জিলাদপুর মসজিদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জিলাদপুর তিন গম্বুজ গায়েবি মসজিদ
জিলাদপুর মসজিদ
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
শাখা/ঐতিহ্যসুন্নি
অবস্থাসক্রিয়
অবস্থান
অবস্থানবাংলাদেশ শ্রীমঙ্গল, বাংলাদেশ
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
স্থাপত্য শৈলীইসলামী স্থাপত্য
গম্বুজসমূহ

জিলাদপুর তিন গম্বুজ গায়েবি মসজিদ সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ।

অবস্থান[সম্পাদনা]

মসজিদটি মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের জিলাদপুর গ্রামে অবস্থিত। এটি বিলাস নদীর তীরে অবস্থিত।

নির্মাণ সন[সম্পাদনা]

আনুমানিক প্রায় হাজার বছর পূর্বে ১০০০ খ্রীষ্টাব্দে পশ্চিম আশিদ্রোন জিলাদপুর গ্রামের এলাকাবাসী বিলাস নদীর তীরে বিশাল জায়গা জুড়ে একটি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে।[১]

লোককথা[সম্পাদনা]

মসজিদটি নির্মাণকে ঘিরে একটি লোককাহিনী রয়েছে। কথিত আছে, একদিন জিলাদপুর গ্রামের এলাকাবাসী বিলাস নদীর তীরে একটি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। মসজিদের জন্য জমি নির্ধারণ করা পর মসজিদের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ মাপা হয় ও নির্মাণের জন্য ঈশান দেওয়া হয় তবে সেদিন আর কোন কাজ করা হয়নি। তার পরদিন মসজিদের নির্মাণ কাজ করার উদ্দেশ্য নিয়ে রাতে ঘুমাতে যায়। পরদিন সকালে গ্রামবাসী এসে দেখে সুন্দর চুন-সুরকির একটি মসজিদ তৈরি হয়ে আছে। সে সময় থেকেই স্থানীয়দের ধারণা রাতের মধ্যে জিনেরা এ মসজিদ তৈরি করে দিয়েছেন। তখন থেকে এটি গায়েবী মসজিদ নামে এলাকায় পরিচিত।[২]

স্থাপত্যশৈলী ও কাঠামো[সম্পাদনা]

মসজিদটি রডবিহীনভাবে ইট ও ছুরকি দিয়ে মোগল স্থাপত্য রীতিতে তৈরী করা হয়েছে। মসজিদটি তিন গম্বুজ বিশিষ্ট। তিন একর জমির উপর নির্মিত মসজিদের ভিতরে ১৫০ জন মুসল্লি একত্রে নামাজ আদায় করতে পারেন। বর্তমানে মসজিদটি সংস্কার করে বারান্দা, ওজুখানা নির্মাণ করা হয়েছে এবং সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য কারুকার্য করা হয়েছে।[২]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "শ্রীমঙ্গল জিলাদপুরের তিন গম্বুজ গায়েবি মসজিদ! | ধর্ম চিন্তা"ইত্তেফাক। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০২০ 
  2. ইসমাইল মাহমুদ (৮ নভেম্বর ২০১৯)। "শ্রীমঙ্গল জিলাদপুরের তিন গম্বুজ গায়েবি মসজিদ!"দৈনিক জালালাবাদ। ১ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০২০