বিষয়বস্তুতে চলুন

হাঁসাড়া ইউনিয়ন

স্থানাঙ্ক: ২৩°৩২′১০″ উত্তর ৯০°১৭′৩৬″ পূর্ব / ২৩.৫৩৬১১° উত্তর ৯০.২৯৩৩৩° পূর্ব / 23.53611; 90.29333
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(হাসাড়া ইউনিয়ন থেকে পুনর্নির্দেশিত)
হাঁসাড়া ইউনিয়ন
ইউনিয়ন
হাঁসাড়া ইউনিয়ন পরিষদ
ডাকনাম: হাঁসাড়া
হাঁসাড়া ইউনিয়ন ঢাকা বিভাগ-এ অবস্থিত
হাঁসাড়া ইউনিয়ন
হাঁসাড়া ইউনিয়ন
হাঁসাড়া ইউনিয়ন বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
হাঁসাড়া ইউনিয়ন
হাঁসাড়া ইউনিয়ন
বাংলাদেশে হাঁসাড়া ইউনিয়নের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৩°৩২′১০″ উত্তর ৯০°১৭′৩৬″ পূর্ব / ২৩.৫৩৬১১° উত্তর ৯০.২৯৩৩৩° পূর্ব / 23.53611; 90.29333 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগঢাকা বিভাগ
জেলামুন্সীগঞ্জ জেলা
উপজেলাশ্রীনগর উপজেলা উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
প্রতিষ্ঠা১৯৮৯ সাল
আয়তন
 • মোট১৫.২৯২ বর্গকিমি (৫.৯০৪ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী)
 • মোট২২,৮০৮জন
সাক্ষরতার হার
 • মোট৮১.৪৪
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড১৫৫৩
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
মানচিত্র
মানচিত্র

হাঁসাড়া ইউনিয়ন হলো বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলার অন্তর্গত শ্রীনগর উপজেলার একটি ইউনিয়নমুন্সিগঞ্জ জেলা ১৯৮৪ সালে ঢাকা জেলা থেকে বিভক্ত হয়ে গঠিত হয় এবং তখন থেকেই ইউনিয়নটি প্রশাসনিক কাঠামোর অংশ।

ভৌগোলিক অবস্থান

[সম্পাদনা]

হাঁসাড়া ইউনিয়ন বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার অন্তর্গত একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের পূর্বে বীরতারা ইউনিয়ন, পশ্চিমে বাড়ৈখালী ইউনিয়ন, দক্ষিণে ষোলঘর ইউনিয়ন এবং উত্তরে কেয়াইন ইউনিয়ন অবস্থিত। ইউনিয়নের মোট আয়তন ১৫.২৯২ বর্গকিলোমিটার (৩,৭০৯ একর) এবং সর্বশেষ জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী এখানকার জনসংখ্যা ২২,৮০৮ জন এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রায় ১,৪৯২ জন প্রতি বর্গ কিলোমিটার।[][][]

ইউনিয়নটিতে মোট তিনটি গ্রাম ও তিনটি মৌজা রয়েছে— হাঁসাড়া, লস্করপুর ও আলমপুর।[] প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৯৮৯ সালে হাঁসাড়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবন প্রতিষ্ঠা করা হয়।[] ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে হাঁসাড়া কালী কিশোর স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন হাঁসাড়া ডাকঘর এবং হাঁসাড়া হাইওয়ে থানা

হাঁসাড়া ইউনিয়নের ভৌগোলিক গুরুত্ব বহু গুণে বৃদ্ধি পেয়েছে কারণ ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে ও সমান্তরাল রেলপথ ইউনিয়নের বুক চিড়ে অতিক্রম করেছে। ফলে এই ইউনিয়নটি ঢাকামাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মধ্যবর্তী একটি কৌশলগত স্থান হিসেবে বিবেচিত। ঢাকা শহর থেকে হাঁসাড়া ইউনিয়নের দূরত্ব মাত্র ২০ কিলোমিটার, যা ইউনিয়নটিকে রাজধানীর সঙ্গে সহজ, দ্রুত এবং কার্যকর যোগাযোগের সুযোগ করে দিয়েছে।

যোগাযোগ ব্যবস্থার দিক থেকে হাঁসাড়া অত্যন্ত সুবিধাজনক। ইছাপুরা থেকে সিংপাড়া হয়ে বীরতারা ইউনিয়ন অতিক্রম করে চৌধুরী রোড দিয়ে সরাসরি হাঁসাড়া ইউনিয়নে যাতায়াত করা যায়। এছাড়া বাড়ৈখালী ইউনিয়নশেখরনগর থেকে নিয়মিত বাস চলাচলের মাধ্যমে হাঁসাড়া হয়ে সহজেই ঢাকায় যাতায়াত সম্ভব। নিমতলা এবং শ্রীনগর উপজেলা সদর থেকেও সহজে হাঁসাড়ায় পৌঁছানো যায়।

এই ইউনিয়নের একটি উল্লেখযোগ্য ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য হলো— আড়িয়াল বিলের একটি অংশ এই ইউনিয়নের আওতাভুক্ত।[] ফলে এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য অনেক সমৃদ্ধ এবং কৃষিনির্ভর জীবিকায় বিলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে বিভিন্ন খাল ও জলাভূমি প্রবাহিত হওয়ায় সেচ ও মাছ চাষেও এটি সহায়ক ভূমিকা রাখে।[]

হাঁসাড়া ইউনিয়নের প্রধান তিনটি গ্রাম হলো হাঁসাড়া, লস্করপুর ও আলমপুর, যেগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে ইউনিয়নের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।[]

এই প্রাকৃতিক সম্পদসমূহ ও ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের কারণে হাঁসাড়া ইউনিয়ন মুন্সিগঞ্জ জেলার শিক্ষা, কৃষি ও পরিবেশ রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত।

জনসংখ্যার উপাত্ত

[সম্পাদনা]

২০২২ সালের জনগণনা অনুযায়ী, হাঁসাড়া ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ২২,৮০৮ জন, যার মধ্যে ১০,৬৯৭ জন পুরুষ এবং ১২,১১১ জন মহিলা। মোট গৃহস্থালী সংখ্যা ৫,৫৮৬ টি। এদের মধ্যে সাধারণ গৃহস্থালী ৫,৫৫২ টি, প্রাতিষ্ঠানিক গৃহস্থালী ১২ টি এবং অন্যান্য গৃহস্থালী ২২ টি। এছাড়াও, ৩টি ভাসমান গৃহস্থালীতে মোট ৩ জন মানুষ বসবাস করেন।[১][২]

শিক্ষা

[সম্পাদনা]

হাঁসাড়া ইউনিয়নের শিক্ষাব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে উন্নত। ২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী, ৭ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর মধ্যে গড় সাক্ষরতার হার ৮১.৪৪%। এর মধ্যে পুরুষের সাক্ষরতার হার ৮২.৪৩% এবং নারীর ৮০.৫৮%। ইউনিয়নের ৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৬,৩৪৯ জন; এর মধ্যে ৩,১৫৩ জন পুরুষ এবং ৩,১৯৬ জন নারী।[৩]

৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর শিক্ষাক্ষেত্র অনুযায়ী বণ্টন নিম্নরূপ:

  • সাধারণ শিক্ষা: ১৫,৪১৯ জন
  • কারিগরি শিক্ষা: ২৯৯ জন
  • ধর্মীয় শিক্ষা: ১,৫৬৭ জন
  • অন্যান্য: ১২৬ জন

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

[সম্পাদনা]

হাঁসাড়া ইউনিয়নে মোট সাতটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে:[]

হাঁসাড়া ইউনিয়নের প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহের তালিকা
বিদ্যালয়ের নাম গ্রাম শ্রেণী প্রতিষ্ঠার সাল
১০নং পূর্ব হাঁসাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হাঁসাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
১১নং মধ্য হাঁসাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হাঁসাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
১২নং ঢালী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হাঁসাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
লস্করপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় লস্করপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
১নং আলমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আলমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
২নং আলমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আলমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
সোনারগাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আলমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়

