বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়
| নীতিবাক্য | उत्तिष्ठत जाग्रत (সংস্কৃত) |
|---|---|
বাংলায় নীতিবাক্য | ওঠো, জাগো |
| ধরন | সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় |
| স্থাপিত | ২০১৪ |
| অধিভুক্তি | |
| বৃত্তিদান | ₹ ৪.৫৮২৫ কোটি (ইউএস$ ০.৫৬ মিলিয়ন) (২০২১–২২)[১] |
| আচার্য | জগদীপ ধনখর, (পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল) |
| উপাচার্য | দেব নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ৬০[২] |
| শিক্ষার্থী | ১,১৮০[২] |
| স্নাতকোত্তর | ৯৭০[২] |
| ২১০[২] | |
| অবস্থান | , , ভারত ২৩°১৬′৩৯″ উত্তর ৮৭°০৫′০৬″ পূর্ব / ২৩.২৭৭৫° উত্তর ৮৭.০৮৫১° পূর্ব |
| শিক্ষাঙ্গন | গ্রামীণ |
| প্রতীক | বাঁকুড়ার ঘোড়া |
| ওয়েবসাইট | www |
![]() | |
বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় হল পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া শহরের একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।[৩][৪] এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সর্বপ্রথম অধ্যাপক দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিযুক্ত হন। বিশ্ববিদ্যালয়টি মোট চারটি বিদ্যায়তন নিয়ে গঠিত। প্রধান বিদ্যায়তন বাঁকুড়া জেলায় পুরন্দরপুরে ১৪ নং (পুরাতন ৬০ নং) জাতীয় সড়কের পাশে অবস্থিত।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়টি "২০১৩ সালের পশ্চিমবঙ্গ আইন ১৯" (বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১৩) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং রাজ্যপালের সম্মতি ২০১৪ সালের ৬ই জানুয়ারি প্রথম কলকাতা গেজেটে প্রকাশিত হয়েছিল।[৫]
সিলমোহর
[সম্পাদনা]বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠানর সঙ্গে সঙ্গে সিলমোহর বা প্রতীক চিহ্ন তৈরি করা হয়। সিলমোহর বা প্রতীক চিহ্নে ধানের শীষ, বই-কলম, বাঁকুড়ার ঘোড়া ছবি দৃশ্যমান। সিলমোহরের বাম ও ডান পাশে একটি করে মোট দুটি ধানের শীষ অবস্থান করছে। উপরের অংশে বাংলা ভাষায় "বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়" লেখা রয়েছে। এর নীচে ইংরেজিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা বছর উল্লেখিত হয়েছে। সিলমোহরের মধ্যভাগে উপরের অংশে বই ও কলমের ছবি এবং নীচের অংশে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকা দুটি ঘোড়ার ছবি রয়েছে। ঘোড়ার ছবি দুটি বাঁকুড়ার বিখ্যাত পোড়ামাটির ঘোড়ার শিল্পকর্মকে নির্দেশ করে। সিলমোহরের নীচের অংশে ইংরেজিতে "বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়" লেখা রয়েছে এবং সবচেয়ে নীচে সংস্কৃত ভাষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি বাক্য লেখা রয়েছে।
শিক্ষাপ্রাঙ্গণ
[সম্পাদনা]বিশ্ববিদ্যালয়টির মোট চারটি শিক্ষাপ্রাঙ্গণ বা বিদ্যায়তন রয়েছে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রাঙ্গণ বাঁকুড়া জেলায় অবস্থিত। শিক্ষাপ্রাঙ্গণ চারটি হল পুরন্দরপুর শিক্ষাপ্রাঙ্গণ, পুয়াবাগান শিক্ষাপ্রাঙ্গণ, মিথিলা শিক্ষাপ্রাঙ্গণ ও ছান্দর শিক্ষাপ্রাঙ্গণ।
সংস্থা ও প্রশাসন
[সম্পাদনা]শাসন
[সম্পাদনা]বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রশাসনিক আধিকারিকদের একটি পর্ষদ দ্বারা পরিচালিত হয়। পর্ষদটি বিশ্ববিদ্যালয় ও এর অধিভুক্ত কলেজসমূহের কার্যক্রম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল পর্যবেক্ষণ করে।[৬]
বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। দেব নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ও বর্তমান উপাচার্য।[৭]
অধিক্ষেত্র
