বস্তী জেলা

স্থানাঙ্ক: ২৭°১৫′ উত্তর ৮৩°০০′ পূর্ব / ২৭.২৫০° উত্তর ৮৩.০০০° পূর্ব / 27.250; 83.000
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বস্তী জেলা
উত্তরপ্রদেশের জেলা
উত্তরপ্রদেশে বস্তি জেলার অবস্থান
উত্তরপ্রদেশে বস্তি জেলার অবস্থান
দেশভারত
রাজ্যউত্তরপ্রদেশ
বিভাগবস্তী
সদর দপ্তরবস্তী, উত্তরপ্রদেশ
সরকার
 •  লোকসভা কেন্দ্রবস্তী
আয়তন[১]
 • মোট২,৬৮৮ বর্গকিমি (১,০৩৮ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট২৪,৬৪,৪৬৪[১]
জনসংখ্যার উপাত্ত
 • সাক্ষরতা৬৭.২%
 • যৌন অনুপাত৯৬৩[১]
সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০)
প্রধান মহাসড়কজাতীয় মহাসড়ক ২৮
গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত১১৬৬ মিমি
ওয়েবসাইটhttp://basti.nic.in/
এন এইচ-২৮

বস্তী জেলা হল ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের একটি জেলা, এবং বস্তী বিভাগের একটি অংশ। বস্তী শহরটি জেলা সদর। ১৮৫৭ সালে এর স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়, আমোঢ়ার ছাওয়ানিতে, ব্রিটিশ সরকার, প্রায় আড়াইশ সংগ্রামীকে অশ্বত্থ গাছে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছিল।[২][৩][৪][৫]

নামের উৎস এবং ইতিহাস[সম্পাদনা]

বস্তী নামটি এসেছিল বশিষ্ঠী থেকে, এই অঞ্চলে মহর্ষি বশিষ্ঠের আশ্রমটি ছিল।[৬]

১৮০১ সালে, বস্তী একটি তহশিল সদর দফতরে পরিণত হয়েছিল, এবং ১৮৬৫ সালে, এটি গোরক্ষপুর কমিশনারেটের নতুন প্রতিষ্ঠিত বস্তী জেলার সদর দফতর হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিল।[৭]

আমোরহা খাস অঞ্চলটি জেলা সদর থেকে ৪১  কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক স্থান। এর পুরাতন নাম আমোঢ়া, এবং এটি একসময় রাজা জালিম সিংহের একটি প্রদেশ (রাজ্য) ছিল। রাজা জালিম সিংহের মহলটি এখানে আছে, মহলের পুরানো প্রাচীরে ইংরেজদের ব্যবহৃত বুলেটের চিহ্ন এখনও রয়েছে। বিখ্যাত রামরেখা মন্দির এখানে আছে। রামরেখা মন্দিরটি রাম এবং সীতার অন্যতম প্রাচীন হিন্দু মন্দির। জনকপুর-অযোধ্যা গমনকালে ভগবান শ্রী রাম একদিন এখানে ছিলেন। শ্রী রাম, সীতা ও লক্ষণের সাথে, ছাওয়ানীর কাছে যে রাস্তা ধরে অযোধ্যা গিয়েছিলেন, সেটির নাম রাম জানকি মার্গ (রাজ্য মহাসড়ক ৭২)।[৩][৪][৫]

ভূগোল[সম্পাদনা]

জেলাটি ২৬° ২৩' এবং ২৭° ৩০' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮২° ১৭' এবং ৮৩° ২০' পূর্ব দ্রাঘিমাংশের সমান্তরালগুলির মধ্যে অবস্থিত। উত্তর থেকে দক্ষিণে এর সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য প্রায় ৭৫  কিলোমিটার। পূর্ব থেকে পশ্চিমে এর প্রস্থ প্রায় ৭০  কিলোমিটার। জেলাটি পূর্বে সদ্য নির্মিত জেলা সন্ত কবীর নগর এবং দক্ষিণে পশ্চিম দিকে গোন্ডার মধ্যে অবস্থিত, আমোঢ়া খাসের (যা পূর্বে আমোঢ়া নামে পরিচিত ছিল এবং রাজা জালিম সিংয়ের রাজ্য ছিল) কাছে ঘাগরা নদী, এই জেলাকে ফৈজাবাদ এবং সদ্য নির্মিত জেলা আম্বেদকর নগর থেকে পৃথক করেছে। এই জেলার উত্তরে আছে সিদ্ধার্থ নগর জেলা।[৮][৯][১০]

জনসংখ্যার উপাত্ত[সম্পাদনা]

ঐতিহাসিক জনসংখ্যা
বছরজন.ব.প্র. ±%
১৯০১৬,৫৬,২৮৫—    
১৯১১৬,৫০,৬৯৩−০.০৯%
১৯২১৬,৮৪,৩৯৬+০.৫১%
১৯৩১৭,৩৮,৭১২+০.৭৭%
১৯৪১৭,৭৬,৯৬৯+০.৫১%
১৯৫১৮,৪৮,৭৬৪+০.৮৯%
১৯৬১১০,১০,৭০৬+১.৭৬%
১৯৭১১১,৪২,২৯৯+১.২৩%
১৯৮১১৩,৬৬,৪৩৪+১.৮১%
১৯৯১১৬,৮৬,৩২৭+২.১৩%
২০০১২০,৮৪,৮১৪+২.১৪%
২০১১২৪,৬৪,৪৬৪+১.৬৯%
সূত্র:[১১]
বস্তী জেলায় ধর্ম [১২]
ধর্ম শতাংশ
হিন্দু
  
৮৪.৫২%
মুসলমান
  
১৪.৭৯%

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, বস্তী জেলার জনসংখ্যা ছিল ২,৪৬৪,৪৬৪ জন, যার মধ্যে মাত্র ৫.৬% শহরাঞ্চলে বাস করত। জনসংখ্যার ভিত্তিতে এটি ভারতের ১৭৮তম জনবহুল জেলা হিসাবে স্থান পেয়েছে। জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব ৯১৭ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (২,৩৮০ জন/বর্গমাইল)। এর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০০১ - ২০১১ এর সময়কালে ১৮.২১% ছিল। প্রতি ১০০০ পুরুষের জন্য বস্তীতে ৯৬৩ মহিলা (যৌন অনুপাত) আছে, এবং সাক্ষরতার হার এর ৬৭.২২%। বস্তীতে প্রতি ১০০০ বালক পিছু ৯২২ জন বালিকা আছে।[১২]

ভাষা সমূহ[সম্পাদনা]

২০১১ সালের ভারতের আদমশুমারি অনুসারে, জেলার জনসংখ্যার ৯৭.৭৭% হিন্দিতে এবং ২.১৪% উর্দুতে, তাদের প্রথম ভাষা হিসাবে কথা বলে।[১৩]

জেলার মধ্যে যে কথ্য ভাষাগুলির চলন আছে, সেগুলির মধ্যে পশ্চিমাঞ্চলে আওধি এবং পূর্বদিকের ভোজপুরি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বস্তী জেলাটি অওধি এবং হিন্দি ভাষার সীমানা বলে ধরা যায়। শহরে, শিক্ষিত জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে, নিত্য কথোপকথনে খারিবোলি হিন্দি ভাষার ব্যবহারও পরিলক্ষিত হয়।[১৪]

ভারতীয় প্রবাসী[সম্পাদনা]

১৮০০-এর দশকের শেষদিকে বস্তী জেলা থেকে প্রায় ৬,৪১৫ মানুষ অঙ্গীকারপত্র দিয়ে ফিজি দ্বীপপুঞ্জ এবং সুরিনামে পাড়ি জমান। অনেকেই সেখানে থেকে গিয়ে তৎকালীন ব্রিটিশ উপনিবেশে তাদের ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।[১৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "District Basti"। National Informatics Centre, Ministry Of Electronics & Information Technology, Government Of India। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১৮ 
  2. "Places of Interest"basti.nic.in। ২৯ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৬ 
  3. Thomas, D. (১৯৯৮)। Battles and Honours of the Royal Navy। Leo Cooper। পৃষ্ঠা 16। আইএসবিএন 9780850526233। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-১৪ 
  4. Benett, W.C. (১৮৭৮)। The final settlement report on the Gonda district23। পৃষ্ঠা 22। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-১৪ 
  5. Michael, B.A. (২০১৪)। Statemaking and Territory in South Asia: Lessons from the Anglo–Gorkha War (1814–1816)। Anthem Press। পৃষ্ঠা 151। আইএসবিএন 9781783083220। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-১৪ 
  6. "Origin of name"। Basti Govt। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১৪ 
  7. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৯ 
  8. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৩০ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৯ 
  9. "Yahoo maps location of Basti"। Yahoo maps। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৩-২৯ 
  10. Thomas, David (১৭ ডিসেম্বর ১৯৯৮)। "Battles & Honours of Royal Navy"। Pen and Sword। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৬ – Google Books-এর মাধ্যমে। 
  11. Decadal Variation In Population Since 1901
  12. "Basti District : Census 2011 data"। census2011.co.in। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১৮ 
  13. 2011 Census of India, Population By Mother Tongue
  14. Gopeshwar Tripathi, সম্পাদক (২০০৯)। "Bhojpuri: A language of India"Ethnologue: Languages of the World (16th সংস্করণ)। Dallas, Texas: SIL International। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০ 
  15. http://girmit.org/?page_id=1242[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:Basti district