ভাঙ্গা উপজেলা
ভাঙ্গা | |
---|---|
উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°২২′৫২″ উত্তর ৮৯°৫৮′৫২″ পূর্ব / ২৩.৩৮১১১° উত্তর ৮৯.৯৮১১১° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | ফরিদপুর জেলা |
সরকার | |
• উপজেলা নির্বাহী অফিসার | বি এম কুদরত এ-খুদা [১] |
আয়তন | |
• মোট | ২১৫.৩০ বর্গকিমি (৮৩.১৩ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[২] | |
• মোট | ২,৫৯,০৩২ |
• জনঘনত্ব | ১,২০০/বর্গকিমি (৩,১০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬৫% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ২৯ ১০ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
ভাঙ্গা বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
অবস্থান
[সম্পাদনা]ভাঙ্গা ফরিদপুর সদর থেকে ২৮ কিঃ মিঃ পূর্বে কাওরাকান্দি থেকে ২০ কিঃ মিঃ দক্ষিণ পশ্চিমে। এই উপজেলার উত্তরে সদরপুর উপজেলা ও নগরকান্দা উপজেলা, দক্ষিণে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলা ও মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলা, পূর্বে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলা ও সদরপুর উপজেলা, পশ্চিমে নগরকান্দা উপজেলা।
প্রশাসনিক এলাকা
[সম্পাদনা]ইউনিয়ন ১২ টি, মৌজা ১৩৬ টি, গ্রাম ২২৭ টি।
ইউনিয়ন গুলি হচ্ছে:
- মানিকদহ ইউনিয়ন
- হামিরদী ইউনিয়ন
- নুরুল্যাগঞ্জ ইউনিয়ন
- চান্দ্রা ইউনিয়ন, ভাঙ্গা
- কালামৃধা ইউনিয়ন
- আজিমনগর ইউনিয়ন, ভাঙ্গা
- তুজারপুর ইউনিয়ন
- নাছিরাবাদ ইউনিয়ন
- ঘারুয়া ইউনিয়ন
- কাউলিবেড়া ইউনিয়ন
- চুমুরদী ইউনিয়ন
- আলগী ইউনিয়ন
ভাংগা নামকরণের ইতিহাস
[সম্পাদনা]ফরিদপুরের এই অঞ্চলে জনবসতির ধারাবাহিকতায় কুমার নদের তীরে গড়ে ওঠা এ গঞ্জের নাম হয় কুমারগঞ্জ । কথিত আছে কুমার নদীর তীরে এক বিরাট হাট বসতো । এই হাট বসতো কুমার নদের উত্তরপাড়ে । কোন এক সময় হাটকে কেন্দ্র করে কুমার নদের উত্তর ও দক্ষিণ পাড়ের লোলোকজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয় এবং দ্বন্দ্বের এক পর্যায়ে হাটটিকে নদের উত্তরপাড় থেকে দক্ষিণপাড়ে স্থানান্তর করা হয় । বিভিন্ন স্থান থেকে আগত লোকজন নতুন এই হাটকে "ভাংগা" হাট নামে ডাকা শুরু করে । এভাবেই "কুমারগঞ্জ" থেকে "ভাংগা" নামের উৎপত্তি বলে ধারণা করা হয়। এছাড়াও আরও একটি মতবাদ থেকে জানা যায় যে, বৃটিশ আমলে ভাংগা পুলিশ স্টেশন বা থানাটি বর্তমান দেওড়া নামক স্থানটির আশেপাশে ছিলো বলে জানা যায়। কিন্তু সময়ের প্রয়োজনে থানাকে ভেঙ্গে বর্তমান ভাংগা সদরে স্থানান্তর করা হয় বলে জানা যায় । এ থেকেই বর্তমান "ভাংগা"নামটির উৎপত্তি হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।
এরপর অনেক বছর পার হলেও ভাংগা নামটি পরিবর্তন করে আর কুমারগঞ্জ নামে রাখা হয় নি। বর্তমানে সারা বাংলাদেশে এটি "ভাংগা" নামেই এই উপজেলাটি বেশি পরিচিত।
জনসংখ্যার উপাত্ত
[সম্পাদনা]এই উপজেলার মোট জনসংখ্যা ২,৩২,৩৮৬ জন (প্রায়)। যার মধ্যে পুরুষ ২,৩৪,৪৯৬ জন (প্রায়) এবং মহিলা ২,৩০,২৭৬ জন (প্রায়)।
ধর্ম
[সম্পাদনা]মুসলিম ৯০.৩৫%; সনাতন ধর্মী ৯.৫২%; অন্যান্য ০.১৩%।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান
[সম্পাদনা]মসজিদ ৪০৬ টি, মন্দির ৪২ টি, তীর্থস্থান-১(খাটরা),
নদনদী
[সম্পাদনা]ভাঙ্গা উপজেলায় অনেকগুলো নদী আছে। সেগুলো হচ্ছে আড়িয়াল খাঁ নদী, কুমার নদী (ফরিদপুর-গোপালগঞ্জ) এবং পুরানো কুমার নদী।[৩][৪]
শিক্ষা
[সম্পাদনা]এই উপজলার শিক্ষার হার ৬৫%। পুরুষ ৬৮% এবং মহিলা ৬২%।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
[সম্পাদনা]কলেজ ৪ টি; উচ্চবিদ্যালয় ৩০ টি; জুনিয়র হাই স্কুল ২ টি; বালিকা বিদ্যালয় ১ টি; প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭৩ টি; মাদ্রাসা ১৩ টি; এতিমখানা ৪ টি।
অর্থনীতি
[সম্পাদনা]এই এলাকার অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে কৃষি কাজ। মালিকগ্রামের পাটের হাট ও গরু হাটের সুনাম সারা বাংলাদেশে রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
[সম্পাদনা]- তারেক মাসুদ
- ফকির আলমগীর
- শামসুদ্দিন মোল্লা
- কাজী মাহবুবউল্লাহ
প্রত্নসম্পদ
[সম্পাদনা]- পাতরাইল মসজিদ ও দীঘি
- মজলিশ আব্দুল খানের মাজার
- খাটরার বাসুদেব মন্দির
- সিদ্ধেশ্বরী নাট্যমঞ্চ
- মালিকগ্রাম পাল বাড়ি
- নারান দাসের ভিটা
- রায় বাড়ি
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ প্রতিবেদক, বিশেষ (২০২৪-০৮-২০)। "সিটি মেয়রসহ ১ হাজার ৮৭৬ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২০।
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে ভাংগা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৩ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৫।
- ↑ ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৩৯৭, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯।
- ↑ মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৬০৫। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |