২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ
Чемпионат мира по футболу 2018
চিম্অতক্রিটিয়ে এরিনাপিওনাত মির‍্য প্য ফুতবোলু দ্‌ভি তিসিচি ভ্যসিম নাৎস্যত[১]
২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের লোগো.svg
২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের প্রতীক
বিবরণ
স্বাগতিক দেশরাশিয়া
তারিখ১৪ জুন - ১৫ জুলাই
দল৩২ (৫টি কনফেডারেশন থেকে)
মাঠ১২ (১১টি আয়োজক শহরে)
চূড়ান্ত অবস্থান
চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স (২য় শিরোপা)
রানার-আপ ক্রোয়েশিয়া
তৃতীয় স্থান বেলজিয়াম
চতুর্থ স্থান ইংল্যান্ড
পরিসংখ্যান
ম্যাচ৬৪
গোল সংখ্যা১৬৯ (ম্যাচ প্রতি ২.৬৪টি)
দর্শক সংখ্যা৩০,৩১,৭৬৮ (ম্যাচ প্রতি ৪৭,৩৭১ জন)
শীর্ষ গোলদাতাইংল্যান্ড হ্যারি কেন (৬ গোল)
সেরা খেলোয়াড়ক্রোয়েশিয়া লুকা মদ্রিচ
সেরা যুব খেলোয়াড়ফ্রান্স কিলিয়ান এমবাপে
সেরা গোলরক্ষকবেলজিয়াম থিবো কোর্তোয়া
ফেয়ার প্লে পুরষ্কার স্পেন[২]
২০২২‌ →
সর্বশেষ হালনাগাদ: ১৫ জুলাই ২০১৮

২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ (রুশ: Чемпионат мира по футболу 2018; চিম্পিওনাত মির‍্য প্য ফুতবোলু দ্‌ভি তিসিচি ভ্যসিম নাৎস্যত) ছিল চতুর্বার্ষিক আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা ফিফা বিশ্বকাপের ২১তম আসরের চূড়ান্ত পর্ব, যাতে আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা ফিফা-র অন্তর্ভুক্ত ৩২টি জাতীয় ফুটবল দল (পুরুষ) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। প্রতিযোগিতাটি রাশিয়ায় ১৪ই জুন হতে ১৫ই জুলাই ২০১৮ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে।[৩] এর আগে ২রা ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে অনুষ্ঠিত এক নিলামের মাধ্যমে রাশিয়াকে স্বাগতিক রাষ্ট্র হিসেবে নির্বাচন করা হয়।

চূড়ান্ত পর্বে যে ৩২টি জাতীয় ফুটবল দল খেলেছে, তাদের মধ্যে রাশিয়ার জাতীয় ফুটবল দল আয়োজক রাষ্ট্রের দল হিসেবে সরাসরি খেলার সুযোগ পেয়েছে। বাকি ৩১টি জাতীয় দল বাছাইপর্বের প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হয়ে খেলতে এসেছে। এই ৩২টি দলের মধ্যে ২০টি দল পূর্ববর্তী ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপেও অংশগ্রহণ করেছিল, যাদের মধ্যে সাবেক বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন জার্মানি অন্যতম। অন্যদিকে আইসল্যান্ড এবং পানামা এই বিশ্বকাপে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে।

২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপটি ছিল প্রথমবারের মত পূর্ব ইউরোপে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ। জার্মানিতে অনুষ্ঠিত ২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপের ১০ বছর পর যা আবার ইউরোপে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে; এটি হচ্ছে ইউরোপে অনুষ্ঠিত ১১তম বিশ্বকাপ।

খেলোয়াড়দের ভ্রমণের সময় বাঁচানোর জন্য কেবল রাশিয়ার ইউরোপীয় অংশে অবস্থিত বিভিন্ন স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলাগুলি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাশিয়ার ১১টি শহরের ১২টি স্টেডিয়ামে সর্বমোট ৬৪টি ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ১৫ই জুলাই রাশিয়ার রাজধানী মস্কো শহরের লুঝনিকি স্টেডিয়ামে এই আসরের শিরোপা নির্ধারণী খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়[৪][৫][৬] ফ্রান্স এবং ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে। এই ফাইনাল ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ফ্রান্স ৪-২ স্কোরের করার মাধামে তারা তাদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা লাভ করে।

