গালুয়া পাকা মসজিদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

গালুয়া পাকা মসজিদ বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলায় অবস্থিত।এই মসজিদটি ভান্ডারিয়া-রাজাপুর মহাসড়কের গালুয়া বাজার এলাকা থেকে এক কিলোমিটার পূর্বে দুর্গাপুর গ্রামে অবস্থিত।

মসজিদের ইতিহাস[সম্পাদনা]

লোকমুখে জানা যায় মাহমুদ খান আকন(মামুজি) নামক এক ধর্মপ্রান ব্যক্তি এই মসজিদ নির্মাণ করেন।ধারণা করা হয় বাংলা ১১২২ সালে এটি বানানো হয়েছিল।মসজিদের কাছে একটি শিলালিপি পাওয়া যায় এবং তা থেকে এর নির্মাণকাল সম্পর্কে ধারণা করা হয়।লোকমুখে একটি কথা প্রচলিত রয়েছে তা হলো যখন এই মসজিদের সংস্কারকাজে হাত দেওয়ার জন্য ঝোপ-ঝাড় পরিষ্কার করা হচ্ছিলো তখন বড় বড় বিষধর সাপ এর থেকে বেড়িয়ে এসেছিল পরে স্থানীয় হুজুরের কথামত একটি অংশ খুলে দেওয়া হলে সাপগুলো ওই স্থান ত্যাগ করে।[১]

এই মসজিদটি গালুয়া বাজার থেকে এক কিলোমিটার পূর্ব দিকে বড়বাড়ি সংলগ্ন অবস্থিত। মসজিদটি প্রায় তিনশত বছর আগের নির্মিত। মাহমুদজান আকন্দ নামে একজন স্থানীয় প্রভাবশালী ধর্মপ্রাণ মুসলমান বাংলা ১১২২ সালে এটি নির্মাণ করেন। একটি পরিত্যাক্ত শিলাখন্ডে এর তৈরি সাল পাওয়া যায়।এর বাজু বেশ প্রশস্ত। এ মসজিদটি টালি ইটের তৈরি। বর্তমানে মসজিদটি সংস্করণ করা হয়েছে বলে এর ইটগুলো বর্তমানে দেখা যায় না।

স্বাধীনতার প্রাক্কালে মসজিদটি ভেঙ্গে পড়ার  উপক্রম হলে স্থানীয় একজন সমাজ হিতৈষী এফ.এম.এ. কুদ্দুস খান এর প্রচেস্টায় এ মসজিদটি সংস্কার করা হয়। মসজিদটির সামনে বারান্দার অংশ বর্ধিত করা হয়েছে। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকার এ মসজিদটি প্রত্নতত্ত বিভাগের আওতায়  নিয়ে আসে।  সে কারণে সরকার থেকে অর্থ বরাদ্দ হয়ে মসজিদটির সংস্কার  কাজ করা হয়।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "গালুয়া পাকা মসজিদের ইতিহাস"। ২৫ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৬