ইতালি জাতীয় ফুটবল দল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইতালি
দলের লোগো
ডাকনামগ্লি আজ্জুররি (নীল)
লা নাৎসিওনালে (জাতীয় দল)
অ্যাসোসিয়েশনইতালীয় ফুটবল ফেডারেশন
কনফেডারেশনউয়েফা (ইউরোপ)
প্রধান কোচরবের্তো মানচিনি
অধিনায়কজর্জো কিয়েল্লিনি
সর্বাধিক ম্যাচজিয়ানলুইজি বুফন (১৭৬)
শীর্ষ গোলদাতালুইজি রিভা (৩৫)
মাঠবিভিন্ন
ফিফা কোডITA
ওয়েবসাইটwww.figc.it/it/
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
ফিফা র‌্যাঙ্কিং
বর্তমানঅপরিবর্তিত (২১ ডিসেম্বর ২০২৩)[১]
সর্বোচ্চ(নভেম্বর ১৯৯৩, ফেব্রুয়ারি ২০০৭, এপ্রিল–জুন ২০০৭, সেপ্টেম্বর ২০০৭)
সর্বনিম্ন২১ (আগস্ট ২০১৮)
এলো র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ১২ হ্রাস ৫ (১২ জানুয়ারি ২০২৪)[২]
সর্বোচ্চ(জুন ১৯৩৪– মার্চ ১৯৪০, ডিসেম্বর ১৯৪০– নভেম্বর ১৯৪৫, জুলাই–আগস্ট ২০০৬)
সর্বনিম্ন২১ (নভেম্বর ১৯৫৯)
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
 ইতালি ৬–২ ফ্রান্স 
(মিলান, ইতালি; ১৫ মে ১৯১০)
বৃহত্তম জয়
 ইতালি ৯–০ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র 
(ব্রেন্টফর্ড, ইংল্যান্ড; ২ আগস্ট ১৯৪৮)
বৃহত্তম পরাজয়
 হাঙ্গেরি ৭–১ ইতালি 
(বুদাপেস্ট, হাঙ্গেরি; ৬ এপ্রিল ১৯২৪)
বিশ্বকাপ
অংশগ্রহণ১৮ (১৯৩৪-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যচ্যাম্পিয়ন (১৯৩৪, ১৯৩৮, ১৯৮২, ২০০৬)
উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ
অংশগ্রহণ৯ (১৯৬৮-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যচ্যাম্পিয়ন (১৯৬৮)
কনফেডারেশন্স কাপ
অংশগ্রহণ২ (২০০৯-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যতৃতীয় স্থান (২০১৩)

ইতালি জাতীয় ফুটবল দল (ইতালীয়: Nazionale di calcio dell'Italia, ইংরেজি: Italy national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ইতালির প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম ইতালির ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইতালীয় ফুটবল ফেডারেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯০৫ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৫৪ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা উয়েফার সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯১০ সালের ১৫ই মে তারিখে, ইতালি প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; ইতালির মিলানে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে ইতালি ফ্রান্সকে ৬–২ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছে।

গ্লি আজ্জুররি নামে পরিচিত এই দলটি বেশ কয়েকটি স্টেডিয়ামে তাদের হোম ম্যাচগুলো আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় ইতালির রাজধানী রোমে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন রবের্তো মানচিনি এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন ইয়ুভেন্তুসের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় জর্জো কিয়েল্লিনি

ইতালি ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসের অন্যতম সফল দল, যারা এপর্যন্ত ৪ বার (১৯৩৪, ১৯৩৮, ১৯৮২ এবং ২০০৬) বিশ্বকাপ জয়লাভ করেছে। এছাড়া উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপেও ইতালি অন্যতম সফল দল, যেখানে তারা ১টি (১৯৬৮) শিরোপা জয়লাভ করেছে। এছাড়াও, গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ইতালির সেরা সাফল্য হচ্ছে স্বর্ণ পদক জয়লাভ করা।

জিয়ানলুইজি বুফন, ফাবিও কান্নাভারো, পাওলো মালদিনি, লুইজি রিভা এবং জুসেপ্পে মেয়াৎসার মতো খেলোয়াড়গণ ইতালির জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

