বিষয়বস্তুতে চলুন

২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা চ্যাম্পিয়ন স্টার ১ (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২১:১৯, ২৬ মার্চ ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (গ্রুপ এইচ)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপ
FIFA Fussball Weltmeisterschaft
Deutschland 2006
২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপ অফিসিয়াল লোগো
বিবরণ
স্বাগতিক দেশজার্মানি
তারিখজুন ৯ – জুলাই ৯
দল৩২ (৬টি কনফেডারেশন থেকে)
মাঠ১২ (১২টি আয়োজক শহরে)
চূড়ান্ত অবস্থান
চ্যাম্পিয়ন ইতালি (৪র্থ শিরোপা)
রানার-আপ ফ্রান্স
তৃতীয় স্থান জার্মানি
চতুর্থ স্থান পর্তুগাল
পরিসংখ্যান
ম্যাচ৬৪
গোল সংখ্যা১৪৭ (ম্যাচ প্রতি ২.৩টি)
দর্শক সংখ্যা৩৩,৫৩,৬৫৫ (ম্যাচ প্রতি ৫২,৪০১ জন)
শীর্ষ গোলদাতাজার্মানি মিরোস্লাভ ক্লোজে (৫টি)
সেরা খেলোয়াড়ফ্রান্স জিনেদিন জিদান
সেরা যুব খেলোয়াড়জার্মানি লুকাস পোদোলস্কি
সেরা গোলরক্ষকইতালি জিয়ানলুইজি বুফন

২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা ফিফা বিশ্বকাপের আঠারোতম আসর। ২০০৬ সালের ৯ জুন থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত প্রতিযোগিতাটি জার্মানিতে অনুষ্ঠিত হয়। ২০০০ সালের জুলাই মাসে জার্মানি প্রতিযোগিতার আয়োজক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিল।

ছয়টি মহাদেশের ১৯৮ টি জাতীয় ফুটবল দল প্রতিযোগিতার বাছাই পর্বে অংশ নিয়েছিল। বাছাই পর্ব ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হয়েছিল। আয়োজক জার্মানি ছাড়া আরো ৩১টি দল বাছাইপর্ব অতিক্রম করে চূড়ান্তপর্বে খেলা নিশ্চিত করে।

এই বিশ্বকাপে গ্রুপ জি তে মুখোমুখি হয় ব্রাজিল, সৌদি আরব, হণ্ডুরাস, গ্রীস ও জাপান। জাপান, সৌদি আরব, হণ্ডুরাস ও গ্রীসের কাছে হেরে ০ পয়েন্ট ও ০ গোল নিয়ে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেয় ব্রাজিল। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় জাপান আর গ্রুপ রানার্স আপ হয় সৌদি আরব।

এই প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলায় ইতালি জার্মানিকে হারিয়ে শিরোপা লাভ করে। নির্ধারিত সময়ে ১–১ গোলে সমতা থাকার পর টাইব্রেকারে ইতালি ৪–৩ ব্যবধানে ফ্রান্সকে পরাজিত করে। পর্তুগালকে ৩–১ গোলে হারিয়ে ফ্রান্স তৃতীয় অবস্থান লাভ করে।

২০০৬ বিশ্বকাপ ছিল টেলিভিশনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দর্শকসমৃদ্ধ অনুষ্ঠানের একটি। আনুমানিক ২৬.২৯ বিলিয়ন দর্শক এই প্রতিযোগিতা দেখেছেন। ফাইনাল খেলা দেখেছেন প্রায় ৭১৫.১ মিলিয়ন দর্শক।[] দর্শক সংখ্যার বিচারে ২০০৬ সালের বিশ্বকাপের অবস্থান চতুর্থ। এর আগের অবস্থানে রয়েছে ১৯৯৪, ২০০২১৯৯০ সালের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠানগুলো।[]

আয়োজক নির্বাচন

২০০৬ বিশ্বকাপের জন্য আয়োজক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০০ সালের জুলাইয়ে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে। এতে অংশগ্রহণ করে চারটি দেশ: জার্মানি, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড এবং মরোক্কো। নির্বাচন অনুষ্ঠানের তিন দিন আগে ব্রাজিল তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে।[] নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তিনটি পর্বের সমন্বয়ে। প্রতি পর্বে সবচেয়ে কম ভোট পাওয়া দেশ নির্বাচন থেকে বাদ পরে যায়। প্রথম দুই পর্ব অনুষ্ঠিত হয় ২০০০ সালের ৬ জুলাই এবং তৃতীয় অর্থাৎ‍ চূড়ান্ত পর্বটি অনুষ্ঠিত হয় ৭ জুলাই। এতে বিজয়ী হয় জার্মানি।

নির্বাচনের ফলাফল[]
দেশ পর্ব ১ পর্ব ২ পর্ব ৩
জার্মানি জার্মানি ১০ ১১ ১২
দক্ষিণ আফ্রিকা দক্ষিণ আফ্রিকা ১১ ১১
ইংল্যান্ড ইংল্যান্ড
মরক্কো মরোক্কো

বাছাই

১৯৮টি দেশ ২০০৬ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের প্রচেষ্টা চালায়।[] আয়োজক দেশ জার্মানি সরাসরি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। অবশিষ্ট ৩১টি স্থান মহাদেশীয় কনফেডারেশনগুলোর মধ্যে নির্দিষ্ট সংখ্যায় ভাগ করে দেওয়া হয়। উয়েফার (ইউরোপ) দলগুলোর জন্য ১৩টি স্থান, সিএএফ (আফ্রিকা) এর দলগুলোর জন্য ৫টি স্থান, কনমেবলের (দক্ষিণ আমেরিকা) দলগুলোর জন্য ৪টি স্থান, এএফসি (এশিয়া) এর দলগুলোর জন্য ৪টি স্থান এবং কনকাকাফের (উত্তর ও মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান) দলগুলোর জন্য ৩টি স্থান বরাদ্দ করা হয়। অবশিষ্ট ২টি স্থান নির্ধারিত হয় এএফসি ও কনকাকাফ এবং কনমেবল ও ওএফসি (ওসেনিয়া) এর মধ্যকার প্লে-অফের মাধ্যমে।

আটটি দেশ প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়: অ্যাঙ্গোলা, কোত দিভোয়ার, চেক রিপাবলিক, ঘানা, টোগো, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, ইউক্রেন এবং সার্বিয়া ও মন্টিনিগ্রো। চেক রিপাবলিক এবং ইউক্রেন প্রথমবারের মত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে। এর আগে তারা যথাক্রমে চেকস্লোভাকিয়া এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ হিসেবে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছিল; সার্বিয়া ও মন্টিনিগ্রো অংশগ্রহণ করেছিল ১৯৯৮ সালে ইয়োগোস্লাভিয়ার অংশ হিসেবে। ২০১৪ অনুসারে, এই শেষবারের মত তিউনিসিয়া, সৌদি আরব, টোগো, অ্যাঙ্গোলা, চেক রিপাবলিক, পোল্যান্ড, ইউক্রেন এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগো বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করে।

অস্ট্রেলিয়া ১৯৭৪ সালের পর প্রথমবারের মত সুযোগ পায়। বাছাইপর্বে ব্যর্থ হওয়া দলগুলোর মধ্য ২০০২ বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থান অর্জনকারী তুরস্ক এবং ইউরো ২০০৪ বিজয়ী গ্রিস উল্লেখযোগ্য। এছাড়া, বেলজিয়াম ১৯৭৮ সালের পর এবং ক্যামেরুন ১৯৮৬ সালের পর প্রথমবার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণে ব্যর্থ হয়।

১৯৮২ বিশ্বকাপের পর প্রথমবারের মত ছয়টি কনফেডারেশনের কোন না কোন দল বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে।

অংশগ্রহণকারী দলের তালিকা

নিচের ৩২টি দেশ ২০০৬ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে, দেশগুলোকে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা পূর্ব র‍্যাংকিং সহ দেখানো হল,[]

মাঠসমূহ

বিশ্বকাপের খেলার জন্য ফিফা নির্ধারিত কমপক্ষে ৪০,০০০ ধারণক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়ামের আধিক্যের কারণে, বিশ্বকাপ আয়োজনে ফিফার সন্তুষ্টি অর্জন করে জার্মানি। মিউনিখের ওলিম্পিয়াস্তাদিয়ন (৬৯,২৫০) বিশ্বকাপের ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হয়নি, যদিও ফিফার নিয়মানুসারে একটি শহর থেকে সর্বোচ্চ দুইটি স্টেডিয়াম ব্যবহার করা যায়; ডুসেলডর্ফের এলটিইউ আরেনা (৫১,৫০০), ব্রেমেনের ওয়েসারস্তাদিয়ন (৪৩,০০০) এবং মঞ্চেনগ্লাদবাখের বরুসিয়া-পার্ক (৪৬,২৪৯) স্টেডিয়ামও বিশ্বকাপে ব্যবহৃত হয়নি।

বিশ্বকাপের খেলাগুলো আয়োজনের জন্য বারোটি স্টেডিয়ামকে নির্বাচিত করা হয়। প্রতিযোগিতার সময়, অনেকে স্টেডিয়ামের ক্ষেত্রেই ভিন্ন নাম ব্যবহার করা হয়, যেহেতু ফিফা স্পন্সরশিপ নিষিদ্ধ করে।[] উদাহরণসরূপ, মিউনিখের আলিয়াঞ্জ আরেনার ক্ষেত্রে ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ স্টেডিয়াম মিউনিখ (জার্মান: FIFA WM-Stadion München) নামটি ব্যবহার করা হয়। কোম্পানির প্রতিটি অক্ষর সরিয়ে ফেলা হয় বা ঢেকে দেওয়া হয়।[] বিশ্বকাপে ব্যবহৃত কয়েকটি স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ফিফা নির্ধারিত ধারণক্ষমতার চেয়ে কিছু কম ছিল; তবুও, এটি মিটমাট করা হয় উয়েফা ৫-তারা র‍্যাংকিং এর স্টেডিয়াম হিসেবে।