২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের শিরোপা বিজয়ী দল ফ্রান্স ২০২১ সালে অনুষ্ঠিতব্য ফিফা কনফেডারেশন্স কাপের জন্য সরাসরি উত্তীর্ণ হয়েছে।

স্বাগতিক রাষ্ট্র নির্বাচন প্রক্রিয়া[সম্পাদনা]

নিলামে অংশগ্রহণকারী রুশ কর্মকর্তা ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে রাশিয়ার স্বাগতিক দেশের কথা ঘোষণাপূর্বক উৎসব পালন করেন।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, মস্কো টুর্নামেন্টের পূর্ব-অনুষ্ঠানে ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন

এই আসরের স্বাগতিক শহর নির্ধারণী প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে, এবং ২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ হতে জাতীয় দলগুলো স্বাগতিক হওয়ার জন্য তাদের আগ্রহ নিবন্ধন করাতে পারে।[৭] প্রাথমিকভাবে, ৯টি দেশ এই আসরের স্বাগতিক হওয়ার জন্য নিলাম প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে, কিন্তু পরবর্তীতে মেক্সিকো এই কার্যধারা হতে তাদের নাম প্রত্যাহার করে,[৮] এবং ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফিফা ইন্দোনেশিয়ার নাম বাতিল করে দেয়, কারণ তাদের সরকার এই নিলামকে সমর্থন প্রদানের চিঠি পাঠাতে ব্যর্থ হয়।[৯] এই নিলামের প্রক্রিয়ায়, ৩টি নন-উয়েফা দেশ (অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ক্রমান্বয়ে এই নিলাম হতে তাদের নাম প্রত্যাহার করে, এবং এতদনুসারে ২০২২ সালের নিলামে উয়েফা দেশগুলোকে বাতিল ঘোষণা করা হয়। অবশেষে এই আসরের নিলামের জন্য মাত্র ৪টি নাম অবশিষ্ট ছিল, তারা হলো: ইংল্যান্ড, রাশিয়া, বেলজিয়াম/নেদারল্যান্ডস এবং পর্তুগাল/স্পেন

২০১০ সালের ২ ডিসেম্বর জুরিখে, ২২ সদস্যবিশিষ্ট ফিফা নির্বাহী পরিষদ সমবেত হয়ে এই নিলামে স্বাগতিক দল ঠিক করে।[১০] উক্ত নিলামে ভোটের দ্বিতীয় পর্বে রাশিয়া জয়লাভ করে এবং এই বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে নির্বাচিত হয়। এই নিলামে পর্তুগাল/স্পেন দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে, এবং বেলজিয়াম/নেদারল্যান্ডস তৃতীয় স্থান অধিকার করে। স্বাগতিক হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পথে ভোটের প্রথম পর্বেই ইংল্যান্ডের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়।[১১]

ভোটের ফলাফল নিম্নরূপ ছিল:[১২]

২০১৮ ফিফা নিলাম প্রক্রিয়া (সংখ্যাগরিষ্ঠ ১২ ভোট)
নিলামে অংশগ্রহণকারী দেশ ভোট
প্রথম-পর্ব দ্বিতীয়-পর্ব
 রাশিয়া ১৩
 পর্তুগাল/ স্পেন
 বেলজিয়াম/ নেদারল্যান্ডস
 ইংল্যান্ড বিদায়

