খোরদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

খোরদ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার ডায়ামন্ডহারবার থানার অন্তর্গত একটি গ্রাম। এই গ্রামের উল্লেখযোগ্য পুরাকীর্তি হল অষ্টাদশ শতাব্দীতে নির্মিত চারটি প্রাচীন আটচালা শিবমন্দির।

জোড়া দক্ষিণমুখী শিবমন্দির[সম্পাদনা]

খোরদ বাজারে দুইটি জীর্ণ, দক্ষিণমুখী প্রতিষ্ঠালিপিহীন আটচালা শিবমন্দির অবস্থিত। অষ্টাদশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে রাজা কেশবরায় চৌধুরী এই মন্দির দুইটি নির্মাণ করেন। দুইটি মন্দিরই ১৬ ফুট X ১৪ ফুট ৮ ইঞ্চি মাপের ও ৩০ ফুট উচ্চ। মন্দিরের গম্বুজাকৃতি ছাদ বিশিষ্ট গর্ভগৃহের মাপ ৯ ফুট ৮ ইঞ্চি X ৮ ফুট। মন্দির নির্মাণে জ্যামিতিক ও ফুলের নকশা যুক্ত ২০ সেন্টিমিটার X ১১ সেন্টিমিটার X ৩ সেন্টিমিটার মাপের পাতলা ইট ব্যবহৃত হয়েছে।[১]:৮৯

অষ্টাদশ শতাব্দীর পশ্চিমমুখী শিবমন্দির[সম্পাদনা]

খোরদ গ্রামে রায়চৌধুরী বাড়ির সামনের দিঘির পাড়ে ১৫ ফুট ইঞ্চি X ১৫ ফুট ৬ ইঞ্চি মাপের ও ৪০ ফুট উচ্চ একটি জীর্ণ, পশ্চিমমুখী, প্রতিষ্ঠালিপিহীন আটচালা শিবমন্দির অবস্থিত। অষ্টাদশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে রাজা কেশব রায়চৌধুরী এই মন্দির নির্মাণ করেন। মন্দিরে পোড়ামাটির জ্যামিতিক অলঙ্করণ লক্ষ্য করা যায়। এই মন্দির নির্মাণে ২০ সেন্টিমিটার X ১১ সেন্টিমিটার X ৩ সেন্টিমিটার মাপের পাতলা ইট ব্যবহৃত হয়েছে।[১]<:৮৯

ঊনবিংশ শতাব্দীর পশ্চিমমুখী শিবমন্দির[সম্পাদনা]

খোরদ গ্রামে পাই পাড়ায় একটি ভগ্ন, পরিত্যক্ত, পশ্চিমমুখী আটচালা শিবমন্দির অবস্থিত। মন্দিরের পোড়ামাটির প্রতিষ্ঠালিপিটি নষত হয়ে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠাকাল সম্বন্ধে জানা না গেলেও অনুমান করা হয়, ১৮২৯ খ্রিষ্টাব্দে বরদাপ্রসাদ রায়চৌধুরী এই মন্দির নির্মাণ করেন। ৭ ফুট ৮ ইঞ্চি X ৭ ফুট ৮ ইঞ্চি মন্দিরের গর্ভগৃহ বর্গাকৃতি বিশিষ্ট।[১]:৯০

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. সাগর চট্টোপাধ্যায়, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার পুরাকীর্তি, প্রকাশনা প্রত্নতত্ত্ব ও সংগ্রহালয় অধিকার, পশ্চিমবঙ্গ সরকার, ৩৩ চিত্তরঞ্জন অ্যাভেনিউ, কলকাতা-৭০০০১২, প্রথম প্রকাশ, ২০০৫