বার্লিন ডর্টমুন্ড মিউনিখ স্টুটগার্ট
ওলিম্পিয়াস্তাদিয়ন সিগনাল ইদুনা পার্ক
(ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ স্টেডিয়াম, ডর্টমুন্ড)
আলিয়াঞ্জ আরেনা
(ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ স্টেডিয়াম, মিউনিখ)
গোত্‌লিব-দাইম্‌লার-স্তাদিয়ন
৫২°৩০′৫৩″ উত্তর ১৩°১৪′২২″ পূর্ব / ৫২.৫১৪৭২° উত্তর ১৩.২৩৯৪৪° পূর্ব / 52.51472; 13.23944 (Olympiastadion (Berlin)) ৫১°২৯′৩৩.২৫″ উত্তর ৭°২৭′৬.৬৩″ পূর্ব / ৫১.৪৯২৫৬৯৪° উত্তর ৭.৪৫১৮৪১৭° পূর্ব / 51.4925694; 7.4518417 (Signal Iduna Park) ৪৮°১৩′৭.৫৯″ উত্তর ১১°৩৭′২৯.১১″ পূর্ব / ৪৮.২১৮৭৭৫০° উত্তর ১১.৬২৪৭৫২৮° পূর্ব / 48.2187750; 11.6247528 (Alianz Arena) ৪৮°৪৭′৩২.১৭″ উত্তর ৯°১৩′৫৫.৩১″ পূর্ব / ৪৮.৭৯২২৬৯৪° উত্তর ৯.২৩২০৩০৬° পূর্ব / 48.7922694; 9.2320306 (Mercedes-Benz Arena)
ধারণক্ষমতা: ৭৪,১৭৬ ধারণক্ষমতা: ৬৭,০০০ ধারণক্ষমতা: ৬৬,০১৬ ধারণক্ষমতা: ৫৪,২৬৭
গেলসেনকির্শেন হামবুর্গ
ভেল্‌টিন্স-আরেনা
(ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ স্টেডিয়াম, গেলসেনকির্শেন)
এওএল আরেনা
(ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ স্টেডিয়াম, হামবুর্গ)
৫১°৩৩′১৬.২১″ উত্তর ৭°৪′৩.৩২″ পূর্ব / ৫১.৫৫৪৫০২৮° উত্তর ৭.০৬৭৫৮৮৯° পূর্ব / 51.5545028; 7.0675889 (Veltins-Arena) ৫৩°৩৫′১৩.৭৭″ উত্তর ৯°৫৩′৫৫.০২″ পূর্ব / ৫৩.৫৮৭১৫৮৩° উত্তর ৯.৮৯৮৬১৬৭° পূর্ব / 53.5871583; 9.8986167 (AOL Arena)
ধারণক্ষমতা: ৫৩,৮০৪ ধারণক্ষমতা: ৫১,০৫৫
ফ্রাঙ্কফুর্ট কোলোনিয়া
কমের্জবাংক আরেনা
(ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ স্টেডিয়াম, ফ্রাঙ্কফুর্ট)
রাইনএনার্গি স্তাদিয়ন
(ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ স্টেডিয়াম, কোলোনিয়া)
৫০°৪′৬.৮৬″ উত্তর ৮°৩৮′৪৩.৬৫″ পূর্ব / ৫০.০৬৮৫৭২২° উত্তর ৮.৬৪৫৪৫৮৩° পূর্ব / 50.0685722; 8.6454583 (Commerzbank Arena) ৫০°৫৬′০.৫৯″ উত্তর ৬°৫২′২৯.৯৯″ পূর্ব / ৫০.৯৩৩৪৯৭২° উত্তর ৬.৮৭৪৯৯৭২° পূর্ব / 50.9334972; 6.8749972 (RheinEnergie Stadion)
ধারণক্ষমতা: ৪৮,১৩২ ধারণক্ষমতা: ৪৬,১৩৪
হানোভার লাইপ্‌ৎসিশ কাইসার্সলাউটার্ন নুরেমবার্গ
এডাব্লুডি-আরেনা
(ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ স্টেডিয়াম, হানোভার)
জেন্ট্রালস্তাদিয়ন ফ্রিট্‌জ ওয়াল্টার স্তাদিয়ন ইজিক্রেডিট-স্তাদিয়ন
(ফ্রাঙ্কেনস্তাদিয়ন)
৫২°২১′৩৬.২৪″ উত্তর ৯°৪৩′৫২.৩১″ পূর্ব / ৫২.৩৬০০৬৬৭° উত্তর ৯.৭৩১১৯৭২° পূর্ব / 52.3600667; 9.7311972 (AWD-Arena) ৫১°২০′৪৪.৮৬″ উত্তর ১২°২০′৫৩.৫৯″ পূর্ব / ৫১.৩৪৫৭৯৪৪° উত্তর ১২.৩৪৮২১৯৪° পূর্ব / 51.3457944; 12.3482194 (Zentralstadion) ৪৯°২৬′৪.৯৬″ উত্তর ৭°৪৬′৩৫.২৪″ পূর্ব / ৪৯.৪৩৪৭১১১° উত্তর ৭.৭৭৬৪৫৫৬° পূর্ব / 49.4347111; 7.7764556 (Fritz Walter Stadion) ৪৯°২৫′৩৪″ উত্তর ১১°৭′৩৩″ পূর্ব / ৪৯.৪২৬১১° উত্তর ১১.১২৫৮৩° পূর্ব / 49.42611; 11.12583 (EasyCredit-Stadion)
ধারণক্ষমতা: ৪৪,৬৫২ ধারণক্ষমতা: ৪৪,১৯৯ ধারণক্ষমতা: ৪৩,৪৫০ ধারণক্ষমতা: ৪১,৯২৬

রেফারি

কনফেডারেশন রেফারি সহকারী
এএফসি টরু কামিকাওয়া (জাপান) ইয়োশিকাজু হিরোশিমা (জাপান)
কিম ডাই-ইয়ং (দক্ষিণ কোরিয়া)
শামসুল মাইদিন (সিঙ্গাপুর) প্রাচিয়া প্রেম্পানিচ (থাইল্যান্ড)
এইসা ঘুলুম (সংযুক্ত আরব আমিরাত)
সিএএফ কোফি কোদ্‌জিয়া (বেনিন) আবুদু আদেহোজু (বেনিন)
সিলিস্তান তাগুনগিহা (রয়ান্দা)
এশাম আব্দ এল ফাতাহ্‌ (মিশর) ধামান দন্ত (মালি)
মামাদু ন'দুয়ায়ে (সেনেগাল)
কনকাকাফ বেনিতো আর্চুন্দিয়া (মেক্সিকো) হোসে রামিরেজ (মেক্সিকো)
হেক্টর ভের্গারা (কানাডা)
মার্কো রোদ্রিগেজ (মেক্সিকো) হোসে লুইস কামার্গো (মেক্সিকো)
লেওনেল লেয়াল (কোস্টা রিকা)
কনমেবল ওরাসিও এলিজোন্দো (আর্জেন্টিনা) দারিও গার্সিয়া (আর্জেন্টিনা)
রোদোল্‌ফো ওতেরো (আর্জেন্টিনা)
কার্লোস সিমোন (ব্রাজিল) আরিস্তেউ তাভারিস (ব্রাজিল)
এজ্‌নিলসন কোরোনা (ব্রাজিল)
অস্কার রুইজ (কলম্বিয়া) হোসে নাভিয়া (কলম্বিয়া)
ফের্নান্দো তামায়ো (ইকুয়েডর)
কার্লোস আমারিয়া (প্যারাগুয়ে) আমেলিও আন্দিনো (প্যারাগুয়ে)
মানুয়েল বের্নাল (প্যারাগুয়ে)
হোর্হে লারিওন্দা (উরুগুয়ে) ওয়াল্‌তার রিয়াল (উরুগুয়ে)
পাবলো ফান্দিনিও (উরুগুয়ে)
ওএফসি মার্ক শিল্ড (অস্ট্রেলিয়া) নাথান গিবসন (অস্ট্রেলিয়া)
বেন উইলসন (অস্ট্রেলিয়া)
উয়েফা ফ্রাঙ্ক দে ব্লেকেরে (বেলজিয়াম) পিটার হের্মান্স (বেলজিয়াম)
ওয়াল্টার ভ্রোমান্স (বেলজিয়াম)
গ্রাহাম পোল (ইংল্যান্ড) ফিলিপ শার্প (ইংল্যান্ড)
গ্লেন টার্নার (ইংল্যান্ড)
এরিক পুলাত (ফ্রান্স) লিওনেল দাগোর্নে (ফ্রান্স)
ভাসঁ তেক্সিয়ের (ফ্রান্স)
মার্কস মের্ক (জার্মানি) ইয়ান-হেনড্রিক সালভের (জার্মানি)
ক্রিস্টিয়ান স্ক্রায়ের (জার্মানি)
রবের্তো রোসেত্তি (ইতালি) আলেসান্দ্রো স্তাজ্‌নেল্লি (ইতালি)
ক্রিস্তিয়ানো কোপেল্লি (ইতালি)
ভ্যালেন্টিন ইভানোভ (রাশিয়া) নিকোলেই গবুলেভ (রাশিয়া)
এভগুয়েনি ভোলনিন (রাশিয়া)
লুবোশ মিশেল (স্লোভাকিয়া) রোমান শ্লিশকো (স্লোভাকিয়া)
মার্টিন বাল্কো (স্লোভাকিয়া)
লুইস মেদিনা কান্তালেহো (স্পেন) ভিক্তরিয়ানো হিরাল্‌দেজ কারাস্কো (স্পেন)
পেদ্রো মেদিনা এর্নান্দেজ (স্পেন)
মাসিমো বুসাক্কা (সুইজারল্যান্ড) ফ্রাঞ্চেস্কো বুরাজিনা (সুইজারল্যান্ড)
মাথিয়াস আর্নেট (সুইজারল্যান্ড)

দল

২০০২ বিশ্বকাপের মত ২০০৬ বিশ্বকাপেরও প্রতিটি দল ২৩ জন খেলোয়াড়কে নিয়ে গঠিত হয়। ২০০৬ সালের ১৫ মে এর মধ্য বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দেশ তাদের ২৩ জন খেলোয়াড় নিয়ে গঠিত দল ঘোষণা করে।[]

গ্রুপ

বিভক্তি

২০০৫ সালের ৬ ডিসেম্বর ২০০৬ বিশ্বকাপের সিডিং এর আটটি দলের নাম ঘোষণা করে ফিফা। সিড দলগুলোকে ড্র এর জন্য পাত্র এ-তে রাখা হয়। পাত্র বি-তে রাখা হয় দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা এবং ওসেনিয়া থেকে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে। পাত্র সি-তে রাখা হয় অবশিষ্ট নয়টি ইউরোপীয় দলের মধ্যে সার্বিয়া ও মন্টিনিগ্রো ব্যতীত বাঁকি আটটিকে। পাত্র ডি-তে রাখা হয় কনকাকাফ এবং এশিয়া অঞ্চলের দলগুলোকে। সার্বিয়া ও মন্টিনিগ্রোকে রাখা হয় একটি বিশেষ পাত্রে। এই বিশেষ পাত্র করা হয় যেন কোন পাত্রে তিনটি ইউরোপীয় দল না থাকে।[] বিশেষ পাত্রের সার্বিয়া ও মন্টিনিগ্রোকে ড্র করা হয় ইউরোপের বাহিরের সিডকৃত তিনটি দেশের সাথে (আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল এবং মেক্সিকো)।

আয়োজক হিসেবে জার্মানিকে এ গ্রুপে স্থান দেওয়া হয়। এছাড়াও ফিফা ঘোষণা করে যে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে এফ গ্রুপে রাখা হবে।

পাত্র এ পাত্র বি পাত্র সি পাত্র ডি বিশেষ পাত্র

 আর্জেন্টিনা
 ব্রাজিল
 ইংল্যান্ড
 ফ্রান্স
 জার্মানি
 ইতালি
 মেক্সিকো
 স্পেন

 অ্যাঙ্গোলা
 অস্ট্রেলিয়া
 কোত দিভোয়ার
 ইকুয়েডর
 ঘানা
 প্যারাগুয়ে
 টোগো
 তিউনিসিয়া

 ক্রোয়েশিয়া
 চেক প্রজাতন্ত্র
 নেদারল্যান্ডস
 পোল্যান্ড
 পর্তুগাল
 সুইডেন
  সুইজারল্যান্ড
 ইউক্রেন

 কোস্টা রিকা
 ইরান
 জাপান
 দক্ষিণ কোরিয়া
 সৌদি আরব
 ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

 সার্বিয়া ও মন্টিনিগ্রো

২০০৫ সালের ৯ ডিসেম্বর, ড্র অনুষ্ঠিত হয়। দলগুলোকে আটটি গ্রুপে ভাগ করা হয় এবং গ্রুপ লাইনআপ ও ম্যাচ অর্ডার নির্ধারিত হয়। ড্র সম্পন্ন হওয়ার পর ভাষ্যকাররা সি গ্রুপকে গ্রুপ অফ ডেথ হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করে, যখন অন্যরা অ্যাখ্যায়িত করে ই গ্রুপকে।[১০][১১]

পদ্ধতি

প্রথম পর্ব অর্থাৎ‍ গ্রুপ পর্বে ৩২টি দলকে আটটি গ্রুপে ভাগ করা হয়। প্রতি গ্রুপকে চারটি করে দল নিয়ে গঠন করা হয়। প্রতি গ্রুপে মোট খেলার সংখ্যা ছিল ছয়টি, যেখানে গ্রুপের প্রতিটি দল একটি করে খেলায় পরস্পরের মুখোমুখি হয়। খেলায় জয় লাভের জন্য দুই পয়েন্ট, ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট এবং পরাজয়ের জন্য শূন্য পয়েন্ট প্রদান করা হয়। প্রতি গ্রুপের প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী দল ১৬ দলের পর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।

