বিষয়বস্তুতে চলুন

দেওরিয়া জেলা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
দেওরিয়া জেলা
উত্তরপ্রদেশের জেলা
উত্তরপ্রদেশে দেওরিয়া জেলার অবস্থান
উত্তরপ্রদেশে দেওরিয়া জেলার অবস্থান
দেশভারত
রাজ্যউত্তরপ্রদেশ
বিভাগগোরক্ষপুর
সদর দপ্তরদেওরিয়া, উত্তরপ্রদেশ
সরকার
 •  লোকসভা কেন্দ্রগুলিদেওরিয়া, সালেমপুর, বাঁশগাঁও
 •  বিধানসভা কেন্দ্রগুলিদেওরিয়া সিটি, রামপুর কারখানা, বারহাজ, রুদ্রপুর, ভাটপার রানী, সালেমপুর, পাথরদেব।
আয়তন
 • মোট২,৫৩৫ বর্গকিমি (৯৭৯ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট৩১,০০,৯৪৬
 • জনঘনত্ব১,২০০/বর্গকিমি (৩,২০০/বর্গমাইল)
জনসংখ্যার উপাত্ত
 • সাক্ষরতা৭৩.৫৩%
 • যৌন অনুপাতপুং:স্ত্রী ১০০০:১০১৩
সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০)
প্রধান মহাসড়কএনএইচ২৮, এনএইচ২২১এ, এনএইচ৪৪১এ
গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত৮৬৪.৩৮ মিমি
ওয়েবসাইটhttp://deoria.nic.in/
জেলা কর্মকর্তা
সরকার
 • ডি.এমঅমিত কিশোর
 • এ.ডি.এমসীতারাম গুপ্ত
 • এ.ডি.এমরাকেশ কুমার প্যাটেল

দেওরিয়া জেলা ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের অন্যতম জেলা। দেওরিয়া জেলা সদর। দেওরিয়া জেলা গোরক্ষপুর বিভাগের একটি অংশ। ১৯৪৬ সালের ১৬ই মার্চ গোরক্ষপুর জেলা থেকে ভেঙে দেওরিয়া জেলা তৈরি হয়।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

প্রাচীন

[সম্পাদনা]

দেওরিয়া জেলা হিসাবে পরিচিত অঞ্চলটি এক সময় কোশল রাজ্যের অংশ ছিল - প্রাচীন আর্য সংস্কৃতির একটি প্রধান কেন্দ্র। উত্তরে হিমালয় দ্বারা পরিবেষ্টিত, দক্ষিণে শ্যান্দিকা নদী, পশ্চিমে পাঞ্চাল রাজ্য এবং পূর্বে বিহারের মগধ রাজ্য। এই অঞ্চল সম্বন্ধে অনেক কিংবদন্তি আছে, সেগুলি ছাড়াও, অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক অবশেষ, যেমন মূর্তি, মুদ্রা, ইট, মন্দির ইত্যাদি এখানে পাওয়া গেছে। দেওরিয়া জেলার অধিকাংশ ক্ষত্রিয় ‘রাও’ উপাধি ব্যবহার করে।

জেলার প্রাচীন ইতিহাস রামায়ণের সময়ের সাথে সম্পর্কিত যখন কোশলের রাজা, রাম, তাঁর বড় ছেলেকে কুশকে কুশবতীর রাজা নিযুক্ত করেন, আজকের দিনে সেই অঞ্চলটি হল কুশিনগরমহাভারতের যুগের আগে। এই অঞ্চলটি চক্রবর্তী সম্রাট মহাসুৎশন মল এবং তাঁর রাজ্যের সাথে সম্পর্কিত ছিল। কুশিনগর বেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ ছিল। তাঁর রাজ্যের সীমানার নিকটেই ছিল মহাবন নামক ঘন বনাঞ্চল। এই অঞ্চলটি, ১১১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১১৫৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত, মৌর্য শাসক, গুপ্ত শাসক, বিহার শাসক এবং তারপরে গাড়োয়াল শাসক গোবিন্দ চন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে ছিল।

আধুনিক

[সম্পাদনা]

গোরক্ষপুর জেলা থেকে পৃথক হয়ে দেওরিয়া জেলা ১৯৪৬ সালের ১৬ই মার্চ জন্ম নেয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে দেওরিয়া নামটি দেবরানিয়া বা সম্ভবত দেবপুর থেকে উদ্ভূত। সরকারি নথি মোতাবেক, দেওরিয়ার সদর দপ্তরের নামে জেলার নামকরণ করা হয়েছিল "দেওরিয়া", এবং দেওরিয়া শব্দটির অর্থ সাধারণত এমন একটি জায়গা যেখানে অনেক মন্দির রয়েছে। দেওরিয়া নামটি সম্ভবত সেই অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ মন্দিরগুলির অস্তিত্বের কারণে বিকাশ লাভ করেছিল। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় রুদ্রপুরের দেহরৌলি গ্রামের পণ্ডিত বিভূতি মণি ত্রিপাঠীর নেতৃত্বে এই জেলা সংগ্রামে যোগ দিয়েছিল।

ভূগোল

[সম্পাদনা]

দেওরিয়া জেলাটি ২৬°৬' এবং ২৬°৪৮' উত্তর অক্ষাংশ থেকে ৮৩°২৩' এবং ৮৪°১৬' পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। এটির উত্তরে কুশিনগর জেলা, পূর্বে বিহারের গোপালগঞ্জ এবং সিওয়ান জেলা, দক্ষিণে মাউ এবং বালিয়া জেলা এবং পশ্চিমে গোরক্ষপুর জেলা[]

ঘাঘরা, রাপ্তি এবং ছোট গণ্ডাক এই জেলার প্রধান নদী।[]

জনসংখ্যার উপাত্ত

[সম্পাদনা]
দেওরিয়া জেলায় ধর্ম
ধর্ম শতাংশ
হিন্দু
  
৮৮.০৭%
মুসলমান
  
১১.৫৬%

২০১১ আদমশুমারি অনুসারে দেওরিয়া জেলার জনসংখ্যা ৩,০৯৮,৬৩৭ জন।[] জনসংখ্যার ভিত্তিতে ভারতে এর স্থান ১১৪তম (মোট ৬৪০ জেলার মধ্যে) of[] জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব ১,২২০ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (৩,২০০ জন/বর্গমাইল)।[] ২০০১ - ২০১১ এর দশকে এর জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার ছিল ১৪.২৩%।[] দেওরিয়ায় প্রতি ১০০০ পুরুষের জন্য ১০১৩ জন মহিলা যৌন অনুপাত রয়েছে,[] এবং সাক্ষরতার হার ৭৩.৫৩%।[]

ঐতিহাসিক জনসংখ্যা
বছরজন.ব.প্র. ±%
১৯০১৭,৪৯,৪৮৬—    
১৯১১৮,১৬,১৯১+০.৮৬%
১৯২১৮,৩৩,১৯৯+০.২১%
১৯৩১৮,৮৯,৭২৬+০.৬৬%
১৯৪১৯,৯২,৩৫২+১.১%
১৯৫১১০,৫৯,২০৮+০.৬৫%
১৯৬১১১,৯০,৮০৩+১.১৮%
১৯৭১১৪,১০,৮৬৮+১.৭১%
১৯৮১১৭,৪৯,৯৪৬+২.১৮%
১৯৯১২১,৮৪,৯০৪+২.২৪%
২০০১২৭,১৪,১৭৯+২.১৯%
২০১১৩১,০০,৯৪৬+১.৩৪%
সূত্র:[]

ভাষাসমূহ

[সম্পাদনা]

২০১১ সালের ভারতের আদমশুমারি অনুসারে, জেলার জনসংখ্যার ৯৮.৫২% মূলত হিন্দিতে এবং ১.৪০% উর্দুতে কথা বলে।[]

দেওরিয়ায় কথ্য ভাষাগুলির মধ্যে রয়েছে - ভোজপুরি ভাষা, হিন্দিইংরেজি ভাষা।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Deoria"। Deoria district administration। ২০১৯-০৮-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-০৫ 
  2. "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০ 
  3. Decadal Variation In Population Since 1901
  4. 2011 Census of India, Population By Mother Tongue
  5. M. Paul Lewis, সম্পাদক (২০০৯)। "Bhojpuri: A language of India"Ethnologue: Languages of the World (16th সংস্করণ)। Dallas, Texas: SIL International। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০