এই প্রক্রিয়াটি সমালোচনার ঊর্ধ্বে ছিল না: রাশিয়ার দলের পক্ষ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এবং ফিফার দুর্নীতি যেটি বিশেষত ইংরেজ দ্য ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা করা হয়েছিল। এটা তথাকথিত ছিল যে, নির্বাহী কমিটির চার জন সদস্য ইংল্যান্ডের জন্য ভোট করার জন্য ঘুষ নিতে অনুরোধ করেছিলেন, এবং তখন তৎকালীন ফিফা প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটার জানান যে, এই নিলামের ভোট গ্রহণের পূর্বে এটা নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল যে রাশিয়া এই নিলামে জয়লাভ করবে।[১৩] মাইকেল জে. গার্সিয়া একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত শেষে ২০১৪ গার্সিয়া রিপোর্ট নামে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেন, যেটি ফিফার নৈতিক বিষয়ক বিচারের প্রধান হান্স-জোয়াকিম একার্ট দ্বারা প্রতিসংহৃত হয়ে গিয়েছিল। এই প্রতিবেদনে পরিবর্তে তিনি একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ প্রকাশ করেন। এই প্রতিবেদন প্রকাশে ফিফার অনিচ্ছার কারণে প্রতিবাদী গার্সিয়া হতে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন।[১৪] এই সকল বিতর্কের কারণে, এফএ একার্টের রাশিয়ায় মুক্ত প্রদানকে প্রত্যাখ্যান করে দেয় এবং গ্রেগ ডাইককে এই সম্পূর্ণ ব্যাপারটি পুনরায় তদন্ত করার নির্দেশ প্রদান করে। অন্যদিকে ডেভিড বার্নস্টেইন এই বিশ্বকাপকে বয়কট করার ঘোষণা দেন।[১৫][১৬]

দল[সম্পাদনা]

বাছাইপর্ব[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এবার ফিফার অন্তর্ভুক্ত সকল উপযুক্ত দেশ ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিল। এবারের বাছাইপর্বে ২০৯টি ফিফা সদস্য নিয়েছে, যেখানে আয়োজক দেশ হিসেবে রাশিয়া পূর্বেই তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে, যদিও রাশিয়া বাছাইপর্বে অংশ নিয়েছিল।[১৭] পরবর্তীতে, জিম্বাবুয়ে এবং ইন্দোনেশিয়া তাদের প্রথম ম্যাচ খেলার পূর্বেই বাছাইপর্ব হতে বাতিল হয়ে যায়,[১৮][১৯] অন্যদিকে, বাছাইপর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ২০১৬ সালের ১৩ই মে তারিখে ফিফা সদস্যপদ লাভ করে জিব্রাল্টার এবং কসভো; তারাও ইউরোপীয় বাছাইপর্ব শুরুর পূর্বেই এই প্রতিযোগিতায় যোগদান করে।[২০] মহাদেশীয় সংঘ অনুযায়ী এই প্রতিযোগিতায় দলের সংখ্যা বরাদ্দ করা হয়েছে, যেটি ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপের মতোই রয়েছে।[২১][২২] দিলি এবং পূর্ব তিমুরের মধ্যকার ম্যাচের মাধ্যমে ২০১৫ সালের ১২ই মার্চ তারিখে ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব যাত্রা শুরু করে,[২৩] এবং ২০১৫ সালের ২৫ জুলাই, ১৮:০০ এমএসকে (ইউটিসি+৩) সময়ে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের স্ত্রেলনার কন্সতান্টিনোভস্কি প্রাসাদে প্রধান ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে।[৩][২৪][২৫][২৬]

ড্র[সম্পাদনা]

২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের ড্র ২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর স্টেট ক্রেমলিন প্যালেস, মস্কো, রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়।[২৭] এই অনুষ্ঠান প্রতিযোগিতার অংশগ্রহণকারী ৩২ দলের গ্রুপ নির্ধারণ করে। এই দলসমূহকে ফিফা পূর্বেই ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা করে ৪টি পাত্রে ভাগ করে।

বিশ্বকাপের আগের সংস্করণগুলির তুলনায়, ২০১৭ সালের অক্টোবরে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী প্রতিটি জাতীয় দলের পাত্রগুলি নির্ধারণ করা হয়েছিল, পাত্র ১-এ ছিল সর্বোচ্চ র‌্যাঙ্কিংয়ের দলগুলি, পাত্র ২-এ ছিল পরবর্তী সর্বোচ্চ-র‌্যাঙ্কিং ধারণকারী দলগুলি, এবং এভাবেই চলতে থাকে; আগের সংস্করণে সর্বোচ্চ স্তরের দলগুলোর মধ্যে কেবল একটি পাত্রই র‌্যাঙ্কিংয়ের দ্বারা নির্ধারিত হয়, মহাদেশীয় কনফেডারেশন দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য তিনটি পাত্রের সাথে। আয়োজক দেশকে পাত্র ১-এ রাখা হয় এবং একটি বাছাই দল হিসাবে গণ্য হয়, এই কারণে, আয়োজক রাশিয়া সেরা ৮ দলে না থাকলেও ফিফার বিশ্বকাপ নীতি অনুযায়ী, আয়োজক হওয়ায় প্রথম ৮ দলের পাত্রে স্থান পায় এবং ফিফা র‌্যাঙ্কিং এর সেরা ৭ দল প্রথম পাত্রের বাকি ৭ স্থান পূরণ করে।

