ফিশ মিউজিয়াম এন্ড বায়োডাইভার্সিটি সেন্টার

স্থানাঙ্ক: ২৪°৪৩′৩০″ উত্তর ৯০°২৫′৪১″ পূর্ব / ২৪.৭২৫° উত্তর ৯০.৪২৮° পূর্ব / 24.725; 90.428
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ফিশ মিউজিয়াম এন্ড বায়োডাইভার্সিটি সেন্টার (অর্থ: মৎস জাদুঘর ও জীববৈচিত্র্য কেন্দ্র) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের আওতাধীন একটি যাদুঘর।[১] স্টারলিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই যাদুঘরটি সহনশীল প্রজাতির মাছ চাষের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।[২] বাংলাদেশের ২৬৫ প্রজাতির মাছের মধ্যে ২৩০ প্রজাতিকে এক স্থানে এক সাথে দেখার সুযোগ এখানে রয়েছে। এটি জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত।[৩]

সহজেই মাছের সঙ্গে পরিচিত হতে পারা, বিলুপ্ত এবং বিলুপ্তপ্রায় সব স্বাদু পানির ও সামুদ্রিক মাছ এবং জলজ প্রাণী সংরক্ষণের মাধ্যমে ভবিষ্যত গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে এ জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

২০১০ সাল থেকে এটিকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠায় বিশ্ববিদ্যালয়টির অধ্যাপক ড. মোস্তফা আলী রেজার অবদান লক্ষণীয়। তিনি ২০০০ সাল হতে নমুনা সংগ্রহের কাজে যুক্ত আছেন।

মোট ৫টি কক্ষ নিয়ে সাজানো এ জাদুঘরটির প্রথম কক্ষটির শিরোনাম ফ্রেশওয়াটার ডলফিন এন্ড ফিশ (মিঠাপানির ডলফিন ও মাছ), দ্বিতীয়টির এনসিয়েন্ট এন্ড মিডিয়া, তৃতীয়টির সিলোরিফরমিস বা বিড়াল জাতীয় মাছ, চতুর্থটির সিপ্রিনিফরমিস বা কার্প জাতীয় মাছ এবং পঞ্চমটির শিরোনাম পার্সিফরমিস বা কই জাতের মাছ। এছাড়াও জাদুঘরের করিডরে আছে আবহমানকাল ধরে এ দেশের জেলেদের ব্যবহার্য বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরার উপকরণ আর দেশের মৎস্য ঐতিহ্যের ইতিহাস ও নিদর্শন।

মাছের নমুনাগুলি বিভিন্ন আকারের কাচের জারে ফরমালিনে ডুবিয়ে রাখা হয়েছে। প্রতিটি মাছের জার বরাবর ওপরে দেয়ালে সাঁটা পোস্টারে প্রদর্শন করা হয়েছে ঐ মাছেরই পরিপক্ব বয়সের আলোকচিত্রসহ প্রচলিত ও বৈজ্ঞানিক নাম এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। গবেষণা কর্মের সহায়তার জন্য বড় এবং ছোট দেশি প্রজাতির মাছের জন্য অ্যাকোয়ারয়াম, ক্রায়োজেনিক মাছের একটি জিন ব্যাংক এবং ডিএনএ সংগ্রহশালা করার পরিকল্পনা রয়েছে।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]