কৌস্তুভ মণি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সমুদ্র মন্থন

একাধিক হিন্দু পৌরাণিক গ্রন্থ অনুসারে কৌস্তুভ (সংস্কৃত ভাষায় দেবনাগরী লিপিতে : कौस्तुभ:) হলো একটি দৈবরত্ন বা মহামূল্যবান মণি৷ এই মণিটি ছিলো শ্রীবিষ্ণুর অধিকারে, যিনি ক্ষীরসাগরে শেষনাগের ওপর অনন্ত শয্যায় ধ্যনরত অবস্থাতে থাকেন৷ হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন পুস্তকে এই রত্নটিকে পৃৃথিবীর অন্যতম মূল্যবান রত্নগুলির একটি বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷

পৌরাণিক উল্লেখ[সম্পাদনা]

হিন্দু পুরাণ মতে, অসুরদের কাছে দেবতাদের পরাজয়ের পর বিষ্ণুর পরামর্শে তারা যেন অসুরগণের সাথে কুটনৈতিকভাবে সম্বন্ধ স্থাপন করে৷ দেবগণ অসুরকুলের সাথে আঁতাত করে আলাপ আলোচনায় বসে এবং নিজেদের মধ্যে ঠিক করেন যে তারা সমুদ্রমন্থনের মাধ্যমে অমৃৃতের খোঁজ আনবেন এবং তা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেবেন৷ যদিও বিষ্ণু দেবতাদের আশ্বস্ত করেন যে তিনি ষড়যন্ত্র করে এমন ব্যবস্থা করবেন যেন ঐ অমৃৃত শুধুমাত্র দেবতারাই আস্বাদিত করতে পারেন৷ সমুদ্রমন্থনে সমস্ত প্রকার ভেষজসমূহ এবং চৌদ্দ প্রকার রত্ন উত্থিত হয়, যা দেবতাগণ এবং অসুরগণের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যায়৷ যদিও পুরাণে ১৪ টি রত্নোত্থানের কথা উল্লেখ রয়েছে কিন্তু অন্যান্য বিভিন্ন পুস্তকে এই রত্নের সংখ্যা ৯ থেকে ১৪ অবধি উল্লেখ পাওয়া যায়৷ সর্বাধিক উল্লেখপ্রাপ্ত রত্নগুলি শিব, বিষ্ণু, মহর্ষিগণ, দেব এবং অসুরগণের মধ্যে ভাগাভাগি হয়৷[১] প্রাপ্ত চতুর্থ রত্ন হিসাবে রয়েছে কৌস্তুভ মণির নাম৷ এটির উজ্জ্বল প্রকাশের মাধ্যমে এটি পূর্ণ চেতনাকে বিকশিত করে৷ ভগবান শিব বলেছিলেন যে এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে একমাত্র বিষ্ণু ছাড়া অন্যকারো এই মণিটির বুদ্ধিমত্তা ও ঔজ্জ্বল্য ধারণ করার ক্ষমতা নেই৷ এটি বিষ্ণু ছাড়া অন্য কেও বহন করলেই এই মণির গুণে ঐ ব্যক্তি বা বাহকের মন নিজে থেকেই দূূষিত হবে এবং তিনি আস্তে আস্তে লোভী হয়ে উঠবেন বলে উল্লেখ রয়েছে৷ এই মণি সর্বদা শ্রীবিষ্ণুর বক্ষভাগ অলংকৃত করে৷

দ্ব্যর্থ নিরসন[সম্পাদনা]

  • কৌস্তুভ হলো একটি মণি বা রত্নপাথর৷
  • কৌস্তুভধারী বলতে বোঝায় যে ব্যক্তি কৌস্তুভ মণি ধারণ করে আছেন তথা শ্রীবিষ্ণু৷

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]