চেক প্রজাতন্ত্র জাতীয় ফুটবল দল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চেক প্রজাতন্ত্র
দলের লোগো
ডাকনামনারোদাক (জাতীয় দল)
অ্যাসোসিয়েশনচেক প্রজাতন্ত্র ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন
কনফেডারেশনউয়েফা (ইউরোপ)
প্রধান কোচইয়ারোস্লাভ শিলহাভি
অধিনায়কবোরেক দোচকাল
সর্বাধিক ম্যাচপেত্র চেক (১২৪)
শীর্ষ গোলদাতাইয়ান কোলার (৫৫)
মাঠবিভিন্ন
ফিফা কোডCZE
ওয়েবসাইটfacr.fotbal.cz
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
ফিফা র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ৩৯ অপরিবর্তিত (২১ ডিসেম্বর ২০২৩)[১]
সর্বোচ্চ(সেপ্টেম্বর ১৯৯৯; জানুয়ারি – মে ২০০০; এপ্রিল – মে ২০০৫; জানুয়ারি – মে ২০০৬)
সর্বনিম্ন৬৭ (মার্চ ১৯৯৪)
এলো র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ৩১ হ্রাস ৪ (১২ জানুয়ারি ২০২৪)[২]
সর্বোচ্চ(জুন ২০০৪, জুন ২০০৫)
সর্বনিম্ন৪৭ (৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭)
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
 তুরস্ক ১–৪ চেক প্রজাতন্ত্র 
(ইস্তাম্বুল, তুরস্ক; ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪)
বৃহত্তম জয়
 চেক প্রজাতন্ত্র ৮–১ অ্যান্ডোরা 
(লিবেরেৎস, চেক প্রজাতন্ত্র; ৪ জুন ২০০৫)
বৃহত্তম পরাজয়
 ইংল্যান্ড ৫–০ চেক প্রজাতন্ত্র 
(লন্ডন, ইংল্যান্ড; ২২ মার্চ ২০১৯)
বিশ্বকাপ
অংশগ্রহণ৯ (১৯৩৪-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যরানার-আপ (১৯৩৪, ১৯৬২)
উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ
অংশগ্রহণ৯ (১৯৬০-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যচ্যাম্পিয়ন (১৯৭৬)
কনফেডারেশন্স কাপ
অংশগ্রহণ১ (১৯৯৭-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যতৃতীয় স্থান (১৯৯৭)

চেক প্রজাতন্ত্র জাতীয় ফুটবল দল (চেক: Česká fotbalová reprezentace, ইংরেজি: Czech Republic national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে চেক প্রজাতন্ত্রের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম চেক প্রজাতন্ত্রের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা চেক প্রজাতন্ত্র ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯০৭ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৫৪ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা উয়েফার সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯৯৪ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি তারিখে, চেক প্রজাতন্ত্র প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে চেক প্রজাতন্ত্র তুরস্ককে ৪–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছে।

নারোদাক নামে পরিচিত এই দলটি বেশ কয়েকটি স্টেডিয়ামে তাদের হোম ম্যাচগুলো আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন ইয়ারোস্লাভ শিলহাভি এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন স্পার্তা প্রাহার মধ্যমাঠের খেলোয়াড় বোরেক দোচকাল

চেক প্রজাতন্ত্র এপর্যন্ত ৯ বার ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ১৯৩৪ এবং ১৯৬২ ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছানো। অন্যদিকে, উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে চেক প্রজাতন্ত্র এপর্যন্ত ৯ বার অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে উয়েফা ইউরো ১৯৭৬-এর শিরোপা জয়লাভ করা, যেখানে তারা পশ্চিম জার্মানির সাথে ০–০ গোলে ড্র করার পর পেনাল্টিতে ৫–৩ গোলে পরাজিত করেছে। এছাড়াও, চেক প্রজাতন্ত্র ১৯৯৭ ফিফা কনফেডারেশন্স কাপে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে।

পেত্র চেক, কারেল পবোরস্কি, তমাস রসিচকি, ইয়ান কোলার এবং মিলান বারোসের মতো খেলোয়াড়গণ চেক প্রজাতন্ত্রের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

র‌্যাঙ্কিং[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ১৯৯৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে চেক প্রজাতন্ত্র তাদের ইতিহাসে সর্বপ্রথম সর্বোচ্চ অবস্থান (১ম) অর্জন করে এবং ২০১৩ সালের জুন মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ২২তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে চেক প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ১ম (যা তারা সর্বপ্রথম ১৯৫৮ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ২০। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং
২১ ডিসেম্বর ২০২৩ অনুযায়ী ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং[১]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
৩৭ অপরিবর্তিত  তুরস্ক ১৫০৫.২৮
৩৮ অপরিবর্তিত  রাশিয়া ১৪৯৮.৮৪
৩৯ অপরিবর্তিত  চেক প্রজাতন্ত্র ১৪৯৪.০৪
৪০ অপরিবর্তিত  চিলি ১৪৮৯.৮২
৪১ অপরিবর্তিত  পানামা ১৪৭৫.৬২
বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
১২ জানুয়ারি ২০২৪ অনুযায়ী বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং[২]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
২৯ বৃদ্ধি ১১  তুরস্ক ১৭৬৬
৩০ বৃদ্ধি ২৩  পানামা ১৭৬৫
৩১ হ্রাস  চেক প্রজাতন্ত্র ১৭৫৭
৩২ অপরিবর্তিত  রাশিয়া ১৭৫৬
৩৩ হ্রাস  নরওয়ে ১৭৫৫
৩৩ বৃদ্ধি ১২  ভেনেজুয়েলা ১৭৫৫

প্রতিযোগিতামূলক তথ্য[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্বকাপ[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব
সাল পর্ব অবস্থান ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো
উরুগুয়ে ১৯৩০ অংশগ্রহণ করেনি অংশগ্রহণ করেনি
ইতালি ১৯৩৪
ফ্রান্স ১৯৩৮
ব্রাজিল ১৯৫০
সুইজারল্যান্ড ১৯৫৪
সুইডেন ১৯৫৮
চিলি ১৯৬২
ইংল্যান্ড ১৯৬৬
মেক্সিকো ১৯৭০
পশ্চিম জার্মানি ১৯৭৪
আর্জেন্টিনা ১৯৭৮
স্পেন ১৯৮২
মেক্সিকো ১৯৮৬
ইতালি ১৯৯০
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৪
ফ্রান্স ১৯৯৮ উত্তীর্ণ হয়নি ১০ ১৬
দক্ষিণ কোরিয়া জাপান ২০০২ ১২ ২০ ১০
জার্মানি ২০০৬ গ্রুপ পর্ব ২০তম ১৪ ১১ ৩৭ ১২
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০ উত্তীর্ণ হয়নি ১০ ১৭
ব্রাজিল ২০১৪ ১০ ১৩
রাশিয়া ২০১৮ ১০ ১৭ ১০
কাতার ২০২২ অনির্ধারিত অনির্ধারিত
মোট গ্রুপ পর্ব ৯/২১ ৩৩ ১২ ১৬ ৪৭ ৪৯ ১৩৭ ৭৪ ২৯ ৩৪ ২৬৪ ১১৬

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং"ফিফা। ২১ ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ 
  2. গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"eloratings.net। ১২ জানুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২৪ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]