পাণ্ডুয়া, হুগলি জেলা
পাণ্ডুয়া | |
---|---|
শহর | |
পশ্চিমবঙ্গ, ভারতে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°০৫′ উত্তর ৮৮°১৭′ পূর্ব / ২৩.০৮° উত্তর ৮৮.২৮° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলা | হুগলি |
উচ্চতা | ১৯ মিটার (৬২ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০০১) | |
• মোট | ২৭,১২৬ |
ভাষা | |
• অফিসিয়াল | বাংলা, ইংরেজি |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০) |
পাণ্ডুয়া ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলি জেলার একটি শহর (সেন্সাস টাউন)।
ভৌগোলিক উপাত্ত
[সম্পাদনা]শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল ২৩°০৫′ উত্তর ৮৮°১৭′ পূর্ব / ২৩.০৮° উত্তর ৮৮.২৮° পূর্ব।[১] সমুদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ১৯ মিটার (৬২ ফুট)।
জনসংখ্যার উপাত্ত
[সম্পাদনা]ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে পাণ্ডুয়া শহরের জনসংখ্যা হল ২৭,১২৬ জন।[২] এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%।
এখানে সাক্ষরতার হার ৬৭%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭২% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬২%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে পাণ্ডুয়া এর সাক্ষরতার হার বেশি।
এই শহরের জনসংখ্যার ১২% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]পাণ্ডুয়া শহরটি প্রাচীনকালে প্রদ্যুম্ন নগর নামে পরিচিত ছিল। পাণ্ডুয়া হুগলি অন্যতম প্রাচীন জনপদ ও বাণিজ্যকেন্দ্র। কিংবদন্তি অনুসারে পান্ডু বা পান্ডুদাস হিন্দু রাজার নাম থেকে পাণ্ডুয়ার উৎপত্তি। জি.টি রোডের ধারে শাহ সুফীর সুউচ্চ মিনার ও প্রাচীন বড়ি মসজিদ (বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্তপ্রায়) অতীতের সাক্ষ্য বহন করছে।[৩]
শৃঙ্খলা শক্তিপীঠ
[সম্পাদনা]বিভিন্ন পুরাণে দক্ষ যজ্ঞ এবং সতীর আত্মহননের পৌরাণিক কাহিনীর অপরিসীম তাৎপর্য আছে এবং এমনকি ভারতের সংস্কৃতিতেও এর প্রভাব লক্ষ্যনীয় । এটি শক্তিপীঠের ধারণার বিকাশ ঘটায় এবং সেখানে শাক্তধর্মকে শক্তিশালী করে। পুরাণে প্রচুর পৌরাণিক কাহিনী দক্ষ যজ্ঞকে এর উৎসের কারণ হিসাবে গ্রহণ করেছে।প্রদ্যুম্নের শক্তিপীঠকে আদি শঙ্করাচার্য কর্তৃক রচিত অষ্টাদশ মহাশক্তিপীঠ স্তোত্রে [৪]দেবী শৃঙ্খলা দেবীর পীঠ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা বর্তমানে ধ্বংস হয়ে গেছে।[৫] এই ধারণা অনুযায়ী এখানে দেবীর পাকস্থলী পতিত হয়েছিল।
শিবচরিত গ্রন্থে এই শক্তিপীঠ এর উল্লেখ আছে । পাণ্ডুয়াকে সেখানে পুন্ডর নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। দেবী হলেন সর্বাক্ষিণী ও ভৈরব হলেন সর্ব। এখানে দেবীর লোমাবলী পতিত হয়েছিল ।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Pandua"। Falling Rain Genomics, Inc (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৫, ২০০৬।
- ↑ "ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি" (ইংরেজি ভাষায়)। Archived from the original on ১৬ জুন ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৫, ২০০৬।
- ↑ পবিত্র কুমার গুপ্ত (২০০০)। পূণ্যক্ষেত্র হরিহর ক্ষেত্রে (ইংরেজি ভাষায়)। কলকাতা: স্বদেশ চর্চা কেন্দ্র। পৃষ্ঠা ২৩, ২৪।
- ↑ Sharma, Partha (২০১৮)। The Forgotten Shivalinga of the Sati Shaktipeeths। পৃষ্ঠা 75। আইএসবিএন 978-9387456129।
- ↑ "Shrinkhala Devi Temple"। ১৮ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০২৩।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |