ঔরিয়া জেলা

স্থানাঙ্ক: ২৬°২৮′০০″ উত্তর ৭৯°৩১′০০″ পূর্ব / ২৬.৪৬৬৭° উত্তর ৭৯.৫১৬৭° পূর্ব / 26.4667; 79.5167
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ঔরিয়া জেলা
উত্তরপ্রদেশের জেলা
উত্তরপ্রদেশে ঔরিয়া জেলার অবস্থান
উত্তরপ্রদেশে ঔরিয়া জেলার অবস্থান
দেশভারত
রাজ্যউত্তরপ্রদেশ
বিভাগকানপুর
সদর দপ্তরঔরিয়া
তহশিল
সরকার
 • লোকসভা কেন্দ্রগুলি১. কনৌজ (লোকসভা কেন্দ্র))-বিধুনা
২. এটাওয়া (লোকসভা কেন্দ্র)- ঔরিয়া, দিব্যপুর
 • বিধানসভা কেন্দ্রগুলি১. ঔরিয়া
২. বিধুনা
৩.দিব্যপুর
আয়তন
 • মোট২,০৫৪ বর্গকিমি (৭৯৩ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট১৩,৭২,২৮৭[১]
 • পৌর এলাকা২,৩৪,২০৫
জনসংখ্যার উপাত্ত
 • সাক্ষরতা৮০.২৫%
 • লিঙ্গ অনুপাত৮৬৪
সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০)
প্রধান মহাসড়কএনএইচ-১৯
গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত৭৯২ মিমি
ওয়েবসাইটhttp://auraiya.nic.in/
জাতীয় মহাসড়ক (ভারত)এনএইচ -১৯


ঔরিয়া জেলা (হিন্দি: औरैया जिला) ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের একটি জেলা এবং ঔরিয়া শহরটি জেলা সদর।[২] এটি উত্তরপ্রদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে অবস্থিত এবং এটি কানপুর বিভাগের অংশবিশেষ।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ঐতিহাসিক জনসংখ্যা
বছরজন.ব.প্র. ±%
১৯০১৩,৬৫,৯১৯—    
১৯১১৩,৪৪,৭৪৮−০.৫৯%
১৯২১৩,৩২,৬৮৯−০.৩৬%
১৯৩১৩,৩৮,৩৪৬+০.১৭%
১৯৪১৪,০০,৫৯৯+১.৭%
১৯৫১৪,৪০,২৫৩+০.৯৫%
১৯৬১৫,৪৩,৫৫৫+২.১৩%
১৯৭১৬,৬৯,১৮১+২.১%
১৯৮১৮,০৮,২২২+১.৯১%
১৯৯১১০,০০,০৩৫+২.১৫%
২০০১১১,৭৯,৯৯৩+১.৬৭%
২০১১১৩,৭৯,৫৪৫+১.৫৭%
সূত্র:[৩]

১৭ই সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ সালে ঔরিয়া এবং বিধুনা নামে দুটি তহসিলকে ইটাওয়া জেলা থেকে পৃথক করে ঔরিয়া নামে নতুন জেলাটি গঠিত হয়। এটি জাতীয় সড়ক ১৯ (মুঘল রোড) এর উপরে অবস্থিত। জেলাটি ইটাওয়ার সদর দফতরের ৬৪ কি.মি. পূর্বে এবং কানপুর শহরের ১০৫ কি.মি. পশ্চিমে অবস্থিত।

