বিষয়বস্তুতে চলুন

নয়াবাদ মসজিদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(প্রাচীন মসজিদ (নয়াবাদ) থেকে পুনর্নির্দেশিত)
নয়াবাদ মসজিদ
নয়াবাদ মসজিদ
নয়াবাদ মসজিদ এর সম্মুখ প্রান্ত
ধর্ম
জেলাদিনাজপুর জেলা
অবস্থান
অবস্থানবাংলাদেশদিনাজপুর জেলা, বাংলাদেশ
দেশবাংলাদেশ
স্থাপত্য
প্রতিষ্ঠার তারিখ১৭৯৩
বিনির্দেশ
গম্বুজসমূহ
উপাদানসমূহইট, টেরাকোটা ও টাইল

নয়াবাদ মসজিদ বাংলাদেশের দিনাজপুর শহর হতে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে কাহারোল উপজেলার নয়াবাদ গ্রামে অবস্থিত। মসজিদটির পাশ দিয়ে চলে গেছে ঢেপা নদী। ১.১৫ বিঘা জমির উপর এই মসজিদটি তৈরি করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা।[]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]
প্রবেশ দরজার উপরের ফলক

মসজিদের প্রবেশের প্রধান দরজার উপর স্থাপিত ফলক হতে জানা যায় এটি সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের রাজত্ব কালে ২ জৈষ্ঠ্য, ১২০০ বঙ্গাব্দে(ইংরেজি ১৭৯৩ সালে) নির্মাণ করা হয়। সেসময় জমিদার ছিলেন রাজা বৈদ্যনাথ। যিনি ছিলেন দিনাজপুর রাজ পরিবারের সর্বশেষ বংশধর। এলাকার অধিবাসীদের থেকে জানা যায় যে, ১৮ শতকের মাঝামাঝিতে কান্তনগর মন্দির তৈরির কাজে আগত মুসলমান স্থপতি ও কর্মীরা এই মসজিদটি তৈরি করেন। তারা পশ্চিমের কোন দেশ থেকে এসে নয়াবাদে বসবাস শুরু করে এবং তাদের নিজেদের ব্যবহারের জন্য এই মসজিদটি তৈরি করে।[]

বৈশিষ্ট্য

[সম্পাদনা]

তিন গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদের চার কোনে ১২.৪৫মিটার x ৫.৫মিটার আকারের চারটি অষ্টভুজ মিনার রয়েছে। দেয়ালগুলির পুরুত্ব ১.১০ মিটার। উত্তরদক্ষিণের দেয়ালে একটি করে জানালা রয়েছে। পশ্চিম পাশের দেয়ালে মোট তিনটি মিম্বার রয়েছে যেগুলি মসজিদের তিনটি প্রবেশ দরজা বরাবর তৈরি করা হয়েছে। মাঝের মিম্বারটি আকারে বড়(উচ্চতা ২৩০ মিটার এবং প্রস্থ্য ১.০৮ মিটার) এবং অপর দুটি মিম্বার একই আকারের।[]

মসজিদটা তৈরির সময় যে সকল টেরাকেটা বা পোড়ামাটির কারুকার্য ব্যবহার করা হয়েছিল তার অধিকাশংই এখন নেই এবং যেগুলি রয়েছে সেগুলিও সম্পূর্ণ অক্ষত নেই। এখানে বর্তমান মোট ১০৪টি টেরাকোটা অবশিষ্ট রয়েছে। এগুলি আয়তক্ষেত্রাকার এবং আকার ০.৪০মিটার x০.৩০ মিটার।

মসজিদের পাশের কবর

মসজিদটির পাশে একটি কবর রয়েছে। তবে কবর বা মসজিদে কোন অংশেই এটি সম্পর্কিত কোন তথ্য দেয়া নেই। তবে কথিত আছে যে এটি মসজিদের কোন নির্মাণ শ্রমিকের কবর।

চিত্রশালা

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "রংপুর বিভাগের পুরাকীর্তি"বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরhttp://www.archaeology.gov.bd/। সংগ্রহের তারিখ ৩rd August ২০১৫  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য); |প্রকাশক= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  2. "নয়াবাদ মসজিদ"http://amazingdinajpur.com/। ৭ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২৪, ২০১৬  |প্রকাশক= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  3. আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া লেখক; প্রশ্নোত্তরে বাঙলাদেশের প্রত্নকীর্তি (প্রথম খন্ড); ঝিনুক প্রকাশনী; তৃতীয় মুদ্রণঃ মার্চ ২০১৩; পৃষ্ঠা- ১১৪, ISBN 984-70112-0112-0

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]