বরাহ হলেন হিন্দু দেবতা বিষ্ণুরঅবতার। এই অবতারে বিষ্ণু বন্য শূকরের রূপ ধারণ করেছিলেন। পুরাণ বলে, তিনি হিরণ্যাক্ষ নামক রাক্ষসের হাত থেকে ভূদেবী পৃথিবীকে উদ্ধার করেন। হিরণ্যাক্ষ পৃথিবীকে মহাজাগতিক সমুদ্রের তলায় লুকিয়ে রেখেছিলেন। বিষ্ণু বরাহ-এর বেশ ধারণ করে এক হাজার বছর ধরে হিরণ্যাক্ষের সঙ্গে যুদ্ধ করে তাঁকে পরাজিত ও নিহত করেন। তারপর পৃথিবীকে মহাজাগতিক সমুদ্রের তলা থেকে উদ্ধার করেন।
শিল্পকলায় দুভাবে বরাহের চিত্র আঁকা হয়ে থাকে। কখনও তাঁকে দেখানো হয় সম্পূর্ণ পশুর রূপে; আবার কখনও দেখানো হয় আধা-মানুষ, আধা-পশুর রূপে। দ্বিতীয় রূপটিতে তাঁর চারটি হাত; চার হাতে শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্ম; এবং বরাহদন্তে ধরা থাকে পৃথিবী। বরাহ অবতার প্রলয়ের পর পৃথিবীর নবজন্ম ও নতুন কল্প প্রতিষ্ঠার প্রতীক। বরাহ পুরাণে বরাহ অবহারের পূর্ণাঙ্গ উপাখ্যান পাওয়া যায়।