[সম্পাদনা]
হাঁসাড়া ইউনিয়নের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের তালিকা
বিদ্যালয়ের নাম বিবরণ অবস্থান প্রতিষ্ঠার তারিখ
হাঁসাড়া কালী কিশোর স্কুল এন্ড কলেজ মুন্সিগঞ্জ জেলার প্রথম প্রাচীন ও সুপরিচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। হাঁসাড়া, হাঁসাড়া ইউনিয়ন ২৬ মে, ১৮৭৯
আলমপুর হোসেন আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আলমপুর, হাঁসাড়া ইউনিয়ন উল্লেখ নেই
লন্ডন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল একটি ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়। হাঁসাড়া, হাঁসাড়া ইউনিয়ন ২০২৩

[][][১০]

ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানসমূহ

[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার হাঁসাড়া ইউনিয়নের হাঁসাড়া, লস্করপুরআলমপুর গ্রামসমূহে ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ একটি জনপদ। এ অঞ্চলে বহু বছর ধরে ইসলাম ও হিন্দুধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠী সহাবস্থানে বসবাস করে আসছেন। তাদের ধর্মীয় চর্চা, শিক্ষা ও সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা, ঈদগাহ মাঠ, মন্দির, কবরস্থান এবং শ্মশান। এসব প্রতিষ্ঠান শুধু ধর্মীয় চর্চার কেন্দ্র নয়, বরং সামাজিক সহাবস্থান ও ঐতিহ্যের ধারকও বটে।

মসজিদসমূহ:

[সম্পাদনা]

হাঁসাড়া ইউনিয়নে মোট ৩২টি মসজিদ রয়েছে, যা ধর্মীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা এবং ইসলামি শিক্ষার প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এসব মসজিদে নিয়মিত নামাজ, জুমার খুতবা, ইসলামি আলোচনা ও ধর্মীয় শিক্ষার বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। মসজিদগুলো সাধারণত স্থানীয় জনগণের আর্থিক অনুদানে পরিচালিত হয় এবং এলাকাবাসীর সক্রিয় অংশগ্রহণে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। ইউনিয়নের সামাজিক ও ধর্মীয় জীবনে এসব মসজিদের প্রভাব গভীর ও সুদূরপ্রসারী।[১১][]

হাঁসাড়া ইউনিয়নের মসজিদ সমূহের তালিকা
ক্রমিক মসজিদের নাম গ্রাম/ওয়ার্ড প্রতিষ্ঠার সাল
পূর্ব হাঁসাড়া বাইতুন নূর শাহী জামে মসজিদ হাঁসাড়া
বায়তুল আমান জামে মসজিদ হাঁসাড়া
বাইতুন নাজাত জামে মসজিদ হাঁসাড়া
চৌধুরী রোড বায়তুল হাসান জামে মসজিদ হাঁসাড়া
বেপারীপাড়া জামে মসজিদ হাঁসাড়া
সোনাকান্দা জামে মসজিদ হাঁসাড়া
নাগেরপাড়া আল-আমিন জামে মসজিদ হাঁসাড়া
সি এন্ড বি জামে মসজিদ হাঁসাড়া
পশ্চিম হাঁসাড়া দক্ষিণপাড়া মদিনা জামে মসজিদ পশ্চিম হাঁসাড়া
১০ আনসার ক্লাব জামে মসজিদ হাঁসাড়া
১১ পশ্চিম হাঁসাড়া মাঝিপাড়া জামে মসজিদ পশ্চিম হাঁসাড়া
১২ পূর্ব দক্ষিণ হাঁসাড়া মদিনা জামে মসজিদ পূর্ব দক্ষিণ হাঁসাড়া
১৩ বিশ্বরোড জামে মসজিদ পূর্ব হাঁসাড়া
১৪ আলমগাজী দিঘীরপাড় জামে মসজিদ হাঁসাড়া
১৫ আত-তাক্ওয়া জামে মসজিদ হাঁসাড়া
১৬ দক্ষিণ হাঁসাড়া এসি জামে মসজিদ দক্ষিণ হাঁসাড়া
১৭ কেন্দ্রীয় ঈদগাঁহ জামে মসজিদ হাঁসাড়া
১৮ নয়াপাড়া শাহী জামে মসজিদ হাঁসাড়া
১৯ আকন বাড়ী জামে মসজিদ লস্করপুর
২০ টেকপাড়া জামে মসজিদ লস্করপুর
২১ পাঠানবাড়ী জামে মসজিদ লস্করপুর
২২ চেয়ারম্যান বাড়ী জামে মসজিদ দক্ষিণ লস্করপুর
২৩ শমের পুকুর পাড় জামে মসজিদ লস্করপুর
২৪ ঢালীবাড়ী জামে মসজিদ লস্করপুর
২৫ খানবাড়ী জামে মসজিদ লস্করপুর
২৬ ঘনশ্যামপুর জামে মসজিদ ঘনশ্যামপুর
২৭ মৃধা বাড়ী জামে মসজিদ আলমপুর
২৮ দেওয়ান বাড়ী জামে মসজিদ আলমপুর
২৯ ডেপুটি বাড়ী জামে মসজিদ আলমপুর
৩১ দেওয়ান হাটি জামে মসজিদ আলমপুর
৩২ মোশাররফ ডাঃ বাড়ী জামে মসজিদ আলমপুর