র‌্যাঙ্কিং[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ১৯৯৩ সালের নভেম্বর মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে ইতালি তাদের ইতিহাসে সর্বপ্রথম সর্বোচ্চ অবস্থান (১ম) অর্জন করে এবং ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ২১তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে ইতালির সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ১ম (যা তারা সর্বপ্রথম ১৯৩৪ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ২১। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং
২১ ডিসেম্বর ২০২৩ অনুযায়ী ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং[১]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
অপরিবর্তিত  পর্তুগাল ১৭৪৫.০৬
অপরিবর্তিত  স্পেন ১৭৩২.৬৪
অপরিবর্তিত  ইতালি ১৭১৮.৮২
১০ অপরিবর্তিত  ক্রোয়েশিয়া ১৭১৭.৫৭
১১ অপরিবর্তিত  উরুগুয়ে ১৬৬৫.৯৯
বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
১২ জানুয়ারি ২০২৪ অনুযায়ী বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং[২]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
১০ হ্রাস  নেদারল্যান্ডস ১৯৭০
১১ হ্রাস  ক্রোয়েশিয়া ১৯৫২
১২ হ্রাস  ইতালি ১৯৩৮
১৩ বৃদ্ধি  জাপান ১৯০৯
১৪ হ্রাস  জার্মানি ১৮৮৬

প্রতিযোগিতামূলক তথ্য[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্বকাপ[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব
সাল পর্ব অবস্থান ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো
উরুগুয়ে ১৯৩০ অংশগ্রহণ করেনি অংশগ্রহণ করেনি
ইতালি ১৯৩৪ ফাইনাল ১ম ১২
ফ্রান্স ১৯৩৮ ফাইনাল ১ম ১১ পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে উত্তীর্ণ
ব্রাজিল ১৯৫০ গ্রুপ পর্ব ৭ম পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে উত্তীর্ণ
সুইজারল্যান্ড ১৯৫৪ গ্রুপ পর্ব ১০ম
সুইডেন ১৯৫৮ উত্তীর্ণ হয়নি
চিলি ১৯৬২ গ্রুপ পর্ব ৯ম ১০
ইংল্যান্ড ১৯৬৬ গ্রুপ পর্ব ৯ম ১৭
মেক্সিকো ১৯৭০ ফাইনাল ২য় ১০ ১০
পশ্চিম জার্মানি ১৯৭৪ গ্রুপ পর্ব ১০ম ১২
আর্জেন্টিনা ১৯৭৮ ৩য় স্থান নির্ধারণী ৪র্থ ১৮
স্পেন ১৯৮২ ফাইনাল ১ম ১২ ১২
মেক্সিকো ১৯৮৬ ১৬ দলের পর্ব ১২তম পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে উত্তীর্ণ
ইতালি ১৯৯০ ৩য় স্থান নির্ধারণী ৩য় ১০ আয়োজক হিসেবে উত্তীর্ণ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৪ ফাইনাল ২য় ১০ ২২
ফ্রান্স ১৯৯৮ কোয়ার্টার-ফাইনাল ৫ম ১০ ১৩
দক্ষিণ কোরিয়া জাপান ২০০২ ১৬ দলের পর্ব ১৫তম ১৬
জার্মানি ২০০৬ ফাইনাল ১ম ১২ ১০ ১৭
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০ গ্রুপ পর্ব ২৬তম ১০ ১৮
ব্রাজিল ২০১৪ গ্রুপ পর্ব ২২তম ১০ ১৯
রাশিয়া ২০১৮ উত্তীর্ণ হয়নি ১২ ২১
কাতার ২০২২ অনির্ধারিত অনির্ধারিত
মোট ৪টি শিরোপা ১৮/২১ ৮৩ ৪৫ ২১ ১৭ ১২৮ ৭৭ ১০৯ ৭৪ ২৬ ২২১ ৬৯

অর্জন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং"ফিফা। ২১ ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ 
  2. গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"eloratings.net। ১২ জানুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২৪ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]