মুজাহিদীন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মুজাহিদীন (আরবীতেঃهدين‎ 'mujāhidīn') শব্দটি মুজাহিদ (আরবীতেঃمجاهد) শব্দটির বহুবচন, শব্দটি ব্যবহার করা হয় ব্যক্তির জন্য ‍যিনি জিহাদে লিপ্ত আছেন (জিহাদের আক্ষরিক অর্থ সংগ্রাম)।

ইংরেজিতে এর প্রথম ব্যবহার শুরু হয় সোভিয়েট-আফগান যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী ইসলামপন্থি আফগান গেরিলা যোদ্ধাদলকে বোঝাবার জন্য। এখন বিভিন্ন দেশে জেহাদি দলকে বোঝাবার জন্য শব্দটি ছড়িয়ে পরেছে ।

প্রারম্ভিক ইতিহাস[সম্পাদনা]

আরও তথ্যঃ ইসলামিক রেনেসাঁ, ইসলামিতত্ব, এবং মাহদিবাদী যুদ্ধ

গোড়ার দিকে আরবী শব্দ মোজাহিদ জিহাদ করছেন এমন ব্যক্তিকে বোঝাতে ব্যবহার করা হতো । পরবর্তীতে ক্ল্যাসিকাল অর্থে জিহাদ বোঝাতে ৬০০ খ্রীষ্টব্দের মধ্যবর্তী সময়ে আধ্যাত্মিকভাবে পুরস্কারযোগ্য ওই সব কার্যাবলীকে বোঝাতো যেগুলো ইসলাম ধর্মকে সমুন্নত করার জন্য করা হতো । জিহাদ একটি ধর্মীয় ইবাদত যার প্রতিদান অনেক বেশী, প্রকৃত অর্থে জিহাদ বলতে ইসলাম ধর্মকে সমুন্নত করার লক্ষ্যে কাফেরদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধকে বুঝায়,

আধুনিক পশ্চিমী সংজ্ঞা[সম্পাদনা]

মোজাহিদের আধুনিক সংজ্ঞা আধ্যাত্মিক মুসলিম যোদ্ধাদের বোঝায়, এর সূত্রপাত হয় ১৯ শতকে যখন আফগানিস্তানের কয়েকজন গোত্র প্রধান, ভারতের বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধ করার চেষ্টারত ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে (যদিও প্রথমে ব্রিটিশরা ভৎর্সনা করে তাদের বলত সিয়াটানার উম্মাদ) ।

এর শুরু হয় ১৮২৯ সালে যখন সাঈদ আহমেদ শাহ ব্রিলুই মক্কা থেকে হজ্জ শেষ করে সিয়াটানা গ্রামে ফিরে আসেন এবং উত্তর-পশ্চিম ব্রিটিশ ভারত সীমান্তে কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার জন্য প্রচার আরম্ভ করেন । যদিও তিনি যুদ্ধে মারা যান, তার শিষ্যরা বেঁচে যান এবং মোজাহীদিন আরও শক্তি আর প্রাধান্য অর্জন করে ।

১৮৫৭ সালে ভারতীয় বিদ্রোহের সময় মোজাহীদিনরা পালিয়ে আসা সিপাহিদের গ্রহণ করে এবং পদ অনুযায়ী নিয়োগ দেয় । সময়ের সাথে সাথে এই উপদল এতটাই বড় হয়ে উঠে যে, এরা লুটতারাজ চালাতে থাকে এমন কি আফগানিস্তানের [১] বড় একটা অংশ নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে ।

শীতল যুদ্ধের যুগ[সম্পাদনা]

আধুনিক জিহাদ ত্বত্তের বাহ্যমূর্তি যা জিহাদের প্রকাশ ঘটায় (আক্রমণাত্মক বা আত্মরক্ষামূলক), বিদ্রোহ, গেরিলা যুদ্ধ আর আর্ন্তজাতিক সন্ত্রাসবাদের কারণগুলো খুঁজে পাওয়া যায় ২০ শতকে আর ২০ শতকের গোড়া থেকে মাঝামাঝি সময়ে জন্ম নেয় কুতুবিজম এর মত তত্ত্বগুলোর ।

আফগানিস্তান[সম্পাদনা]

প্রধান সংকলনঃ আফগানিস্তানে বিরোধ (১৯৭৮-বর্তমান), আফগান মোজাহিদীন আর তেহরান আট এর মধ্যে ইসলামিক বন্ধন ধরে নেয়া যায় ইসলামিক জগতের বাইরে সবচেয়ে পরিচিত মোজাহিদীনরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আফগান বিরোধী দলগুলো, ১৯৭০ সালের শেষের দিকে সোভিয়েট পন্থী গণতান্ত্রিক আফগান প্রজাতন্ত্র (ডিআরএ) সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম বিদ্রোহ করে । ডিআরএ‘র অনুরোধে সোভিয়েট ইউনিয়ন ১৯৭৯ সাল থেকে ঐ দেশে সৈন্য নিয়ে আসে । মোজাহিদীনরা সোভিয়েট-আফগান যুদ্ধের (১৯৭৯-১৯৮৯) সময় সোভিয়েট ও ডিআরএ সৈন্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে । একটা বিশৃঙ্খলার ভেতরে দিয়ে আফগান প্রতিরোধের সূচনা হয় এবং আঞ্চলিক প্রধান যোদ্ধারাই বস্তুত স্থানীয়ভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যায় । যুদ্ধবিগ্রহ সময়ের সাথে বাস্তববুদ্ধিসম্পন্ন হয়ে উঠে, বাইরের সাহায্য আর আঞ্চলিক সমন্বয় গড়ে উঠে । মোজাহিদীনদের মৌলিক সংগঠন এবং তাদের কার্যকলাপ আফগান সমাজের বিকেন্দ্রীভূত প্রকৃতি এবং প্রতিযোগী বিভিন্ন স্থানীয় ও উপজাতীয় দলগুলোর শক্তিমত্তা প্রকাশ করতে থাকে বিশেষ করে বিচ্ছিন্নভাবে থাকা পাহাড়ী অঞ্চলের [১১] দলগুলোর । অবশেষে, স্বজাতীয় প্রধান সাতটি দলকে রাজনৈতিক মহলে ইসলামিক ইউনিটি অব আফগান মোজাহিদীন বলে অভিহিত করতে থাকে ।

