ভাষা শহীদ আবদুস সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
৩৮ নং লাইন: | ৩৮ নং লাইন: | ||
১৯২৫ সালে শহীদ আব্দুস সালাম দাগনভূঁঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের লক্ষণপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সালামের পিতা ফজিল মিয়া শিল্প বিভাগে পিয়ন পদে চাকরি করতেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময়ে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের পাশে নীলক্ষেত ব্যারাকের ৩৬বি নং কোয়ার্টারে বসবাস করতেন। পূর্ববঙ্গে মাতৃভাষা বাংলার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের সম্মুখে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বিক্ষোভে পুলিশ গুলি চালায়। সালাম পুলিশের গুলিতে আহত হন। তিনি দেড় মাস ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৯৫২ সালের ০৭ এপ্রিল সালাম মৃত্যুবরণ করেন। বাংলাদেশ সরকার ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সালামকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করে। |
১৯২৫ সালে শহীদ আব্দুস সালাম দাগনভূঁঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের লক্ষণপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সালামের পিতা ফজিল মিয়া শিল্প বিভাগে পিয়ন পদে চাকরি করতেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময়ে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের পাশে নীলক্ষেত ব্যারাকের ৩৬বি নং কোয়ার্টারে বসবাস করতেন। পূর্ববঙ্গে মাতৃভাষা বাংলার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের সম্মুখে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বিক্ষোভে পুলিশ গুলি চালায়। সালাম পুলিশের গুলিতে আহত হন। তিনি দেড় মাস ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৯৫২ সালের ০৭ এপ্রিল সালাম মৃত্যুবরণ করেন। বাংলাদেশ সরকার ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সালামকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করে। |
||
ভাষা শহীদ আবদুস সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরটি ফেনী শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে ফেনী-নোয়াখালী সড়কের ডান পাশে মাতুভূঞা ব্রিজের কাছে সালামনগরে আবস্থিত।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=ভাষা শহীদ আবদুস সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর |ইউআরএল=http://daganbhuiyan.feni.gov.bd/site/tourist_spot/56310d8e-2147-11e7-8f57-286ed488c766/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A6%BE%20%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6%20%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B8%20%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%20%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B0%20%E0%A6%93%20%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%98%E0%A6%B0 |ওয়েবসাইট=বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন |সংগ্রহের-তারিখ=১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০}}</ref> |
ভাষা শহীদ আবদুস সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরটি ফেনী শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে ফেনী-নোয়াখালী সড়কের ডান পাশে মাতুভূঞা ব্রিজের কাছে সালামনগরে আবস্থিত।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=ভাষা শহীদ আবদুস সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর |ইউআরএল=http://daganbhuiyan.feni.gov.bd/site/tourist_spot/56310d8e-2147-11e7-8f57-286ed488c766/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A6%BE%20%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6%20%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B8%20%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%20%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B0%20%E0%A6%93%20%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF%20%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%98%E0%A6%B0 |ওয়েবসাইট=বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন |সংগ্রহের-তারিখ=১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০}}</ref> এডিপির অর্থায়নে ১২ শতক জমিতে সাড়ে তেষট্টি লাখ টাকা ব্যয়ে সালামনগরে জাদুঘরটি স্থাপন করা হয়। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অধ্যাপক [[আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ]] ২০০৮ সালের ২৬শে মে সালাম স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগারটি উদ্বোধন করেন। ২০১১ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি শহীদ আবদুস সালামের ছোট ভাইয়ের মেয়ে খাদিজা বেগমকে মাসিক ছয় হাজার টাকা বেতনে গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ দেয়া হয়<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=ভাষা শহীদ আবদুস সালাম এবং... |ইউআরএল=http://www.mzamin.com/details-archive2016.php?mzamin=2352 |সংগ্রহের-তারিখ=১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ |কর্ম=মানব জমিন}}</ref>। |
||
==তথ্যসূত্র == |
==তথ্যসূত্র == |
১৪:২৩, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
অবস্থান | ফেনী জেলা, বাংলাদেশ |
---|---|
ধরন | জাতীয় ইতিহাস জাদুঘর |
সংগ্রহ | |
প্রতিষ্ঠাতা | বাংলাদেশ সরকার |
মালিক | গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার |
বাংলাদেশের সংস্কৃতি |
---|
বিষয় সম্পর্কিত ধারাবাহিক |
ভাষা শহীদ আবদুস সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর বাংলাদেশের ফেনী জেলার দাগনভূঁঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের লক্ষণপুর যা বর্তমানে তাঁরই নামানুসারে সালাম নগর গ্রামে অবস্থিত। ভাষা শহীদ সালামে স্মৃতি রক্ষার্থে জাদুঘরটি স্থাপন করে বাংলাদেশ সরকার।[১]
বর্ণনা
১৯২৫ সালে শহীদ আব্দুস সালাম দাগনভূঁঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের লক্ষণপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সালামের পিতা ফজিল মিয়া শিল্প বিভাগে পিয়ন পদে চাকরি করতেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময়ে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের পাশে নীলক্ষেত ব্যারাকের ৩৬বি নং কোয়ার্টারে বসবাস করতেন। পূর্ববঙ্গে মাতৃভাষা বাংলার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের সম্মুখে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বিক্ষোভে পুলিশ গুলি চালায়। সালাম পুলিশের গুলিতে আহত হন। তিনি দেড় মাস ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৯৫২ সালের ০৭ এপ্রিল সালাম মৃত্যুবরণ করেন। বাংলাদেশ সরকার ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সালামকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করে।
ভাষা শহীদ আবদুস সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরটি ফেনী শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে ফেনী-নোয়াখালী সড়কের ডান পাশে মাতুভূঞা ব্রিজের কাছে সালামনগরে আবস্থিত।[২] এডিপির অর্থায়নে ১২ শতক জমিতে সাড়ে তেষট্টি লাখ টাকা ব্যয়ে সালামনগরে জাদুঘরটি স্থাপন করা হয়। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ২০০৮ সালের ২৬শে মে সালাম স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগারটি উদ্বোধন করেন। ২০১১ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি শহীদ আবদুস সালামের ছোট ভাইয়ের মেয়ে খাদিজা বেগমকে মাসিক ছয় হাজার টাকা বেতনে গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ দেয়া হয়[৩]।
তথ্যসূত্র
- ↑ "ভাষা শহীদ আবদুস সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর"। জাতীয় তথ্যবাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "ভাষা শহীদ আবদুস সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "ভাষা শহীদ আবদুস সালাম এবং..."। মানব জমিন। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০।