ধারাপাট
ধারাপাট ধারাপাট | |
---|---|
স্থানাঙ্ক: ২৩°০৬′ উত্তর ৮৭°১৮′ পূর্ব / ২৩.১° উত্তর ৮৭.৩° পূর্ব | |
ওয়েবসাইট | bankura.gov.in/ |
ধারাপাট পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর মহকুমার অন্তঃপাতী একটি গ্রাম। এই গ্রামটি বিষ্ণুপুর শহর থেকে ১২ কিলোমিটার (৭.৫ মাইল) উত্তরে অবস্থিত।
বিবরণ
[সম্পাদনা]বাঁকুড়া ভূখণ্ডটি প্রাচীন কালে জৈনধর্মের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছিল। আজও এই জেলার একাধিক স্থানে জৈন ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাওয়া যায়। ধারাপাট, সোনাতাপাল, বহুলাড়া, হাড়মাসড়া ও পরেশনাথ (অম্বিকানগরের কাছে) গ্রামের বহুকাল পরিত্যক্ত জৈন মন্দিরগুলিতে পরবর্তীকালে গ্রামবাসীরা হিন্দু লৌকিক দেবদেবীর মূর্তি স্থাপন করে পূজা শুরু করে। ধারাপাট ও বহুলাড়া গ্রামে নগ্ন জৈন মূর্তি দেখা যায়, এঁরা “ন্যাংটা ঠাকুর” নামে পরিচিত। এঁরা হিন্দু দেবদেবীদের সঙ্গেই পূজিত হয়ে থাকেন।[১]
ধারাপাটের প্রধান মন্দিরের বাংলা লেখটি থেকে জানা যায়, মন্দিরটি ১৬৯৪ অথবা ১৭০৪ সালে নির্মিত হয়। মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত মূর্তিটি শ্যামচাঁদ ঠাকুরের। ইনি ন্যাংটা ঠাকুর নামেই সমধিক পরিচিত। ধারাপাটের রাজা অদবেশ এই মন্দিরটি নির্মাণ করেন। এলাকার বন্ধ্যা নারীরা সন্তান কামনায় এই মন্দিরে পূজা দিয়ে থাকেন।[২] আদি লাল ইঁটের মন্দিরটি এখন ভেঙে পড়েছে। নতুন মন্দিরের চার পাশে চারটি ডানাওয়ালা সিংহের মূর্তি রয়েছে। মন্দিরে তিনটি অপূর্ব সুন্দর দেবমূর্তি প্রতিষ্ঠিত - দুটি মূর্তি দুই জৈন দেবতার, তৃতীয়টি বিষ্ণুর। তিনটি মূর্তিই বহির্দেওয়ালে স্থাপিত। গ্রামে অনেক পরিত্যক্ত মন্দির রয়েছে। এছাড়াও কিছু পাথরের মূর্তি এই গ্রাম থেকে পাওয়া গেছে। একটি মূর্তি খুবই অদ্ভুত। এই মূর্তিটি আদতে ছিল জৈন তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথের। পরে আরও দুটি হাত অত্যন্ত সুচারুভাবে যুক্ত করে মূর্তিটিকে বিষ্ণুমূর্তিতে রূপান্তরিত করা হয়। এর থেকে অনুমিত হয়, পরবর্তীকালে হিন্দুধর্ম এই অঞ্চল থেকে জৈনধর্মকে উৎপাটিত করেছিল।[৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Temples and Legends of Bengal"। Bankura। Hindu Books। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১২।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ O’Malley, L.S.S., ICS, Bankura, Bengal District Gazetteers, p. 195, 1995 reprint, first published 1908, Government of West Bengal
- ↑ "Next weekend you can be at ... Dharapat"। The Telegraph, 12 October 2008। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১২।