শ্রাবস্তী জেলা
শ্রাবস্তী জেলা | |
---|---|
উত্তর প্রদেশের জেলা | |
উত্তরপ্রদেশে শ্রাবস্তী জেলার অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | উত্তরপ্রদেশ |
বিভাগ | দেবপাটন |
সদর দপ্তর | ভিঙ্গা |
তহশিল | ইকাউনা, ভিঙ্গা যমুনা |
সরকার | |
• লোকসভা কেন্দ্র | শ্রাবস্তী |
• বিধানসভা কেন্দ্রগুলি | শ্রাবস্তী এবং ভিঙ্গা |
আয়তন | |
• মোট | ১,৬৪০ বর্গকিমি (৬৩০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১১,১৭,৩৬১ |
• জনঘনত্ব | ৬৮০/বর্গকিমি (১,৮০০/বর্গমাইল) |
জনসংখ্যার উপাত্ত | |
• সাক্ষরতা | ৪৬.৭৪% |
• যৌন অনুপাত | ৮৮১ |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
প্রধান মহাসড়ক | রাজ্যসড়ক২৬, এসএইচ-৯৬এ |
ওয়েবসাইট | http://shravasti.nic.in |
শ্রাবস্তী জেলা ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের একটি জেলা, ভিঙ্গা শহরটির জেলা সদর। শ্রাবস্তি জেলা হল দেবিপাটন বিভাগের একটি অংশ। ভারত সরকারের তথ্য মতে, জনসংখ্যা, আর্থ-সামাজিক সূচক এবং মৌলিক সুযোগ-সুবিধার সূচকের ২০০১ সালের আদমশুমারি তথ্যের ভিত্তিতে এটি ভারতের সংখ্যালঘুকেন্দ্রিক জেলাগুলির মধ্যে একটি।[১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]উত্তরপ্রদেশের উত্তর-পূর্বের শহর শ্রাবস্তি, পশ্চিম রাপ্তি নদীর নিকটে অবস্থিত। এই শহরটি গৌতম বুদ্ধের জীবনের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত, যিনি এখানে ২৪টি চতুর্মাস কাটিয়েছেন বলে বিশ্বাস করা হয়।[২] "সাহেত-মাহেত" গ্রামের নিকটবর্তী প্রাচীন স্তূপ, মহিমান্বিত বিহারসমূহ এবং বেশ কয়েকটি মন্দির শ্রাবস্তীর সাথে বুদ্ধের মেলবন্ধন প্রতিষ্ঠা করে। নাগার্জুনের মতানুসারে, খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতকে এই শহরটির জনসংখ্যা ছিল ৯০০,০০০ জন। এটি মগধের রাজধানী, রাজগিরের থেকে বেশি মহিমান্বিত ছিল।
চতুর্দশ শতাব্দীর 'বৃহৎকল্প' এবং বিভিন্ন কল্পের বর্ণনা অনুসারে, শহরের নাম ছিল মাহিদ। পরবর্তীকালে উল্লেখ রয়েছে যে, এই শহরটির নাম ছিল সাহেত-মাহেত। আরও উল্লেখ করা আছে যে, এই শহরটি জুড়ে একটি বিশাল দুর্গ ছিল যেখানে অনেকগুলি মন্দির ছিল এবং সেই মন্দিরে ছিল দেবকুলিকাদের মূর্তি।
আজ মাটি এবং ইটের একটি বিরাট গড়-প্রাচীর এই শহরটিকে ঘিরে রয়েছে। শ্রাবস্তী শহরের নিকটে 'সাহেত-মাহেত' এ খনন চলাকালীন,অনেক প্রাচীন মূর্তি এবং শিলালিপি পাওয়া গেছে। এগুলি এখন মথুরা এবং লখনউয়ের যাদুঘরে রাখা হয়েছে। বর্তমানে, ভারত সরকারের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ মিত্র যৌথ গবেষণা করার জন্য খননকাজ করছে।
১৯৯৭ সালের মে মাসে বাহরাইচ জেলা বিভক্ত হয়ে শ্রাবস্তী গঠিত হয়েছিল।
ভূগোল
[সম্পাদনা]দক্ষিণে গোন্ডা জেলা এবং পশ্চিমে বারাইচ জেলা থেকে ঐতিহাসিক আওধের কিছু অংশ খোদাই করে শ্রাবস্তী বার হয়েছিল। শ্রাবস্তীর পূর্বদিকে বলরামপুর, উত্তর-পূর্বে নেপালের ড্যাং-দেউখুড়ি জেলা এবং উত্তর-পূর্বে নেপালের বাঁকে জেলার সীমানা। শ্রাবস্তী জেলা সদর ভিঙ্গা লখনউ (উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের সদর দপ্তর, রাজ্যের রাজধানী) থেকে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
অর্থনীতি
[সম্পাদনা]২০০৬ সালে পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রক শ্রাবস্তীকে দেশের ২৫০টির মধ্যে একটি সর্বাধিক পিছিয়ে পড়া জেলা ঘোষণা করেছিল (মোট ৬৪০টি জেলার মধ্যে)। এটি উত্তর প্রদেশের ৩৪টি জেলার মধ্যে একটি যা বর্তমানে পশ্চাৎপদ অঞ্চল অনুদান তহবিল কর্মসূচী (বিআরজিএফ) থেকে অনুদান পাচ্ছে।[৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Press Information Bureau English Releases"। Pib.nic.in। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৭-২৩।
- ↑ http://www.hindustantimes.com/Travel/TravelStories/The-Ananda-Bodhi-at-Shravasti/Article1-905851.aspx[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Ministry of Panchayati Raj (৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯)। "A Note on the Backward Regions Grant Fund Programme" (পিডিএফ)। National Institute of Rural Development। ৫ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১।
টেমপ্লেট:Devipatan division topics