগঠন

বাংলাদেশ গণশিল্পী সংস্থা, উদীচী, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, অরণী সাংস্কৃতিক সংসদ

সাংস্কৃতিক সংগঠন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোট, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং ফোরাম(RUDF) (পূর্ব নাম BFDF), গ্রুপ অব লিবারেল ডিবেটরস (গোল্ড) বাংলাদেশ, ক্রিডেন্স, রেটোরিক, মুক্তাঙ্গন অন্যতম।

মুটিং সংগঠন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মুট কোর্ট সোসাইটি।

সাহিত্য-বিষয়ক সংগঠন

চিহ্ন, স্নান

চলচ্চিত্র বিষয়ক সংগঠন

ম্যাজিক লণ্ঠন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ফিল্ম সোসাইটি

সাংবাদিকতা চর্চার সংগঠন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (রাবিসাস), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি

শিল্পচর্চা বিষয়ক সংগঠন

শিল্পযাত্রা, বরেন্দ্র আর্ট সোসাইটি, জলটল।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন

ইচ্ছে: ইচ্ছে হচ্ছে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করা একটি সংগঠন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রুপ: এই সংগঠনটি ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত। আদর্শ নাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক জন সচেতনতা মূলক কাজ করে সংগঠনটি । এছাড়াও প্রশাসনিক কাজে সহযোগিতা করায় ক্যাম্পাসে অধিক পরিচিত। সংগঠনটির নিয়ন্ত্রক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সংগঠনটির গ্রুপ কমিটির সভাপতি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পাঠক ফোরাম: ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটি শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে বিষয়ভিত্তিক উন্মুক্ত আলোচনা, সেমিনার আয়োজন, অফিস ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ, বিতর্ক, উপস্থাপনা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে কাজ করে থাকে।

ক্যারিয়ার সচেতন ছাত্রদের জন্য ২০১৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাব আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। এই সংগঠনটি ক্যারিয়ার ফেয়ার সহ স্কিল ডেভলপমেন্ট সংক্রান্ত নানা কাজ করে। ২০১৩ সালেই RUMUNA নামে একটি সংগঠন আত্নপ্রকাশ করে, যা জাতিসংঘ ভিত্তিক একটি সংগঠন। এছাড়া ২০১৪ সালে রাজশাহী ইউনিভার্সিটি হায়ার স্টাডি ক্লাব নামে আরো একটি সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে এবং যারা ইতোমধ্যেই উচ্চশিক্ষা নিয়ে অনেক সেমিনারের আয়োজন করেছে। এছাড়া নবজগণ ফাউন্ডেশন, রোটারিক ক্লাব, ফটোগ্রাফিক ক্লাব সহ অনেক সংগঠন রয়েছে।[১৪]

সমাবর্তন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫৩ সালে। এরপর ১৯৫৯, ১৯৬১, ১৯৬২, ১৯৬৫, ১৯৭০, ১৯৯৮, ২০১২, ২০১৫, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছে যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম, দশম ও একাদশ সমাবর্তন। তবে মুক্তিযুদ্ধের আগের সমাবর্তনগুলোর বিস্তারিত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হয়, সেগুলো স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে থাকতে পারে। উল্লেখ্য দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালের ২২ এপ্রিল অধ্যাপক খান সারওয়ার মুরশিদ উপাচার্য থাকাকালীন একটি বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। সেসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী। উক্ত সমাবর্তনে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ফরাসি মনীষা আঁন্দ্রে মালরোকে ডি-লিট প্রদান করা হয়।[১৫]

সপ্তম সমাবর্তন

দীর্ঘ ২৮ বছর বিরতির পর ১৯৯৮ সালের ২৯ নভেম্বর অধ্যাপক আব্দুল খালেক ভিসি থাকাকালীন সপ্তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।

অষ্টম সমাবর্তন

২০১২ সালের ০৯ ডিসেম্বার অধ্যাপক আব্দুস সোবহান উপাচার্য থাকাকালীন অষ্টম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান অসুস্থ থাকায় শিক্ষামন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এই সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান

নবম সমাবর্তন

২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন উপাচার্য থাকাকালীন নবম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. তালাত আহমদ।[১৫][১৬][১৭]

দশম সমাবর্তন

দশম সমাবর্তনের সাজে প্রশাসন ভবন

সর্বশেষ দশম সমাবর্তন ২০১৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যরাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। সমাবর্তনে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং সমাবর্তন বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাবেক উপাচার্য ও ইমেরিটাস অধ্যাপক আলমগীর আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন। সমাবর্তনে ৬ হাজার ১৪ জন গ্র্যাজুয়েট নিবন্ধন করেছিল।[১৮] বাংলা সাহিত্যে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই সমাবর্তনে দুই প্রখ্যাত সাহিত্যিক অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক ও দেশবরেণ্য সাহিত্যিক সেলিনা হোসেনকে সম্মানসূচক ডক্টর অব লিটারেচার (ডি-লিট) ডিগ্রিতে ভূষিত করা হয়।[১৯]

একাদশ সমাবর্তন

একাদশ সমাবর্তনে উদযাপনে রাবির গ্রাজুয়েটরা

একাদশ সমাবর্তন ২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যরাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। সমাবর্তনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এতে সমাবর্তন বক্তৃতা করেন ভারতের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রঞ্জন চক্রবর্তী।[২০] এ সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য ৩ হাজার ৪৩১ জন স্নাতক নিবন্ধন করে।[২১]