যদি দলগুলোর পয়েন্ট সমান হয়, তবে তাদেরকে নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুযায়ী তালিকাভুক্ত করা হয়:

  1. গ্রুপ পর্বের তিনটি খেলায় সর্বাধিক গোল ব্যবধান
  2. গ্রুপ পর্বের তিনটি খেলায় সর্বাধিক পক্ষে গোল
  3. এরপরও যদি দলগুলোর অবস্থান একই থাকে, তবে দলগুলোকে নিয়ে একটি ক্ষুদ্র গ্রুপ তৈরি করা হয় এবং নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে তাদের তালিকাভুক্ত করা হয়:
    1. টাই এ অন্যান্য দলের বিপক্ষে খেলায় অর্জিত সর্বাধিক পয়েন্ট
    2. টাই এ অন্যান্য দলের বিপক্ষে খেলায় অর্জিত সর্বাধিক গোল ব্যবধান
    3. টাই এ অন্যান্য দলের বিপক্ষে খেলায় সর্বাধিক গোলের সংখ্যা
  4. যদি এরপরও দলগুলোর অবস্থান একই থাকে তবে ফিফা কর্তৃক লটারির মাধ্যমে তালিকা নির্ধারণের নিয়ম করা হয়।

চূড়ান্ত পর্বের নিয়মাবলির আসল সংস্করণে তালিকাভুক্তির মানদন্ড ভিন্ন ক্রমে ছিল, যেখানে দুইটি দলের মুখোমুখি ফলাফলকে গোল ব্যবধানের চেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। প্রতিযোগিতা শুরুর পূর্বে নিয়মে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়, তবে পুরোনো সংস্করণগুলো এখনও ফিফা এবং উয়েফার ওয়েবসাইটে রয়েছে।

প্রতিযোগিতায় শুধুমাত্র দুইটি গ্রুপের দুই জোড়া দলের পয়েন্ট সমান ছিল: সি গ্রুপে ৭ পয়েন্ট নিয়ে আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডস এবং এইচ গ্রুপে ১ পয়েন্ট নিয়ে তিউনিসিয়া এবং সৌদি আরব। উভয় ক্ষেত্রেই গোল ব্যবধানের মাধ্যমে সমাধান করা হয়। এমনকি উভয় ক্ষেত্রেই দলগুলোর খেলা ড্র হয়।

চূড়ান্ত পর্ব

চিত্র:FIFA World Cup 2006 Opening Ceremony.jpg
মিউনিখে ২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।

২০০৬ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্ব শুরু হয় ৯ জুন। ৩২টি দলকে আটটি গ্রুপে ভাগ করা হয়, যেখানে প্রতিটি গ্রুপ গঠন করা হয় চারটি করে দল নিয়ে। প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্ব ছিল রাউন্ড-রবিন পদ্ধতির। প্রতিটি গ্রুপের প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী দুইটি দল নকআউট পর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, যা শুরু হয় ২৪ জুন থেকে। প্রতিযোগিতায় মোট ৬৪টি খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

আয়োজন

যদিও জার্মানি প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি, তবুও প্রতিযোগিতার আয়োজন ছিল জার্মানির জন্য এক বৃহত্‍ সাফল্য। যা জার্মানদের মধ্যে দেশপ্রেমী উদ্দীপনার বৃদ্ধি ঘটায়।[১২] বিশ্বকাপের সমাপনী অনুষ্ঠানের জন্য, জার্মান সুরকার মাঠিয়াস কেলার একটি সঙ্গীত রচনা করেন, যা একসঙ্গে পরিবেশন করে মিউনিখ ফিলহারমোনিক অর্কেস্ট্রা, বাভারিয়ান স্টেট অর্কেস্ট্রা এবং বাভারিয়ান রেডিও অর্কেস্ট্রা, তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন ক্রিস্টিয়ান থিলেমান, জুবিন মেহতা এবং মারিস ইয়ানসন্স এবং একক গায়ক হিসেবে ছিলেন ডিয়ানা ডামরাউ, প্লাসিদো দোমিনগো এবং ল্যাং ল্যাং

গতানুগতিক ক্ষমতাশালীদের অধিকরণ

প্রতিযোগিতার প্রথম দিকে অস্ট্রেলিয়া, ইকুয়েডর এবং ঘানার মত দলগুলো সাফল্য পেলেও, পরবর্তীতে গতানুগতিক ক্ষমতাশালী দলগুলো আধিপত্যে ফিরে আসে। ২০০২ বিশ্বকাপে উত্তর আমেরিকা (যুক্তরাষ্ট্র), আফ্রিকা (সেনেগাল) এবং এশিয়া (দক্ষিণ কোরিয়া) থেকে কয়েকটি দল নকআউট পর্বের গভীর পর্যন্ত পৌছাতে পারলেও, এমনকি তুরস্কের মত দল তৃতীয় স্থান অর্জন করলেও, চার বছর পরের এই প্রতিযোগিতায় সকল সিড দল নকআউট পর্বে পৌছায় এবং কোয়ার্টার ফাইনালের আটটি দলের সবকয়টি ছিল ইউরোপ এবং দক্ষিণ আমেরিকার। এর মধ্যে শুধু ইউক্রেন এবং উয়েফা ইউরো ২০০৪ এর রানার-আপ পর্তুগাল ছাড়া অবশিষ্ট ছয়টি দলই ছিল সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।[১৩] আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিল কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকেই বিদায় নেয়, ফলে চতুর্থবারের মত সেমি-ফাইনালের চারটি দলই হয় ইউরোপ মহাদেশের (এর আগে এমনটা ঘটেছিল ১৯৩৪, ১৯৬৬ এবং ১৯৮২ সালের প্রতিযোগিতায়)।