মোজাহিদী যোদ্ধারা ১৯৮৫ সালে ডুরান্ড সীমানা পার হচ্ছেন
যুক্তরাষ্টের রাষ্ট্রপতি রেগান হোয়াইট হাউসে আফগান মোজাহিদীনদের সাথে আলোচনায় মিলিত হয়েছেন

অন্যান্য দেশ থেকে অনেক মুসলমান আফগানিস্তানের মোজাহিদীন দলগুলোকে সাহায্য করেছে । পরবর্তীতে এসব পুরোন কর্মী দলের অনেকেই মুসলিম জগতের বিভিন্ন দ্বন্দে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ওসামা বিন লাদেন যিনি মূলত সৈৗদি আরবের এক ধনী পরিবার থেকে এসেছিলেন, তিনি বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সকল ইসলামিক গোষ্ঠির অন্যতম একজন সংগঠক ও অর্থ যোগান দাতা ছিলেন । তার প্রতিষ্ঠান মক্তব-আল-খিদমত, সৈৗদি আরব ও পাকিস্তান সরকারের সহযোগিতায় মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্থ, অস্ত্র এবং মুসলিম যোদ্ধাদের যোগান দিতেন ।[১২] এসব বিদেশী যোদ্ধারা “আফগান আরব” নামে পরিচিতি লাভ করে এবং এদের কার্যকলাপ সমন্বয় করতেন আবদুল্লাহ ইউসুফ আজম

যদিও মোজাহিদীনদের সাহায্য করছিল পাকিস্তান , যুক্তরাষ্ট্র ও সৈৗদি সরকার, এদের প্রাথমিক অর্থের উৎস ছিল মুসলিম বিশ্বের, বিশেষ করে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের, বিভিন্ন বেসরকারী দাতা ও ধর্মীয় দাতব্য সংস্থা । জেসন বার্কের বর্ণনা অনুযায়ী ”আফগান জিহাদদের মাত্র ২৫% অর্থ বিভিন্ন রাষ্ট্র থেকে আসে ।”[১৩] ১৯৮৯ সালে সোভিয়েট ইউনিয়ন আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয় । অনেক জেলা এবং শহর মোজাহিদীনদের দখলে চলে যায় ফলে ১৯৯২ সালে ডিআরএ এর সর্বশেষ রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ নাজিবুল্লাহ’র পতন ঘটে । যদিও মোজাহিদীনরা কোন ঐক্যমতের সরকার প্রতিষ্ঠা করতেন পারেনি বরং বড় বড় মোজাহিদীন দলগুলো কাবুলে ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করার জন্য একে অন্যের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে থাকে । বহু বছর রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের পর মোহাম্মদ ওমর নামে এক গ্রাম্য মোল্লা পাকিস্তানের সমর্থন নিয়ে নতুন করে এক সশস্ত্র আন্দোলনের সূচনা করেন । এই আন্দোলন তালেবান নামে পরিচিতি পেতে থাকে । তালেবান পাশত’র ছাত্ররা) আসলে বোঝাত ঐ সব ছাত্রদের যারা ১৯৮০ সালে পাকিস্তানি শরনার্থী শিবিরে বড় হয়েছিল এবং সৈৗদি আরবের পৃষ্ঠষোপোষকতায় ধর্মীয় স্কূল ওয়াহহাবি মাদ্রাসাগুলোতে ইসলামের মৈৗলবাদী শিক্ষায় দীক্ষিত হয়েছিল । প্রবীণ মোজাহিদীনরা ১৯৯৬ সালে এসব ছোট ছোট দলগুলোকে ফিরিয়ে আনার জন্য মুখোমুখি হোন ।

১৯৮৫ সালে বিভিন্ন মোজাহিদী দল যে সব এলাকা থেকে অভিযান পরিচালনা করত

ইরাক-ইরান যুদ্ধ[সম্পাদনা]