ক্রীড়া

স্টেডিয়াম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

স্টেডিয়াম: দেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে রয়েছে পূর্ণাঙ্গ স্টেডিয়াম। প্রথম এবং দ্বিতীয় বিজ্ঞান ভবনের পূর্বে এর অবস্থান। নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা অনুশীলন এবং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এখানে। এখানে আরও রয়েছে শরীরচর্চা শিক্ষা বিভাগ, স্টুয়ার্ড শাখা, রোভার স্কাউট অফিস ও ডাকঘর। স্টেডিয়ামের পূর্ব দিকে রয়েছে জিমনেশিয়াম, সুইমিং পুল, টেনিস কমপ্লেক্স ও বাস্কেটবল কোর্ট।স্টেডিয়ামটির ধারণক্ষমতা প্রায় ৩০০০০[২২]। বর্তমানে এই স্টেডিয়ামের নাম শেখ কামাল স্টেডিয়াম করা হয়েছে[২৩]

উপাচার্যগণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত ২৩ মেয়াদে মোট ২০ জন উপাচার্য দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রফেসর ডক্টর ইতরাত হোসেন জুবেরী ছিলেন প্রথম উপাচার্য এবং ২৪তম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য হচ্ছেন অধ্যাপক গোলাম সাব্বির। প্রফেসর ডক্টর মুহাম্মদ আবদুল বারী ও প্রফেসর ডক্টর এম আবদুস সোবহান দুই মেয়াদে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতীয় অধ্যাপক প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ আলী আহসান এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

উপ-উপাচার্যগণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১১ জন উপ-উপাচার্যের তালিকা দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রফেসর ড. আমানুল্লাহ আহমদ ছিলেন প্রথম উপ-উপাচার্য। বর্তমানে, প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহা ও প্রফেসর ড. চৌধুরী মো. জাকারিয়া উপ-উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী ও শিক্ষক

বাংলাদেশের অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা, ফেলোশিপ ও ছাত্র হিসেবে যুক্ত ছিলেন।

চিত্রশালা

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. সাইফুদ্দীন চৌধুরী (৬ জুলাই ২০১৩)। "৬০ বছরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়"দৈনিক প্রথম আলো। ২৬ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ১, ২০১৫ 
  2. "৫৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কে কত বাজেট পাচ্ছে"thedailycampus.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-১৪ 
  3. "List of Public universities of Bangladesh according to the year of establishment" 
  4. "গৌরবের ৬১ বছর পূর্তি আজ"দৈনিক সংগ্রাম। ঢাকা। জুলাই ৬, ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ মে ১৯, ২০১৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. "নবীনদের জন্য তথ্য, ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষে নবীন বরন উপলক্ষে প্রকাশিত"। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য);
  6. "রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট"। ১৭ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১৫ 
  7. "রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ও একমাত্র লোগো" 
  8. "রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঠিক লোগো" 
  9. "মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে রাবিতে 'বিদ্যার্ঘ' ভাস্কর্যের উদ্বোধন"cutimes24.com। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০১৫ 
  10. টেমপ্লেট:ওয়েব উদ্ধতি
  11. তথ্যকণিকা ২০২২-২৩
  12. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০২০ 
  13. "রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এডুকেশন ক্লাব— প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট"। ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ 
  14. জাকির হোসেন তমাল (এপ্রিল ২২, ২০১৫)। "ক্যাম্পাসের ক্যানভাসে"যায় যায় দিন। ঢাকা। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ১৯, ২০১৫ 
  15. "রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নবম সমাবর্তন আজ"দৈনিক কালের কণ্ঠ। ঢাকা। ১৮ জানুয়ারি, ২০১৫। ২২ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ১৯, ২০১৫  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  16. "রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি"lekhapora24.com। ঢাকা: lekhapora24.com। ১৮ জানুয়ারি, ২০১৫। ১৩ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ১৯, ২০১৫  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  17. "রোববার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম সমাবর্তন"rnews24.com। রাজশাহী। ১৭ জানুয়ারি, ২০১৫। ১৫ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ১৯, ২০১৫  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  18. "রাবির ১০ম সমাবর্তন আজ"Dhaka Tribune Bangla (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৯-২৯। ২০১৯-০৮-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-২৩ 
  19. "রাবির সমাবর্তনে ডি-লিট ডিগ্রি পাচ্ছেন হাসান আজিজুল ও সেলিনা হোসেন"Jugantor। ২০২০-০৫-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-২৩ 
  20. Rajshahi, University of। "রাবির একাদশ সমাবর্তন: উপাচার্যের ধন্যবাদ জ্ঞাপন"। ২০১৯-১২-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-০৪ 
  21. "রাবির একাদশ সমাবর্তন ৩০ নভেম্বর, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন"Bangla Tribune। n.d.। ২০১৯-১২-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-০৪  অজানা প্যারামিটার |9= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  22. Rajshahi, University of। "Physical Education – Rajshahi University"। ২০১৯-০৮-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৭ 
  23. "রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বদলে গেছে স্থাপনা ও একাডেমিক ভবনের নাম"samakal.com। ২০১৯-০৭-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৭ 

বহিঃসংযোগ