গোল সংখ্যা

গ্রুপ পর্বের খেলাগুলোতে গোলের প্রাচুর্য থাকলেও, নকআউট পর্বে গিয়ে প্রতি খেলায় গড় গোলের সংখ্যা অনেকখানি কমে আসে। উদাহরণস্বরূপ, পর্তুগাল তাদের ১৬ দলের পর্বের খেলার ২৩তম মিনিটে গোল করার পর একমাত্র গোলের দেখা পায় তৃতীয় স্থান নিধারণী প্লে-অফ খেলার ৮৮তম মিনিটে। প্রতিযোগিতায় কোন খেলোয়াড় হ্যাট্রিক করতে পারেনি। ইতালি, জার্মানি, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল এবং ফ্রান্স ছাড়া অন্য কোন দল নকআউট পর্বের খেলার একটির বেশি গোল করতে পারেনি। জার্মানি ছিল অন্যতম ব্যতিক্রম দল, যারা পুরো নকআউট পর্বে আক্রমণাত্মক ফুটবল থেলে। তারা মোট ১৪টি গোল করে যা ছিল তাদের আউটফিল্ডের তিনটি অবস্থানের (রক্ষণভাগ, মধ্যমাঠ, আক্রমনভাগ) খেলোয়াড়দেরই করা।

জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোজে ৫ গোল করে গোল্ডেন বুট জিতেন, এর আগে সর্বশেষ এত কম গোল করে এই পুরস্কার অর্জন করে ১৯৬২ বিশ্বকাপে। অন্য কোন খেলোয়াড় তিন গোলের বেশি করতে পারেননি। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ইতালি দলের কোন খেলোয়াড় দুইটির বেশি গোল করতে পারেনি, যদিও তাদের দল থেকে ভিন্ন দশজন খেলোয়াড় গোল করেছিল।

ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মত প্রতিযোগিতার প্রথম এবং শেষ গোল করেন রক্ষণভাগের খেলোয়াড়। জার্মান উইং ব্যাক ফিলিপ লাম কোস্টা রিকার বিপক্ষে উদ্বোধনী খেলার ৫ম মিনিটে প্রথম গোল করেন। ফাইনালে, ইতালীয় সেন্টার ব্যাক মার্কো মাতেরাজ্জি ২০০৬ বিশ্বকাপের শেষ গোলটি করেন।

নজিরবিহীন কার্ডের সংখ্যা

প্রতিযোগিতায় রেকর্ড সংখ্যক হলুদ এবং লাল কার্ড ব্যবহার করা হয়, যা ১৯৯৮ বিশ্বকাপের রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে যায়। মোট ৩৪৫টি হলুদ এবং ২৮টি লাল কার্ড খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়। রুশ রেফারি ভ্যালেন্টিন ইভানোভ ১৬ দলের পর্বে শুধুমাত্র পর্তুগাল এবং নেদারল্যান্ডসের মধ্যকার খেলাতেই ১৬টি হলুদ এবং ৪টি লাল কার্ড হস্তান্তর করেন, ঐ খেলাটি ব্যাটল অফ নুরেমবার্গ নামে পরিচিত। পর্তুগালের দুইজন খেলোয়াড়কে যথাক্রমে কোয়ার্টার-ফাইনাল এবং সেমি-ফাইনালে লাল কার্ড দেখানো হয়। ফিফা সভাপতি সেপ ব্লাটার ইঙ্গিত দেন যে তিনি নিয়ম-কানুনে কিছু পরিবর্তন আনতে পারেন, যেন পরবর্তী প্রতিযোগিতাগুলোতে কোন খেলোয়াড়কে কার্ড দেখানোর পরও যদি তার দল ফাইনালে পৌছায় তবে সে যেন ফাইনালে খেলতে পারে। এছাড়া প্রতিযোগিতায় ইংরেজ রেফারি গ্রাহাম পোল ভুলক্রমে ক্রোয়েশিয়ার ইয়োসিপ শিমুনিচকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলায় তিনবার হলুদ কার্ড দেখান।

প্রতিযোগিতায় হলুদ এবং লাল কার্ডের আধিক্য রেফারিদের আলোচনায় নিয়ে আসে। ফিফার সভাপতি এবং কর্মকর্তারা অনমনীয় নিয়ম তৈরির জন্য সমালোচনার মুখে পড়েন।[১৪]

গ্রুপ পর্ব

খেলা শুরুর প্রদত্ত সময়গুলো কেন্দ্রীয় ইউরোপীয় গ্রীষ্মকাল সময় অনুযায়ী (ইউটিসি+২).

গ্রুপ টেবিলের রংয়ের পরিচয়
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন এবং রানার-আপ, যারা ১৬ দলের পর্বে উত্তীর্ণ হয়েছে

গ্রুপ এ

দল খেলা
জয়
ড্র
পরাজয়
স্বগো
বিগো
গোপা
পয়েন্ট
 জার্মানি +৬
 ইকুয়েডর +২
 পোল্যান্ড −২
 কোস্টা রিকা −৬





গ্রুপ বি

দল খেলা
জয়
ড্র
পরাজয়
স্বগো
বিগো
গোপা
পয়েন্ট
 ইংল্যান্ড +৩
 সুইডেন +১
 প্যারাগুয়ে
 ত্রিনিদাদ ও টোবাগো −৪





গ্রুপ সি

দল খেলা
জয়
ড্র
পরাজয়
স্বগো
বিগো
গোপা
পয়েন্ট
 আর্জেন্টিনা +৭
 নেদারল্যান্ডস +২
 কোত দিভোয়ার −১
 সার্বিয়া ও মন্টিনিগ্রো ১০ −৮





গ্রুপ ডি

দল খেলা
জয়
ড্র
পরাজয়
স্বগো
বিগো
গোপা
পয়েন্ট
 পর্তুগাল +৪
 মেক্সিকো +১
 অ্যাঙ্গোলা −১
 ইরান −৪





গ্রুপ ই

দল খেলা
জয়
ড্র
পরাজয়
স্বগো
বিগো
গোপা
পয়েন্ট
 ইতালি +৪
 ঘানা +১
 চেক প্রজাতন্ত্র −১
 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র −৪





গ্রুপ এফ

দল খেলা
জয়
ড্র
পরাজয়
স্বগো
বিগো
গোপা
পয়েন্ট
 ব্রাজিল +৬
 অস্ট্রেলিয়া
 ক্রোয়েশিয়া −১
 জাপান −৫





গ্রুপ জি

দল খেলা
জয়
ড্র
পরাজয়
স্বগো
বিগো
গোপা
পয়েন্ট
  সুইজারল্যান্ড +৪
 ফ্রান্স +২
 দক্ষিণ কোরিয়া −১
 টোগো −৫





গ্রুপ এইচ

দল খেলা
জয়
ড্র
পরাজয়
স্বগো
বিগো
গোপা
পয়েন্ট
 স্পেন +৭
 ইউক্রেন +১
 তিউনিসিয়া −৩
 সৌদি আরব −৫





নকআউট পর্ব

বন্ধনী

 
১৬ দলের পর্বকোয়ার্টার-ফাইনালসেমি-ফাইনালফাইনাল
 
              
 
২৪ জুন – মিউনিখ
 
 
 জার্মানি
 
৩০ জুন – বার্লিন
 
 সুইডেন
 
 জার্মানি (পেনাল্টি)১ (৪)
 
২৪ জুন – লাইপৎসিশ
 
 আর্জেন্টিনা১ (২)
 
 আর্জেন্টিনা (অ.স.প.)
 
৪ জুলাই – ডর্টমুন্ড
 
 মেক্সিকো
 
 জার্মানি
 
২৬ জুন – কাইজারস্লাউটার্ন
 
 ইতালি (অ.স.প.)
 
 ইতালি
 
৩০ জুন – হামবুর্গ
 
 অস্ট্রেলিয়া
 
 ইতালি
 
২৬ জুন – কোলন
 
 ইউক্রেন
 
  সুইজারল্যান্ড০ (০)
 
৯ জুলাই – বার্লিন
 
 ইউক্রেন (পেনাল্টি)০ (৩)
 
 ইতালি (পেনাল্টি)১ (৫)
 
২৫ জুন – স্টুটগার্ট
 
 ফ্রান্স১ (৩)
 
 ইংল্যান্ড
 
১ জুলাই – গেলজেনকির্খেন
 
 ইকুয়েডর
 
 ইংল্যান্ড০ (১)
 
২৫ জুন – নুরেমবার্গ
 
 পর্তুগাল (পেনাল্টি)০ (৩)
 
 পর্তুগাল
 
৫ জুলাই – মিউনিখ
 
 নেদারল্যান্ডস
 
 পর্তুগাল
 
২৭ জুন – ডর্টমুন্ড
 
 ফ্রান্স তৃতীয় স্থান নির্ধারণী
 
 ব্রাজিল
 
১ জুলাই – ফ্রাঙ্কফুর্ট ৮ জুলাই – স্টুটগার্ট
 
 ঘানা
 
 ব্রাজিল জার্মানি
 
২৭ জুন – হানোফার
 
 ফ্রান্স  পর্তুগাল
 
 স্পেন
 
 
 ফ্রান্স
 

১৬ দলের পর্ব








কোয়ার্টার-ফাইনাল




সেমি-ফাইনাল


তৃতীয় স্থান নির্ধারণী

ফাইনাল

গোলদাতা খেলোয়াড়গন

পাঁচ গোল করে বিশ্বকাপে এডিডাস গোল্ডেন শু পুরস্কার জিতেন মিরোস্লাভ ক্লোজে১৯৬২ বিশ্বকাপের পর এই প্রথম কোন প্রতিযোগিতায় এত কম সংখ্যক গোল নিয়ে কোন খেলোয়াড় এই পুরস্কার জিতেন। ১৯৬২ এর প্রতিযোগিতায় একসাথে ছয় জন খেলোয়াড় সর্বোচ্চ চারটি করে গোল করেছিলেন। প্রতিযোগিতার মোট গোলের সংখ্যা ১৪৭, যার মধ্যে চারটি গোল ছিল আত্মঘাতী

৫ গোল
৩ গোল
২ গোল
১ গোল
আত্মঘাতী গোল

পুরস্কারসমূহ

গোল্ডেন বুট বিজয়ী গোল্ডেন বল বিজয়ী ইয়াশিন অ্যাওয়ার্ড সেরা যুব খেলোয়াড় ফিফা ফেয়ার প্লে শিরোপা সবচেয়ে মনোরম দল
জার্মানি মিরোস্লাভ ক্লোজে ফ্রান্স জিনেদিন জিদান ইতালি জিয়ানলুইজি বুফন জার্মানি লুকাস পোদোলস্কি  ব্রাজিল
 স্পেন
 পর্তুগাল

ফিফার প্রযুক্তিগত গবেষণা গ্রুপ প্রত্যেক খেলায় একটি করে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ পুরস্কার মঞ্জুর করে। ইতালির আন্দ্রেয়া পিরলো সর্বোচ্চ তিনবার এই পুরস্কার জিতেন। এছাড়া দুইবার করে এই পুরস্কার জিতেন মিরোস্লাভ ক্লোজে, আগস্তিন দেলগাদো, আরিয়েন রোবেন, জে রোবের্তো, আলেকজান্দার ফ্রাই, মাইকেল বালাক এবং পাত্রিক ভিয়েইরা

অল-স্টার দল

অল-স্টার দলে জায়গা পায় ২০০৬ বিশ্বকাপের সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক ২৩ জন খেলোয়াড়। ফিফার প্রযুক্তিগত গবেষণা গ্রুপ তাদেরকে নির্বাচিত করে। নকআউট পর্বের নৈপূণ্যের ভিত্তিতে ৫০ জনেরও বেশি সংখ্যক খেলোয়াড়ের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে তাদেরকে নির্বাচিত করা হয়।[১৫][১৬]

