চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা
চুয়াডাঙ্গা সদর | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৩৮′৩৪″ উত্তর ৮৮°৫১′১৩″ পূর্ব / ২৩.৬৪২৭৮° উত্তর ৮৮.৮৫৩৬১° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | খুলনা বিভাগ |
জেলা | চুয়াডাঙ্গা জেলা |
সরকার | |
• উপজেলা চেয়ারম্যান | মো: আসাদুল হক বিশ্বাস |
আয়তন | |
• মোট | ২৯৯ বর্গকিমি (১১৫ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা | |
• মোট | ৩,১৩,৯৩৫জন[১] |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৯২% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৭২০০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৪০ ১৮ ২৩ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।
অবস্থান ও আয়তন
[সম্পাদনা]চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলাটি খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা জেলার অন্তর্ভুক্ত; যা ভৌগোলিকভাবে ২৩°.২২′ থেকে ২৩°.৫০′ উত্তর অক্ষাংশের অন্তর্ভুক্ত। ২৯৯ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই উপজেলাটির উত্তরে আলমডাঙ্গা উপজেলা, দক্ষিণে জীবননগর উপজেলা, পূর্বে ঝিনাইদহ জেলার ঝিনাইদহ সদর উপজেলা, কোটচাঁদপুর উপজেলা ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলা, পশ্চিমে দামুড়হুদা উপজেলা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ।
পটভূমি
[সম্পাদনা]১৯৪৭ সালের পূর্ব পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নদিয়া জেলার চুয়াডাঙ্গা মহকুমার একটি থানা ছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর এটি চুয়াডাঙ্গা মহকুমার একটি থানা হিসাবে বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার অন্তর্ভূক্ত হয়। ১৯৮৪ সালের ২৬ ফ্রেব্রুয়ারী চুয়াডাঙ্গা মহকুমাকে জেলা এবং ১৯৮২ সালে চুয়াডাঙ্গা সদর থানাকে মনোন্নীত থানায় রুপান্তর করা হয়, যা বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা হিসাবে পরিচিত। ১৯৮৪ সালের ১ ফ্রেব্রুয়ারী এক ঘোষনার মাধ্যমে মনোন্নীত চুয়াডাঙ্গা থানাকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়।“চুয়াডাঙ্গা” নামকরণের যে তথ্যদি পাওয়া যায় তার মধ্যে সবচেয়ে বেশী প্রচলিত ও নির্ভরযোগ্য ধারণা হচ্ছে চুঙ্গো মল্লিক নামে জনৈক ব্যবসায়ী মাথাভাঙ্গা নদীর পূর্ব তীরে প্রথম বসতি স্থাপন করে। তার নামের ফার্সি অংশ চুঙ্গো থেকে ইংরেজিতে অনুবাদের সময় উচ্চারনের বিক্রিতি বা অপভ্রংশের কারণে সম্ভবত চুঙ্গোডাঙ্গা হতে চুয়াডাঙ্গা নামটি এসেছে। মুশীর্দকুলি খান বাংলাকে ৯৩টি চাকলায় বিভক্ত করলে চুয়াডাঙ্গা যশোর চাকলার অর্ন্তভূক্ত হয়। ১৮৫৫ সালের রেকর্ড অনুযায়ী ২৮৯.২০বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট চুয়াডাঙ্গা ৬টি পরগনায় অর্ন্তভূক্ত ছিল। যেগুলি হচ্ছে- ফতেজংপুর, শাহউজিয়াল, রাজপুর, মাহমুদশাহি, উঘরা ও মাটিয়ারী। মাটিয়ারী শব্দটির অপভ্রংশ হিসাবে মেটেরী কথাটি প্রচলিত হতে পারে বলে অনেকে ধারণা করেন। ১৮৫৯ সালে মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হলে তার সদর দপ্তর স্থাপিত হয় দামুড়হুদা। ১৮৬৯ সালে মহকুমা সদর দপ্তর চুয়াডাঙ্গায় স্থান্তরীত হয়। ১৮৯২ সালে এই মহকুমাকে বিলুপ্ত করে মেহেরপুরের সাথে সংযুক্ত করা হয়। পরর্তিতে ১৮৯৭ সালের ১৫ মার্চ চুয়াডাঙ্গা মহকুমা পুর্ঃ স্থাপিত হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর চুয়াডাঙ্গা সদর থানা রাজশাহি বিভাগের অধীন ছিল। ১৯৫২ সালে খুলনা বিভাগ গঠীত হওয়ার পর চুয়াডাঙ্গা খুলনা বিভাগের অর্ন্তভূক্ত হয়।[২]
জনসংখ্যার উপাত্ত
[সম্পাদনা]চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোট জনসংখ্যা ৩,১৩,৯৩৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১,৫৬,৭৮২ এবং মহিলা ১,৫৭,১৫৩ জন। মোট পরিবার ৬২,২৭৮টি।[১]
প্রশাসনিক এলাকা
