ডেসমন্ড হেইন্স

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ডেসমন্ড হেইন্স
২০০৭ সালে ডেসমন্ড হেইন্স (বায়ে)
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামডেসমন্ড লিও হেইন্স
জন্ম (1956-02-15) ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬ (বয়স ৬৮)
সেন্ট জেমস, বার্বাডোস
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি লেগ ব্রেক / মিডিয়াম পেস
ভূমিকাঅধিনায়ক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৬৩)
৩ মার্চ ১৯৭৮ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট১৩ এপ্রিল ১৯৯৪ বনাম ইংল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ২৫)
২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ ওডিআই৫ মার্চ ১৯৯৪ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৭৬–১৯৯৫বার্বাডোস
১৯৮৯–১৯৯৪মিডলসেক্স
১৯৯৪–১৯৯৭ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স
১৯৮৩স্কটল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১১৬ ২৩৮ ৩৭৬ ৪১৯
রানের সংখ্যা ৭,৪৮৭ ৮,৬৪৮ ২৬,০৩০ ১৫,৬৫১
ব্যাটিং গড় ৪২.২৯ ৪১.২৭ ৪৫.৯০ ৪২.০৭
১০০/৫০ ১৮/৩৯ ১৭/৫৭ ৬১/১৩৮ ২৮/১১০
সর্বোচ্চ রান ১৮৪ ১৫২* ২৫৫* ১৫২*
বল করেছে ১৮ ৩০ ৫৩৬ ৭৮০
উইকেট
বোলিং গড় ৮.০০ ৩৪.৮৭ ৬৫.৭৭
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ১/২ ১/২ ১/৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৬৫/– ৫৯/– ২০২/১ ১১৭/–
উৎস: ক্রিকইনফো, ২৪ এপ্রিল ২০১৪

ডেসমন্ড লিও হেইন্স (ইংরেজি: Desmond Haynes; জন্ম: ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৬) বার্বাডোসের সেন্ট জেমসে জন্মগ্রহণকারী সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটিংয়ে অভ্যস্ত ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ডানহাতি লেগ ব্রেক/মিডিয়াম পেস বোলিং করতে পারতেন। ১৯৮০-এর দশকে গর্ডন গ্রীনিজকে সাথে নিয়ে টেস্টের অনেকগুলো দীর্ঘ ইনিংসের জুটি গড়েছিলেন ডেসমন্ড হেইন্স। অবসর-পরবর্তীকালে তিনি ক্রিকেট কোচের দায়িত্ব পালন করেন।

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে হেইন্স ১১৬টি টেস্ট খেলেন। ৪২.২৯ রান গড়ে তিনি সর্বমোট ৭,৪৮৭ রান সংগ্রহ করেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯৮৪ সালে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৮৪ রান করেন ৩৯৫ বল খেলে। ২৪ নভেম্বর, ১৯৮৩ তারিখে ভারতের বিপক্ষে হ্যান্ডলড দ্য বলে আউট হন যা বেশ দুর্লভ ঘটনা। টেস্ট ক্রিকেটে তিনি ও গর্ডন গ্রীনিজ জুটি ১৬টি শতরানের জুটি গড়েন। তন্মধ্যে চারটি ছিল দুইশত রানের। এ জুটিটি ৬,৪৮২ রান তোলে যা টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি।[১]

এছাড়াও তিনি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অভিষেকেই সেঞ্চুরি করার কীর্তিগাঁথা রচনা করেন। ওডিআই অভিষেকে যে-কোন ব্যাটসম্যানের তুলনায় ডেসমন্ড হেইন্স সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করেন। ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৮ তারিখে এন্টিগুয়ায় অনুষ্ঠিত ওডিআইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার এ শতক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাঙ্গনে সকলের নজর কাড়ে।[২] এ শতকটি অভিষেকে যে-কোন ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ও দ্রুততম হিসেবে ডিসেম্বর, ২০১৭ সাল পর্যন্ত চিহ্নিত হয়ে আছে।[৩] খেলায় তার দল জয় পেয়েছিল।[৪] ১৯৭৯ থেকে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় তিনি ২৫ খেলায় অংশগ্রহণ করেন ও ৩৭.১৩ রান গড়ে ৩টি অর্ধ-শতক ও ১টি শতকসহ সর্বমোট ৮৫৪ রান তোলেন। ইংল্যান্ডের ডেনিস অ্যামিসের পর বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেক ও সর্বশেষ ওডিআই খেলায় সেঞ্চুরি করার কীর্তিগাঁথা রচনা করেন হেইন্স।

বার্বাডিয়ানদের মধ্যে ডেসমন্ড হেইন্স একদিনের আন্তর্জাতিকে সর্বাধিক রান তুলেন ও একসময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বাধিক রান ছিল। পরবর্তীতে তার সংগৃহীত ৮,৬৪৮ রান ব্রায়ান লারা অতিক্রম করেন।[৫]

বিতর্ক[সম্পাদনা]

১৯৮৯-৯০ মৌসুমে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত খেলায় তার বিরুদ্ধে কালক্ষেপণের অভিযোগ উঠে।[৬] ১৯৯০-৯১ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে অনুষ্ঠিত সিরিজে ইয়ান হিলি, মার্ভ হিউজ, ক্রেগ ম্যাকডারমটডেভিড বুনের সাথে মৌখিক তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন হেইন্স। তারা তাকে ডেসি নামে ডাকার ফলেই এ ঘটনা ঘটেছিল।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ESPNCricinfo (2011). ESPNCricinfo Partnership records. Retrieved 20 August 2011.
  2. Menon, Mohandas (২ ডিসেম্বর ২০১৪)। "Hughes – a tribute in numbers"Wisden India Almanack (ইংরেজি ভাষায়)। ২ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৫ 
  3. http://stats.espncricinfo.com/ci/content/records/233754.html
  4. "Australia tour of West Indies, 1st ODI: West Indies v Australia at St John's, Feb 22, 1978" (ইংরেজি ভাষায়)। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১৫ 
  5. "Records / West Indies / One-Day Internationals / Most runs" (ইংরেজি ভাষায়)। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-২৯ 
  6. Selvey, Mike। "Player Profile: Desmond Haynes" (ইংরেজি ভাষায়)। CricInfo। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০০৯ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

পূর্বসূরী
ভিভ রিচার্ডস
ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট ক্রিকেট অধিনায়ক
১৯৮৯/৯০-১৯৯০/৯১
উত্তরসূরী
ভিভ রিচার্ডস