ড্র পর্যায়াক্রম শুরু হয় পাত্র ১ দিয়ে এবং পাত্র ৪ দিয়ে শেষ হয়।[২৮]

আগের সংস্করণগুলির মতো, উয়েফা ব্যতীত কোনও মহাদেশীয় কনফেডারেশনের কোন গ্রুপের একাধিক দল ছিল না, যেটির কমপক্ষে একটি ছিল, কিন্তু একটি গ্রুপে দুইয়ের অধিক নয়।[২৮]

পাত্র ১ পাত্র ২ পাত্র ৩ পাত্র ৪
 রাশিয়া (আয়োজক) (৬৫)  স্পেন (৮)  ডেনমার্ক (১৯)  সার্বিয়া (৩৮)
 জার্মানি (১)  পেরু (১০)  আইসল্যান্ড (২১)  নাইজেরিয়া (৪১)
 ব্রাজিল (২)   সুইজারল্যান্ড (১১)  কোস্টা রিকা (২২)  অস্ট্রেলিয়া (৪৩)
 পর্তুগাল (৩)  ইংল্যান্ড (১২)  সুইডেন (২৫)  জাপান (৪৪)
 আর্জেন্টিনা (৪)  কলম্বিয়া (১৩)  তিউনিসিয়া (২৮)  মরক্কো (৪৮)
 বেলজিয়াম (৫)  মেক্সিকো (১৬)  মিশর (৩০)  পানামা (৪৯)
 পোল্যান্ড (৬)  উরুগুয়ে (১৭)  সেনেগাল (৩২)  দক্ষিণ কোরিয়া (৬২)
 ফ্রান্স (৭)  ক্রোয়েশিয়া (১৮)  ইরান (৩৪)  সৌদি আরব (৬৩)

স্কোয়াড[সম্পাদনা]

প্রত্যেক দলের জন্য ২০১৮ সালের ১৪ই মে তারিখের মধ্যে একটি ৩৫ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করা বাধ্যতামূলক, যার মধ্য হতে ২০১৮ সালের ৪ঠা জুনের মধ্যে ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করতে হবে।[২৯] ইনজুরিতে আক্রান্ত কোন খেলোয়াড়ের বদলি খেলোয়াড় উক্ত দলের প্রথম বিশ্বকাপ খেলার ২৪ ঘণ্টা পূর্ব পর্যন্ত দলে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে। প্রাথমিকভাবে প্রাথমিক দলগুলির ৩০ জন খেলোয়াড় ছিল, তবে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঘোষণা করা হয় যে, প্রাথমিক দলগুলিতে খেলোয়াড়দের নামকরণ ৩৫-এ উন্নীত করা হবে না।

রেফারি[সম্পাদনা]

২০১৮ সালের ১৬ই মার্চ তারিখে, ফিফা কাউন্সিল ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ভিডিও সহকারী রেফারি (ভিএআর) ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।[৩০]

