শ্রীনগর উপজেলা

স্থানাঙ্ক: ২৩°৩২′৮″ উত্তর ৯০°১৭′২৮″ পূর্ব / ২৩.৫৩৫৫৬° উত্তর ৯০.২৯১১১° পূর্ব / 23.53556; 90.29111
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা কুউ পুলক (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৪:১৩, ৬ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

শ্রীনগর
উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২৩°৩২′৮″ উত্তর ৯০°১৭′২৮″ পূর্ব / ২৩.৫৩৫৫৬° উত্তর ৯০.২৯১১১° পূর্ব / 23.53556; 90.29111 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগঢাকা বিভাগ
জেলামুন্সীগঞ্জ জেলা
আয়তন
 • মোট২০২.৯৮ বর্গকিমি (৭৮.৩৭ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[১]
 • মোট২,৫৯,৮৮৭
 • জনঘনত্ব১,৩০০/বর্গকিমি (৩,৩০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৪৯.৫%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৩০ ৫৯ ৮৪
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

শ্রীনগর বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জ জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা

অবস্থান

উত্তরে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা এবং সিরাজদীখান উপজেলা, পূর্বে সিরাজদীখান উপজেলা, পশ্চিমে পদ্মা নদী, ঢাকা জেলার দোহার উপজেলা, দক্ষিণে পদ্মা নদী এবং লৌহজং উপজেলা

প্রশাসনিক এলাকা

শ্রীনগর উপজেলা প্রতিষ্ঠার তারিখ ১২ আগস্ট ১৯৮৩। উপজেলার আয়তন ২০২ বর্গ কি: মি:। ইউনিয়নের সংখ্যা ১৪টি । গ্রাম : ১৪৭টি, মৌজা ১০২টি, ওয়ার্ড/গ্রাম সরকার ১২৬টি ।

ইউনিয়নগুলো হলোঃ

শ্রীনগর, শ্যামসিদ্ধি, ষোলঘর, কুকুটিয়া, তন্তর, আটপাড়া, রাঢ়ীখাল, ভাগ্যকুল, বাঘড়া, কোলাপাড়া, পাটাভোগ, হাসাড়া, বীরতারা, বাড়ৈখালী

ইতিহাস

শ্রীনগররের প্রাচীন নাম রায়েসবর। নবাব মীর কাসিম কর্তৃক নিযুক্ত বাংলা বিহার উড়িশ্যার গভর্নর লালা কীর্তিনারায়ণ বসু রায়েসবরের শ্রীবৃদ্ধি করে এর নামকরণ করেন শ্রীনগর। তিনি শ্রীনগর তথা বিক্রমপুরে একটি মনোরম প্রাসাদ নির্মাণ করেন যা বর্তমানে শ্রীনগর পাইলট স্কুল ভবন হিসেবে পরিচিত। শ্রীনগররের সাংষ্কৃতিক অঙ্গন প্রাচীন কাল হতেই সরগরম। এখানে যাত্রা, থিয়েটর,পালাগান, জারিগান, সারিগাণ,প্রাচীন কাল হতেই প্রচলিত। উপমহাদেশ খ্যাত শ্রীনগরের রথযাত্রার উৎসবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জনসমাবেশ ঘটত। নিপুণ কারুকার্য খচিত কাঠ ও টিনের মনোরম ঘরবাড়ি এবং আসবাবপত্র তৈরি এ অঞ্চলের প্রধান ঐতিহ্য। কাঠের কারুকার্যময় পানসি নৌকা, মাটির তৈরি নানা রকম খেলনা, পুতুল,হাড়ি-পাতিল প্রভৃতির জন্য এ অঞ্চল বিখ্যাত। শ্রীনগর তাঁতশিল্প দেশের অন্যতম ঐতিহ্য।এছাড়া শ্রীনগরে তৈরি তামা কাসার জিনিসপত্র বিখ্যাত।

জনসংখ্যার উপাত্ত

  • লোক সংখ্যা : ২,৫৯,৮৮৭ জন ।
  • পুরুষ : ১,২৭,৩৭৪ জন ।
  • মহিলা : ১,৩২,৫১৩ জন ।
  • পরিবার সংখ্যা : ৩৬,৩৪৪টি ।
  • শিশু মৃত্যুর হার : ৩.৩৩ জন (প্রতি হাজারে) ।
  • জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার : ২.০১% ।

শিক্ষা

  • সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় : ৯২টি
  • বেসরকারী রেজিঃ: প্রাথমিক বিদ্যালয় : ৪টি
  • নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় : ১টি
  • মাধ্যমিক বিদ্যালয় : ২১টি
  • মহাবিদ্যালয় : ৪টি
  • মাদ্রাসা : ৫টি
  • ভোকেশনাল ইনস্টিটিউশন : ১টি
  • শিক্ষার হার : ৪৯.৫%

অর্থনীতি

বেশিরভাগ প্রবাসী মানুষদের হতে আয়। এছাড়া ব্যবসা, কৃষিও রয়েছে।

কৃতী ব্যক্তিত্ব

দর্শনীয় স্থান

বিবিধ

  • সরকারী উপজেলা হাসপাতাল : ১টি,
  • পাকা রাস্তা : ৮.০০ কি: মি:,
  • কাঁচা রাস্তা : ১৫৫.০০ কি: মি:,
  • মোট জমির পরিমাণ : ১,৫৯,৩১২.৫৩ একর,
  • কৃষি জমির পরিমাণ : ১,৫১,৭০৪.৯৩ একর,
  • খেয়া ঘাট/ নৌকা ঘাট : ৩টি,
  • হাট বাজার : ২৬টি,
  • ডাকঘর : ২১টি,
  • মসজিদ : ৩৬৯টি,
  • মন্দির : ৫৫টি।
  • নদ-নদী:২টি।
  • ব্যাংক শাখা:১৬টি।
  • টেলিফোন এক্সচেঞ্জ:১টি।
  • ক্ষুদ্র কুটির শিল্প:২৮টি।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে শ্রীনগর"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২০ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই, ২০১৫  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