শিবনারায়ণ চন্দরপল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শিবনারায়ণ চন্দরপল
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম (1974-08-16) ১৬ আগস্ট ১৯৭৪ (বয়স ৪৯)
ইউনিটি ভিলেজ, গায়ানা
উচ্চতা৫ ফুট ৮ ইঞ্চি (১.৭৩ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি লেগ ব্রেক
ভূমিকাব্যাটসম্যান
সম্পর্কতেজনারায়ণ চন্দরপল (পুত্র)
খেমরাজ চন্দরপল (বাবা)
উমা চন্দরপল (মা)
লরেন্স প্রীতিপাল (কাকাতো ভাই)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক১৭ মার্চ ১৯৯৪ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট২৫ নভেম্বর ২০১২ বনাম বাংলাদেশ
ওডিআই অভিষেক১৭ অক্টোবর ১৯৯৪ বনাম ভারত
শেষ ওডিআই২৩ মার্চ ২০১১ বনাম পাকিস্তান
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯১-বর্তমানগায়ানা
২০০৭-০৯ডারহাম
২০০৮রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর
২০১০ল্যাঙ্কাশায়ার
২০১১-১২ওয়ারউইকশায়ার
২০১২-বর্তমানখুলনা রয়েল বেঙ্গলস
২০১৩-বর্তমানডার্বিশায়ার
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১৪৮ ২৬৮ ২৯৬ ৩৮৬
রানের সংখ্যা ১০,৮৩০ ৮,৭৭৮ ২১,৯৫১ ১২,২৯৫
ব্যাটিং গড় ৫১.৮১ ৪১.৬০ ৫৬.২৮ ৪১.৫৩
১০০/৫০ ২৮/৬১ ১১/৫৯ ৬৬/১০৮ ১২/৮৮
সর্বোচ্চ রান ২০৩* ১৫০ ৩০৩* ১৫০
বল করেছে ১,৭৪০ ৭৪০ ৪,৭০০ ১,৬৮১
উইকেট ১৪ ৫৭ ৫৬
বোলিং গড় ৯৮.১১ ৪৫.৪২ ৪৩.৭১ ২৪.৭৮
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ১/২ ৩/১৮ ৪/২২ ৪/২২
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৬৩/– ৭৩/– ১৬৬/– ১০৯/–
উৎস: ক্রিকইনফো, ১০ এপ্রিল ২০১৩

শিবনারায়ণ চন্দরপল (ইংরেজি: Shivnarine Chanderpaul; জন্ম: ১৬ আগস্ট, ১৯৭৪) ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের গায়ানার ইউনিটি ভিলেজে জন্মগ্রহণকারী সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটারওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক ছিলেন তিনি। প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত ও অষ্টম ক্যারিবীয় ক্রিকেটার হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের পক্ষ হয়ে ১০০ টেস্ট খেলেন। এছাড়াও দলকে ১৪টি টেস্ট এবং ১৬টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সবচেয়ে বেশি টেস্ট (৬৮) ক্রিকেটে পরাজিত দলের হয়ে খেলেছেন যা ব্রায়ান লারা’র (৬৩) চেয়েও বেশি।[১]

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

ভারতীয় বংশোদ্ভূত চন্দরপল বামহাতে ব্যাটিং করে থাকেন। তিনি উইকেটে দীর্ঘ সময় ধরে টিকে থাকার জন্যে প্রসিদ্ধ হয়ে আছেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে জ্যামাইকা বনাম গায়ানা দলের মধ্যেকার খেলায় সর্বোচ্চ ৩০৩* রান করেন।

১৯৯৩-৯৪ সালে বৌরদায় ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে অংশগ্রহণের মাধ্যমে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ধীরলয়ে দীর্ঘ সময় ধরে টিকে থাকার সুনামের পাশাপাশি টেস্ট ক্রিকেটে চতুর্থ দ্রুততম শতক করারও গৌরব অর্জন করেন। ২০০২-০৩ মৌসুমে গায়ানার বৌরদায় অস্ট্রেলিয়া দলের বিরুদ্ধে মাত্র ৬৯ বলে তিন অঙ্কের কোঠায় পৌঁছেন।[২]

ডিসেম্বর, ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের হ্যামিলটনে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ৩য় টেস্টে তিনি তার ২৯তম টেস্ট সেঞ্চুরি করে ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানের সাথে যোগ দেন। এছাড়াও তিনি সর্বোচ্চ টেস্ট রান সংগ্রহকারী হিসেবে ৬ষ্ঠ স্থানে পৌঁছান ও অ্যালান বর্ডারের ১১,১৭৪ রান অতিক্রম করেন।[৩] এছাড়াও তিনি ১৭শ বারের মতো অপরাজিত ছিলেন ও নতুন রেকর্ড গড়ে শচীন তেন্ডুলকরের ১৬বারের অপরাজিত থাকার রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলেন।[৪][৫]

