দক্ষিণ কোরিয়া জাতীয় ফুটবল দল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
দক্ষিণ কোরিয়া
দলের লোগো
ডাকনাম태극전사 (থেগোক যোদ্ধা)
아시아의 호랑이 (এশিয়ার বাঘ)
অ্যাসোসিয়েশনকোরিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন
কনফেডারেশনএএফসি (এশিয়া)
প্রধান কোচপাওলো বেন্তো
অধিনায়কসোন হুং মিন
সর্বাধিক ম্যাচচা বুম-কুন
হং মিয়ং-বো (১৩৬)
শীর্ষ গোলদাতাচা বুম-কুন (৫৮)
মাঠবিভিন্ন
ফিফা কোডKOR
ওয়েবসাইটwww.kfa.or.kr
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
ফিফা র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ২৩ অপরিবর্তিত (২১ ডিসেম্বর ২০২৩)[১]
সর্বোচ্চ১৭ (ডিসেম্বর ১৯৯৮)
সর্বনিম্ন৬৯ (নভেম্বর ২০১৪ – জানুয়ারি ২০১৫)
এলো র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ২২ বৃদ্ধি ৪ (১২ জানুয়ারি ২০২৪)[২]
সর্বোচ্চ১৫ (সেপ্টেম্বর ১৯৮০, জুন ২০০২)
সর্বনিম্ন৮০ (আগস্ট ১৯৬৭)
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
 দক্ষিণ কোরিয়া ৫–৩ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র 
(লন্ডন, ইংল্যান্ড; ২ আগস্ট ১৯৪৮)
বৃহত্তম জয়
 দক্ষিণ কোরিয়া ১৬–০ নেপাল   
(ইনছন, দক্ষিণ কোরিয়া; ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৩)
বৃহত্তম পরাজয়
 দক্ষিণ কোরিয়া ০–১২ সুইডেন 
(লন্ডন, ইংল্যান্ড; ৫ আগস্ট ১৯৪৮)
বিশ্বকাপ
অংশগ্রহণ১০ (১৯৫৪-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যচতুর্থ স্থান (২০০২)
এএফসি এশিয়ান কাপ
অংশগ্রহণ১৪ (১৯৫৬-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যচ্যাম্পিয়ন (১৯৫৬, ১৯৬০)
ইএএফএফ চ্যাম্পিয়নশিপ
অংশগ্রহণ৮ (২০০৩-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যচ্যাম্পিয়ন (২০০৩, ২০০৮, ২০১৫, ২০১৭, ২০১৯)
কনফেডারেশন্স কাপ
অংশগ্রহণ১ (২০০১-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যগ্রুপ পর্ব (২০০১)

দক্ষিণ কোরিয়া জাতীয় ফুটবল দল (কোরীয়: 대한민국 축구 국가대표팀, ইংরেজি: South Korea national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম দক্ষিণ কোরিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা কোরিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৪৮ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৫৪ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯৪৮ সালের ২রা আগস্ট তারিখে, দক্ষিণ কোরিয়া প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; ইংল্যান্ডের লন্ডনে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ৫–৩ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছে।

থেগোক যোদ্ধা নামে পরিচিত এই দলটি বেশ কয়েকটি স্টেডিয়ামে তাদের হোম ম্যাচগুলো আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন পাওলো বেন্তো এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন টটেনহ্যাম হটস্পারের আক্রমণভাগের খেলোয়াড় সোন হুং মিন

দক্ষিণ কোরিয়া এপর্যন্ত ১০ বার ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ২০০২ ফিফা বিশ্বকাপে চতুর্থ স্থান অর্জন করা, যেখানে তারা তুরস্কের কাছে ৩–২ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। অন্যদিকে, এএফসি এশিয়ান কাপেও দক্ষিণ কোরিয়া অন্যতম সফল দল, যেখানে তারা ২টি (১৯৫৬ এবং ১৯৬০) শিরোপা জয়লাভ করেছে। এছাড়াও, দক্ষিণ কোরিয়া ইএএফএফ চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসের অন্যতম সফল দল, যারা এপর্যন্ত ৫ বার (২০০৩, ২০০৮, ২০১৫, ২০১৭ এবং ২০১৯) শিরোপা জয়লাভ করেছে

লি ডং-গুক, সোন হুং মিন, পার্ক চু-ইয়ং, হং মিয়ং-বো এবং চা বুম-কুনের মতো খেলোয়াড়গণ দক্ষিণ কোরিয়ার জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

বিশ্বকাপ[সম্পাদনা]

দক্ষিণ কোরিয়া এশিয়ার অন্যতম ফুটবল পরাশক্তি হিসেবে বিবেচিত। এশিয়ার বেশ কয়েকটি সম্মান জনক ফুটবল প্রতিযোগিতার শিরোপা জয় করেছে দলটি। এর মধ্যে আছে প্রথম দুইবারে এএফসি এশিয়ান কাপ জয়। এছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়াই এশিয়ার একমাত্র দল। যারা ১৯৮৬ ফিফা বিশ্বকাপ থেকে ধারাবাহিকভাবে ফিফা বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলে আসছে।

১৯৫৪ সালে দলটির প্রথম বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় তারা হাঙ্গেরিতুরস্কের বিপক্ষে দুটি খেলা অংশ নেয়। দুটি খেলাতেই তারা যথাক্রমে ৯–০ ও ৭–০ গোলে পরাজিত হয়। এরপর ৩২ বছর পরে তারা আবার বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার সুযোগ পায়। মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে তারা দ্বিতীয় বারের মতো অংশ নেয়। এবার তারা তুলনামূলকভাবে ভালো করে। প্রথম খেলায় তারা আর্জেন্টিনার সাথে ৩–১ গোলে পরাজিত হয়, দ্বিতীয় খেলায় বুলগেরিয়ার সাথে ১–১ গোলে ড্র করে, এবং তৃতীয় খেলায় ইতালির সাথে ৩–২ গোলে পরাজিত হয়।

২০০২ সালের ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের আগ পর্যন্ত দলটি বিশ্বকাপের কোনো খেলায় জয়লাভ করতে পারেনি। উক্ত আসরে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানের সাথে যৌথভাবে নিজেদের মাটিতে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল।

র‌্যাঙ্কিং[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে দক্ষিণ কোরিয়া তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (১৭তম) অর্জন করে এবং ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ৬৯ তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ১৫তম (যা তারা সর্বপ্রথম ১৯৮০ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ৮০। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং
২১ ডিসেম্বর ২০২৩ অনুযায়ী ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং[১]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
২১ অপরিবর্তিত  ইরান ১৫৬৫.০৮
২২ অপরিবর্তিত  ইউক্রেন ১৫৫৩.৩৫
২৩ অপরিবর্তিত  দক্ষিণ কোরিয়া ১৫৫০.৬৫
২৪ অপরিবর্তিত  অস্ট্রিয়া ১৫৪৬.১
২৫ অপরিবর্তিত  অস্ট্রেলিয়া ১৫৩৯.২২
বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
১২ জানুয়ারি ২০২৪ অনুযায়ী বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং[২]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
২০ বৃদ্ধি  ইরান ১৮২৯
২১ হ্রাস  ডেনমার্ক ১৮২৫
২২ বৃদ্ধি  দক্ষিণ কোরিয়া ১৮০৩
২৩ হ্রাস  সার্বিয়া ১৮০২
২৪ বৃদ্ধি  স্কটল্যান্ড ১৮০১

প্রতিযোগিতামূলক তথ্য[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্বকাপ[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব
সাল পর্ব অবস্থান ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো
উরুগুয়ে ১৯৩০ অংশগ্রহণ করেনি অংশগ্রহণ করেনি
ইতালি ১৯৩৪
ফ্রান্স ১৯৩৮
ব্রাজিল ১৯৫০
সুইজারল্যান্ড ১৯৫৪ গ্রুপ পর্ব ১৬তম ১৬
সুইডেন ১৯৫৮ অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি
চিলি ১৯৬২ উত্তীর্ণ হয়নি
ইংল্যান্ড ১৯৬৬ অংশগ্রহণ করেনি অংশগ্রহণ করেনি
মেক্সিকো ১৯৭০ উত্তীর্ণ হয়নি
পশ্চিম জার্মানি ১৯৭৪ ১০
আর্জেন্টিনা ১৯৭৮ ১২ ১৬
স্পেন ১৯৮২
মেক্সিকো ১৯৮৬ গ্রুপ পর্ব ২০তম ১৭
ইতালি ১৯৯০ ২২তম ১১ ৩০
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৪ ২০তম ১৩ ৩২
ফ্রান্স ১৯৯৮ ৩০তম ১২ ২৮
দক্ষিণ কোরিয়া জাপান ২০০২ ৩য় স্থান নির্ধারণী ৪র্থ আয়োজক হিসেবে উত্তীর্ণ
জার্মানি ২০০৬ গ্রুপ পর্ব ১৭তম ১২ ১৮
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০ ১৬ দলের পর্ব ১৫তম ১৪ ২২
ব্রাজিল ২০১৪ গ্রুপ পর্ব ২৭তম ১৪ ২৭ ১১
রাশিয়া ২০১৮ ১৯তম ১৮ ১২ ৩৮ ১০
কাতার ২০২২ অনির্ধারিত অনির্ধারিত
মোট ৩য় স্থান নির্ধারণী ১০/১৮ ৩৪ ১৯ ৩৪ ৭০ ১৩৯ ৮৪ ৩৮ ১৭ ২৭৪ ৮৬

অর্জন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং"ফিফা। ২১ ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ 
  2. গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"eloratings.net। ১২ জানুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২৪ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]