২০১৮ সালের ২৯ মার্চ তারিখে, ফিফা কাউন্সিল ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য ছয়টি ফুটবল কনফেডারেশন থেকে জাতীয়তার ভিত্তিতে ৩৬ জন রেফারি এবং ৬৩জন সহকারী রেফারির তালিকা প্রকাশ করেছে।[৩০][৩১] ৩০শে এপ্রিল তারিখে, ফিফা ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য ১৩ ভিডিও সহকারী রেফারি (ভিএআর) ঘোষণা করে, যারা এই প্রতিযোগিতায় শুধুমাত্র ভিডিও সহকারী রেফারি হিসেবেই কাজ করবে।[৩২] ২০১৮ সালের ৩০শে মে তারিখে, সৌদি রেফারি ফাহাদ আল-মিরদাসি সৌদি আরবের ২০১৮ কিং কাপের ফাইনালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের চেষ্টা করার কারণে এই তালিকা থেকে অপসারিত হন এবং একই সাথে উক্ত ম্যাচে তার সহকারী রেফারি মুহম্মদ আল-আবাকরী ও আব্দুলাহ আল-শালউইকেও অপসারণ করা হয়।[৩৩] এই ঘটনার পর কোন রেফারি প্রতিস্থাপন করা হয়নি, কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাতের মোহাম্মদ আবদুল্লা হাসান মোহাম্মদ এবং জাপানের রাউজি সাতোর রেফারি দল পূর্ণ করার জন্য দুইজন সহকারী রেফারি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হাসান আল-মাহরি ও জাপানের হিরোশি ইয়ামানশী অন্তর্ভুক্ত হন।[৩৪][৩৫]

অনুষ্ঠানস্থল[সম্পাদনা]

মস্কো সেন্ট পিটার্সবার্গ কালিনিনগ্রাদ
লুঝনিকি স্টেডিয়াম অতক্রিতিয়ে এরিনা
(স্পার্টাক স্টেডিয়াম)
ক্রেস্তভস্কি স্টেডিয়াম
(সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়াম)
কালিনিনগ্রাদ স্টেডিয়াম
ধারণ ক্ষমতা: ৮১,০০০ ধারণ ক্ষমতা: ৪৫,৩৬০ ধারণ ক্ষমতা: ৬৮,১৩৪ ধারণ ক্ষমতা: ৩৫,২১২[৩৬]
(নতুন স্টেডিয়াম)
Luzhniki Stadium1.jpg Stadium Spartak in Moscow.jpg Spb 06-2017 img40 Krestovsky Stadium.jpg Kaliningrad 05-2017 img72 new stadium.jpg
কাজান নিঝনি নভগোরোদ
কাজান এরিনা নিঝনি নভগোরোদ স্টেডিয়াম
ধারণ ক্ষমতা: ৪৫,৩৭৯ ধারণ ক্ষমতা: ৪৪,৮৯৯
(নতুন স্টেডিয়াম)
Kazan Arena 08-2016.jpg Construction of Nizhny Novgorod Stadium.jpg
সামারা ভলগোগ্রাদ
কসমস এরিনা
(সামারা এরিনা)
ভলগোগ্রাদ এরিনা
ধারণ ক্ষমতা: ৪৪,৯১৮
(নতুন স্টেডিয়াম)
ধারণ ক্ষমতা: ৪৫,৫৬৮
(পুনর্নির্মিত)
Volgograd Arena.jpg
সারানস্ক রোস্তভ-ন্য-দানু সোচি ইয়েকাতেরিনবুর্গ
মর্ডোভিয়া এরিনা রস্তভ এরিনা ফিশ্ত অলিম্পিক স্টেডিয়াম
(ফিশ্ত স্টেডিয়াম)
কেন্দ্রীয় স্টেডিয়াম
(ইয়েকাতেরনিবুর্গ এরিনা)
ধারণ ক্ষমতা: ৪৪,৪৪২
(নতুন স্টেডিয়াম)
ধারণ ক্ষমতা: ৪৫,০০০
(নতুন স্টেডিয়াম)
ধারণ ক্ষমতা: ৪৭,৬৫৯ ধারণ ক্ষমতা: ৩৫,৬৯৬[৩৬]
(উন্নত করা হয়েছে)
Mordovia-Arena stadium(building).jpg
Rostov Arena 21.05.2017.jpg
Fisht Olympic Stadium 2017.jpg
Estadio Central.jpg

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান[সম্পাদনা]

