মাইসাহেবা জামে মসজিদ
মাইসাহেবা মসজিদ | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
অবস্থান | |
অবস্থান | শেরপুর, বাংলাদেশ |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | ইসলামী |
নির্দিষ্টকরণ | |
ধারণক্ষমতা | ৬ হাজার |
মিনার | ২ টি |
মাইসাহেবা জামে মসজিদ শেরপুর জেলার সবচেয়ে বড় মসজিদ। এটি শহরের কেন্দ্রস্থলে শেরপুর সরকারি কলেজের দক্ষিণ-পূর্ব পাশে মাইসাহেবা মসজিদ অবস্থিত।
বর্ণনা[সম্পাদনা]
আনুমানিক ২৫০ বছর[১] পূর্বে নির্মিত এই মসজিদটি শেরপুর জেলার অন্যতম প্রাচীন নিদর্শন। মসজিদটির নির্মাণশৈলীতে বক্রাকার খিলানের ব্যবহার, সুউচ্চ দুইটি মিনার এবং স্থাপত্য কলার আধুনিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। তিনতলা বিশিষ্ট মাইসাহেবা মসজিদে একসঙ্গে ৬ হাজার এর বেশি মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারে। বর্তমানে মসজিদ টির সম্প্রসারণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
তৎকালীন তিনআনি জমিদারের খাজনা আদায়ের ঘরের সাথে একটি পরিত্যক্ত ঘর ছিল। সেই ঘরটিতে স্থানীয় প্রজা মহিলা নামাজ আদায় করেছেন। পরবর্তীতে জমিদারের নির্দেশে ঘর ভেঙ্গে মসজিদ নির্মান করা হয়।
নামকারণ[সম্পাদনা]
মসজিদর নামকরণ নিয়ে একটি কিংবদন্তি রয়েছে। তিনআনি জমিদার মুক্তাগাছার জমিদার কে দাওয়াত দেওয়ায় তিনআনি জমিদারের কাছে বিশ্রামের নিরিবিলি জায়গা চান করেন। খাজনা আদায়ের ঘরের সাথে থাকা ঘরটি দেওয়ার মনস্থির করেন তিনআনি জমিদার। তাই হাতি দিয়ে ঘরটি ভাঙ্গার নির্দেশ দেন। হাতি ঘরটির কাছে আসে ঘরটি না ভেঙ্গে বসে যায়। খবর পেয়ে তিনআনি জমিদার ছুটে আসেন এবং ঘরের ভিতর দেখেন একজন মহিলা সৃষ্টিকর্তার উপাসনায় মগ্ন, জমিদার ব্যপারটি বুঝতে পারেন এবং ক্ষমা চেয়ে ফেরত যান। পরে এখানে মসজিদ নির্মাণ করেন এবং নাম দেন মাইসাহেবা জামে মসজিদ।[২]
মসজিদ ভবন[সম্পাদনা]
মাইসাহেবা জামে মসজিদটি ৩ তলা। নীচতলায় রয়েছে নামাজের ব্যবস্থা ও ওযুর ব্যবস্থা। দোতলা নামাজের ব্যবস্থা এবং ধর্মীয় পাঠাগার রয়েছে। বর্তমানে মূল মসজিদে ৬ সহস্রাদিক মুসল্লী একত্রে নামায আদায় করতে পারেন। মসজিদের প্রবেশ পথে দুইটি বড় গেইট এবং মসজিদের দুটি সুউচ্চ মিনার রয়েছে। বর্তমানে দশ হাজার মুসল্লির ধারণ ক্ষমতা, মহিলাদের নামাজের স্থান ও সমগ্র মসজিদ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত করার কাজ চলছে। নিরাপত্তা জন্য রয়েছে সিসি ক্যামেরা।[৩]
পর্যটক[সম্পাদনা]
প্রতি শুক্রবারে দূরদুরান্ত থেকে অনেক মানুষ আসে এই মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করতে। অনেক দেশি-বিদেশি পর্যটক মাইসাহেবা জামে মসজিদ দর্শন করতে আসে প্রতিদিন।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "ইতিহাসের সাক্ষী মাইসাহেবা মসজিদ"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। ০৪ ডিসেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ 2021-06-27। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "মাইসাহেবা জামে মসজিদ"। আওয়ার শেরপুর। ২০১৮-১১-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-২৭।
- ↑ "ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সাক্ষী শেরপুরের মাইসাহেবা মসজিদ | বাংলাদেশ প্রতিদিন"। Bangladesh Pratidin। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-২৭।