[সম্পাদনা]এখানে ১টি পৌরসভা, ০৯ টি ইউনিয়ন, ১০১ টি মৌজা এবং ১৭০ টি গ্রাম রয়েছে।
- পৌরসভা - চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা
পৌরসভার আয়তন ৩৮ বর্গ কিলোমিটার।
- ইউনিয়ন -
স্বাস্থ্য
[সম্পাদনা]জেলা হাসপাতাল ১, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৭, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ১, বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ১, ডায়াবেটিক হাসপাতাল ১, সংক্রামক ব্যাধি হাসাপাতাল ১, চক্ষু হাসপাতাল ১, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ১, কমিউনিটি ক্লিনিক ২৬, বেসরকারি হাসপাতাল ২।
শিক্ষা
[সম্পাদনা]চুয়াডাঙ্গা শহরের জনসংখ্যার ১০০% শিক্ষিত এবং সম্পূর্ণ উপজেলার শিক্ষার হার ৯২% । চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ১টি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ২টি সরকারি কলেজ, ৪টি বেসরকারি কলেজ, ২টি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ৩০টি বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ১১২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪৯টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি কমিনিউটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২১টি কিন্ডারগার্টেন, ১০টি আলিয়া মাদ্রাসা, ২২টি কওমী মাদ্রাসা, ১টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: ভি. জে. (ভিক্টোরিয়া জুবিলি) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৮০), বদরগঞ্জ আলিয়া মাদ্রাসা (১৯৬২), চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ (১৯৬২)।
যোগাযোগ ব্যবস্থা
[সম্পাদনা]চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সাথে বাস এবং ট্রেন যোগাযোগ আছে।
নদ-নদী
[সম্পাদনা]চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নদ-নদী সমূহ: ১। মাথাভাঙ্গা নদী ২। নবগঙ্গা নদী ৩। চিত্রা নদী ৪। সিন্দুঁরিয়া
বিশিষ্ট ব্যক্ত্বিত্ব
[সম্পাদনা]- অনন্তহরি মিত্র (১৯০৬ - ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯২৬) - ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী;
- ডাঃ আসহাব-উল-হক জোয়ার্দ্দার - (৪ ডিসেম্বর ১৯২১–৭ অক্টোবর ২০১০) - রাজনীতিবিদ, চিকিৎসক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক যিনি তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ও তৎকালীন কুষ্টিয়া-৭ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।
- সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার (সেলুন) - বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্য;
- মোঃ মোজাম্মেল হক (শিল্পপতি) - বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও শিল্পপতি, সাবেক সংসদ সদস্য;
- হারুনুর রশীদ (বীর প্রতীক) - খেতাবপ্রাপ্ত শহীদ বীরপ্রতীক।
দর্শনীয় স্থান
[সম্পাদনা]- পুলিশ পার্ক
- শিশু স্বর্গ
- মাথাভাঙ্গা ব্রিজ
- চুয়াডাঙ্গা বড় মসজিদ
- হজরত মালেক-উল-গাউস (রঃ) মাজার শরিফ
- ঠাকুরপুর জামে মসজিদ
- শিয়েল পীরের মাজার
- গড়াইটুপি অমরাবতী মেলা
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "এক নজরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা"। chuadangasadar.chuadanga.gov.bd। ১০ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০২২।
- ↑ "উপজেলার পটভূমি - চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা"। chuadangasadar.chuadanga.gov.bd। ২০২২-০৪-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-১১।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- বাংলাপিডিয়ায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা
- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] - জাতীয় তথ্য বাতায়ন।
খুলনা বিভাগের স্থান বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |