বিষয়বস্তুতে চলুন

বরিশাল বিভাগীয় জাদুঘর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বরিশাল বিভাগীয় জাদুঘর বাংলাদেশের বরিশাল জেলায় অবস্থিত। ২০১৫ সালের ৮ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।[] এরপরই সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় জাদুঘর।

১৮২১ সালে নির্মিত কালেক্টরেট ভবন, যেটি সংস্কার করে বরিশাল বিভাগীয় জাদুঘরে পরিনত করা হয়েছে

বর্ণনা

[সম্পাদনা]

১৮২১ সালে নির্মিত নগরের কালেক্টরেট ভবনকে সংস্কার করে বরিশাল বিভাগীয় জাদুঘর প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়। যদিও ১৯৭৯ সালে গণপূর্ত বিভাগ ওই ভবন ব্যবহারের অনুপযোগী এবং ১৯৮৪ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। কিন্তু ২০০৩ সালে সরকার ভবনটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। ২০০৫ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অনুকূলে ভবনের দখল হস্তান্তর করা হয়। এরপর ২০০৫ সালে ভবন সংস্কার করে বিভাগীয় জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়। ২০০৭ সালে সংস্কারকাজ শেষ হলেও জাদুঘরের কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি।[]

জাদুঘরের দ্বিতীয় তলায় নয়টি গ্যালারিতে বরিশাল বিভাগের ভৌগোলিক ও প্রাকৃতিক পরিচিতি, বরিশালের খ্যাতিমান ব্যক্তি, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, লোকশিল্প, বাংলাদেশের প্রত্ন সম্পদ ও ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরা হবে। ইতিমধ্যে সংগৃহীত দুই শতাধিক উপাদান নয়টি গ্যালারিতে সাজানো হয়েছে।[] এর পাশাপাশি ঔপনিবেশিক স্থাপত্য ঐতিহ্যের স্মারক হিসেবে কালেক্টরেট ভবনটির ইতিহাস, স্থাপত্যশৈলী ও বৈশিষ্ট্যের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। দর্শনার্থীরা গ্রীষ্মকালে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা এবং শীতকালে সকাল নয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত জাদুঘর পরিদর্শন করতে পারবেন। প্রবেশ মূল্য হিসেবে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ৫ টাকা ও বড়দের জন্য ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সার্কভুক্ত দেশের নাগরিকদের জন্য ২৫ এবং অন্যান্য দেশের জন্য ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে পাঁচ বছরের নিচে শিশুদের কোনো ফি লাগবে না।[] জাদুঘরের নিরাপত্তার জন্য ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে, রয়েছে বিশেষ সংকেত ব্যবস্থা।

চিত্রশালা

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]