হিউ গ্র্যান্ট
হিউ গ্র্যান্ট | |
---|---|
জন্ম | হিউ জন মাঙ্গো গ্র্যান্ট[১] ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৬০ |
মাতৃশিক্ষায়তন | নিউ কলেজ, অক্সফোর্ড |
পেশা | অভিনেতা, প্রযোজক |
কর্মজীবন | ১৯৮২-বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | অ্যানা এবারস্টেইন (বি. ২০১৮) |
সন্তান | ৫ |
স্বাক্ষর | |
হিউ জন মাঙ্গো গ্র্যান্ট[১] (জন্ম ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৬০) হলেন একজন ইংরেজ অভিনেতা ও চলচ্চিত্র প্রযোজক। গ্র্যান্ট তার কাজের জন্য একটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, একটি বাফটা পুরস্কার ও একটি সম্মানসূচক সেজার অর্জন করেছেন। ২০১৮ সাল পর্যন্ত, তার চলচ্চিত্রসমূহ বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে। তিনি মরিস (১৯৮৭) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে ভল্পি কাপ অর্জনের পর প্রথম সকলের নজর কাড়েন, কিন্তু ফোর ওয়েডিংস অ্যান্ড আ ফিউনারেল (১৯৯৪) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সফলতা লাভ করেন।[২] এই চলচ্চিত্রের ব্যক্তিত্ব তিনি এরপর ১৯৯০-এর দশকের আরও কয়েকটি চলচ্চিত্রে ব্যবহার করেন, সেগুলো হল নটিং হিল (১৯৯৯) ও মিকি ব্লু আইজ (১৯৯৯)। ফোর ওয়েডিংস অ্যান্ড আ ফিউনারেল চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি সেরা সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার এবং শ্রেষ্ঠ প্রধান চরিত্রে অভিনেতা বিভাগে বাফটা পুরস্কার অর্জন করেন।
চলচ্চিত্র শিল্পে গ্র্যান্ট একজন মেধাবী পরিবেশনকারী ও প্রতি-তারকা হিসেবে খ্যাত, যিনি মূলত তার কাজগুলোকে চরিত্রাভিনেতার মত রূপ দিয়ে থাকেন এবং তার অভিনয়কে স্বতঃস্ফূর্ত করে তুলতে কঠোর পরিশ্রম করেন।[৩] ৩৫ বছরের অধিক সময়ের কর্মজীবনে গ্র্যান্ট বারবার দাবী করেন যে তার অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ ছিল না, কিন্তু ঘটনাক্রমে এটাই তার কর্মজীবন হয়ে ওঠেছে।
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]গ্র্যান্ট ১৯৬০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর[৪] লন্ডনের হ্যামারস্মিথের চার্লিং ক্রস হসপিটালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ক্যাপ্টেন জেমস মারি গ্র্যান্ট (জ. ১৯২৯) এবং মাতা ফিনভোলা সুজান ম্যাকলিন (বিবাহপূর্ব উইকহ্যাম, ১১ অক্টোবর ১৯৩৩ - জুলাই ২০০১)।[৫] তার পিতামহ কর্নেল জেমস মারি গ্র্যান্ট, ডিএসও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সাঁ-ভালেরি-অঁ-কোয়াতে সাহসিকতা ও নেতৃত্বের জন্য স্মরণীয়। তার পূর্বপুরুষদের মধ্যে রয়েছেন স্যার ওয়াল্টার র্যালাই,[৬] ৪র্থ ভিসকাউন্ট স্ট্র্যাথালান উইলিয়াম ড্রামন্ড, জেমস স্টুয়ার্ট,[৭][৮] আথোলের ১ম মার্কুয়েস জন মারি, নটিংহামের ১ম আর্ল হেনিজ ফিঞ্চ, স্যার ইভান নেপিয়ান, এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্পেন্সার পার্সিভ্যালের বোন।[৯]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]৩২ বছর বয়সে গ্র্যান্ট অভিনয় পেশা ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন, কিন্তু তিনি ফোর ওয়েডিংস অ্যান্ড আ ফিউনারেল (১৯৯৪) চলচ্চিত্রের পাণ্ডুলিপি পড়ে আশ্চর্য হন।[১০] এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আপনি যদি আমার সমপরিমাণ বাজে পাণ্ডুলিপি পড়ে থাকেন, এরপর এমন একটি পাণ্ডুলিপি পড়েন যেখানে আপনার চরিত্রটি আনন্দদায়ক, তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনি কতটা কৃতজ্ঞ।"[২] ১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রটিতে গ্র্যান্ট প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। এটি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ আয়কারী ব্রিটিশ চলচ্চিত্র, যা বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে ২৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অধিক আয় করে।[১১] এই চলচ্চিত্রের সফলতায় তিনি রাতারাতি আন্তর্জাতিক তারকা হয়ে ওঠেন। চলচ্চিত্রটি দুটি বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করে এবং এর অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীগণ একাধিক পুরস্কার অর্জন করেন। গ্র্যান্ট তার কাজের জন্য সেরা সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার ও শ্রেষ্ঠ প্রধান চরিত্রে অভিনেতা বিভাগে বাফটা পুরস্কার অর্জন করেন।[১২]
তিনি পারিবারিক চলচ্চিত্র প্যাডিংটন ২-এ ফিনিক্স বুকানন চরিত্রে খল ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।[১৩] চলচ্চিত্রটি ব্যবসায়িক ও সমালোচনামূলকভাবে সফলতা লাভ করে। দ্য গার্ডিয়ান তার অভিনয়কে নজড়-কাড়া বলে উল্লেখ করে,[১৪] অন্যদিকে আইজিএন মন্তব্য করে, "গ্র্যান্ট বারবার তার কর্মজীবনে বিস্ময়করভাবে ফিরে আসছেন, আবারো ফিনিক্স বুকানন চরিত্রে তার দক্ষ হাস্যরসাত্মক নৈপুণ্য দিয়ে।"[১৫] গ্র্যান্ট এই কাজের জন্য বর্ষসেরা পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে লন্ডন চলচ্চিত্র সমালোচক সমিতি পুরস্কার অর্জন করেন এবং শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা বিভাগে বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[১৬] ২০১৯ সালে ইন্ডিওয়্যার-এর র্যাংকিঙে গ্র্যান্টের এই অভিনয় ২০১০-এর দশকের ২২তম সেরা চলচ্চিত্র অভিনয় হিসেবে স্থান অধিকার করে।[১৭]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "Transcript of Afternoon Hearing 21 November 2011" (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য লিভসন ইনকোয়ারি। ১৯ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০।
- ↑ ক খ নোল, শ্যারন; ফোরম্যান, লিজা (১৬ ডিসেম্বর ২০০২)। "Scribe's alter ego evolves on celluloid"। ভ্যারাইটি (ইংরেজি ভাষায়)। পৃষ্ঠা A8।
- ↑ কের, ডেভ (১৭ মে ২০০২)। "At the Movies: For Hugh Grant, Natural Does It"। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০।
- ↑ মরগান, মিশেল (১৭ অক্টোবর ২০১৩)। The Mammoth Book of Hollywood Scandals (ইংরেজি ভাষায়)। লিটন, ব্রাউন বুক গ্রুপ। পৃষ্ঠা ২৩০। আইএসবিএন 978-1-4721-0034-4। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০।
- ↑ রোডস, মাইকেল। "Person Page 18289:Hugh John Mungo Grant" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য পিরেজ.কম। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০।
- ↑ Walter Raleigh King (2019) Sunk Down among the People: The Story of the Descendants of Sir Walter Raleigh Kindle Direct Publishing. ASIN: B081SKM5HD
- ↑ "Grants of Glenmoriston" (ইংরেজি ভাষায়)। ইলেকট্রিক স্কটল্যান্ড। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০।
- ↑ "Hugh Grant - Actually - from the Cape !!!"। অ্যানসেস্ট্রি২৪ (ইংরেজি ভাষায়)। ২৯ জুন ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০।
- ↑ হজসন, রিচার্ড। "Ancestors of a 21st century British family"। রুটসওয়েব (ইংরেজি ভাষায়)। ১৪ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;prince charming
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "Hugh Grant"। বক্স অফিস মোজো (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০।
- ↑ জোন্স, ক্রিস (৩ জুন ২০০৫)। "Faces of the week: Richard Curtis"। বিবিসি নিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০।
- ↑ এলউড, গ্রেগরি (২ ডিসেম্বর ২০১৬)। "From 'tragic character' to 'bad guy,' Hugh Grant takes his time picking roles"। লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০।
- ↑ ব্র্যাডশ, পিটার (২৬ অক্টোবর ২০১৭)। "Paddington 2 review – Hugh Grant steals the show in sweet-natured and funny sequel"। দ্য গার্ডিয়ান (ইংরেজি ভাষায়)। ২৬ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০।
- ↑ ওয়েলচ, আলেক্স (২১ ডিসেম্বর ২০১৭)। "Paddington 2 Review"। আইজিএন (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০।
- ↑ "In Paddington 2, Hugh Grant Gives the Year's First Oscar-Worthy Performance"। স্লেট (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০।
- ↑ "The 50 Best Movie Performances of the Decade" (ইংরেজি ভাষায়)। ইন্ডিওয়্যার। ২৩ জুলাই ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ১৯৬০-এ জন্ম
- জীবিত ব্যক্তি
- ২০শ শতাব্দীর ইংরেজ অভিনেতা
- ২১শ শতাব্দীর ইংরেজ অভিনেতা
- ইংরেজ চলচ্চিত্র অভিনেতা
- ইংরেজ চলচ্চিত্র প্রযোজক
- ইংরেজ টেলিভিশন অভিনেতা
- স্কটিশ বংশোদ্ভূত ইংরেজ ব্যক্তি
- গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার (সেরা অভিনেতা - সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র) বিজয়ী
- শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে বাফটা পুরস্কার বিজয়ী
- শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে ভোল্পি কাপ বিজয়ী
- সম্মানসূচক সেজার প্রাপক
- অডিওবই পাঠক
- ইংরেজ কণ্ঠাভিনেতা