২৪ মে, ২০১৫ তারিখে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের ১২-সদস্যের প্রাথমিক দলে চন্দরপলকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।[৬] ব্রায়ান লারা এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন।[৭] কিন্তু, সাবেক ফাস্ট বোলার মাইকেল হোল্ডিংয়ের মতে, ‘আমি মনে করি না যে, ক্রিকেটারগণ শুধুমাত্র সিরিজ থেকে বিদায় নেয়ার জন্য অংশগ্রহণ করেন না।’[৮] ৩০ মে চন্দরপলকে বাদ দিয়ে চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করা হয়।[৯]

অধিনায়কত্ব[সম্পাদনা]

সম্প্রচারসত্ত্ব নিয়ে সাতজন খেলোয়াড়সহ তৎকালীন অধিনায়ক ব্রায়ান লারা'র সাথে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের বিবাদ ঘটায় তাদেরকে বাদ দিয়ে মার্চ, ২০০৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চন্দরপলকে অধিনায়ক করে প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাঠে নামে। গ্রাহাম ডোলিংয়ের পর মাত্র দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে অভিষিক্ত খেলায় অপরাজিত দ্বি-শতক হাঁকান ও ইনিংস ডিক্লেয়ার করেন। ধারণা করা হয়েছিল যে, লারা দ্বিতীয় টেস্টে ফিরে এসে পুনরায় অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন। অক্টোবর, ২০০৫ সালে বিশ্ব একাদশের ২০-সদস্য দলে থাকলেও ১৪-সদস্যের তালিকায় তার নাম উল্লেখ করা হয়নি। তারপরও ওয়েস্ট ইন্ডিজের উল্লেখযোগ্য খেলোয়াড়দের মধ্যে চন্দরপলের নাম আজও উচ্চারিত হয়; বিশেষ করে তার নিজ মাতৃভূমি গায়ানায়।

চন্দরপলের অধিনায়কত্বের পরিসংখ্যান
  খেলা জয় পরাজয় ড্র টাই
টেস্ট[১০] ১৪ ১০
ওডিআই[১১] ১৬ ১৪
টি২০[১২]

এপ্রিল ২০০৬ সালে চন্দরপল ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দেবার অভিপ্রায়ে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন। তিনি দূর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। চৌদ্দ টেস্টের মধ্যে মাত্র একটিতে জয়, দশটিতে পরাজয় এবং তিনটিতে ড্র করে তার দল। ১৬টি ওডিআইয়ের মধ্যে ফলাফলও বেশ বিপর্যকর ছিল। মাত্র দুইটিতে জয় এবং চৌদ্দটিতে পরাজিত হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ঐ মাসেই সাবেক ব্যাটসম্যান ব্রায়ান লারা তার অধিনায়কত্ব ফিরে পান।[১৩]

২০০৮ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটার মনোনীত হন।[১৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "List of Test losses" (ইংরেজি ভাষায়)। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভেম্বর ২০১২ 
  2. Wattley, Garth (২৬ এপ্রিল ২০১২)। "Five of Chanderpaul's best"Cricinfo (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০১২ 
  3. "http://www.bbc.com/sport/0/cricket/25460220" (ইংরেজি ভাষায়)। bbc। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪  |title= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  4. "shivnarine-chanderpaul-overtakes-sachin-tendulkar-with-most-unbeaten-test-centuries" (ইংরেজি ভাষায়)। sports.ndtv.com। ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  5. chanderpaul-moves-border-tests (ইংরেজি ভাষায়), wisdenindia.com, ২১ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  6. "Chanderpaul excluded from WI training squad"ESPNCricinfo (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০১৫ 
  7. "Chanderpaul has earned farewell series - Lara"ESPNCricinfo (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০১৫ 
  8. "Chanderpaul no longer good enough to play for West Indies - Holding"ESPNCricinfo (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৫ 
  9. "Chanderpaul dropped from West Indies squad"ESPNCricinfo (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১৫ 
  10. "West Indies captains' playing record in Test matches" (ইংরেজি ভাষায়)। CricketArchive.com। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১২ 
  11. "West Indies captains' playing record in ODI matches" (ইংরেজি ভাষায়)। CricketArchive.com। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১২ 
  12. "West Indies captains' playing record in International Twenty20 matches" (ইংরেজি ভাষায়)। CricketArchive.com। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১২ 
  13. "Chanderpaul resigns as captain from" (ইংরেজি ভাষায়)। Cricinfo। 
  14. "Wisden Cricketers of the Year" (ইংরেজি ভাষায়)। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০২-২১ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

পূর্বসূরী
ব্রায়ান লারা
ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট ক্রিকেট অধিনায়ক
২০০৪/০৫-২০০৬
উত্তরসূরী
ব্রায়ান লারা
পূর্বসূরী
রিকি পন্টিং
স্যার গারফিল্ড সোবার্স ট্রফি
২০০৮
উত্তরসূরী
মিচেল জনসন