গোলরক্ষক ডিফেন্ডার মিডফিল্ডার ফরোয়ার্ড

ইতালি জিয়ানলুইজি বুফোন
জার্মানি ইয়েন্স লেহমান
পর্তুগাল পেরেইরা

আর্জেন্টিনা রোবের্তো আয়ালা
ইংল্যান্ড জন টেরি
ফ্রান্স লিলিয়ান থুরাম
জার্মানি ফিলিপ লাম
ইতালি ফাবিও কান্নাভারো
ইতালি জানলুকা জামব্রোত্তা
পর্তুগাল হিকাদো কাহ্ভালো

ব্রাজিল জে রোবের্তো
ফ্রান্স পাত্রিক ভিয়েইরা
ফ্রান্স জিনেদিন জিদান
জার্মানি মাইকেল বালাক
ইতালি আন্দ্রেয়া পিরলো
ইতালি গেন্নারো গাতুসো
ইতালি ফ্রাঞ্চেস্কো তত্তি
পর্তুগাল লুইস ফিগো
পর্তুগাল মানিশ

আর্জেন্টিনা এর্নান ক্রেসপো
ফ্রান্স থিয়েরি অঁরি
জার্মানি মিরোস্লাভ ক্লোজে
ইতালি লুকা তনি

দলের র‍্যাংকিং

প্রতিযোগিতার ৩২টি দলকে নিয়ে ফিফার নির্ধারিত মানদ্বন্ডের ভিত্তিতে একটি র‍্যাংকিং প্রস্তুত করা হয়।[১৭]

র‍্যাংকিং দল গ্রুপ খেলা জয় ড্র পরাজয় স্ব.গো. বি.গো. গো.পা. পয়েন্ট
ফাইনাল
 ইতালি ১২ +১০ ১৭
 ফ্রান্স জি +৬ ১৫
৩য় এবং ৪র্থ স্থান
 জার্মানি ১৪ +৮ ১৬
 পর্তুগাল ডি +২ ১৩
কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেয়া দল
 ব্রাজিল এফ ১০ +৮ ১২
 আর্জেন্টিনা সি ১১ +৮ ১১
 ইংল্যান্ড বি +৪ ১১
 ইউক্রেন এইচ −২
১৬ দলের পর্ব থেকে বিদায় নেয়া দল
 স্পেন এইচ +৫
১০   সুইজারল্যান্ড জি +৪
১১  নেদারল্যান্ডস সি +১
১২  ইকুয়েডর +১
১৩  ঘানা −২
১৪  সুইডেন বি −১
১৫  মেক্সিকো ডি
১৬  অস্ট্রেলিয়া এফ −১
গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়া দল
১৭  দক্ষিণ কোরিয়া জি −১
১৮  প্যারাগুয়ে বি
১৯  কোত দিভোয়ার সি −১
২০  চেক প্রজাতন্ত্র −১
২১  পোল্যান্ড −২
২২  ক্রোয়েশিয়া এফ −১
২৩  অ্যাঙ্গোলা ডি −১
২৪  তিউনিসিয়া এইচ −৩
২৫  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র −৪
২৫  ইরান ডি −৪
২৭  ত্রিনিদাদ ও টোবাগো বি −৪
২৮  জাপান এফ −৫
২৮  সৌদি আরব এইচ −৫
৩০  টোগো জি −৫
৩১  কোস্টা রিকা −৬
৩২  সার্বিয়া ও মন্টিনিগ্রো সি ১০ −৮

তথ্যসূত্র

  1. "World Cup and Television" (পিডিএফ)ফিফা। ২০০৬। ১৪ জুন ২০০৭ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০০৭ 
  2. "The FIFA World Cup TV viewing figures" (পিডিএফ)ফিফা। ২৭ নভেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০০৭ 
  3. "FIFA acknowledges Brazil's withdrawal from 2006 World Cup race"। ফিফা। ৪ জুলাই ২০০০। ২৩ এপ্রিল ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  4. "FIFA World Cup 2006 : Results of First Two Rounds of Voting"। ফিফা। ৬ জুলাই ২০০০। ২৩ এপ্রিল ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  5. "Record number of 204 teams enter preliminary competition"। ফিফা। ৩ মার্চ ২০০৭। ১৭ নভেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  6. "FIFA/Coca Cola World Ranking (17 May 2006)"। ফিফা। ১৭ মে ২০০৬। ৩ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  7. "Stadiums renamed for Fifa sponsors"। বিবিসি। ৬ জুন ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  8. "Deadline for submitting list of 23 players remains 15 May 2006"। ফিফা। ১৬ মার্চ ২০০৬। ২৩ এপ্রিল ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  9. "FIFA Organising Committee approves team classifications and final draw procedure"। ফিফা। ৬ ডিসেম্বর ২০০৫। ২৩ এপ্রিল ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  10. Wilson, Paul (১১ ডিসেম্বর ২০০৫)। "An easy group? Draw your own conclusions"দ্য অবজার্ভার। যুক্তরাজ্য। ৩০ জুন ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  11. Palmer, Kevin (২৪ মে ২০০৬)। "Group C Tactics Board"। ইএসপিএনসকারণেট। ২০ জুন ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  12. "South African to learn lessons from Germany"। The 2006 FIFA World Cup Germany। ৯ জুলাই ২০০৬। ১৯ জুলাই ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  13. Zeigler, Mark (৩০ জুন ২০০৬)। "World Cup quarterfinals"। Union Tribune। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০০৮ 
  14. "Who's to blame for Cup card frenzy?"। বিবিসি স্পোর্ট। ২৬ জুন ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  15. "Azzurri prominent in All Star Team"। ফিফা। ৭ জুলাই ২০০৬। ১৪ জুন ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  16. "France, Italy dominate World Cup all-star squad"। বিবিসি। Associated Press। ৭ জুলাই ২০০৬। ১৩ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০০৬ 
  17. "Germany 2006: The final ranking"ফিফা। ৭ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ

টেমপ্লেট:২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপