চিতলমারী উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ২২°৪৭′৫″ উত্তর ৮৯°৫২′৭″ পূর্ব / ২২.৭৮৪৭২° উত্তর ৮৯.৮৬৮৬১° পূর্ব / 22.78472; 89.86861
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Bivash Chandra Das (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
৭৪ নং লাইন: ৭৪ নং লাইন:
== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
{{সূত্র তালিকা}}
ইন্টারনেট ও বিভিন্ন বই-পুস্তক ও পত্র‌িকা থেকে তথ্যগুলো সংগ্রহিত।


==বহিঃসংযোগ==
==বহিঃসংযোগ==

১১:৫২, ২ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

চিতলমারী
উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২২°৪৭′৫″ উত্তর ৮৯°৫২′৭″ পূর্ব / ২২.৭৮৪৭২° উত্তর ৮৯.৮৬৮৬১° পূর্ব / 22.78472; 89.86861 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগখুলনা বিভাগ
জেলাবাগেরহাট জেলা
আয়তন
 • মোট১৯২ বর্গকিমি (৭৪ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[১]
 • মোট১,৩৮,৮১০
 • জনঘনত্ব৭২০/বর্গকিমি (১,৯০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৪০ ০১ ১৪
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

চিতলমারী উপজেলা বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।

অবস্থান ও আয়তন

চিতলমারী ২২°৪৬′৫১″ উত্তর ৮৯°৫২′২৬″ পূর্ব / ২২.৭৮০৭১° উত্তর ৮৯.৮৭৩৯০° পূর্ব / 22.78071; 89.87390 ভৌগলিক স্থানাঙ্কে অবস্থিত। এখানে মোট ২৪,৩০৬ পরিবার বসবাস করে এবং এলাকার আয়তন ১৯২ বর্গকিলোমিটার। চিতলমারী উপজেলা উত্তরে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা, দক্ষিণে বাগেরহাট সদর উপজেলাকচুয়া উপজেলা, পুর্বে নাজিরপুর উপজেলা এবং পশ্চিমে মোল্লাহাট উপজেলাফকিরহাট উপজেলা দ্বারা বেষ্টিত। প্রধান নদী মধুমতি, কালিগঙ্গা, চিত্রা এবং বলেশ্বর।

প্রশাসনিক এলাকা

এই উপজেলার ইউনিয়নসমূহ হলো -

  1. কলাতলা ইউনিয়ন
  2. বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন
  3. হিজলা ইউনিয়ন
  4. শিবপুর ইউনিয়ন
  5. চিতলমারী ইউনিয়ন
  6. চরবানিয়ারী ইউনিয়ন এবং
  7. সন্তোষপুর ইউনিয়ন

ইতিহাস

চিতলমারী উপজেলা মধুমতি নদীর দক্ষিন তীরে অবস্থিত। মোল্লারহাট থানাকে ভেঙ্গে ১৯৮১ সালে চিতলমারী থানা গঠন করা হয়। ১৯৮৩ সালের ৭ নভেম্বর উপজেলা হিসেবে অাত্মপ্রকাশ করে। এর আয়তন ২৭৬.৪৫ বর্গ কি.মি.। মোট ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয়। পরবর্তীতে একটি ইউনিয়ন সদর উপজেলার সাথে একিভুত করা হয়। তৎপরবর্তীতে ৭ টি ইউনিয়ন নিয়ে চিতলমারী উপজেলা নামে একটি স্থান উপজেলা করা হয়।

জনসংখ্যার উপাত্ত

শিক্ষা

চিতলমারী উপজেলায় ১০৫টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,২টি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ০২ টি কিমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ০২টি জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়,২৪ টি উচ্চ বিদ্যালয়(সহ শিক্ষা),০৫টি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,০৩টি দাখিল মাদ্রাসা,০১টি অালিম মাদ্রাসা, ০৩টি ফাজিল মাদ্রাসা, ০৩টি কলেজ (সহ শিক্ষা),০১টি মহিলা কলেজ রয়েছে। চিতলমারী উপজেলার শিক্ষার হার ৫৬.২%। পুরুষ ৫৭.৫% মহিলা ৫৪.৯%

অর্থনীতি

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৭৬.২৭%, অকৃষি শ্রমিক ১.৩০%, শিল্প ০.৪৩%, ব্যবসা ১০.৭৬%, পরিবহণও যোগাযোগ ১.৩৯%, চাকরি ৫.৯৪%, নির্মাণ ০.৭১%, ধর্মীয় সেবা ০.৩১%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.২০% এবং অন্যান্য ২.৬৯%।কৃষিভূমির মালিকানাভূমিমালিক ৭৪.১৮%, ভূমিহীন ২৫.৮২%। শহরে ৮৬.৫৭% এবং গ্রামে ৭৪.০৩% পরিবারের কৃষি জমি রয়েছে।প্রধান কৃষি ফলে ধান, গম, পাট, ডাল, শাকসবজি।বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি তামাক, আমন ধান।প্রধান ফল-ফলাদি আম, জাম, কলা, পেঁপে, নারিকেল, সুপারি, তরমুজ।মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামারমৎস্য ৫৪০০ (চিংড়ী), গবাদিপশু ২৪, হাঁস-মুরগি ১০।

কৃতী ব্যক্তিত্ব

মরহুম শের আলী মোল্লা ১৯১৫ সালের ২৩ এপ্রিল চিতলমারী ইউনিয়নের আড়ুয়াবর্নী গ্রামে এক সভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের ফুফু সামছুন্নেছা ওয়াকফ স্টেটের ম্যানেজার ছিলেন। শের আলী মোল্লা একাধিক্রমে ২৪ বছর চিতলমারী ইউনিয়ন বোর্ড ও চিতলমারী ইউনিয়ন পরিষদের প্রেসিডেন্ট ও চেয়ারম্যান ছিলেন। প্রথম জীবনে জেলা পর্যায়ের মুসলীমলীগ নেতা থাকলেও ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেন। তারই নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় চিতলমারী মুক্তাঞ্চল ঘোষিত হয়। তিনি শেরেবাংলা ডিগ্রী কলেজ, বঙ্গবন্ধু মহিলা মহাবিদ্যালয়, চিতলমারী এস,এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯৬ সালের ৩ ডিসেম্বর তারিখে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বিবিধ

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "এক নজরে চিতলমারী,বাগেরহাট"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারী ২০১৫  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