মারচেল্লো মাস্ত্রোইয়ান্নি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মারচেল্লো মাস্ত্রোইয়ান্নি

Marcello Mastroianni
১৯৯১ সালে মাস্ত্রোইয়ান্নি
জন্ম
মারচেল্লো ভিনচেনৎসো দোমেনিকো মাস্ত্রোইয়ান্নি

(১৯২৪-০৯-২৮)২৮ সেপ্টেম্বর ১৯২৪
ফন্তানা লিরি, লাতসিও, ইতালীয় প্রজাতন্ত্র
মৃত্যু১৯ ডিসেম্বর ১৯৯৬(1996-12-19) (বয়স ৭২)
মৃত্যুর কারণঅগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার
পেশাঅভিনেতা
কর্মজীবন১৯৩৮-১৯৯৬
দাম্পত্য সঙ্গীফ্লোরা কারাবেল্লা
(বি. ১৯৫০; মৃ. ১৯৯৬)
সঙ্গীকাত্রিন দ্যনোভ (১৯৭১-১৯৭৫)
আন্না মারিয়া তাতো (১৯৭৬-১৯৯৬)

মারচেল্লো ভিনচেনৎসো দোমেনিকো মাস্ত্রোইয়ান্নি, ওএমআরআই (ইতালীয় উচ্চারণ: [marˈtʃɛllo mastroˈjanni]; ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯২৪ - ১৯ ডিসেম্বর ১৯৯৬)[১][২] ছিলেন একজন ইতালীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা। ১৯৫০-এর দশকে পরিচালক ফেদেরিকো ফেল্লিনির নজরে আসার পর তিনি ইতালির অন্যতম সেরা তারকা হয়ে ওঠেন এবং ১৯৬০-এর দশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খ্যাতি অর্জন করেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ হল লা দোলচে ভিতা (১৯৬০), লা নত্তে (১৯৬১), দিভোর্জিও আল্লিতালিয়ানা (১৯৬১), অত্তো এ মেজ্জো (১৯৬৩), আইয়েরি, অগি, দোমানি (১৯৬৩), মাত্রিমোনিও আল্লিতালিয়ানা (১৯৬৩), লা দেসিমা ভিত্তিমা (১৯৬৫), উনা জোরনাতা পাত্রিকোলারে (১৯৭৭), লা সিত্তা দেল্লে দোন্নে (১৯৮০), ফোর্থ হেনরি (১৯৮৪), অচি সোরনি (১৯৮৭), এবং স্তান্নো তুত্তি বেনে (১৯৯০)। অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি দুটি কান চলচ্চিত্র উৎসব পুরস্কার, দুটি বাফটা পুরস্কার, একটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, পাঁচটি দাভিদ দি দোনাতেল্লো ও সাতটি নাস্ত্রো দারজেন্তো অর্জন করেন।[৩]

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

মাস্ত্রোইয়ান্নি ১৯২৪ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর তদানীন্তন ইতালীয় প্রজাতন্ত্রের লাতসিওর ফন্তানা লিরি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তুরিন ও রোম শহরে বেড়ে ওঠেন। তার পিতা অত্তোনে মাস্ত্রোইয়ান্নি ছিলেন কাঠের দোকানের মালিক এবং তার মাতা ইদা (প্রদত্ত নাম: ইরোল্লে)।[৩][৪] তার চাচা উমবের্তো মাস্ত্রোইয়ান্নি একজন ভাস্কর। মারচেল্লোর ভাই রুগেরো মাস্ত্রোইয়ান্নি একজন চলচ্চিত্র সম্পাদক, যিনি মারচেল্লো অভিনীত অনেক চলচ্চিত্রের সম্পাদনা করেছেন এবং তার সাথে সিপিওনে দেত্তো আনচে লাফ্রিকানো (১৯৭১) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

মাস্ত্রোইয়ান্নির চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে চৌদ্দ বছর বয়সে মারিওনেত্তে (১৯৩৯) চলচ্চিত্রে অতিরিক্ত শিল্পী হিসেবে। এরপর বেশ কিছু চলচ্চিত্রে ছোট চরিত্রে অভিনয়ের পর অত্তো দাক্কুসা (১৯৫১) চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম বড় কোন চরিত্রে কাজ পান। এই দশকের মধ্যেই তিনি নিজেকে আন্তর্জাতিক তারকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। এই সময়ে তিনি মারিনা ভ্লাদির বিপরীতে জোর্নি দামোরে (১৯৫৪) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে নাস্ত্রো দারজেন্তো অর্জন করেন। এরপর তিনি সোফিয়া লরেনের সাথে পেক্কাতো চে সিয়া উনা কানাইয়া (১৯৫৫) ও লা ফোর্তুনা দি এসসেরে দোন্না (১৯৫৬) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৫৭ সালে তিনি লে নোত্তি বানশে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য পুনরায় নাস্ত্রো দারজেন্তো অর্জন করেন।

১৯৬০ সালে ফেদেরিকো ফেল্লিনির লা দোলচে ভিতা চলচ্চিত্রে দিন-রাত রোমের উচ্চবিত্ত সমাজের অনুসন্ধানকারী ট্যাবলয়েড কলাম লেখক চরিত্রে অভিনয় করে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন। এই কাজের জন্য তিনি তার তৃতীয় নাস্ত্রো দারজেন্তো অর্জন করেন। পরের বছর তিনি জান মোরোর বিপরীতে লা নত্তে (১৯৬১) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি দিভোর্জিও আল্লিতালিয়ানা (১৯৬১) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ বিদেশি অভিনেতা বিভাগে বাফটা পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে নাস্ত্রো দারজেন্তো অর্জন করেন এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ১৯৬৩ সালে তিনি পুনরায় ফেল্লিনির পরিচালনায় অত্তো এ মেজ্জো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এতে তাকে একজন আত্মসন্দিগ্ন চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে দেখা যায়, যে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণকালে নিজেকে একটি সৃজনশীল গণ্ডির মধ্যে খুঁজে পায়। একই বছর তিনি আইয়েরি, অগি, দোমানি (১৯৬৩) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে টানা দ্বিতীয়বারের মত শ্রেষ্ঠ বিদেশি অভিনেতা বিভাগে বাফটা পুরস্কার অর্জন করেন এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে দাভিদ দি দোনাতেল্লো অর্জন করেন। পরের বছর তিনি মাত্রিমোনিও আল্লিতালিয়ানা (১৯৬৪) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হন,[৫] এবং টানা দ্বিতীয়বারের মত শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে দাভিদ দি দোনাতেল্লো অর্জন করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Marcello Mastroianni"বায়োগ্রাফি (ইংরেজি ভাষায়)। ৩১ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  2. "Alain Elkann Interviews Marcello Mastroianni actor"Alain Elkann Interviews (ইংরেজি ভাষায়)। ৩১ আগস্ট ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  3. "Marcello Mastroianni"ফিল্ম রেফারেন্স। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  4. রোথ, অ্যান; ম্যাক্সিন ব্লক, চার্লস মরিৎজ, ক্যান্ডি, মার্জোরি ডেন্ট (১৯৫৮). Current Biography Yearbook. Hw Wilson Co. পৃ. ২৬১।
  5. "AMORE IN NAPLES; De Sica, Loren and Mastroianni Team Again in 'Marriage, Italian Style'"দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ জুন ১৯৬৪। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০২০ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]