২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ৩:৩০ (বিএসটি) বৃহস্পতিবার, ১৪ জুন ২০১৮ তারিখে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়াম-এ অনুষ্ঠিত হয়,[৩৭] স্বাগতিক রাশিয়াসৌদি আরবের মধ্যকার টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচের প্রায় আধা ঘণ্টা আগে।[৩৮][৩৯] ব্রাজিলের সাবেক বিশ্বকাপ জয়ী স্ট্রাইকার রোনালদো রাশিয়া ২০১৮ শার্ট পরিহিত একটি শিশুর সঙ্গে হাটেন। শুরুতেই দর্শকদের মাতিয়ে তোলেন ইংল্যান্ডের বিখ্যাত পপ শিল্পী রবি উইলিয়ামস। ‘'লেট মি এন্টারটেন ইউ’' গান গাইতে গাইতে মাঠে প্রবেশ করেন তিনি। ববি উইলিয়ামসের সাথে তাল মেলাতে ড্রাগন পাখির সদৃশ একটি বাহনে করে ডানায় ভর করে মাঠে প্রবেশ করেন রাশিয়ান বিখ্যাত উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী এইদা গারিফুলিনা। তারা উভয়ে যৌথভাবে “এঞ্জেলস” গানটি পরিবেশন করেন। রোনালদো আনুষ্ঠানিক বল আডিডাস টেলস্টার ১৮ সাথে নিয়ে ফিরে আসেন, যেটি মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ক্রুদের সাথে নিয়ে যাওয়া হয় এবং জুন মাসের প্রথম দিকে পৃথিবীতে ফিরে আসে।[৪০]

গ্রুপ পর্ব[সম্পাদনা]

গ্রুপের বিজয়ী এবং রানার-আপ দল ১৬ দলের পর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। নিচের তালিকাভুক্ত খেলাগুলো রাশিয়ার দাপ্তরিক সময় অনুযায়ী দেওয়া রয়েছে (ইউটিসি−৩)[৪১]

টাই- ব্রেকার[সম্পাদনা]

গ্রুপ পর্বের সবগুলো খেলা শেষে নিম্নে বর্ণিত মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে শীর্ষ দুই দল নির্ণয় করা হবে (নিয়ম-কানুন নিবন্ধ ৩২.৫)।[৪২]

  1. সকল গ্রুপ ম্যাচে অর্জিত পয়েন্ট;
  2. সকল গ্রুপ ম্যাচের গোল পার্থক্য;
  3. সকল গ্রুপ ম্যাচে গোল করার সংখ্যা;

যদি দুই বা ততোধিক দল তারপরেও পয়েন্ট তালিকায় সমান অবস্থানে থাকে, তবে নিম্নে বর্ণিত উপায়ে তাদের দলীয় অবস্থান নির্ধারিত হবে।

  1. যে দলগুলো সমান অবস্থানে আছে, গ্রুপ পর্বে তাদের মধ্যেকার ম্যাচে অর্জিত পয়েন্ট;
  2. যে দলগুলো সমান অবস্থানে আছে, গ্রুপ পর্বে তাদের মধ্যেকার ম্যাচের গোল পার্থক্য;
  3. যে দলগুলো সমান অবস্থানে আছে, গ্রুপ পর্বে তাদের মধ্যেকার ম্যাচে গোল করার সংখ্যা;
  4. সুশৃঙ্খল ভাবে খেলার জন্য পয়েন্ট (একটি ম্যাচে একজন খেলোয়াড়ের জন্য নিম্নে বর্ণিত উপায়ের মধ্যে শুধুমাত্র একভাবেই পয়েন্ট কাটা যাবে)
    • প্রথম হলুদ কার্ড: ১ পয়েন্ট কাটা হবে;
    • পরোক্ষ লাল কার্ড (দ্বিতীয় হলুদ কার্ড): ৩ পয়েন্ট কাটা হবে;
    • সরাসরি লাল কার্ড: ৪ পয়েন্ট কাটা হবে;
    • হলুদ কার্ড ও সরাসরি লাল কার্ড: ৫ পয়েন্ট কাটা হবে;
  5. ফিফা আয়োজক কমিটি কর্তৃক ভাগ্য নির্ধারণী

গ্রুপ এ[সম্পাদনা]

উদ্বোধনী খেলাটির পূর্বে প্রাক-ম্যাচ অনুষ্ঠান, রাশিয়া ও সৌদি আরব
অব দল ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো গোপা পয়েন্ট যোগ্যতা অর্জন
 উরুগুয়ে +৫ নকআউট পর্বে উন্নীত
 রাশিয়া (H) +৪
 সৌদি আরব −৫
 মিশর −৪
উৎস: ফিফা
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: গ্রুপ পর্বের টাই- ব্রেকার
(H) স্বাগতিক।


গ্রুপ বি[সম্পাদনা]

গ্রুপের প্রথম ম্যাচ, সেন্ট পিটার্সবার্গে মরক্কোর বিরুদ্ধে ইরান দল
অব দল ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো গোপা পয়েন্ট যোগ্যতা অর্জন
 স্পেন +১ নকআউট পর্বে উন্নীত
 পর্তুগাল +১
 ইরান
 মরক্কো −২
উৎস: ফিফা
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: গ্রুপ পর্বের টাই- ব্রেকার
পর্তুগাল ৩-৩ স্পেন
প্রতিবেদন

ইরান ০–১ স্পেন
প্রতিবেদন

গ্রুপ সি[সম্পাদনা]

অস্ট্রেলিয়া বনাম পেরু
অব দল ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো গোপা পয়েন্ট যোগ্যতা অর্জন
 ফ্রান্স +২ নকআউট পর্বে উন্নীত
 ডেনমার্ক +১
 পেরু
 অস্ট্রেলিয়া −৩
উৎস: ফিফা
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: গ্রুপ পর্বের টাই- ব্রেকার


গ্রুপ ডি[সম্পাদনা]

আইসল্যান্ড ও ক্রোয়েশিয়া
অব দল ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো গোপা পয়েন্ট যোগ্যতা অর্জন
 ক্রোয়েশিয়া +৬ নকআউট পর্বে উন্নীত
 আর্জেন্টিনা −২
 নাইজেরিয়া −১
 আইসল্যান্ড −৩
উৎস: ফিফা
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: গ্রুপ পর্বের টাই- ব্রেকার


গ্রুপ ই[সম্পাদনা]

ব্রাজিল বনাম কোস্টারিকা
অব দল ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো গোপা পয়েন্ট যোগ্যতা অর্জন
 ব্রাজিল +৪ নকআউট পর্বে উন্নীত
  সুইজারল্যান্ড +১
 সার্বিয়া −২
 কোস্টা রিকা −৩
উৎস: ফিফা
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: গ্রুপ পর্বের টাই- ব্রেকার


গ্রুপ এফ[সম্পাদনা]

জার্মানি বনাম মেক্সিকো
অব দল ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো গোপা পয়েন্ট যোগ্যতা অর্জন
 সুইডেন +৩ নকআউট পর্বে উন্নীত
 মেক্সিকো −১
 দক্ষিণ কোরিয়া
 জার্মানি −২
উৎস: ফিফা
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: গ্রুপ পর্বের টাই- ব্রেকার


গ্রুপ জি[সম্পাদনা]

বেলজিয়াম বনাম তিউনিসিয়া
অব দল ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো গোপা পয়েন্ট যোগ্যতা অর্জন
 বেলজিয়াম +৭ নকআউট পর্বে উন্নীত
 ইংল্যান্ড +৫
 তিউনিসিয়া −৩
 পানামা ১১ −৯
উৎস: ফিফা
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: গ্রুপ পর্বের টাই- ব্রেকার


গ্রুপ এইচ[সম্পাদনা]

জাপান বনাম পোল্যান্ড
অব দল ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো গোপা পয়েন্ট যোগ্যতা অর্জন
 কলম্বিয়া +৩ নকআউট পর্বে উন্নীত
 জাপান [ক]
 সেনেগাল [ক]
 পোল্যান্ড −৩
উৎস: ফিফা
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: গ্রুপ পর্বের টাই- ব্রেকার
টীকা:
  1. ফেয়ার প্লে পয়েন্ট: জাপান −৪, সেনেগাল −৬


নকআউট পর্ব[সম্পাদনা]

রাশিয়া বনাম ক্রোয়েশিয়া

নকআউট পর্বে যদি কোন খেলায় নির্দিষ্ট ৯০ মিনিট সময়ের পরে দলীয় স্কোরে সমতা বজায় থাকে, তবে ৩০ মিনিটের অতিরিক্ত সময় প্রদান করা হবে (১৫ মিনিট করে দুইবার)। যদি এতেও স্কোরে সমতা বজায় থাকে, তাহলে পেনাল্টি শুট-আউটের মাধ্যমে খেলার ফলাফল নির্ধারণ করা হবে।[৪২]

