ফ্রেড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ফ্রেড
২০১১ সালে ব্রাজিলের পক্ষে খেলেন ফ্রেড
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম ফ্রেদেরিকো চাভেজ গুইদেজ
জন্ম (1983-10-03) ৩ অক্টোবর ১৯৮৩ (বয়স ৪০)
জন্ম স্থান তিওফিলো ওতোনি, মিনাজ জেরাইজ, ব্রাজিল
উচ্চতা ১.৮৫ মি (৬ ফু ১ ইঞ্চি)
মাঠে অবস্থান স্ট্রাইকার
ক্লাবের তথ্য
বর্তমান দল
ফ্লুমিনিজ
জার্সি নম্বর
যুব পর্যায়
১৯৮৮-২০০২ আমেরিকা মাইনেইরো
জ্যেষ্ঠ পর্যায়*
বছর দল ম্যাচ (গোল)
২০০২-২০০৪ আমেরিকা মাইনেইরো ২৯ (৯)
২০০৪-২০০৫ ক্রুজেইরো ৪৩ (২৪)
২০০৫-২০০৯ লিওন ৮৭ (৩৪)
২০০৯– ফ্লুমিনিজ ৮৭ (৫৯)
জাতীয় দল
২০০৫- ব্রাজিল ২৯ (১৬)
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ২৫ নভেম্বর, ২০১২ তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক।
‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ৩০ জুন, ২০১৩ তারিখ অনুযায়ী সঠিক।

ফ্রেদেরিকো চাভেজ গুইদেজ (ব্রাজিলীয় পর্তুগিজ: [ˈfʁɛd(ʒ)i]; পর্তুগিজ: Frederico Chaves Guedes; জন্ম: ৩ অক্টোবর, ১৯৮৩) ব্রাজিলের তিওফিলো ওতোনি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ফুটবলার। ব্রাজিলীয় ক্লাব ফ্লুমিনিজ দলের অন্যতম স্ট্রাইকার তিনি। পেশাদার ফুটবল লীগে সবচেয়ে দ্রুততম গোলের অধিকারী হিসেবে আমেরিকা মাইনেইরো দলের পক্ষাবলম্বন করে ভিলা নোভার বিপক্ষে এ কৃতিত্ব দেখান। খেলা শুরুর মাত্র ৩.১৭ সেকেন্ডে তিনি ঐ গোলটি করেন।[১]

ব্রাজিল দল[সম্পাদনা]

২৭ এপ্রিল, ২০০৫ তারিখে গুয়েতমালা দলের বিপক্ষে এক প্রীতি খেলার শেষদিকে বদলী খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন ফ্রেড। ঐ বছরেরই ১২ নভেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে ব্রাজিল দলের প্রীতি খেলায় ২ গোল করেন, যাতে ব্রাজিল ৮-০ ব্যবধানে বিজয়ী হয়।

২০০৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের কোন খেলায় অংশ না নিয়েও বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেন। ১৮ জুন, ২০০৬ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজ বিশ্বকাপের প্রথম গোল করেন। কোপা আমেরিকায় প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে সমতাসূচক গোল করে দলকে পরাজয়ের হাত থেকে রক্ষা করেন।

২০১৩ সালের শুরুতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পুনরায় ডাক পান। ম্যানেজার হিসেবে লুইজ ফেলিপে স্কলারি’র প্রত্যাবর্তনে ফেব্রুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রীতি খেলায় অংশ নেন। এরপর ২ জুন, ২০১৩ তারিখে মারাকানায় গোল করেন যা ২০১৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপের অন্যতম মাঠ।[২]

সম্মাননা[সম্পাদনা]

২২ জুন, ২০১৩ তারিখে অনুষ্ঠিত ২০১৩ সালের কনফেডারেশন্স কাপের গ্রুপ-পর্বের খেলায় দুই গোল করে দলকে ইতালির বিপক্ষে ৪-২ ব্যবধানে জয়লাভ করান। এছাড়াও, ২৬ জুন অনুষ্ঠিত ফুটবল খেলায় উরুগুয়ের বিপক্ষে গোল করেন।[৩] কনফেডারেশন্স কাপের চূড়ান্ত খেলায় স্পেনের বিপক্ষে ৩-০ গোলের মধ্যে নিজেই করেন দুই গোল। এরফলে স্বাগতিক ব্রাজিল সফলভাবে প্রতিযোগিতা সমাপণ করে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়। এ প্রতিযোগিতায় তিনি ৫ গোল করে যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোল করার অধিকারী হন ও সিলভার সু্ ট্রফি লাভ করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "The Fastest Goal Ever"। ১২ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৩ 
  2. "Brazil 2–2 England: Joe Hart's heroics see the Manchester City star win the ratings war"Mirror.co.uk। ২ জুন ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১৩ 
  3. "Italy 2 Brazil 4"Daily Mail। ২২ জুন ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]