পশ্চিম চম্পারণ জেলা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পশ্চিম চম্পারণ জেলা
पश्चिमी चंपारण ज़िला,مغربی چمپارن
বিহারের জেলা
বিহারে পশ্চিম চম্পারণের অবস্থান
বিহারে পশ্চিম চম্পারণের অবস্থান
দেশভারত
রাজ্যবিহার
প্রশাসনিক বিভাগতিরহূত
সদরদপ্তরবেতিয়া
সরকার
 • লোকসভা কেন্দ্রপশ্চিম চম্পারণ, বাল্মীকি নগর
 • বিধানসভা আসনবাল্মীকি নগর, রামনগর, নরকাটিয়াগঞ্জ, বাগাহা, লাউরিয়া, নউতন, চানপাতিয়া, বেতিয়া, সিকতা
আয়তন
 • মোট৫,২২৯ বর্গকিমি (২,০১৯ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট৩৯,২২,৭৮০
 • জনঘনত্ব৭৫০/বর্গকিমি (১,৯০০/বর্গমাইল)
জনতাত্ত্বিক
 • সাক্ষরতা৫৮.০৬%
 • লিঙ্গানুপাত৯০৬
প্রধান মহাসড়ক২৮খ নং জাতীয় সড়ক
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট
গন্ডক নদী

পশ্চিম চম্পারণ জেলা (হিন্দি: पश्चिम चंपारण ज़िला, উর্দু: مغرِبی چمپارن ضلع‎‎ Maġribī Čaṃpāraṇ Zilā) হল ভারতের বিহার রাজ্যের ৩৮টি জেলার অন্যতম। এই জেলার সদর শহর বেতিয়া। সমস্তিপুর জেলা বিহারের তিরহূত বিভাগের অন্তর্গত।

ভূগোল[সম্পাদনা]

পশ্চিম চম্পারণ জেলার আয়তন ৫,২২৮ বর্গকিলোমিটার (২,০১৯ মা)।[১] এই জেলার আয়তন কানাডার অ্যামান্ড রিংনেস দ্বীপের আয়তনের প্রায় সমান।[২]

উদ্ভিদজগৎ[সম্পাদনা]

১৯৮৯ সালে পশ্চিম চম্পারণ জেলায় বাল্মীকি জাতীয় উদ্যান গঠিত হয়। এই জাতীয় উদ্যানের আয়তন ৩৩৬ কিমি (১২৯.৭ মা)।[৩] এছাড়াও এই জেলায় দুটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য আছে। এগুলি হল: বাল্মীকি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য (বাল্মীকি জাতীয় উদ্যানের পাশে অবস্থিত) ও উদয়পুর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য[৩]

বিভাগ[সম্পাদনা]

পশ্চিম চম্পারণ জেলা তিনটি মহকুমায় বিভক্ত। এগুলি হল: বেত্তিয়া, বাগাহা ও নরকাটিয়াগঞ্জ।

জনপরিসংখ্যান[সম্পাদনা]

২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, পশ্চিম চম্পারণ জেলার জনসংখ্যা ৩,৯২২,৭৮০।[৪] এই জেলার জনসংখ্যা লাইবেরিয়া রাষ্ট্র[৫] বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন রাজ্যের জনসংখ্যার প্রায় সমান।[৬] জনসংখ্যার হিসেবে ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যে এই জেলার স্থান ৬৩তম।[৪] জেলার জনঘনত্ব ৭৫০ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (১,৯০০ জন/বর্গমাইল)।[৪] ২০০১-২০১১ দশকে এই জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ২৮.৮৯%।[৪] পশ্চিম চম্পারণ জেলার লিঙ্গানুপাতের হার প্রতি ১০০০ পুরুষে ৯০৬ জন মহিলা[৪] এবং সাক্ষরতার হার ৫৮.০৬%।[৪]

ভাষা[সম্পাদনা]

এই জেলায় বিহারী ভাষাগোষ্ঠীর ভোজপুরি ভাষা প্রচলিত। এই ভাষা দেবনাগরীকইঠি হরফে লেখা হয়।[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Srivastava, Dayawanti et al. (ed.) (২০১০)। "States and Union Territories: Bihar: Government"। India 2010: A Reference Annual (54th সংস্করণ)। New Delhi, India: Additional Director General, Publications Division, Ministry of Information and Broadcasting (India), Government of India। পৃষ্ঠা 1118–1119। আইএসবিএন 978-81-230-1617-7। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-১১ 
  2. "Island Directory Tables: Islands by Land Area"United Nations Environment Program। ১৯৯৮-০২-১৮। ২০১৫-১২-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-১১Amund Ringnes Island 5,255km2  horizontal tab character in |উক্তি= at position 21 (সাহায্য)
  3. Indian Ministry of Forests and Environment। "Protected areas: Bihar"। ২৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১১ 
  4. "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০ 
  5. US Directorate of Intelligence। "Country Comparison:Population"। ২০১১-০৯-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-০১Liberia 3,786,764 July 2011 est.  line feed character in |উক্তি= at position 8 (সাহায্য)
  6. "2010 Resident Population Data"। U. S. Census Bureau। ২০১১-০৮-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০Oregon 3,831,074  line feed character in |উক্তি= at position 7 (সাহায্য)
  7. M. Paul Lewis, সম্পাদক (২০০৯)। "Bhojpuri: A language of India"Ethnologue: Languages of the World (16th সংস্করণ)। Dallas, Texas: SIL International। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:Tirhut Division