খেলাসমূহ[সম্পাদনা]

 
১৬ দলের পর্বকোয়ার্টার-ফাইনালসেমি-ফাইনালফাইনাল
 
              
 
৩০ জুন – সোচি
 
 
 উরুগুয়ে
 
৬ জুলাই – নিঝনি নভগোরোদ
 
 পর্তুগাল
 
 উরুগুয়ে
 
৩০ জুন – কাজান
 
 ফ্রান্স
 
 ফ্রান্স
 
১০ জুলাই – সেন্ট পিটার্সবার্গ
 
 আর্জেন্টিনা
 
 ফ্রান্স
 
২ জুলাই – সামারা
 
 বেলজিয়াম
 
 ব্রাজিল
 
৬ জুলাই – কাজান
 
 মেক্সিকো
 
 ব্রাজিল
 
২ জুলাই – রোস্তভ-অন-দন
 
 বেলজিয়াম
 
 বেলজিয়াম
 
১৫ জুলাই – মস্কো (লুঝনিকি)
 
 জাপান
 
 ফ্রান্স
 
১ জুলাই – মস্কো (লুঝনিকি)
 
 ক্রোয়েশিয়া
 
 স্পেন১ (৩)
 
৭ জুলাই – সোচি
 
 রাশিয়া (পে.) ১ (৪)
 
 রাশিয়া২ (৩)
 
১ জুলাই – নিঝনি নভগোরোদ
 
 ক্রোয়েশিয়া (পে.)২ (৪)
 
 ক্রোয়েশিয়া (পে.)১ (৩)
 
১১ জুলাই – মস্কো (লুঝনিকি)
 
 ডেনমার্ক১ (২)
 
 ক্রোয়েশিয়া (অ.স.প.)
 
৩ জুলাই – সেন্ট পিটার্সবার্গ
 
 ইংল্যান্ডতৃতীয় স্থান নির্ধারণী
 
 সুইডেন
 
৭ জুলাই – সামারা১৪ জুলাই – সেন্ট পিটার্সবার্গ
 
  সুইজারল্যান্ড
 
 সুইডেন বেলজিয়াম
 
৩ জুলাই – মস্কো (অতক্রিটিয়ে)
 
 ইংল্যান্ড  ইংল্যান্ড
 
 কলম্বিয়া১ (৩)
 
 
 ইংল্যান্ড (পে.)১ (৪)
 

১৬ দলের পর্ব[সম্পাদনা]








কোয়ার্টার-ফাইনাল[সম্পাদনা]




সেমি-ফাইনাল[সম্পাদনা]


তৃতীয় স্থান নির্ধারণী[সম্পাদনা]

ফাইনাল[সম্পাদনা]

পরিসংখ্যান[সম্পাদনা]

শীর্ষ গোলদাতাগণ[সম্পাদনা]

এই প্রতিযোগিতায় ৬৪টি ম্যাচে ১৬৯টি গোল হয়েছে, যা ম্যাচ প্রতি গড়ে ২.৬৪টি গোল।

টুর্নামেন্টে মোট বারোটি আত্মঘাতী গোল হয়েছে।[১০৫]

৬টি গোল

৪টি গোল

৩টি গোল

২টি গোল

১টি গোল

১টি আত্মঘাতী গোল

উৎস: ফিফা[১০৬]

পুরস্কার[সম্পাদনা]

টুর্নামেন্টের শেষে নিম্নলিখিত পুরস্কারগুলো প্রদান করা হয়। গোল্ডেন বুট, গোল্ডেন বল এবং গোল্ডেন গ্লাভ অ্যাওয়ার্ডস আডিডাস কর্তৃক স্পন্সর করা হয়।[২]

গোল্ডেন বল সিলভার বল ব্রোঞ্জ বল
ক্রোয়েশিয়া লুকা মদ্রিচ বেলজিয়াম এদেন আজার ফ্রান্স অঁতোয়ান গ্রিয়েজমান
গোল্ডেন বুট সিলভার বুট ব্রোঞ্জ বুট
ইংল্যান্ড হ্যারি কেন ফ্রান্স