আধুনিক ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৭৬০ সালে রোহিলাদের সহায়তা নিয়ে আহমদ শাহ দুররানি ভারত আক্রমণ করেছিলেন; ১৭৬১ সালে পানিপথের যুদ্ধে মারাঠারা তাদের বাধা দেয়। এই যুদ্ধে মারাঠারা পরাজিত হয়। অন্যান্য মারাঠী সর্দারদের মধ্যে গোবিন্দ রাও পণ্ডিত এই যুদ্ধে প্রাণ হারান। ভারত ছাড়ার আগে, দুররানি প্রধান দেশের বৃহ্ৎ অঞ্চলগুলি রোহিলা সর্দারদের হাতে দিয়ে যান। ধুন্দে খান পান শিকোহাবাদ, হাফিজ রহমত খানের পুত্র ইনায়াত খান ইটাওয়া জেলাটি পেয়েছিল। এই অঞ্চলটি তখন মারাঠাদের দখলে ছিল এবং সেই অনুসারে ১৭৬২ সালে মোল্লা মহসিন খানের নেতৃত্বে একটি রোহিলা বাহিনী মারাঠাদের কাছ থেকে সেই সম্পত্তি অধিকার করার জন্য যায়। কিশান রাও এবং বালা রাও পণ্ডিতদ্বয় ইটাওয়া শহরের কাছে এই বাহিনীর বিরোধিতা করেছিলেন। তাঁরা পরাজিত হলে আত্মরক্ষার্থে যমুনা পার হয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। মহসিন খান ইটওয়ার দুর্গ অবরোধ করেন; কিছুদিনের মধ্যেই দুর্গাধিপতি আত্মসমর্পণ করেন এবং জেলাটি রোহিলাদের হাতে চলে যায়।

দখলটি অবশ্য প্রথমে নামমাত্র ছিল; জমিদাররা ইনায়াত খানকে রাজস্ব দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং তাদের মাটির দুর্গে সুরক্ষিত থেকে তার কর্তৃত্বকে অস্বীকার করে। রোহিলাদের শক্তিবৃদ্ধি করার জন্য শেখ কুবের ও মোল্লা বাজ খানের নেতৃত্বে প্রচুর সৈন্য এবং অস্ত্রশস্ত্র পাঠানো হয়। অনেক ছোট দুর্গ ধূলিস্যাৎ করা হয়েছিল; কিন্তু যমুনা এলাকার অপর পারে, গিরিখাতের দুর্গে কামাইতের জমিদাররা ইনায়াত খানের কর্তৃত্বকে প্রতিহত করেছিল। এরপরে হাফিজ রহমত ও ইনায়াত খান ব্যক্তিগতভাবে ইটাওয়ায় এসে বিদ্রোহী জমিদারদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে চাপ দেয়। শেষ পর্যন্ত জমিদারেরা একটি বার্ষিক খাজনা দিতে সম্মত হয়েছিল। এরপরে হাফিজ রহমত বারেলি চলে যায়, এবং জেলার সুবিধাজনক স্থানে রোহিলা সেনা ছাউনি স্থাপন করা হয়েছিল।

জনসংখ্যার উপাত্ত[সম্পাদনা]

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে আওরইয়া জেলার জনসংখ্যা ১,৩৭২,২৮৭;[১] যা সোয়াজিল্যান্ড[৪] বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই এর জনসংখ্যার প্রায় সমান।[৫] জনসংখ্যার দিক দিয়ে এটি ভারতে ৩৫৭তম স্থানে (মোট ৬৪০ জেলার মধ্যে) রয়েছে।[১] জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব ৬৮১ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (১,৭৬০ জন/বর্গমাইল)।[১] এর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০০১ - ২০১১ এর দশকে ১৬.৩% ছিল।[১] ঔরিয়াতে প্রতি ১০০০ জন পুরুষের বিপরীতে ৮৬৪ জন মহিলা (লিঙ্গ অনুপাত) রয়েছে[১] এবং সাক্ষরতার হার ৮০.২৫%।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০ 
  2. "Archived copy"। ২০০৭-০৯-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-০৮ 
  3. Decadal Variation In Population Since 1901
  4. US Directorate of Intelligence। "Country Comparison:Population"। ২০১১-০৯-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-০১Swaziland 1,370,424 
  5. "2010 Resident Population Data"। U. S. Census Bureau। ২০১৩-১০-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০Hawaii 1,360,301 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]