সুইজারল্যান্ড জাতীয় ফুটবল দল
![]() | |||
ডাকনাম(সমূহ) | Schweizer Nati, La Nati, Rossocrociati | ||
---|---|---|---|
অ্যাসোসিয়েশন | সুইস ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন | ||
কনফেডারেশন | উয়েফা (ইউরোপ) | ||
প্রধান কোচ | ওতমার হিৎজফেল্ড | ||
অধিনায়ক | গোখান ইনলার | ||
সর্বাধিক ম্যাচ খেলা খেলোয়াড় | হেইঞ্জ হারম্যান (১১৭) | ||
শীর্ষ গোলদাতা | আলেকজান্ডার ফ্রেই (৪২) | ||
ফিফা কোড | SUI | ||
| |||
ফিফা র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ৮ | ||
সর্বোচ্চ | ৩ (আগস্ট ১৯৩) | ||
সর্বনিম্ন | ৮৩ (ডিসেম্বর ১৯৯৮) | ||
এলো র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ১৪ | ||
সর্বোচ্চ | ৮ (জুন ১৯২৪) | ||
সর্বনিম্ন | ৬২ (অক্টোবর ১৯৭৯) | ||
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা | |||
![]() ![]() (প্যারিস, ফ্রান্স; ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯২৫) | |||
বৃহত্তম জয় | |||
![]() ![]() (প্যারিস, ফ্রান্স; ২৫ মে ১৯২৪) | |||
বৃহত্তম হার | |||
![]() ![]() (বুদাপেস্ট, হাঙ্গেরি; ২৯ অক্টোবর ১৯১১) | |||
বিশ্বকাপ | |||
উপস্থিতি | ১০ (প্রথম ১৯৩৪) | ||
সেরা সাফল্য | কোয়ার্টার-ফাইনাল, ১৯৩৪, ১৯৩৮ ও ১৯৫৪ | ||
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশীপ | |||
উপস্থিতি | ৩ (প্রথম ১৯৯৬) | ||
সেরা সাফল্য | ১ম রাউন্ড, ১৯৯৬, ২০০৪ ও ২০০৮ |
অলিম্পিক পদক রেকর্ড | ||
---|---|---|
পুরুষদের ফুটবল | ||
![]() |
১৯২৪ প্যারিস | দলগত |
সুইস জাতীয় ফুটবল দল (জার্মান: Schweizer Nati; ফরাসি: La Nati; ইতালীয়: Squadra nazionale জাতীয় দল হিসেবে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সুইজারল্যান্ডের প্রতিনিধিত্বকারী দল। সুইস ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক দলটি পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়। এ পর্যন্ত তিনবার (১৯৩৪, ১৯৩৮ ও ১৯৫৪) ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের কোয়ার্টার-ফাইনাল পর্বে পৌঁছতে পেরেছে তারা। ১৯৫৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশের মর্যাদা পেয়েছিল সুইজারল্যান্ড। এছাড়াও, ১৯২৪ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের ফুটবলে রৌপ্যপদক জয় করেছিল সুইস দল। তবে, যুব দল সবচেয়ে বেশী সফলতা লাভ করেছে।
পরিচ্ছেদসমূহ
ইতিহাস[সম্পাদনা]
সুইজারল্যান্ডের ফুটবলে ইতিহাসে স্মরণীয় সাফল্য হিসেবে রয়েছে অলিম্পিকে রৌপ্যপদক অর্জন করা। ১৯২৪ সালের অলিম্পিকের ফাইনালে তারা উরুগুয়ের কাছে ৩-০ ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল।
ফিফা বিশ্বকাপ[সম্পাদনা]
১৯৩৪ সালে প্রথমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে। কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছলেও চেকোস্লোভাকিয়ার কাছে পরাজিত হয়। ১৯৩৮ সালে তারা পুণরায় কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে ও হাঙ্গেরির কাছে পরাভূত হয়। ১৯৫৪ সালে সুইজারল্যান্ড বিশ্বকাপে স্বাগতিক দেশের মর্যাদা পায় ও তৃতীয়বারের মতো কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছে। কিন্তু প্রতিবেশী অস্ট্রিয়া’র কাছে ৭-৫ গোলে হেরে যায়। এছাড়াও, দলটি ১৯৫০, ১৯৬২ ও ১৯৬৬ সালে প্রথম-রাউন্ডেই বিদায় নেয়।
১৯৯৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপের উয়েফা - গ্রুপ ১ এর বাছাই পর্বের বাঁধা পেরিয়ে ২৮ বছর পর প্রথম বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে যায়। রোমানিয়াকে পরাজিত করে ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ড্র করে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলা নিশ্চিত করে। কিন্তু স্পেনের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হেরে যায়।
২০০৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষ দল কোন গোল না করলেও প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিতে হয় তাদের। ১৬-দলীয় রাউন্ডে ইউক্রেনের কাছে পেনাল্টি শুটআউটে পরাজিত হয়্ ও বিশ্বকাপের ইতিহাসে রেকর্ড গড়ে।[১] ২০১০ সালের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় খেলায় চিলির বিপক্ষে ৭৪ মিনিট পর্যন্ত প্রতিপক্ষ কর্তৃক কোন গোল না খাওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করে।
ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপ[সম্পাদনা]
১৯৯২ সালে ইংরেজ ম্যানেজার রয় হজসন দলে নিয়োগ পান। এ সময় সুইজারল্যান্ড ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে তাদের সর্বোচ্চ স্থান লাভ করে। ১৯৯৬ সালে উয়েফা ইউরো বাছাই-পর্বে প্রথমবারের মতো অংশ নেয়। উয়েফা ইউরো’র চূড়ান্ত পর্বে ম্যানেজার হজসনের পরিবর্তে পর্তুগিজ আর্থার জর্জ তার স্থলাভিষিক্ত হন। গ্রুপ পর্বে সুইজারল্যান্ড সর্বনিম্ন স্থান অধিকার করে।
উয়েফা ইউরোপা লীগ[সম্পাদনা]
পর্তুগালে অনুষ্ঠিত ২০০৪ সালের উয়েফা ইউরো চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। বাছাই-পর্বে দলটি রাশিয়া ও আয়ারল্যান্ড দলকে পিছনে রেখে গ্রুপ ১০-এ শীর্ষস্থান অর্জন করেছিল। চূড়ান্ত পর্বে ক্রোয়েশিয়ার সাথে ০-০ ড্র এবং ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের সাথে যথাক্রমে ০-৩ ও ১-৩ ব্যবধানে হেরে গ্রুপ-বিতে সর্বনিম্ন স্থান দখল করে। যোহন ফনল্যান্থেন ফ্রান্সের বিপক্ষে অংশগ্রহণ করে ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপের সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতার মর্যাদা লাভ করেন। তিনি তিন মাস আগে গড়া ওয়েন রুনি’র তুলনায় মাত্র চার দিনের ব্যবধান গড়ে এ রেকর্ড স্থাপন করেন।[২]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Switzerland 0–0 Ukraine (aet)"। BBC Sport। ২৬ জুন ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-১৩।
- ↑ Euro 2008 team preview No1: Switzerland | Football | guardian.co.uk
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে সুইজারল্যান্ড জাতীয় ফুটবল দল সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |