বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস

স্থানাঙ্ক: ২৩°৫০′২৩″ উত্তর ৯০°২১′২৮″ পূর্ব / ২৩.৮৩৯৮° উত্তর ৯০.৩৫৭৭° পূর্ব / 23.8398; 90.3577
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস
বিইউপি'র লোগো
নীতিবাক্যজ্ঞানের মাধ্যমে উৎকর্ষ সাধন
ধরনসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
স্থাপিত৫ জুন ২০০৮; ১৫ বছর আগে (2008-06-05)
অধিভুক্তি
আচার্যরাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন
উপাচার্যমেজর জেনারেল মো মাহবুব-উল আলম মেজর শাহারিয়ার ইসলাম কনক
উপ-উপাচার্যঅধ্যাপক ডঃ খন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ
৪১০+
শিক্ষার্থী৮০০০+
৬০৫০+
স্নাতক৬৮০০+
স্নাতকোত্তর১২০০+
৫০+
অবস্থান,
১২১৬
,
২৩°৫০′২৩″ উত্তর ৯০°২১′২৮″ পূর্ব / ২৩.৮৩৯৮° উত্তর ৯০.৩৫৭৭° পূর্ব / 23.8398; 90.3577
শিক্ষাঙ্গনশহুরে, ২৩ হেক্টর (৫৬ একর)
ওয়েবসাইটbup.edu.bd
মানচিত্র

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (সংক্ষেপে বিইউপি) বাংলাদেশের ৩১তম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, যা ২০০৮ সালে ঢাকার মিরপুর সেনানিবাসে প্রতিষ্ঠিত হয়।[১][২] এটি বাংলাদেশের প্রথম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যা বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দ্বারা পরিচালিত হয়। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস অধ্যাদেশ, ২০০৯ আইনের অধীনে এটি প্রতিষ্ঠা পায়।[৩]

BUP Campus Aerial View
বিইউপি শিক্ষাঙ্গনের আন্তরীক্ষ দৃশ্য
BUP Campus
বিইউপি শিক্ষাঙ্গন
BUP Campus Back
বিইউপি শিক্ষাঙ্গন পিছন থেকে

ইতিহাস[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস প্রতিষ্ঠার পূর্বে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (প্রায় ৫৬টি প্রতিষ্ঠান) সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অধিভুক্ত এবং সম্পৃক্ত ছিল।

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এনে একত্রিত করে সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত ও রক্ষণাবেক্ষণের উদ্দেশ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৮ সালের ৫ জুন ঢাকার মিরপুর সেনানিবাসে "জ্ঞানের মাধ্যমে উৎকর্ষ সাধন" নীতিবাক্য নিয়ে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৩০ নং আইন) ঘোষণা করা হয়।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা[সম্পাদনা]

  • সিনেট
  • সিন্ডিকেট
  • একাডেমিক কাউন্সিল
  • অর্থ কমিটি

শিক্ষা কার্যক্রমসমূহ[সম্পাদনা]

এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ১৮ টি বিভাগ আছে। তাছাড়া এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম ফিল ও পি এইচ ডি ডিগ্রীর পাশাপাশি উচ্চতর গবেষণার সুযোগ আছে।

অনুষদ এবং বিভাগ[সম্পাদনা]

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ[৪][সম্পাদনা]

  • স্নাতক
  1. স্নাতক (সম্মান) তথ্য ও যোগাযোগ প্রকৌশল
  2. স্নাতক (সম্মান) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল
  3. স্নাতক (সম্মান) পরিবেশ বিজ্ঞান
  • স্নাতকোত্তর
  1. স্নাতকোত্তর তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি
  2. স্নাতকোত্তর তথ্য সিস্টেম নিরাপত্তা
  3. স্নাতকোত্তর তথ্য ও যোগাযোগ প্রকৌশল
  4. স্নাতকোত্তর পরিবেশ বিজ্ঞান এবং ব্যবস্থাপনা
  5. স্নাতকোত্তর কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল

ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ[৫][সম্পাদনা]

  • স্নাতক
  1. বিবিএ অ্যাকাউন্টিং এবং তথ্য সিস্টেম
  2. বিবিএ অর্থ ও ব্যাংকিং
  3. বিবিএ ব্যবস্থাপনা শিক্ষা
  4. বিবিএ মার্কেটিং
  5. বিবিএ (সাধারণ)
  • স্নাতকোত্তর
  1. এমবিএ অ্যাকাউন্টিং এবং তথ্য সিস্টেম
  2. এমবিএ অর্থ ও ব্যাংকিং
  3. এমবিএ মার্কেটিং
  4. এমবিএ ব্যবস্থাপনা শিক্ষা
  5. এমবিএ (সাধারণ)
  6. এমবিএ (পেশাগত)

কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদ[৬][সম্পাদনা]

  • স্নাতক
  1. বিএ (সম্মান) ইংরেজি
  2. বিএসএস (সম্মান) অর্থনীতি
  3. বিএসএস (সম্মান) সমাজবিজ্ঞান
  4. বিএসএস (সম্মান) উন্নয়ন অধ্যয়ন
  5. বিএসএস (সম্মান) জনপ্রশাসন
  6. বিএসএস (সম্মান) দুর্যোগ ও মানব নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা
  • স্নাতকোত্তর
  1. স্নাতকোত্তর সমাজবিজ্ঞান
  2. স্নাতকোত্তর অর্থনীতি
  3. স্নাতকোত্তর উন্নয়ন অধ্যয়ন
  4. স্নাতকোত্তর জনপ্রশাসন
  5. স্নাতকোত্তর দুর্যোগ ও মানব নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা
  6. এমএ (ইংরেজি) সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন
  7. এমএ (ইংরেজি) ভাষা শিক্ষা এবং ফলিত ভাষাতত্ত্ব

নিরাপত্তা এবং কৌশলগত অনুষদ[৭][সম্পাদনা]

  • স্নাতক
  1. এলএলবি (সম্মান) আইন
  2. বিএসএস (সম্মান) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক
  3. বিএসএস (সম্মান) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা
  4. বিএসএস (সম্মান) শান্তি,সংঘর্ষ ও মানবধিকার অধ্যায়ন
  • স্নাতকোত্তর
  1. স্নাতকোত্তর আইন (এলএলএম পেশাদার)
  2. স্নাতকোত্তর আইন (এলএলএম )
  3. স্নাতকোত্তর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক
  4. স্নাতকোত্তর গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা
  5. স্নাতকোত্তর শান্তি,সংঘর্ষ ও মানবাধিকার অধ্যায়ন

চিকিৎসাবিদ্যাবিষয়ক অনুষদ[৮][সম্পাদনা]

  1. খাদ্য ও পুষ্টি
  2. ফার্মেসী
  3. জনস্বাস্থ্য ও তথ্যবিজ্ঞান

উচ্চতর গবেষণা ও গবেষণা কেন্দ্র[৯][সম্পাদনা]

আধুনিক ভাষা কেন্দ্র[১০][সম্পাদনা]

মূল্যায়ন, অনুষদ ও পাঠ্যক্রম উন্নয়ন অফিস[সম্পাদনা]

  • উন্নয়ন অনুষদ বিভাগ
  • পাঠ্যক্রম উন্নয়ন বিভাগ
  • প্রাতিষ্ঠানিক গুণমান নিশ্চিতকরণ সেল

শিক্ষাঙ্গন[সম্পাদনা]

আবাসন/হল[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা সমাধানে মিরপুর ডিওএইচএস -এ ৬ টি ভবন ভাড়া নিয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৪০০ ছাত্র সেখানে বসবাস করছে।

চিকিৎসা[সম্পাদনা]

ভিসি অফিসের তত্ত্বাবধানে প্রধান মেডিকেল অফিসার, সিনিয়র মেডিকেল অফিসার, ১ জন মেডিকেল অফিসার, ১ জন প্যারামেডিক, ২ জন মেডিকেল সহকারী এবং ২ জন অফিস সহকারীদের নিয়ে চলমান মার্চ ২০১০ সালে বিইউপি মেডিকেল সেন্টার উদ্বোধন করা হয়। মেডিকেল সেন্টার কল ভিত্তিতে এবং সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, কর্মশালা, খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের সময় ২৪ ঘন্টা চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করে। চিকিৎসা কেন্দ্র দ্বারা স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিরও আয়োজন করা হয়।

দিবা কেন্দ্র[সম্পাদনা]

বিইউপি একটি দিবা যত্ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং এই কেন্দ্রের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে ৫ ডিসেম্বর ২০১৭ থেকে শুরু হয়েছে।

আইসিটি পরিষেবা[সম্পাদনা]

বিইউপি -তে বর্তমানে ক্লাসরুম, কম্পিউটার ল্যাব, সাইবার সেন্টার, ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার এবং বিভিন্ন অফিসে ইন্টারনেট সংযোগ সহ ৭০০ টিরও বেশি কম্পিউটার রয়েছে যাতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা, গবেষণা কার্যক্রম এবং রুটিন কাজ পরিচালনা করা যায়। সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের জন্য হল সহ বিইউপি ক্যাম্পাসের সকল স্থানে উচ্চ গতির ওয়াই-ফাই সংযোগ রয়েছে।

বিইউপি হ্রদ[সম্পাদনা]

বিইউপি ক্যাম্পাসের ভিতরে একটি হ্রদ আছে, যা একাডেমিক ভবন এবং মাঠ দ্বারা বেষ্টিত। হ্রদের দুই পাশে একটি ভাসমান সেতু আছে।

সম্বন্ধযুক্ত[সম্পাদনা]

২০১৮ সালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস-এর অধিনে মোট ৫৬ টি প্রতিষ্ঠান (বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী দ্বারা পূর্বে পরিচালিত) ছিল।[১১]

এর মধ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান হলো:

  1. ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ
  2. ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ
  3. বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি
  4. ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টরস স্কুল
  5. মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি
  6. বাংলাদেশ নেভাল একাডেমি
  7. বাংলাদেশ বিমান বাহিনী একাডেমি
  8. আর্মি ইনস্টিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন, সাভার
  9. আর্মি ইনস্টিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন, সিলেট
  10. আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি
  11. আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল ইনস্টিটিউট

অধিভুক্ত মেডিকেল কলেজসমূহ[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত ৬ টি মেডিকেল কলেজ বিইউপি-র অধিভুক্ত।

  1. আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ
  2. আর্মি মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লা
  3. আর্মি মেডিকেল কলেজ, রংপুর
  4. আর্মি মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম
  5. আর্মি মেডিকেল কলেজ, যশোর
  6. আর্মি মেডিকেল কলেজ, বগুড়া

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Public Universities》Bangladesh University of Professionals" 
  2. "১৩ বছরে পা দিল বিইউপি"thedailycampus.com। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০২১ 
  3. "বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৩০ নং আইন)"www.bdlaws.minlaw.gov.bd। এপ্রিল ৮, ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১০, ২০২১ 
  4. "Faculty of Science and Technology"। ১৫ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  5. "Faculty of Business Studies"। ১৮ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  6. "Faculty of Arts and Social Sciences"। ১৫ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  7. "Faculty of Security and Strategic Studies"। ১৮ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  8. "Faculty of Medical Studies"। ১৫ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  9. "Centre for Higher Studies and Research"। ১৫ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  10. "Centre for Modern Languages"। ১৫ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  11. "সেরা বিশ্ববিদ্যালয় 'বিইউপি'"দৈনিক কালের কণ্ঠ। ৬ জুন ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০২১ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]