বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর
![]() জাদুঘরের প্রধান ভবন ও মাঠ | |
![]() | |
পূর্ব নাম | বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর |
---|---|
স্থাপিত | ১৯৮৭ |
অবস্থান | বিজয় সরণি, ফার্মগেট, ঢাকা |
স্থানাঙ্ক | ২৩°৪৫′৩৫″ উত্তর ৯০°২৩′২৯″ পূর্ব / ২৩.৭৫৯৮১° উত্তর ৯০.৩৯১৩২° পূর্ব |
ধরন | সামরিক |
পরিদর্শক | ২০০-৩০০ (প্রতিদিন) |
তত্ত্বাবধায়ক | বাংলাদেশ সেনাবাহিনী |
ওয়েবসাইট | militarymuseum.com (ইংরেজি) |
বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের বিজয় সরণিতে অবস্থিত একটি জাদুঘর।[১] জাদুঘরটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীগুলোর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাফল্য সংক্রান্ত নিদর্শন ও বিভিন্ন অস্ত্র-শস্ত্রের সংগ্রহ নিয়ে জাদুঘরটি সজ্জিত।[২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]
১৯৮৭ সালে প্রথম সামরিক জাদুঘরটি বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর নামে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৯৯ সালে জাদুঘরটি স্থায়ীভাবে বিজয় সরণিতে স্থানান্তর করা হয়।[৩] ২০০৯ সালে জাদুঘরটি আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তৎকালীন সেনা প্রধানের নেতৃত্বে সব সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধির সমন্বয়ে ২০১০ সালে একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি জাদুঘরটিকে বিশ্বমানে উন্নীতকরণ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের নামে করার সুপারিশ করে। এই লক্ষ্যে ২০১৬ সালে ২৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ের একটি প্রকল্পও প্রস্তুত করা হয়।[৪] ২০২২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর নামে জাদুঘরটির উদ্বোধন করেন।[৫] আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর জাদুঘরটির নাম আবার আগের নামে ফিরিয়ে আনে কর্তৃপক্ষ।[৬]
জাদুঘর ভবন
[সম্পাদনা]সামরিক জাদুঘরটি নভো থিয়েটারের পশ্চিম পাশে ১০ একর জমি উপর নির্মিত। জাদুঘরটিতে তিন বাহিনীর জন্য নির্ধারিত গ্যালারিসহ ছয়টি পৃথক অংশ রয়েছে ও প্রতিটি বাহিনীর গ্যালারিতে একটি বঙ্গবন্ধু কর্নার রয়েছে। জাদুঘরের নিচতলায় বাংলাদেশ ইতিহাস গ্যালারি, ২য় তলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গ্যালারি, ৩য় তলায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গ্যালারি, ৪র্থ তলায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা গ্যালারি এবং বেসমেন্টে বাংলাদেশ নৌবাহিনী গ্যালারি রয়েছে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সেনাবাহিনীর কমান্ডারদের ব্যাজ, পোশাক, অস্ত্র, গোলাবারুদ, কামান, এন্টি এয়ারক্রাফ্ট গান এবং যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন যানবাহন জাদুঘরটিতে রক্ষিত রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পর তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া বিভিন্ন যানবাহন এবং অস্ত্রও এখানে সংরক্ষিত রয়েছে।[৭] এছাড়া এখানে শিল্প গ্যালারি, প্রদর্শনী গ্যালারি, উপহারের দোকান, মুক্তমঞ্চ, চলচ্চিত্র হল, বহুবিধ হল, সেমিনার হল, গ্রন্থাগার, আর্কাইভ, ভাস্কর্য, ম্যুরাল, ক্যাফেটারিয়া, আলোকোজ্জ্বল ঝর্ণা ইত্যাদি রয়েছে।
এই জাদুঘর কমপ্লেক্সের পাশে "তোশাখানা জাদুঘর" নামে একটি পৃথক জাদুঘর রয়েছে। তোষাখানা জাদুঘরে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পাওয়া উপহার এবং পুরস্কারগুলি প্রদর্শন করা হয়।
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]-
জাদুঘরের প্রধান ভবন
-
বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানী এই জিপটি ব্যবহার করে বিভিন্ন যুদ্ধ এলাকা পরিদর্শন করতেন। বর্তমানে এটি সামরিক জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে।
-
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছ থেকে উদ্ধারের পর গাড়িটি সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ব্যবহার করতেন। বর্তমানে এটি সামরিক জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে।
-
সামরিক জাদুঘরে প্রদর্শণীর জন্য উন্মুক্ত দুটি জাহাজ।
-
সামরিক জাদুঘরে প্রদর্শণীর জন্য উন্মুক্ত ৩.৭ ইঞ্চি হুইজার।
-
সামরিক জাদুঘরের একাংশ
-
জাদুঘরের ভিতরে স্টার সিনেপ্লেক্স
-
সবুজ মাঠ এবং ভাস্কর্য
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "ঘুরে আসুন সামরিক জাদুঘর, চলছে প্রদর্শনী"। Dhakatimes News। ১ ডিসেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০২৫।
- ↑ "বিজয়ের সমরসম্ভার সামরিক জাদুঘরে"। সমকাল। ১৮ মার্চ ২০১৭। ৩১ মে ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "সামরিক জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি"। ekushey-tv.com। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "সামরিক জাদুঘর বঙ্গবন্ধুর নামে হচ্ছে"। জাগো নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০২২।
- ↑ "বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী"। যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০২২।
- ↑ "বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা, প্রতিষ্ঠান এবং স্থাপনার বর্তমান নাম বাতিলপূর্বক পরিবর্তিত নামে নামকরণ" (পিডিএফ)। mod.gov.bd। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ১১ মার্চ ২০২৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০২৫।
- ↑ "সামরিক জাদুঘর সশস্ত্রবাহিনীর রোমাঞ্চকর ইতিহাস"। দৈনিক সংগ্রাম। ৬ মার্চ ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১৯।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিমিডিয়া কমন্সে বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।