ভারতে সাক্ষরতা
ভারতে সাক্ষরতা ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির অন্যতম প্রধান পন্থা হিসেবে বিবেচিত হয়।[১] ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা অর্জনের সময় দেশের সাক্ষরতার হার ছিল ১২%। ২০১১ সালে এই হার বেড়ে হয়েছে ৭৪.০৪%।[২][৩] ২০০৮ সালের জুন মাসে জাতীয় নমুনা সমীক্ষা কার্যালয় (এনএসএসও) পরিচালিত একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, ৭ বছর বয়স পর্যন্ত সাক্ষরতার হার ৭২%, কিন্তু পূর্ণবয়স্ককদের (১৫ বছর ও তদুর্ধ্ব) সাক্ষরতার হার ৬৬%।[৪]
সাক্ষরতার ক্ষেত্রে এই উন্নতি পাঁচ গুণ হলেও, ভারতে সাক্ষরতার হার বিশ্বের গড় সাক্ষরতার হার ৮৪%-এর অনেকটাই নিচে।[৫] বর্তমানে নিরক্ষর জনসংখ্যার নিরিখে ভারত বিশ্বে প্রথম স্থানের অধিকারী।[৬] সরকারিভাবে একাধিক নিরক্ষরতা-দূরীকরণ কর্মসূচি গ্রহণ করা সত্ত্বেও, ভারতের সাক্ষরতার বৃদ্ধির হার "শ্লথ"।[৭] ১৯৯০ সালের একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছিল, সার্বিক সাক্ষরতা অর্জনে ভারতের ২০৬০ সাল লেগে যাবে।[৮] ২০১১ সালের জনগণনায় দেখা গেছে, ভারতের ২০০১-২০১১ দশকীয় সাক্ষরতা বৃদ্ধির হার ৯.২%, যা পূর্ববর্তী দশকীয় বৃদ্ধির হারের তুলনায় শ্লথতর।
ভারতে লিঙ্গভেদে শিক্ষাগত তারতম্য লক্ষিত হয়। ২০১১ সালে পূর্ণবয়স্ক (১৫ বছর ও তদুর্ধ্ব) সাক্ষরতার হার পুরুষদের ক্ষেত্রে ৮২.১৫% ও মহিলাদের ক্ষেত্রে ৬৫.৪৬%।[৯] নারী-সাক্ষরতার হার কম হওয়ার কুপ্রভাব পড়ছে পরিবার পরিকল্পনা ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ প্রয়াসে পরিলক্ষিত হচ্ছে। গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, নারী সাক্ষরতার ফলে বিবাহিত মহিলাদের মধ্যে গর্ভনিরোধক ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ে, এমনকি তাঁরা আর্থিকভাবে স্বাধীন না হলেও।[১০] অবশ্য সাম্প্রতিক জনগণনা থেকে জানা গিয়েছে, ২০০১-২০১১ দশকে ভারতে নারী সাক্ষরতা বৃদ্ধির হার (১১.৮%), পুরুষ সাক্ষরতা বৃদ্ধির হারের (৬.৯%) তুলনায় অধিক; যার অর্থ সাক্ষরতার ক্ষেত্রে লিঙ্গগত বিভেদ কমে আসছে।[১১]
পাদটীকা
[সম্পাদনা]- ↑ UNESCO: Literacy, UNESCO, ২০ মে ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা
- ↑ Jayant Pandurang Nayaka, Syed Nurullah (১৯৭৪), A students' history of education in India (1800-1973), Macmillan
- ↑ Census#India। "Cencus Of India"। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৩-৩১।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। ২৪ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ Crossette, Barbara (১৯৯৮-১২-০৯), "Unicef Study Predicts 16% World Illiteracy Rate Will Increase", New York Times, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-২৭
- ↑ "India has the largest number of illiterates in the world", Rediff, ২০০৭-১১-২১, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-২৭
- ↑ "India's literacy rate increase sluggish", Indiainfo.com, ২০০৮-০২-০১, ২০০৯-০৮-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-২০,
... Literacy in India is increasing at a sluggish rate of 1.5 percent per year, says a recent report of the National Sample Survey Organisation (NSSO) ... India's average literacy rate is pegged at 65.38 percent ...
- ↑ How Female Literacy Affects Fertility: The Case of India (পিডিএফ), Population Institute, East-West Center, ডিসেম্বর ১৯৯০, ২০১০-১২-২৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-২৫
- ↑ http://www.unfpa.org/swp/2009/en/pdf/EN_SOWP09_ICPD.pdf
- ↑ A. Dharmalingam, S. Philip Morgan (১৯৯৬), "Women's work, autonomy, and birth control: evidence from two south India villages", Population Studies, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-২৫
- ↑ Literates and Literacy Rates - 2001 Census (Provisional), National Literacy Mission, ২০০৯-০৬-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-২৭
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- National Literacy Mission
- Indian Census
- National Literacy Policies – India ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে
- Need for literacy in India
- Growth of literacy in India
- Literacy in the context of constitution of India
- Find details about Literacy in India
- Literacy as seen in the 2001 census
- Frontline article Education for too few, 5th December 2003
- The Hindu article Two word mantra, 1st February 2004
- Times of India editorial Learn to change, 28th July 2006
- The Statesman editorial Institutionalised sub literacy, 22nd August 2006
- Left behind by Bangladesh - The Telegraph report on 2nd October 2005
- Provisional Population Totals for Census 2011 31 March 2011