ইরানে অনেক দলই তাদেরকে মোজাহিদী বলত কিন্তু তাদের ভেতরে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল পিপলস্‌ মোজাহিদীন অব ইরান (পিএমওআই) । ২০১৪ সালে ইরাক ভিত্তিক একটি ইসলামিক সমাজতান্ত্রিক যুদ্ধরত দল ছিল যারা ইরানের তৎকালীন সরকারের পতন সমর্থন করত । দলটি ১৯৭৯ সালে ইরান বিদ্রোহ, ইরান-ইরাক যুদ্ধ ও ইরাকি আভ্যন্তরীন গোলযোগের সময় যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে । আয়াতুল্লাহ আবুল গ্যাজম ক্যাসানি[১৪] এর নেতৃত্বে মোজাহিদীন-ই-ইসলামী নামে আর একটি মোজাহিদী দল সক্রিয় ছিল । দলটি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক এর তেল সম্পদ জাতীয়করণের সময় ন্যাশনাল ফ্রন্ট (ইরান) অংশগ্রহণ করে কিন্তু মোসাদ্দেকের অনৈসলামিক নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে পরবর্তীতে সেখান থেকে বেরিয়ে আসে ।[১৫]

মায়ানমার (বার্মা)[সম্পাদনা]

১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৬১ পর্যন্ত স্থানীয় মোজাহিদীনরা বার্মা সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়েছে । তাদের প্রচেষ্টা ছিল উত্তর আরকানের মায়ূ পেনিনসুলাইন, বার্মা (বর্তমানে মায়ানমারের রাখাইন রাষ্ট্র) যেন অপসৃত হয় এবং পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমানে বাংলাদেশ) বর্ধিত অংশ হিসেবে যোগ হয় ।[১৬] ১৯৫০ সালের শেষের দিক থেকে শুরু করে ১৯৬০ সালের প্রথম দিক, এই সময়টায় মোজাহিদীনরা তাদের গতি এবং সমর্থন হারিয়ে ফেলে ফলশ্রূতিতে তাদের বেশির ভাগ যোদ্ধাই সরকারি বাহিনীর কাছে আত্মসর্মপন করতে থাকে । [১৭][১৮] ১৯৯০ সালে সুসজ্জিত রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত থেকে বার্মিজ কর্তৃপক্ষের উপর হামলা সংগঠনের উদ্দেশ্যে অবস্থান নিতে থাকে । [১৯]

ফিলিপাইন[সম্পাদনা]

প্রধান সংকলনঃ ফিলিপাইনসে ইসলামিক বিদ্রোহ এবং মরো ইসলামিক লিবারেশন ফ্রন্ট

১৯৬৯ সালে ফিলিপাইনস সরকারজিহাদী বিদ্রোহী দলগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও খোলামেলা শত্রূতা শুরু হয়ে যায় । [২০]

ইউনির্ভাসিটি অব ফিলিপাইনস এর অধ্যাপক নূর মিসৈৗরি ৬০ জনের বেশি মুসলমান হত্যার প্রতিবাদ করতে মরো ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (এমএনএলএফ) প্রতিষ্ঠা করেন এবং সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণকারীরর ভূমিকা পালন করেন । ইতোমধ্যে এমএনএলএফ থেকে দলছুট আর একটি গোষ্ঠী ফিলিপাইনসে স্বতন্ত্র ইসলামিক রাস্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবীতে মরো ইসলামিক লিবারেশন ফ্রন্ট (এমআইএলএফ) প্রতিষ্ঠা করে এবং মূলভিত্তি পরিবর্তনের সাথে সাথে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে ।

দ্বন্দ্ব চলতেই থাকে; হতাহতের সংখ্যা সম্মন্ধে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায় তবে উপসালা কনফ্লিকট ডাটা প্রোগ্রাম (সেন্টার) এর রক্ষনশীল অনুমান অনুযায়ী ১৯৮৯ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ফিলিপাইনস সরকার এবং এএসজি, বিআইএফএম, এমআইএলএফ আর এমএনএলএফ এর মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষে কমপক্ষে ৬,০১৫ জন লোক মারা যায় ।[২১]

১৯৯১ সালে আবু সায়াফ নামে একটি ইসলামী বিচ্ছিন্নতাবাদী দল দক্ষিণ ফিলিপাইনসে জন্ম নেয় ।

এই দলটি ফিলিপাইন ও পাশ্চাত্য নাগরিকদের অপহরণের জন্য পরিচিতি লাভ করে । এরা মুক্তিপণ হিসেবে বিভিন্ন সময়ে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করে । আবু সায়াফের কোন কোন সদস্য সৌদি আরবে কাজ করত বা পড়াশোনা করত এবং আফগানিস্তানে সোভিয়েট হামলার সময় যুদ্ধ ক্ষেত্রে যুদ্ধ ও প্রশিক্ষণ দিতে দিতেই মোজাহিদীনদের সাথে সর্ম্পক তৈরী করে ।[২২]

১৯৯০ সাল[সম্পাদনা]

নব্বই দশকের সময়টা মোজাহিদীন দল আর পরাশক্তিগুলোর মধ্যে পরিবর্তনের সূচনা করে । এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ” আর “আরব বসন্ত” এর কারণে পরাশক্তিগুলোর শীতল যুদ্ধ এবং সমসাময়িক জিহাদের উত্থান ঘটে ফলে মোজাহীদিন দলগুলো প্রক্সি যুদ্ধের অংশতে পরিনত হয় । এই সময়ে আল-কায়েদা সংগঠিত হতে দেখা যায়, ৯০ দশকে ইয়গোস্লাভ যুদ্ধ, সোমালি গৃহ যুদ্ধ, প্রথম চেচেন যুদ্ধ সহ অন্যান্য আঞ্চলিক যুদ্ধগুলোতে এর প্রতিফলন দেখা যায় ।

ইয়গোস্লাভ যুদ্ধ[সম্পাদনা]

বসনিয়ান যুদ্ধ[সম্পাদনা]

প্রধান সংকলনঃ বসনিয়ান মোজাহীদিন এবং বসনিয়ান যুদ্ধ

১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত বসনিয়ান যুদ্ধের সময় অনেক বিদেশী মুসলমান বসনিয়ায় আসেন ।

বিশ্বের অন্যান্য মুসলমান যারা মোজাহিদীনদের বিশ্বাসের সাথে একাত্মতা অনুভব করতেন এবং ইসলামিক ঘোষণার লেখকদের শ্রদ্ধা করতেন তারা অনুসারী মুসলমানদের সাহায্য করতে আসেন ।

ইসলামিক ঘোষনার এবং শৈশবে লেখা কবিতা “জিহাদের জন্য” এর লেখক আলিজা ইজেতবেগোভিক[২৩] বসনিয়ায় মুসলমানদের উপস্থিতিতে বিশেষ ভাবে খুশি হন এবং তাদের সব ধরনের সমর্থন দেন ।[২৪] আল মুজাহিদ সদস্যরা দাবী করেন বসনিয়ার তারা শুধু আলিজা ইজেতবেগোভিক এবং বসনিয়া সেনাবাহিনীর প্রধান থার্ড কর্পস এর সাকিব মাহমুলজিনকে মান্য করে চলে ।[২৫][২৬]

সমসাময়িক সংবাদপত্রের রির্পেোট অনুযায়ী বসনিয়াতে আনুমানিক ৪,০০০ বিদেশী মুসলমান স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছিল । [২৭] [অধিকতর ভাল তথ্য প্রয়োজন] পরবর্তী গবেষণায় দেখা যায় এ সংখ্যা প্রায় ৪০০ জন । [২৮][ভাল উৎস প্রয়োজন]

ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল ট্রাইবুলনাল ফর দি ফরমার যুগোস্লাভ (আইসিটিওয়াই) রায়ের সারাংশ অনুযায়ী এ সব স্বেচ্ছাসেবীরা সৈৗদি আরব, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, জর্ডান, মিশর, ইরাক এবং প্যালেষ্টাইনের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসে । প্রমাণ পাওয়া যায় যে, ১৯৯২ সালের দ্বিতীর্য়াধে যে সব বিদেশী মুসলমান কেন্দ্রীয় বসনিয়াতে এসেছিল তারা মূলত মুসলমানদের সাহায্য করতে এসেছিল । এদের বেশির ভাগ এসেছিল উত্তর আফ্রিকা, নিকটবর্তী পূর্ব ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে । বিদেশী স্বেচ্ছসেবকদের সাথে স্থানীয় লোকজনের বড় ধরনের পার্থক্য ছিল শুধুমাত্র শারিরীক গঠনের কারণে না বরং তাদের ভাষা আর যুদ্ধ কৈৗশলের কারণে । এ সব বিদেশী মুসলিম স্বেচ্ছাসেবকরা জেনিকা ভিত্তি আর্মি অব দি রিপাবলিক অব বসনিয়া ও হারজেগোভিনিয়ার সপ্তম মুসলিম ব্রিগেডের একটি ডিটাচমেন্টের ছত্রছায়ায় সংগঠিত হতে থাকে । এই স্বাধীন উপবিভাগটি(ডিটাচমেন্ট) কথ্য ভাষায় আল-মুজাহিদ নামে পরিচিতি পায় যেখানে আনুমানিক ৩০০ থেকে ১৫০০ এর মাঝামাঝি কোন একটা সংখ্যার স্বেচ্ছাসেবক ছিল । এটি ছিল সর্ম্পূনভাবে বিদেশি নাগরিকদের নিয়ে, কোন বসনিয়ান নাগরিক নয় (অন্যদিকে এই ৭ম বিগ্রেড পুরোটাই ছিল স্থানীয় বসনিয়ানদের নিয়ে ) । বসনিয়ান সেনাবাহিনীর থার্ড কর্পসের লেফট্যান্টেট কর্নেল এনভার হাদজিহাসানোভিক, দলটিকে নেতৃত্ব দেবার জন্য মাহমুদ কারালিক (সেনানায়ক), অসীম করিকিক(বাহিনী প্রধান) এবং আমির খুবুরাকে (অপারেশনাল অ্যান্ড কারিকুলার সহকারী প্রধান) হিসেবে মনোনীত করেন ।

কিছু মোজাহিদীন বসনিয়ায় অস্ত্র্র-শস্ত্র এবং অর্থ সরবরাহ করে । স্যোসালিষ্ট ফেডারেল রিপাবলিক অব যুগোস্লাভিয়ার সকল প্রজাতন্ত্রের উপর অস্ত্র আমদানীতে জাতিসংঘ-অনুমোদিত নিষেধাজ্ঞা থাকায় এই সরবরাহ বসনিয়ার জন্য ভীষনভাবে প্রয়োজন ছিল । যদিও এসব মোজাহিদীনদের বেশির ভাগ ছিল অত্যন্ত ধর্মপ্রান কিন্তু কট্টরপন্থী সালাফি সম্প্রদায়ভুক্ত । ধর্মনিরপেক্ষ মনোভাবাপন্ন ও উদার পন্থী হিসেবে ব্যাপকভাবে প্রসিদ্ধ বসনিয়ান মুসলমানদের সাথে এর কারণে তাদের ভীষন বৈপরীত্য তৈরী হয় । এই কারণে মোজাহিদীন এবং বসনিয়ানদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরী হয় । পাশাপাশি কোন কোন মোজাহিদীন বিধ্বংসী যুদ্ধ চালাতে কিংবা বসনিয়ান অঞ্চল ব্যবহার করে অন্যত্র সন্ত্রাসবাদী হামলা চালাতে চায় ।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

এই দ্বন্দের সময় বিদেশী স্বেচ্ছাসেবীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অপরাধ করার অভিযোগ উত্থাপিত হয় ।

যদিও আইসিটিওয়াই (দি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল ট্রাইবুনাল ফর দি ফরমার যুগোস্লাভ)।[২৯] মোজাহিদীনদের বিরেুদ্ধে কখনও কোন অভিযোগ জারি করে নি ।

বরং আইসিটিওয়াই কয়েকজন বসনিয়ান কমান্ডারের বিরুদ্ধে উচ্চতর অপরাধমূলক দায়িত্বের ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের করে ।

আইসিটিওয়াই বসনিয়ান সেনাবাহিনীর থার্ড কর্পসের এনভার হাদজিহাসানোভিক এবং আমির খুবুরাকে মোজাহিদীন সংক্রান্ত সকল অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস দেয় । অধিকন্তু আপীল কক্ষ এই মর্মে পর্যবেক্ষণ দেন যে, থার্ড কর্পস এবং আল-মোজাহিদীনদের সর্ম্পক একের প্রতি অন্যের আজ্ঞানুবর্তিতা বা অধীনতা নয় বরং প্রকাশ্য প্রতিকূলাচরণের কাছাকাছি যেহেতু মোজাহীদিনদের নিয়ন্ত্রণের একমাত্র উপায় ছিল তাদের বিদেশী শত্রুর মত মনে করে আক্রমণ করা ।[৩০]

আইসিটিওয়াই আদালতের বিচার কক্ষ প্রাক্তন সেনাধ্যক্ষ (পরিকল্পনা ও প্রশাসন) রাসিম দেলিককে অভিযুক্ত করেন । আইসিটিওয়াই এই তথ্য প্রতিষ্ঠা করেন যে,  আল-মোজাহিদীদের উপর ডেলিকের কার্যকর নিয়ন্ত্রণ ছিল । মোজাহিদীনদের আটককৃত ১২ জন সার্বিয়ান সৈন্যদের উপর নিষ্ঠুর আচরণ করা থেকে তাদের বিরত করা বা শাস্তি দেয়ায় ব্যর্থ হওয়ায় তাকে তিন বছরের কারাদন্ড দেয়া হয় ।আপিলেত কার্যক্রম চলাকালে ডেলিক অন্তরীণ ইউনিটে আটক অবস্থায় থাকেন । [৩১]

বসনিয়ার কোন কোন মোজাহিদীন যেমন আব্দুল কাদের মোক্তারি, ফাতেহ্‌ কামাল এবং করিম সৈয়দ আটমানি আর্ন্তজাতিকভাবে বিভিন্ন বিদেশী সরকারের মনোযোগ আর্কষন করেন এবং বসনিয়াতে খ্যাতি লাভ করেন । এরা সবাই ছিলেন উত্তর আফ্রিকান স্বেচ্ছাসেবী এবং বসনিয়ান যুদ্ধের আগে ও পরে এদের ইসলামি মৈৗলবাদী দলগুলোর সাথে খুবই কার্যকরী যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা পায় ।

২০১৫ সালে প্রাক্তন মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রী মিরশাদ কেবো বিভিন্ন যুদ্ধের রোজনামচা ও দালিলিক প্রমাণপত্রের উপর ভিত্তি করে বসনিয়াতে মোজাহিদীনদের দ্বারা সার্বদের বিরুদ্ধে সংগঠিত বহুসংখ্যক যুদ্ধ অপরাধের কথা বলেন আর বিভিন্ন ফেডারেশন বর্তমান ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, সংসদের প্রধানের সাথে মোজাহিদীনদের যোগাযোগের তথ্য প্রকাশ করেন । তিনি এসব প্রমাণপত্র বিআইএইচ এর রাষ্ট্রীয় উকিলের কাছে হস্তান্তর করেন । [৩২][৩৩][৩৪][৩৫]

উত্তর ককেসাস[সম্পাদনা]

প্রধান সংকলনঃ উত্তর ককেসাসে বিদ্রোহ আরও তথ্যঃ চেচনিয়ায় আরব মোজাহিদীন এবং ইসলামিক ইন্টারন্যাশনাল বিগ্রেডে প্রথমদ্বিতীয় চেচেন যুদ্ধের সময় মোজাহিদীন শব্দটি প্রায়শই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বোঝাতে ব্যবহার করা হতো । যদিও এই সংকলনে মোজাহিদীন বলতে বিদেশী, অ-ককেসিয় যোদ্ধাদের বোঝান হয়েছে যারা জিহাদের কারণে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে যোগ দিয়েছে । এই দ্বন্দ্বের জন্য লিখিত কাজগপত্রে বেশিরভাগ সময়ই আনসার (সাহায্যকারী) বলে ডাকা হতো যেন স্থানীয় যোদ্ধাদের সাথে কোন রকম ভুল বোঝাবুঝি না হয় ।

বিদেশী মোজাহিদীনরা দু’টো চেচনিয়ান যুদ্ধেই কিছু না কিছু ভূমিকা রেখেছে । সোভিয়েট ইউনিয়নের পতন এবং পরবর্তীতে চেচেন স্বাধীনতার ঘোষনার পর বিদেশী যোদ্ধারা এই অঞ্চলে প্রবেশ করতে শুরু করে স্থানীয় বিদ্রোহীদের সাথে (বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য শামিল বাসায়েভ) সম্পৃক্ত হতে শুরু করে । বিদেশী যোদ্ধাদের অনেকেই ছিলেন সোভিয়েট-আফগান যুদ্ধের প্রবীণ যোদ্ধা । মোজাহিদীনরা এসব বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জন্য গুরুত্বর্পূন আর্থিক সাহায্যে করেন । চেচেন প্রতিরোধকারীদের তেমন কোন আর্থিক সাহায্যের উৎস না থাকায়, আল-হারামেইন মত স্যালাফিষ্ট পন্থী দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোর বিপুল সম্পদ তাদের জন্য অমূল্য এক আর্থিক তহবিলে পরিনত হয় । বেশির ভাগ মোজাহিদীন রাশিয়ান সৈন্য প্রত্যাহারের পরও চেচনিয়ায় থেকে যায় ।

১৯৯৯ সালে দাগিস্থানে বহিরাক্রমণে দূর্ভাগ্য পীড়িত চেচেনদের জ্ন্য অত্যন্ত গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা পালন করেন । এখানে চূড়ান্ত পরাজয় মেনে নিয়ে চেচেনরা পিছু হটতে এবং চেচনিয়ায় ফিরে আসতে বাধ্য হয় । এই বহিরাক্রমণ নতুন রাশিয়ান সরকারকে হস্তক্ষেপ করার একটা অজুহাত তৈরী করে দেয়. ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বর মাসে রাশিয়ার পদাতিক বাহিনী আবার চেচনিয়ায় হামলা চালায় । অনুমান করা হয় মোজাহিদীনরা দাগিস্থানে সশস্ত্র অভ্যুত্থানকারীদের বহিরাক্রমণের সময় আটককৃত রাশিয়ান অতিরিক্ত সৈন্যর ছয়জন যুবক সৈনিকের শিরশ্ছেদ করার জন্য দায়ী । এই শিরশ্ছেদ ক্যামেরায় ধারণ করা হয় এবং অনলাইনে ছেড়ে দেয়া হয় । এই ছয়জন সৈন্যকে শত্রু সীমানা ভেতর থেকে আটক করা হয় যখন দাগিস্থানে আগুয়ান বিদ্রোহীদের দেখে ছোট্ট অপ্রস্তুত এই রাশিয়ান দলটি পিছু হটছিল । এর কিছু সময় পরেই রাশিয়ার বিশেষ বাহিনী এই মোজাহীনদের বন্দুক যুদ্ধে হত্যা করে । বিচ্ছিন্নবাদীরা দ্বিতীয় চেচেন যুদ্ধে খুব কমই সাফল্য পায়. অধিকতর সুসজ্জিত ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ রাশিয়ান সেনাবাহিনীর কাছে চেচেনরা তাদের ভূখণ্ড হারাতে থাকে । রাশিয়ার সরকারি দাবী অনুযায়ী ২০০২ সালের প্রথর্মাধে চেচেন বিদ্রোহীরা পরাজিত হয় । রাশিয়ানরা বেশির ভাগ খ্যাতিমান মোজাহীদিন কমান্ডারদের হত্যা করতে সর্মথ হয় যার মধ্যে ইবনে আল-খাত্তাব এবং আবু আল-ওয়ালিদ উল্লেখযোগ্য । যদিও এই অঞ্চলের স্থিতীশিলতা সূদুর পরাহত, কিছু বিদেশী যোদ্ধা চেচনিয়ায় সক্রিয় থাকার পরও বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যক্রম কমতে থাকে । ২০০৭ সালের শেষের মাসগুলোতে বিদেশী যোদ্ধাদের প্রভাব আবার দৃশ্যমান হয় যখন ডোক্কা উমারভ্ দাবী করেন যে, ককেশীয় আমিরাতের পক্ষে ককেশীয় মোজাহিদরা যুদ্ধ করছে । ককেশীয় আমিরাত একটি প্যান-ককেশীয়ান ইসলামিক রাষ্ট্র যেখানে চেচনিয়া একটি প্রদেশ । এই পদক্ষেপ প্রতিরোধ আন্দোলনে আমিরাতের পক্ষ সমর্থনকারী এবং চেচেন রিপাবলিক অব একইরার অখণ্ডতার পক্ষে এই দুই পক্ষের সর্ম্পকে ফাটল তৈরী করে।

সমসাময়িক জিহাদ তত্ত্ব[সম্পাদনা]

আরও তথ্যঃ জিহাদিবাদ

ভারত ও পাকিস্তান[সম্পাদনা]

আরও তথ্যঃ কাশ্মীর বিরোধ এবং পূর্ব-পশ্চিম পাকিস্তানে যুদ্ধ

একটি দল যারা নিজেদের ভারতীয় মোজাহিদীন বলে ডাকত, ২০০৮ সালে প্রকাশ্যে এসেছিল অনেক রকমের বড় ধরনের সন্ত্রাসী আক্রমণের মাধ্যমে । ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর, নিজেদেরকে ডেক্কান মোজাহিদীন বলে পরিচয় দেয়া একটি দল মুম্বাই জুড়ে উপুর্যপরি বোমা হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে । দি উইকলি স্ট্যান্ডার্ড দাবি করে “ভারতীয় গোয়েন্দারা বিশ্বাস করে যে, ইন্ডিয়ান মোজাহিদীন আসলে লস্কর-ই-তৈয়বাহরকাত-উল-জিহাদ-আল-ইসলামীর তৈরী দলের সম্মুখভাগ । ভারতে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে [৩৬] মূল ইসলামপন্থী অন্দোলন স্টুডেন্ট ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া বা সিমি’র পদচিহ্ন মুছে ফেলা ও তদন্তকারীদের দ্বিধায় ফেলার জন্য এই দু’টো দল এ পদ্ধতি অবলম্বন করেছে ।” ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মুকাশ্মীর অংশে ভারতীয় শাসনের বিরোধিতাকারীরা সাধারনত ভারতীয় মোজাহিদীন নামে পরিচিত ।

তখন থেকে বিভিন্ন যুদ্ধরত দল পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে মূল ঘাঁটি গাড়তে থাকে । এদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি), জয়শ-ই-মোহাম্মদ (জেএম), জম্মু ও কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট (জে কেএলএফ), হিজবুল মুজাহিদিন এবং হরকাত-উল-মুজাহিদিন (হুম) ।[৩৭] ১৯৯৬ সালের হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী তখন সক্রিয় মোজাহীনদের সংখ্যা মোটামুটি ৩,২০০।[৩৮] দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যের সালাফি আন্দোলনের সদস্যরা (ইসলাম সুন্নী পন্থি) মোজাহিদ নামে পরিচিত । [৩৯]

বাংলাদেশ[সম্পাদনা]

জামায়াত-উল-মুজাহিদিন নামে এক ইসলামপন্থি সংগঠন বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছিল । ২০০৫ সালের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে এনজিওগুলোর উপর আক্রমণ করার পর বাংলাদেশ সরকার সরকারীভাবে এই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কিন্তু আগস্ট মাসের মাঝামাঝি বাংলাদেশের ৩০০ এলাকায় ৫০০ বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এরা আবার আক্রমণে ফিরে আসে ।[৪০]

ইরাক ও সিরিয়া[সম্পাদনা]

ইরাকি বিদ্রোহ[সম্পাদনা]

প্রধান সংকলণঃ ইরাক যুদ্ধ এবং ইরাকি বিদ্রোহ (ইরাক যুদ্ধ)

মোজাহিদীন পরিভাষাটি মাঝে মাঝে ঐ সব যোদ্ধাদের বোঝাতে ব্যবহার করা হতো যারা ২০০৩ সালে ইরাক আক্রমণের পরে বিদ্রোহে যোগদান করেছিল । মোজাহিদীন শব্দটি কোন কোন দল তাদের নামের সাথেও ব্যবহার করত যেমন মুজাহিদিন শুরা কাউন্সিল এবং মোজাহিদীন আর্মি । নাইন এলেভেন পরবর্তী জর্জ ডাব্লিউ বুশের বৈদেশিক নীতির অংশ হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র ইরাক আক্রমণ করার পর বহু বিদেশী মোজাহিদীন, ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত সুন্নী যুদ্ধদলের সাথে যোগ দেয় । বিদ্রোহীদের বড় একটা অংশ ইরাক ছাড়াও অন্যান্য আরব দেশ বিশেষ করে জর্ডান ও সৈৗদি আরব থেকে এসেছিল । এসব সংগৃহীত যোদ্ধাদের মধ্যে জর্ডানের আবু মুসাব আল-জারকাবিকে ইরাকে আল-কায়েদার (একিউআই) এর নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বলে মনে করা হয় ।

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ[সম্পাদনা]

প্রধান সংকলনঃ ‍সিরিয়ান গৃহ যুদ্ধ এবং ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক ও সিরিয়া

