রফিকুল ইসলাম (অধ্যাপক)
রফিকুল ইসলাম | |
---|---|
জন্ম | চাঁদপুর, বাংলাদেশ | জানুয়ারি ১, ১৯৩৪
জাতীয়তা | বাংলাদেশ |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
শিক্ষা | পিএইচডি |
মাতৃশিক্ষায়তন | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্নেল ইউনিভার্সিটি |
পেশা |
|
নিয়োগকারী | বাংলা বিভাগ, কলা অনুষদ |
প্রতিষ্ঠান | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
পরিচিতির কারণ | নজরুল গবেষণা |
আদি নিবাস | চাঁদপুর |
পুরস্কার | নিচে দেখুন |
রফিকুল ইসলাম (জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৩৪) একজন বাংলাদেশি লেখক এবং দেশের প্রথম নজরুল গবেষক।[১] তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম নজরুল অধ্যাপক ও অত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নজরুল-গবেষণা কেন্দ্রের প্রথম পরিচালক। তিনি স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক এবং বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১৮ সালের ১৯ জুন বাংলাদেশ সরকার তাকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে পুরুস্কৃত করে। ২০০৩ সালে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ বছর’ বই লিখে লেখক হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পান।[২][৩]
প্রাথমিক জীবন
রফিকুল ইসলাম ১৯৩৪ সালের ১ জানুয়ারি বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার কলাকান্দা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
শিক্ষা
অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে লেখাপড়া করেন। ভাষাতত্ত্বে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেন ও গবেষণা সম্পাদনা করেন আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়, মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়, মিশিগান-অ্যান আরবর বিশ্ববিদ্যালয় এবং হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইস্ট ওয়েস্ট সেন্টারে।
কর্মজীবন
১৯৫৮ সাল থেকে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা ও নজরুল গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন।
আন্দোলন
তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বন্দীশিবিরে নির্যাতিত হন।
গবেষণা
ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃত, ইতিহাস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে তার বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা রয়েছে।
গ্রন্থতালিকা
- নজরুল নির্দেশিকা
- ভাষাতত্ত্ব
- An Introduction to Colloquial Bengali
- নজরুল জীবনী
- বীরের এই রক্তস্রোত মাতার এ অশ্রুধারা
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম
- ঢাকার কথা
- ভাষা আন্দোলন ও শহীদ মিনার
- কাজী নজরুল ইসলাম: জীবন ও কবিতা
- কাজী নজরুল ইসলাম: জীবন ও সাহিত্য
- কাজী নজরুল ইসলামের গীতি সাহিত্য
- শহীদ মিনার
- আবদুল কাদির
- বাংলা ভাষা আন্দোলন
- বাংলাদেশের সাহিত্যে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ
- ভাষাতাত্ত্বিক প্রবন্ধাবলী
- আবুল মনসুর আহমেদ রচনাবলী
- বাংলা ব্যাকরণ সমীক্ষা
- নজরুল প্রসঙ্গে
- অমর একুশে ও শহীদ মিনার
- কাজী নজরুল ইসলাম: জীবন ও সৃষ্টি
- কিশোর কবি নজরুল
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ বছর (২০০৩)
- হাজার বছরের বাংলা সাহিত্য
পুরস্কার ও সম্মাননা
সাহিত্য চর্চা ও গবেষণার পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রেও অসাধারণ অবদানের জন্য ২০১২ সালে বাংলাদেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার”[৪][৫][৬] হিসাবে পরিচিত “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয় তাকে।[৭] এছাড়াও তিনি একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং নজরুল একাডেমি পুরস্কার লাভ করেছেন।
তথ্যসূত্র
- ↑ "এ সপ্তাহের সাক্ষাৎকার: অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম"। বিবিসি। জুন ১৮, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ১৯, ২০১৬।
- ↑ "অধ্যাপক রফিকুলের জীবনাদর্শ অনুসরণ করা উচিত: তথ্যমন্ত্রী"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০২।
- ↑ "জাতীয় অধ্যাপক হলেন আনিসুজ্জামান, রফিকুল ইসলাম ও জামিলুর রেজা চৌধুরী"। বাংলা টিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৬-১৯।
- ↑ সানজিদা খান (জানুয়ারি ২০০৩)। "জাতীয় পুরস্কার: স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার"। সিরাজুল ইসলাম। বাংলাপিডিয়া। ঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ। আইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭।
স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার।
- ↑ "স্বাধীনতা পদকের অর্থমূল্য বাড়ছে"। কালেরকন্ঠ অনলাইন। ২ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ "এবার স্বাধীনতা পদক পেলেন ১৬ ব্যক্তি ও সংস্থা"। এনটিভি অনলাইন। ২৪ মার্চ ২০১৬। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ "স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের তালিকা"। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭।
বহিঃসংযোগ
- "BBC Witness: 1943 Bengal Famine, with Prof. Rafiqul Islam"। BBC World Service। এপ্রিল ১, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ৪, ২০১৭।