কাঞ্চীপুরম

স্থানাঙ্ক: ১২°৪৯′ উত্তর ৭৯°৪৩′ পূর্ব / ১২.৮২° উত্তর ৭৯.৭১° পূর্ব / 12.82; 79.71
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কাঞ্চীপুরম
কাঞ্চীপুরাম, কাঞ্চী
পৌরসভা
কৈলাসনাথ মন্দির
ডাকনাম: কাঞ্চী, সিল্ক সিটি, মন্দিরের শহর
কাঞ্চীপুরম তামিলনাড়ু-এ অবস্থিত
কাঞ্চীপুরম
কাঞ্চীপুরম
কাঞ্চীপুরম ভারত-এ অবস্থিত
কাঞ্চীপুরম
কাঞ্চীপুরম
স্থানাঙ্ক: ১২°৪৯′ উত্তর ৭৯°৪৩′ পূর্ব / ১২.৮২° উত্তর ৭৯.৭১° পূর্ব / 12.82; 79.71
দেশ ভারত
রাজ্যতামিলনাড়ু
অঞ্চলতোন্দাইনাড়ু
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট১,৬৪,২৬৫
ভাষা
সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০)
ওয়েবসাইটkanchi.tn.nic.in

কাঞ্চীপুরম, (এছাড়াও স্থানীয়ভাবে কাঞ্চী kāñcipuram নামে পরিচিত; [kaːɲd͡ʒipuɾəm])[১] বা কাঞ্চীপুরাম, ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের একটি শহর। এটিকে মন্দিরের শহর বলা হয়। এটি তামিলনাড়ু রাজ্যের রাজধানী চেন্নাই থেকে ৭২ কিমি (৪৫ মা) দুরে অবস্থিত। শহরটি আয়তন ১১.৬০৫ কিমি (৪.৪৮১ মা) এবং এর জনসংখ্যা ছিল ১৬৪,২৬৫ জন।[২] এটি কাঞ্চীপুরম জেলার প্রশাসনিক সদর দফতর। কাঞ্চীপুরম সড়ক ও রেলপথে দেশের অন্যান্য অংশের সাথে সংযুক্ত। চেন্নাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি শহরের নিকটতম অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যা কাঞ্চীপুরম জেলা তিরুসুলামে অবস্থিত।

ভগবতী নদীর তীরে অবস্থিত এই কাঞ্চীপুরম পল্লব, মধ্যযুগীয় চোলাস দ্বারা শাসিত হয়েছে, পরবর্তীকালে চোলাস, পরবর্তী পাণ্ড্যর, বিজয়নগর সাম্রাজ্য, কর্ণাটিক রাজ্য এবং ব্রিটিশ দ্বারাও শাসিত হয়েছে, যারা এই শহরটিকে "কনজিওরাম" নামে অভিহিত করেছিলেন। শহরের এতিহাসিক নিদর্শনগুলির মধ্যে রয়েছে কৈলাসনাথর মন্দির এবং বৈকুণ্ট পেরুমাল মন্দির । এতিহাসিকভাবে, কাঞ্চিপুরম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটি কেন্দ্র ছিল[৩] এবং ঘাতিকাস্থানম বা "শিক্ষার স্থান" নামে পরিচিত ছিল।[৪] ১ম এবং ৫ম শতাব্দীর মধ্যে এই শহরটি জৈনবৌদ্ধধর্মের উন্নত শিক্ষার একটি ধর্মীয় কেন্দ্রও ছিল।[৫]

ভারত সরকারের ঋদে-ঐতিহ্য শহর বিকাশ এবং বড় যোজনা প্রকল্পের আওতায় কাঁচিপুরমকে ঐতিহ্যবাহী শহরের তালিকাভুক্ত করেছে।

ভূগোল[সম্পাদনা]

কাঞ্চীপুরম চেন্নাই থকে ৭২ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, ভগবতী নদীর তীরে অবস্থিত।[৬] ভৌগলিকভাবে এটি ১২.৯৮ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৭৯.৭১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এর আয়তন ১১.৬ বর্গ কিলোমিটার বা ৪.৫ বর্গ মাইল। সমূদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ৮৩.২ মিটার বা ২৭৩ ফুট।[৬]

কাঞ্চীপুরমের আবহাওয়া সাধারনত স্বাস্থ্যকর। তাপমাত্রা এপ্রিল থেকে জুলাইয়ের মধ্যে গড় সর্বোচ্চ ৩.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (৯৯.৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট) থাকে এবং ডিসেম্বর ও ফেব্রুয়ারির মধ্যে সর্বনিম্ন ১° ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (°১ ডিগ্রি ফারেনহাইট) পৌঁছায়।[৭]

কাঞ্চীপুরম, তামিলনাড়ু-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য
মাস জানু ফেব্রু মার্চ এপ্রিল মে জুন জুলাই আগস্ট সেপ্টে অক্টো নভে ডিসে বছর
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) ২৯.১
(৮৪.৪)
৩১.২
(৮৮.২)
৩৩.৪
(৯২.১)
৩৫.৬
(৯৬.১)
৩৮.২
(১০০.৮)
৩৭.২
(৯৯.০)
৩৫.২
(৯৫.৪)
৩৪.৭
(৯৪.৫)
৩৪.১
(৯৩.৪)
৩২.১
(৮৯.৮)
২৯.৩
(৮৪.৭)
২৮.৫
(৮৩.৩)
৩৩.২
(৯১.৮)
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) ১৯.২
(৬৬.৬)
১৯.৮
(৬৭.৬)
২২.০
(৭১.৬)
২৫.৪
(৭৭.৭)
২৭.৩
(৮১.১)
২৭.০
(৮০.৬)
২৫.৯
(৭৮.৬)
২৫.৪
(৭৭.৭)
২৪.৮
(৭৬.৬)
২৩.৭
(৭৪.৭)
২১.৬
(৭০.৯)
১৯.৯
(৬৭.৮)
২৩.৫
(৭৪.৩)
বৃষ্টিপাতের গড় মিমি (ইঞ্চি) ২৫
(১.০)

(০.২)

(০.২)
১৯
(০.৭)
৫৯
(২.৩)
৭৭
(৩.০)
১০৮
(৪.৩)
১৭৩
(৬.৮)
১৩২
(৫.২)
১৮৫
(৭.৩)
২০৯
(৮.২)
১০৭
(৪.২)
১,১০৪
(৪৩.৪)
উৎস: Climate-Data.org[৮]

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

সপ্তম শতাব্দীতে রাজা নরসিংহ বর্মার শাসনামলে, শহরটি আয়তন প্রায় ১০ বর্গকিলোমিটার (৩.৯ বর্গ মাইল) ছিল এবং এর জনসংখ্যা ছিল ১০,০০০ জন। পরবর্তী বছরগুলিতে জনসংখ্যা বেড়েছে ১৩,০০০ জনে দাড়ায়। শহরটি আয়তক্ষেত্রাকার রাস্তাগুলির সাথে ক্রস প্যাটার্নযুক্ত লিঙ্কগুলোর উন্নয়ন করেছে। শহরের বসতিগুলি বেশিরভাগ বর্ণভিত্তিক ছিল। দ্বিতীয় নন্দীবর্মা পল্লবনের সময়ে, উচ্চ প্ল্যাটফর্ম এবং পোড়া ইটের বাড়িগুলো নির্মিত হয়েছে, যখন তিরুভেক্কা মন্দির এবং কৃষি শ্রমিকদের ঘরগুলি শহরের বাইরে ছিল। শহরের উপকণ্ঠে অশ্বারোহী ও পদাতিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিধান ছিল।

২০১১ সালের ভারতীয় জনগণনার তথ্য অনুসারে কাঞ্চীপুরমের জনসংখ্যা ছিল ১৬৪,৩৮৪ জন, যার প্রতি পুরুষ ১,০০ জন পুরুষের অনুপাতে ১,০০৫ জন মহিলা ছিল, যা জাতীয় গড় লিঙ্গ অনুপাত ৯৯৯-এর তুলনায় অনেক বেশি। ছয় বছরের কম বয়সী জনসংখ্যা মোট ১৫,৯৫৫ জন, যার মধ্যে ৮,১৫৮ জন পুরুষ এবং ৭,৭৯৭ জন মহিলা ছিল। তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতি জনসংখ্যার যথাক্রমে ৩.৫৫% এবং ০.০৯%। এখানকার সাক্ষরতার হার ৭৯.৫১%, জাতীয় গড় ৭২.৯৯% এর তুলনায় বেশি।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Malalasekera 1973
  2. Kanchipuram : Census 2011
  3. Rao 2008
  4. K.V. 1975
  5. Thapar 2001
  6. About City 2011
  7. Ministry of Water Resources, Government of India 2007, পৃ. 6।
  8. "CLIMATE: KANCHEEPURAM"। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