ধর্মপালের গড়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ধর্মপালের গড় নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় অবস্থিত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এটি ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় খননের মাধ্যমে এটি আবিষ্কার করেন।[১]

ধর্মপালের গড় এর এই স্থানে হলুদ ক্ষেতের নিচে আছে রাজবাড়ী

অবস্থান[সম্পাদনা]

ডোমার রেল স্টেশন থেকে আনুমানিক ৫ মাইল পূর্ব-দক্ষিণ দেওনাই নদীর পূর্বতীরে গড় ধর্মপাল নামক গ্রামে এ গড়টি অবস্থিত৷ জলঢাকা উপজেলা থেকেও যাওয়া যায় সহজে ; যেতে হলে অটো রিক্সা করে আর ১৪/১৫ কিলো মিটার দূরে গড়ের হাট নামক জায়গায় গেলেই এই ধর্মপালের গড়ের অবস্থান পাবেন।

ধর্মপালের গড় ও চারপাশে ফসলের ক্ষেত

ইতিহাস[সম্পাদনা]

পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা গোপাল পালের (৭৯৫ খ্রিঃ) মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র ধর্মপাল রাজ সিংহাসনে আরোহণ করেন। তিনি জলঢাকা উপজেলার উত্তর পশ্চিমে প্রায় ২০ কিঃ মিঃ দুরে তাঁর রাজধানী স্থাপন করেন। বহিঃশক্রর হাত থেকে রক্ষার জন্য মাটির প্রাচীর দ্বারা তিনি রাজধানীকে বেষ্টিত করেন। সেই থেকে এ স্থানের নাম হয় গড়ধর্মপাল। এ স্থান থেকে প্রায় ১ মাইল পূর্বে তার রাজধানীর ধ্বংসাবশেষ ও প্রায় ৩৩ বিঘা পরিমিত চন্দনপাঠের দীঘি আজো তার স্মৃতি বহন করছে। বর্তমানে এ ধ্বংসাবশেষের কোল ঘেঁষে গড়ধর্মপাল নামে আবাসন প্রকল্প গড়ে উঠেছে।

এখানে জমিদারি ও ছিল ৷ এ অঞ্চলের (ধর্মপালের) শেষ জমিদার ছিলেন জমিদার মোঃ জসিম উদ্দিন আহাম্মদ সরকার ৷ তার পিতা হাজী মোঃ তমিজ উদ্দিন আহাম্মদ সরকার এর পরে উত্তরাধিকার সূত্রে মোঃ জসিম উদ্দিন সরকার জমিদারি লাভ করেন ৷

পাল বংশধর দের সমাপ্তির সাথে মুসলিম শাসন এই অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয় ৷ সে সময় পাল বংশধর গণ ৩৩ বিঘা পরিমিত চন্দন পাঠ দিঘি জমিদার হাজী মোঃ তমিজ উদ্দিন সরকারের পূর্ব পুরুষের নিকট বিক্রি করে যান ৷ জমিদারি সরকার বিলুপ্ত করার পরেও জমিদার মোঃ জসিম উদ্দিন সরকারের বংশধর গণ ধর্মপাল গ্রামে এখনও বসবাস করেন ৷

ধর্মপালের গড় দুর থেকে বাঁশ ঝাড় ময়

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "নীলফামারীর জলঢাকায় পাল সম্রাট ধর্মপালের নির্দেশনের সন্ধান"অবলোকন। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯-০১-২০০৬  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)