এম ইন্নাস আলী
এম ইন্নাস আলী | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | ১লা সেপ্টেম্বর, ১৯১৬ |
মৃত্যু | ৩ মে ২০১০ | (বয়স ৯৩)
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
পরিচিতির কারণ | পদার্থবিজ্ঞানী, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা |
এম ইন্নাস আলী (১ সেপ্টেম্বর ১৯১৬ - ৩ মে ২০১০) একজন বাংলাদেশী পদার্থবিজ্ঞানী ও বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা।
শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]
তিনি ১৯৪০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে মাস্টর্সে ১ম শ্রেণীতে ১ম স্থান লাভ করেন।[১][২] ১৯৪৮ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তড়িৎ প্রকৌশলে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিউক্লিয় পদার্থবিজ্ঞানে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।[৩]
কর্মজীবন[সম্পাদনা]
ইন্নাস আলী ১৯৪০ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৪২ সাল পর্যন্ত সেখানে কর্মরত ছিলেন। ১৯৪২ সালে তিনি কলকাতার গভর্নমেন্ট টেস্ট হাউসের টেকনিক্যাল অফিসার হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত এ পদে ছিলেন। ১৯৪৭ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাকে রেডিওতে রিসার্চ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৪৮ থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের জ্যেষ্ঠ্য প্রভাষক, রিডার, অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান পরমাণু শক্তি কমিশনের সদস্য ছিলেন। ১৯৬৮ সালে তিনি পুনরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে যোগ দেন এবং ১৯৭২ সাল পর্যন্ত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর উপাচার্য ছিলেন। ১৯৭৬ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন এর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত তিনি সৌদি আরবের কিং আব্দুল আজিজ ইউনিভার্সিটির নিউক্লিয় প্রকৌশলের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশন ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। ১৯৯৪ সালে নিযুক্ত হন জাতীয় অধ্যাপক। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বিজ্ঞানী ইন্নাস আলীর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। ১৯৫৮ ও ১৯৬৪ সালে জাতিসংঘ আয়োজিত ‘পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার’ সম্মেলনে তিনি তৎকালীন পাকিস্তানের নেতৃত্ব দেন। ১৯৭৪, ’৭৫ ও ’৭৬ সালে তিনি আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সাধারণ সভায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত তিনি অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্সের (ওআইসি) সদস্য ছিলেন। ১৯৯১ সালে থার্ড ওয়ার্ল্ড একাডেমি অব সায়েন্সের ফেলো নির্বাচিত হন বিজ্ঞানী ইন্নাস আলী।
সম্মাননা[সম্পাদনা]
- সিতারা-ই-কায়েদ-এ-আজম, ১৯৬৯
- দায়েমি কমপ্লেক্স শান্তি অ্যাওয়ার্ড, ১৯৮৬
- স্বাধীনতা পদক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ১৯৯১
- আজীবন সম্মাননা, বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমী, ২০০৭
- সম্মানসূচক ফেলোশিপ, বাংলা একাডেমী, ২০০৭
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ http://www.thedailystar.net/newDesign/latest_news.php?nid=23537
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৭ মে ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২২ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১১।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- ১৯১৬-এ জন্ম
- ২০১০-এ মৃত্যু
- বাংলাদেশী বিজ্ঞানী
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ী
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- বাংলাদেশী পদার্থবিজ্ঞানী
- বাংলাদেশী শিক্ষায়তনিক
- বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক
- বাংলা একাডেমির সম্মানিত ফেলো
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
- বনানী কবরস্থানে সমাধিস্থ
- বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির ফেলো
- নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- মৌলানা আজাদ কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- করোনেশন কৃষ্ণপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী