তোষাখানা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
তোষাখানা
গঠিত১৯৭১; ৫৩ বছর আগে (1971)
সদরদপ্তরঢাকা, বাংলাদেশ
যে অঞ্চলে কাজ করে
Bangladesh
দাপ্তরিক ভাষা
বাংলা
ওয়েবসাইটতোষাখানা

তোষাখানা হল বাংলাদেশের একটি রাষ্ট্রীয় ভান্ডার, যা রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের অধীন। তবে এটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত হয়। এখানে রাষ্ট্রপতিপ্রধানমন্ত্রীর পাওয়া বিভিন্ন উপহার সামগ্রী রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি হিসেবে সাজিয়ে রাখা হয়। তোষাখানা বিধিমালা অনুযায়ী ৫০ হাজারের অধিক মূল্যে উপহার সামগ্রী তোষাখানায় জমা দিতে হয়। এসব উপহার সামগ্রীর মধ্যে দেশি বা বিদেশি তৈজসপত্র, স্মারক মুদ্রা, বিভিন্ন ধরনের স্মরণিকা, মহান ব্যক্তির প্রতিকৃতি অথবা আলোকচিত্র, শিল্পকর্ম, লোকশিল্প বা হস্তশিল্পের নমুনা প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

তোষাখানা একটি সংস্কৃত/ফার্সি শব্দ, যার অর্থ কোষাগার। ভারতে ব্রিটিশ শাসনামলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মকর্তারা স্থানীয় রাজপুত্র বা রাজ কর্মচারীদের থেকে প্রাপ্ত উপহার সামগ্রী কোম্পানির তোষাখানায় জমা দিত। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে রাষ্ট্রপতির নির্দেশে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের তোষাখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ জন্য একই সালে “তোষাখানা সংরক্ষণ ও প্রশাসন বিধিমালা ১৯৭৪” প্রণয়ন করা হয়। পরে এটি সংশোধন করে “তোশাখানা সংরক্ষণ ও প্রশাসন বিধিমালা ১৯৯০” জারি করা হয় এবং ২০১২ সালে বিধিমালাটি পুনরায় সংশোধন করা হয়।

সংরক্ষিত উপহার সামগ্রীর মধ্যে চাঁদে পাঠানো বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, চাঁদের মাটি, তরবারির স্বর্ণখচিত খাপ, প্রতীকি অশোক স্তম্ভ ও মালাবিয়া মিনার, গাজির পট এবং মুক্তিযোদ্ধাদের স্মারক উল্লেখ্যযোগ্য। এখান থেকে ২৫০ টির মত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস জাতীয় জাদুঘরে প্রদর্শনের জন্য দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর তোষাখানা ছিল বঙ্গভবনের মানুক হাউজে, এরপর বঙ্গভবনের রান্নাঘরের দোতলায়। দেশের সাধারণ মানুষ যাতে রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানকে প্রদত্ত উপহারসামগ্রী দেখার সুযোগ পান সে লক্ষ্যে ২০১৮ সালে বিজয় সরণিতে বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর-এর পাশে রাষ্ট্রীয় তোশাখানা জাদুঘর ভবন নির্মাণ করা হয়। ২২ আগস্ট ২০১৮ তারিখে বর্তমান তোশাখানা হতে ৭২৬ টি বিভিন্ন ধরনের উপহার সামগ্রী সংরক্ষণ ও সর্বসাধারণের দেখার জন্য জাদুঘরে স্থানান্তর করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর তারিখে নবনির্মিত রাষ্ট্রীয় তোশাখানা ভবনের উদ্বোধন করেন। বঙ্গভবনের মানুক হাউজ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উপহারসামগ্রী সেখানে স্থানান্তর করা হলেও মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মানুক হাউজের তোশাখানাটিও এখন বহাল রয়েছে।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "কী বলছে তোষাখানা বিধি"। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২০ 
  2. "বঙ্গভবন থেকে সামরিক জাদুঘরে 'তোষাখানা'"banglatribune.com। ২০২২-০৮-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২০