অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ফুটবল দল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অস্ট্রেলিয়া
দলের লোগো
ডাকনামসকারুস
অ্যাসোসিয়েশনঅস্ট্রেলিয়া ফুটবল ফেডারেশন
কনফেডারেশনএএফসি (এশিয়া)
প্রধান কোচগ্রাহান আর্নল্ড
সর্বাধিক ম্যাচমার্ক শোয়ার্টসার (১০৯)
শীর্ষ গোলদাতাটিম কেহিল (৫০)
মাঠবিভিন্ন
ফিফা কোডAUS
ওয়েবসাইটwww.myfootball.com.au
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
ফিফা র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ২৫ অপরিবর্তিত (২১ ডিসেম্বর ২০২৩)[১]
সর্বোচ্চ১৪ (সেপ্টেম্বর ২০০৯)
সর্বনিম্ন১০২ (নভেম্বর ২০১৪)
এলো র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ২৭ বৃদ্ধি ৩ (১২ জানুয়ারি ২০২৪)[২]
সর্বোচ্চ(আগস্ট ২০০১[৩])
সর্বনিম্ন৭৫ (নভেম্বর ১৯৬৫)
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
 নিউজিল্যান্ড ৩–১ অস্ট্রেলিয়া 
(ডুনেডিন, নিউজিল্যান্ড; ১৭ জুন ১৯২২)
বৃহত্তম জয়
 অস্ট্রেলিয়া ৩১–০ মার্কিন সামোয়া 
(কোফ হার্বার, অস্ট্রেলিয়া; ১১ এপ্রিল ২০০১)
(জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক ম্যাচে বিশ্ব রেকর্ড)[৪]
বৃহত্তম পরাজয়
 অস্ট্রেলিয়া ০–৮ দক্ষিণ আফ্রিকা 
(অ্যাডিলেড, অস্ট্রেলিয়া; ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৫৫)
বিশ্বকাপ
অংশগ্রহণ৫ (১৯৭৪-এ প্রথম)
সেরা সাফল্য১৬ দলের পর্ব (২০০৬)
এএফসি এশিয়ান কাপ
অংশগ্রহণ৪ (২০০৭-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যচ্যাম্পিয়ন (২০১৫)
ওএফসি নেশন্স কাপ
অংশগ্রহণ৬ (১৯৮০-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যচ্যাম্পিয়ন (১৯৮০,
১৯৯৬, ২০০০, ২০০৪)
কোপা আমেরিকা
অংশগ্রহণ১ (২০২১-এ প্রথম)
কনফেডারেশন্স কাপ
অংশগ্রহণ৪ (১৯৯৭-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যরানার-আপ (১৯৯৭)

অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ফুটবল দল (ইংরেজি: Australia national soccer team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম অস্ট্রেলিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা অস্ট্রেলিয়া ফুটবল ফেডারেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৬৩ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ২০০৬ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯২২ সালের ১৭ই জুন তারিখে, অস্ট্রেলিয়া প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; নিউজিল্যান্ডের ডুনেডিনে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডের কাছে ৩–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।

সকারুস নামে পরিচিত এই দলটি বেশ কয়েকটি স্টেডিয়ামে তাদের হোম ম্যাচগুলো আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন গ্রাহান আর্নল্ড

অস্ট্রেলিয়া এপর্যন্ত ৫ বার ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপের ১৬ দলের পর্বে পৌঁছানো, যেখানে তারা ইতালির কাছে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। অন্যদিকে, এএফসি এশিয়ান কাপে অস্ট্রেলিয়া অন্যতম সফল দল, যেখানে তারা ১টি (২০১৫) শিরোপা জয়লাভ করেছে। এছাড়াও, অস্ট্রেলিয়া ১৯৯৭ ফিফা কনফেডারেশন্স কাপে রানার-আপ হয়েছে।

মার্ক শোয়ার্টসার, টিম কেহিল, লুকাস নিল, জর্জ স্মিথ এবং ড্যামিয়েন মোরির মতো খেলোয়াড়গণ অস্ট্রেলিয়ার জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

র‌্যাঙ্কিং[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে অস্ট্রেলিয়া তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (১৪তম) অর্জন করে এবং ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ১০২তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ৯ম (যা তারা ২০০১ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ৭৫। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং
২১ ডিসেম্বর ২০২৩ অনুযায়ী ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং[১]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
২৩ অপরিবর্তিত  দক্ষিণ কোরিয়া ১৫৫০.৬৫
২৪ অপরিবর্তিত  অস্ট্রিয়া ১৫৪৬.১
২৫ অপরিবর্তিত  অস্ট্রেলিয়া ১৫৩৯.২২
২৬ অপরিবর্তিত  সুইডেন ১৫৩০.১৯
২৭ অপরিবর্তিত  হাঙ্গেরি ১৫২৫.১৩
বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
১২ জানুয়ারি ২০২৪ অনুযায়ী বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং[২]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
২৫ হ্রাস  মেক্সিকো ১৭৯৪
২৬ হ্রাস ১১   সুইজারল্যান্ড ১৭৯২
২৭ বৃদ্ধি  অস্ট্রেলিয়া ১৭৮৭
২৮ হ্রাস  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৭৭৬
২৯ বৃদ্ধি ১১  তুরস্ক ১৭৬৬

প্রতিযোগিতামূলক তথ্য[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্বকাপ[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব
সাল পর্ব অবস্থান ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো
উরুগুয়ে ১৯৩০ অংশগ্রহণ করেনি অংশগ্রহণ করেনি
ইতালি ১৯৩৪
ফ্রান্স ১৯৩৮
ব্রাজিল ১৯৫০
সুইজারল্যান্ড ১৯৫৪
সুইডেন ১৯৫৮
চিলি ১৯৬২
ইংল্যান্ড ১৯৬৬ উত্তীর্ণ হয়নি
মেক্সিকো ১৯৭০ ১২
পশ্চিম জার্মানি ১৯৭৪ গ্রুপ পর্ব ১৪তম ১১ ২১ ১০
আর্জেন্টিনা ১৯৭৮ উত্তীর্ণ হয়নি ১২ ২০ ১১
স্পেন ১৯৮২ ২২
মেক্সিকো ১৯৮৬ ২০
ইতালি ১৯৯০ ১১
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৪ ১০ ২১
ফ্রান্স ১৯৯৮ ৩৪
দক্ষিণ কোরিয়া জাপান ২০০২ ৭৩
জার্মানি ২০০৬ ১৬ দলের পর্ব ১৬তম ৩১
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০ গ্রুপ পর্ব ২১তম ১৪ ১৯
ব্রাজিল ২০১৪ গ্রুপ পর্ব ৩০তম ১৪ ২৫ ১২
রাশিয়া ২০১৮ গ্রুপ পর্ব ৩০তম ২২ ১৪ ৫১ ১৮
কাতার ২০২২ অনির্ধারিত অনির্ধারিত
মোট ১৬ দলের পর্ব ৫/২৩ ১৬ ১০ ১৩ ৩১ ১৪৫ ৮৬ ৩৬ ২৩ ৩৭৮ ১১৪

অর্জন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং"ফিফা। ২১ ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ 
  2. গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"eloratings.net। ১২ জানুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২৪ 
  3. "World Football Elo Ratings"eloratings.net। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  4. "Aussie footballers smash world record"BBC Sport। ১১ এপ্রিল ২০০১। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুন ২০১২ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]