[সম্পাদনা]বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের ২৪ টি মহাবিদ্যালয় অধিভুক্ত রয়েছে।[৮] প্রধান কিছু অধিভুক্ত মহাবিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে:
বিদ্যালয়
[সম্পাদনা]বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ টি বিদ্যালয়ে মোট ১৩ টি বিভাগ রয়েছে। বিদ্যালয়মূহ হল বিজ্ঞান বিদ্যালয়, সাহিত্য, ভাষা ও সংস্কৃতি অধ্যয়ন বিদ্যালয় এবং সামাজিক বিজ্ঞান বিদ্যালয়।[৯]
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যালয় ও বিদ্যালয়ভুক্ত বিভাগসমূহ তালিকা আকারে প্রকাশ করা হল:
| বিজ্ঞান বিদ্যালয় | সাহিত্য, ভাষা ও সংস্কৃতি অধ্যয়ন বিদ্যালয় | সামাজিক বিজ্ঞান বিদ্যালয় |
|---|---|---|
|
|
|
শিক্ষা-সংক্রান্ত
[সম্পাদনা]ভর্তি
[সম্পাদনা]স্নাতক স্তরের অধ্যয়নের জন্য—কলা (বিএ) ও বিজ্ঞান (বিএসসি) শাখা—শিক্ষার্থীরা তাদের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সংশয় পত্র বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে একাধিক কোর্সের জন্য সরাসরি আবেদন করতে পারে। শিক্ষার্থীদের তাদের প্রাপ্ত নম্বর ও উপলব্ধ আসন সংখ্যা অনুযায়ী সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত করা হয়।[১০]
গ্রন্থাগার
[সম্পাদনা]বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারটি ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সহ অধিভুক্ত মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে প্রবেশের অনুমতি রয়েছে। গ্রন্থাগারে ৩০,০০০ টিরও বেশি মুদ্রিত বই রয়েছে। বইয়ের সংগ্রহের মধ্যে বাংলা সাহিত্য, ইংরেজি সাহিত্য, বিশুদ্ধ বিজ্ঞান, শিল্পকলা, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, ভাষা ইত্যাদি বিষয়ের বিস্তৃত পরিসরের নথি রয়েছে। শুধুমাত্র স্কটিশ ভাষা সাহিত্যের ৮ হাজারটি বই রয়েছে।[১১] মুদ্রিত বই ছাড়াও গ্রন্থাগারে ডেলনেট, দক্ষিণ এশিয়ান আর্কাইভ ইত্যাদির প্রবেশযোগ্যতা রয়েছে।[১২]
অনুমোদন ও স্বীকৃতি
[সম্পাদনা]বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসি আইন, ১৯৫৬-এর ধারা ২(এফ)-এর অধীনে স্বীকৃত।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Detailed Demands For Grants For 2021-22" (পিডিএফ)। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২২।
- 1 2 3 4 "NIRF 2020" (পিডিএফ)। বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়। ১ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২২।
- ↑ "Bankura University Bill passed"। The Hindu। ২৯ নভেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১৩।
- ↑ "CM to inaugurate varsity in Bankura"। The Statesman। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩।
- ↑ "The Bankura University Act 2013" (পিডিএফ)। ৮ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২২।
- ↑ "The Court"। ৯ মে ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২২।
- ↑ "Vice Chancellor, Bankura University"। ৯ মে ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২২।
- ↑ "Affilated College"। ৯ মে ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২২।
- ↑ "BANKURA UNIVERSITY STUDY PROGRAMMES"। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০২১।
- ↑ "Undergraduate Admission for the A.Y. 2021-22"। ৯ মে ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২২।
- ↑ "স্কটিশ সাহিত্যচর্চায় নতুন দিগন্ত বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়"। eisamay.com। ৯ মে ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২২।
- ↑ "Central Library"। ৯ মে ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২২।