মাদ্রাসাসমূহ:

[সম্পাদনা]

হাঁসাড়া ইউনিয়নে মোট ১০টি মাদ্রাসা রয়েছে, যা ধর্মীয় শিক্ষার প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এসব মাদ্রাসায় কুরআন, হাদীস, ফিকহ ও ইসলামি শিক্ষার বিভিন্ন শাখায় পাঠদান করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত স্থানীয় জনগণের দানে পরিচালিত হয় এবং অনেক মাদ্রাসায় আবাসিক শিক্ষার ব্যবস্থাও রয়েছে। এ মাদ্রাসাগুলো ইউনিয়নের ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষাব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।[১১][]

হাঁসাড়া ইউনিয়নের মাদ্রাসা সমূহের তালিকা
ক্রমিক মাদ্রাসার নাম গ্রাম/ওয়ার্ড মাদ্রাসার ধরণ প্রতিষ্ঠার সাল
জামিয়া আশরাফিয়া মাদ্রাসা হাঁসাড়া কওমি
আবেদিয়া মহিলা মাদ্রাসা হাঁসাড়া মহিলা কওমি
মাহমুদা খাতুন মহিলা মাদ্রাসা হাঁসাড়া মহিলা কওমি
আল-ইহসান মাদ্রাসা হাঁসাড়া কওমি
আজিজিয়া মাদ্রাসা লস্করপুর কওমি
লস্করপুর আলিয়া মাদ্রাসা লস্করপুর আলিয়া (সরকারি)
শ্রীধরপুর মাদ্রাসা শ্রীধরপুর কওমি
দারুস সালাম মাদ্রাসা লস্করপুর কওমি
শামসুল উলুম মাদ্রাসা লস্করপুর কওমি
১০ মানছুরিয়া মহিলা মাদ্রাসা আলমপুর মহিলা কওমি

ঈদগাহ মাঠ:

[সম্পাদনা]

হাঁসাড়া ইউনিয়নে মোট ৪টি ঈদগাহ মাঠ রয়েছে, যেখানে ঈদুল ফিতরঈদুল আজহার জামাত নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হয়। এসব ঈদগাহ মাঠ স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত। প্রতিটি ঈদগাহ মাঠ স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পরিচালিত হয় এবং ঈদের দিনগুলোতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে ব্যবহার করা হয়।[][১১]

হাঁসাড়া ইউনিয়নের ঈদগাহ মাঠসমূহের তালিকা
ক্র. ঈদগাহ মাঠের নাম অবস্থান (গ্রাম/মহল্লা) সংশ্লিষ্ট সমাজ / কমিউনিটি বৈশিষ্ট্য / তথ্য নোট
হাঁসাড়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ হাঁসাড়া বি. রহমান সাহেবের বাড়ি সংলগ্ন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, বহু সমাজের অংশগ্রহণ ইউনিয়নের অন্যতম প্রধান ও পুরনো ঈদগাহ বৃহৎ আয়োজন হয়
লস্করপুর ক্বারী সাহেব হুজুরের মাদ্রাসা ঈদগাহ মাঠ লস্করপুর প্রায় ৯টি সমাজের সম্মিলিত আয়োজন মাদ্রাসার মাঠে আয়োজিত, অত্যন্ত বড় ও সম্মিলিত ঈদগাহ পরিচিত ও ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহ
আলমপুর দক্ষিণপাড় ঈদগাহ মাঠ আলমপুর দক্ষিণ পাড় ৩টি সমাজের যৌথ ব্যবস্থাপনা স্থানীয় পর্যায়ের ঈদগাহ, দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত স্থায়ী ব্যবস্থাপনা রয়েছে
আলমপুর দারুস সালাম কওমিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ঈদগাহ মাঠ আলমপুর, ঘনশ্যামপুর মির্ধাবাড়ী মির্ধাবাড়ী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংশ্লিষ্ট সমাজ ২০২৫ সালে প্রথমবার ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়, মাদ্রাসার মাঠ ব্যবহৃত হয়েছে নতুন ঈদগাহ হিসেবে চালু

কবরস্থানসমূহ:

[সম্পাদনা]

হাঁসাড়া ইউনিয়নে মোট ৫টি কবরস্থান (গোরস্থান) রয়েছে, যেখানে স্থানীয় মুসলিম জনগোষ্ঠীর মৃতদেহ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়। এসব কবরস্থান ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে অবস্থিত এবং এলাকাবাসীর সহযোগিতায় রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়ে থাকে। ধর্মীয় ও সামাজিক গুরুত্ব বিবেচনায় কবরস্থানসমূহ স্থানীয় মানুষের জীবনধারার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচিত।[][১০]

হাঁসাড়া ইউনিয়নের কবরস্থানসমূহের তালিকা
ক্র. কবরস্থানের নাম অবস্থান সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান / এলাকা বৈশিষ্ট্য / তথ্য নোট
জান্নাতুল ফেরদৌস কেন্দ্রীয় কবরস্থান হাঁসাড়া আশ্রাফিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মুন্সিগঞ্জ জেলার অন্যতম সুন্দর ও সুপরিচিত কেন্দ্রীয় কবরস্থান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও প্রধান সড়ক নিকটবর্তী
জান্নাতুল বাকি কেন্দ্রীয় কবরস্থান হাঁসাড়া মাঝিপাড়া স্থানীয় সমাজ দ্বারা পরিচালিত পুরনো ও সম্মানিত কবরস্থান, ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় কবরস্থান বৃহৎ এলাকা জুড়ে বিস্তৃত

হাট-বাজার

[সম্পাদনা]

হাঁসাড়া বাজার

[সম্পাদনা]

হাঁসাড়া বাজার বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার হাঁসাড়া ইউনিয়নের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র। বাজারটি ঢাকা–মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে, হাঁসাড়া–বাড়ৈখালী সড়ক এবং স্থানীয় ধর্মীয় স্থাপনার সংযোগস্থলে অবস্থিত। দক্ষিণ পাশে সিএমবি জামে মসজিদ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের একাধিক মন্দির রয়েছে যেখানে নিয়মিত কীর্তনের আয়োজন হয়। পশ্চিম পাশে একটি খোলা মাঠ রয়েছে, যেখানে যুবসমাজ খেলাধুলা করে থাকে। এই বাজারে কৃষিপণ্য, মাছ, শাকসবজি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়-বিক্রয় হয়, যা স্থানীয় অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।[১২]

হাঁসাড়া মৎস্য আড়ৎ

[সম্পাদনা]

হাঁসাড়া বাজারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো সক্রিয় মৎস্য আড়ৎ। এখানে আড়িয়াল বিল, পদ্মা নদী এবং আশপাশের জলাশয় থেকে প্রতিদিন তাজা মাছ সরবরাহ করা হয়। বিশেষ করে পদ্মার ইলিশ ও দেশি প্রজাতির মাছ যেমন ট্যাংরা, শিং, পুঁটি, রুই, কাতলা ইত্যাদি পাওয়া যায়। আড়ৎটি ফজরের নামাজের সময় শুরু হয় এবং সকালের মধ্যেই ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন হয়। এখান থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাছ সরবরাহ করা হয়।

আলমপুর বাজার

[সম্পাদনা]

আলমপুর বাজার হাঁসাড়া বাজারের পশ্চিমে হাঁসাড়া–বাড়ৈখালী সড়কের পাশে অবস্থিত একটি মাঝারি আকারের বাজার। এটি আড়িয়াল বিল সংলগ্ন হওয়ায় প্রতিদিন ভোরে দেশি মাছ এবং মৌসুমি শাকসবজি এখানে সরবরাহ করা হয়। পশ্চিম পাশে বাড়ৈখালী ইউনিয়ন পরিষদ অবস্থিত। বাজারটি স্থানীয় কৃষি ও মৎস্যপণ্য বিপণনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।[১২]

দর্শনীয় স্থান

[সম্পাদনা]

হাঁসাড়া কালী কিশোর স্কুল এন্ড কলেজ

[সম্পাদনা]

হাঁসাড়া কালী কিশোর স্কুল এন্ড কলেজ মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি ১৮৭৯ সালের ২৬ মে জমিদার কালী কিশোর সেন চৌধুরী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি বিদ্যালয়ের জন্য তার ব্যক্তিগত সম্পত্তি উইল করেন। ১৯১৫ সালে এটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি লাভ করে এবং ২০১৪ সালে কলেজে রূপান্তরিত হয়। বর্তমানে তিনতলা বিশিষ্ট ভবন, ছয়টি পুকুর, একটি খেলার মাঠ, বিজ্ঞানাগার, কম্পিউটার ল্যাব, পাঠাগার ও নামাজঘরসহ একটি পূর্ণাঙ্গ ক্যাম্পাস রয়েছে। শিক্ষার্থীরা নিয়মিতভাবে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।[১৩]

আলম গাজীর দরগা

[সম্পাদনা]

আলম গাজীর দরগা হাঁসাড়া ইউনিয়নের একটি ঐতিহাসিক ধর্মীয় স্থান। এটি হাঁসাড়ার দরগা নামেও বেশ পরিচিত। হযরত শাহ আলম গাজী ১৭২১ সালে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে এই অঞ্চলে আগমন করেন এবং এখানে একটি মাজার প্রতিষ্ঠা করেন। দরগার পাশে একটি বৃহৎ দিঘি রয়েছে। জনশ্রুতি অনুসারে, পূর্বে বিবাহের সময় প্রয়োজনীয় সামগ্রী দরগা থেকে সরবরাহ করা হতো।[১৪][১৫]

তারা মসজিদ

[সম্পাদনা]

তারা মসজিদ হাঁসাড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে অবস্থিত একটি প্রাচীন ধর্মীয় স্থাপনা। ১৮১২ সালে নির্মিত এই মসজিদের মিনারটি শ্রীনগর উপজেলার সর্ববৃহৎ মিনার হিসেবে পরিচিত। পূর্বে অনেক দূর-দূরান্ত থেকে মুসল্লিরা এখানে জুমার নামাজ আদায় করতে আসতেন।[১৪]

পালের বাড়ি

[সম্পাদনা]

পালের বাড়ি একটি প্রাচীন হিন্দু স্থাপত্যনির্ভর ভবন, যা পাল বংশীয় একটি প্রভাবশালী পরিবারের ঐতিহ্য বহন করে। এর নির্মাণশৈলীতে ব্রিটিশ আমলের প্রভাব রয়েছে। বাড়িটির উচ্চ ছাদ, খোদাইকৃত কাঠের দরজা-জানালা এবং প্রশস্ত বারান্দা এখনও ঐতিহাসিক স্মারক হিসেবে টিকে আছে। এটি ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রস্থল ছিল।

জনসংখ্যা ও গৃহসংখ্যা

[সম্পাদনা]

২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী হাঁসাড়া ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ছিল ২২,৮০৮ জন; এর মধ্যে পুরুষ ১০,৬৯৭ জন এবং নারী ১২,১১১ জন। ইউনিয়নে মোট গৃহস্থালী সংখ্যা ছিল ৫,৫৮৬টি। গৃহস্থালীগুলোর বণ্টন নিচে দেওয়া হলো:

গৃহস্থালীর ধরন সংখ্যা
সাধারণ গৃহস্থালী ৫,৫৫২টি
প্রাতিষ্ঠানিক গৃহস্থালী ১২টি
অন্যান্য গৃহস্থালী ২২টি
ভাসমান গৃহস্থালী ৩টি (৩ জন)

* তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (২০২২)[১৬]

গড় গৃহস্থালী আকার

[সম্পাদনা]

গড় গৃহস্থালী সদস্য সংখ্যা ছিল ৪.১১ জন।

গৃহস্থালী সদস্যসংখ্যা অনুযায়ী বণ্টন

[সম্পাদনা]
সদস্য সংখ্যা গৃহস্থালীর সংখ্যা
১ জন ২০৭টি
২ জন ৬৭৬টি
৩ জন ১,০৯৩টি
৪ জন ১,৫৭৪টি
৫ জন ১,০৩৯টি
৬ জন ৪৭১টি
৭ জন ১৮১টি
৮ জন ৯০টি
৯ জন ৬৩টি
১০ জন ২২টি
১০+ জন ৩৬টি

* তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (২০২২)[১৬]

ধর্মীয় বিভাজন

[সম্পাদনা]

ইউনিয়নের ধর্মীয় বণ্টন নিচে উপস্থাপিত হলো:

ধর্ম জনসংখ্যা শতকরা হার
ইসলাম ১৮,৯৬১ জন ৮৩.১৩%
হিন্দু ৩,৮৪৩ জন ১৬.৮৫%
খ্রিস্টান ৩ জন
বৌদ্ধ ০ জন
অন্যান্য ১ জন

* তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (২০২২)[১৬]

বৈবাহিক অবস্থা (১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব)

[সম্পাদনা]

১৫ বছর বা তদূর্ধ্ব জনগণের মধ্যে বৈবাহিক অবস্থার বিবরণ:

অবস্থা জনসংখ্যা
মোট ১৮,৭০৭ জন
অবিবাহিত ৫,৭৯৮ জন
বর্তমানে বিবাহিত ১১,৫৬৫ জন
বিধবা/বিপত্নীক ১,২২৫ জন
তালাকপ্রাপ্ত ৬২ জন
আলাদা থাকা ৫৭ জন

* তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (২০২২)[১৬]

কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক অবস্থা

[সম্পাদনা]

সাধারণ চিত্র

[সম্পাদনা]
সূচক সংখ্যা শতাংশ (%)
কর্মক্ষম জনসংখ্যা (৫+ বছর) ২০,৯১৫
কর্মরত ৫,৯১৪ ২৮.২৭%
গৃহস্থালি কাজ ৬,৩১৫ ৩০.১৯%
কাজ খুঁজছেন ৫২৭ ২.৫২%
কাজ করেন না ৮,১৫৯ ৩৯.০১%

* তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (২০২২)[১৬]

পেশাভিত্তিক বণ্টন (কর্মরতদের মধ্যে)

[সম্পাদনা]
পেশা সংখ্যা শতাংশ (%)
কৃষি ৩,৩৪৭ ৫৬.৬০%
শিল্প ৮৫৩ ১৪.৪২%
সেবা ১,৭১৪ ২৮.৯৮%

* তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (২০২২)[১৬]

শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ হার

[সম্পাদনা]
শ্রেণি হার (%)
মোট ৩৭.৭৮%
পুরুষ ২৩.৯০%
মহিলা ৫৪.৩৩%
১৫–১৯ বছর (পুরুষ: ১৬.৮৩%, মহিলা: ২৭.৮৭%) ২১.৫৩%
২০–২৪ বছর (পুরুষ: ৩০.৪৩%, মহিলা: ৭৩.৮১%) ৫১.৩২%

* তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (২০২২)[১৬]

প্রবাস ফেরত

[সম্পাদনা]
বিবরণ হার (%)
গত দুই বছরে প্রবাস ফেরত (স্থায়ীভাবে) ২০.৫৫%

প্রযুক্তি ও যোগাযোগ

[সম্পাদনা]
সূচক হার (%)
মোবাইল ফোন ব্যবহার (৫+ বছর) ৫৯.২৯%
মোবাইল ফোন ব্যবহার (১৫+ বছর) ৭৬.৫৯%
ইন্টারনেট ব্যবহার (৫+ বছর) ৪০.৮৩%
ইন্টারনেট ব্যবহার (১৫+ বছর) ৫০.৬৭%

* তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (২০২২)[১৬]

আর্থিক অন্তর্ভুক্তি (১৫+ বছর)

[সম্পাদনা]
সূচক হার (%)
ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানে হিসাব ও লেনদেন ২৯.৭৬%
মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহারকারী ৩২.৬২%

* তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (২০২২)[১৬]

বসতবাড়ির বৈশিষ্ট্য

[সম্পাদনা]

ঘরের গঠন

[সম্পাদনা]
ধরণ হার (%)
পাকা ২২.৩৩%
আধা-পাকা ১২.২৭%
কাঁচা ৬৫.৪০%

মেঝের উপাদান

[সম্পাদনা]
উপাদান হার (%)
সিমেন্ট/ইট ৩৫.৭৯%
কাঠ/বাঁশ/পাতা ৪৪.৮৭%
কাদা/মাটি ১৬.১৬%

দেয়ালের উপাদান

[সম্পাদনা]
উপাদান হার (%)
টিন ৭৬.৬০%
ইট/সিমেন্ট ২০.০৫%

ছাদের উপাদান

[সম্পাদনা]
উপাদান হার (%)
টিন ৮৩.২৭%
কংক্রিট/সিমেন্ট ১৬.৫৩%

মালিকানা

[সম্পাদনা]
অবস্থা হার (%)
নিজের বসতবাড়ি ৮৮.৪৫%
ভাড়ায় থাকলেও অন্যত্র নিজের বসতবাড়ি আছে ৫.৯৮%

* তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (২০২২)[১৬]

পানির উৎস

[সম্পাদনা]
উৎস হার (%)
নলকূপ (গভীর/অগভীর) ৯৯.৯৮%
বোতলজাত/জার পানি ০.০২%

* তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (২০২২)[১৬]

স্যানিটেশন

[সম্পাদনা]
সূচক হার (%)
নিরাপদ ফ্লাশ ল্যাট্রিন ৮১.৭২%
খোলা শৌচকর্ম ০.৫৪%
পৃথক হাত ধোয়ার ব্যবস্থা (সাবান ও পানি) ৮১.৩৪%

* তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (২০২২)[১৬]

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

[সম্পাদনা]

বিদ্যুৎ সংযোগ

[সম্পাদনা]
উৎস হার (%)
জাতীয় গ্রিড ৯৯.৮৪%
সোলার পাওয়ার ০.০২%
বিদ্যুৎ বিহীন ০.১৪%

* তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (২০২২)[১৬]

রান্নার জ্বালানি

[সম্পাদনা]
উৎস হার (%)
কাঠ/চেরা কাঠ ৭৫.৯৪%
এলপিজি গ্যাস ১৮.৪৩%
খড়/পাতা/ছোবড়া ৩.৫৩%

* তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (২০২২)[১৬]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "শ্রীনগর উপজেলা"বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৯ 
  2. "Hasara Union, Munshiganj"www.thebangladesh.net। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-৩০ 
  3. "হাঁসাড়া ইউনিয়ন পরিষদ (বার্ষিক রিপোর্ট)" (পিডিএফ)hasharaup.munshiganj.gov.bd। ২০২১-০৫-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৬-০১ 
  4. "আড়িয়াল বিল - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-৩০ 
  5. "বর্ষায় আড়িয়াল বিল ভ্রমণ"। ৪ অক্টো ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  6. "হাঁসাড়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম সমূহ"hasharaup.munshiganj.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৭-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-৩০ 
  7. "সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়"hasharaup.munshiganj.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-৩০ 
  8. "হাঁসাড়া ইউনিয়নের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নামের তালিকা"hasharaup.munshiganj.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-৩০ 
  9. "অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তালিকা"sreenagar.munshiganj.gov.bd 
  10. "হাসাড়া ইউনিয়ন"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৯ 
  11. "হাঁসাড়া ইউনিয়নের মসজিদ মাদ্রাসা সমূহের তালিকা"hasharaup.munshiganj.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৬-০১ 
  12. "হাঁসাড়া ইউনিয়নের হাট বাজার"hasharaup.munshiganj.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৬-০১ 
  13. "১৪৬ বছর পার করলো হাঁসাড়া কালী কিশোর স্কুল এন্ড কলেজ"আমার বিক্রমপুর (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-৩০ 
  14. "হাঁসাড়া ইউনিয়নে দর্শনীয় স্থান"hasharaup.munshiganj.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-৩০ 
  15. "শ্রীনগর উপজেলা সকল মাজার সমূহ"sreenagar.munshiganj.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-৩০ 
  16. "Wayback Machine" (পিডিএফ)file-dhaka.portal.gov.bd। ২০২৫-০২-১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-৩০