পানি জাদুঘর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পানি জাদুঘর
মানচিত্র
স্থাপিত২০১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর
অবস্থানপটুয়াখালী, বাংলাদেশ

পানি জাদুঘর বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলায় অবস্থিত যা ২৯ ডিসেম্বর ২০১৪ সালে অ্যাকশন এইড নামের একটি এনজিও স্থাপন করে। বাংলাদেশের মানুষের নদী-কেন্দ্রিক জীবন-জীবিকা ও সংস্কৃতি তুলে ধরাই এর উদ্দেশ্য।[১]

বর্ণনা[সম্পাদনা]

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পাখিমারা এলাকার এবং কুয়াকাটা-ঢাকা মহাসড়কের পাশে একটি দ্বিতল ভবনে পানি জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আভাস-এর সহযোগিতায় কলাপাড়া উপকূলীয় জনকল্যাণ সমিতি পরিচালনা করছে এই জাদুঘরটি।

২০১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ ও আভাসের উদ্যোগে কলাপাড়া উপজেলার পাখিমারা এলাকার কুয়কাটা-ঢাকা মহাসড়কের পশ্চিম পাশে বিশ্বের অষ্টম ও দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম পানি জাদুঘরটির উদ্বোধন করা হয়।[২]

পানি জাদুঘরে প্রবেশ পথের সম্মুখেই রয়েছে নদীতে বাঁধ তৈরির ফলে নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় মানুষের জীবন যাত্রার পরিবর্তনের দৃশ্য। বাঁধ তৈরির ফলে শুকিয়ে গেছে নদী। প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্য নৌকা শুকিয়ে যাওয়া নদীতে পড়ে আছে। অর্ধ বালুতে ডুবন্ত নৌকার বুকে বিধে আছে দুটি গজাল লোহা। এর মাধ্যমে নদী ও নদীমাতৃক বাংলাদেশকে খুনের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

এই জাদুঘরে রয়েছে বাংলাদেশের ৭০০টি নদীর ইতিহাস, বিভিন্ন নদীর পানি, নদীর ছবি, নদীর পানির ইতিহাস ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিবেশে ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার চিত্রসহ বিভিন্ন তথ্য। রয়েছে গ্রামবাংলার মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ, নদী নিয়ে গান ও পল্লী শিল্প। রয়েছে কাঁসা ও মাটির তৈরি তৈজসপত্র। বাংলাদেশের সঙ্গে ৫৭টি আর্ন্তজাতিক অভিন্ন নদীর ইতিহাস রয়েছে এখানে।

দর্শন সময়[সম্পাদনা]

সপ্তাহের মঙ্গলবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে। দর্শনার্থী ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০টাকা।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]