প্রায়শই মোজাহিদীন এবং জিহাদপন্থী বলে ডাকা হতো এমন সব ইসলামিক দল সিরিয়ান গৃহযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল । সুন্নী মুসলিম সমাজের অনেকেই সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদ আলাউই (সিরিয়ার সিয়া পন্থী) দলভুক্ত হওয়ায় তাকে ধর্মদ্রোহী বলে বিবেচনা করত । সেই অর্থে মূলত সুন্নী পন্থি জিহাদী দল এবং তাদের অনুমোদনকারী দলগুলো আসাদ বিরোধী ছিল। জিহাদী নেতাদের এবং গোয়েন্দা সূত্র অনুযায়ী বিদেশী যোদ্ধারা ফেব্রুয়ারি ২০১২ সালেই সিরিয়াতে ঢুকতে শুরু করে ।[৪১] মে ২০১২ সালে সিরিয়ার জাতিসংঘের দূত ঘোষণা দেন যে, লিবিয়া, তিউনিসিয়া, মিশর, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং অন্যান্য জায়গা থেকে ডজন ডজন ‍বিদেশী যোদ্ধা ধরা পড়ছে কিংবা হত্যা করা হচ্ছে এবং তিনি সৌদি আরব, কাতার ও তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানান “তাদের সশস্ত্র বিদ্রোহীদের পৃষ্ঠপোষকতা” [৪২][৪৩] বন্ধ করার জন্য । জুন মাসে প্রতিবেদন পাওয়া যায় যে, শত শত বিদেশী যোদ্ধা যাদের অনেকেই আল-কায়েদার সাথে যোগাযোগ ছিল, প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য সিরিয়ার প্রবেশ করতে থাকে । [৪৪] যখন প্রশ্ন করা হয় যে, তাহলে বিরোধী দলকে অস্ত্রসস্ত্র সজ্জিত করা হবে কিনা, হিলারী ক্লিনটন জবাবে বলেন তাতে সিরিয়া সরকারের পতন হবে কিনা সে ব্যাপারে সন্দেহ আছে বরং এই সব অস্ত্র আল-কায়দা বা হামাসের হস্তগত হতে পারে ।[৪৫]

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মর্কতাদের ধারণা ২০১২ সালে কায়দাত আল জিহাদ (ইরাকে আল-কায়েদা নামেও পরিচিত) সিরিয়ান সৈন্যবাহিনীর উপর হামলা চালিয়েছে ।[৪৬] ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোস্যার জেবরী বলেন যে, ইরাকের আল-কায়দার সদস্য যারা এর আগে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের দখলদারিত্ব অস্থিতিশীল করার জন্য সিরিয়ান সরকারের অস্ত্রসস্ত্র ও সাহায্য পেয়েছিল তারা সিরিয়াতে প্রবেশ করছে ।[৪৭] ২৩শে এপ্রিল ফাতাহ-আল ইসলামের নেতা, আবদেল গণি জওহর আল-কুসায়ের যুদ্ধের মধ্যে বোমা তৈরী করতে গিয়ে নিজেই নিজের বোমা বিস্ফোরনে নিহত হন ।[৪৮] ২০১২ সালের জুলাই মাসে ইরাকি পররাষ্ট্র মন্ত্রী এই মর্মে আবার সর্তক করেন যে, ইরাকের আল-কায়েদা সদস্যরা সিরিয়ায় আশ্রয় খুজঁছে এবং যুদ্ধ করার জন্য সেখানে যাচ্ছে ।[৪৯]

এটা মনে করা হয় যে আল কায়েদার নেতা আয়মান আল জাওয়াহিরি আসাদের নিন্দা জ্ঞাপন করেন । [৫০] আল-কায়েদার সাথে যোগাযোগ আছে বলে মনে করা হতো এমন একটি দল যারা আল নুসরা ফ্রন্ট নামে নিজেদেরকে পরিচয় দিত, ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে মধ্য দামেস্কের নিকটবর্তী আল-মিদান নামক জায়গায় তারা আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায় যাতে ২৬ জন মারা যায় যাদের অধিকাংশই ছিল অসামরিক লোক ।[৫১] অন্যদিকে ট্রাক বোমা হামলায় মারা যায় ৫৫ জন আর আহত হয় ৩৭০ জন ।

লেবাননে আবদুল্লাহ আজম ব্রিগেডস এর একজন সদস্য স্বীকার করেন যে তার দল সিরিয়াতে যোদ্ধা পাঠিয়েছে । ২০১৮ সালের ১২ই নভেম্বর, যুক্তরাষ্ট্র শিবল মুহসিন 'উবাইদ আল-জায়েদী এবং আরও কয়েকজনের আর্থিক লেনদেন বন্ধ করে দেয় এই উদ্বেগ প্রকাশ করে যে, তারা সিরিয়াতে ইরাকি যোদ্ধা পাঠাচ্ছে এবং ওই অঞ্চলে হিজবুল্লাহদের কার্যক্রমে অর্থ যোগান দিচ্ছে ।[৫২]

ইসরাইল[সম্পাদনা]

যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র বিভাগ জেরুজালেমের শহরতলির মুজাহিদিন শুরা কাউন্সিলকে (এমএসসি) বিদেশী সন্ত্রাসবাদী সংস্থা (এফটিও) হিসাবে আখ্যায়িত করে।[৫৩]

২০১৮ সালের ১২ই নভেম্বর, আল-মুজাহিদিন ব্রিগেডস (এএমবি) ও লেবানন-ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ নেতা সাইয়েদ হাসান নাসরাল্লাহর ছেলে জাওয়াদ নাসরাল্লাহকে যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক লেনদেন করার ক্ষেত্রে কালো তালিকাভুক্ত করে এবং তারা ইসরাইলের পশ্চিম তীরে হামলার সাথে তার জড়িত থাকার প্রমাণ দেখিয়ে তাকে পুনরায় সন্ত্রাসবাদী বলে আখ্যায়িত করে । ইসরাইলে এই মর্মে প্রতিবেদন করা হয় যে, আল মোজাহিদীন ব্রিগেড পূর্বে ফাতাহ’র সঙ্গে নয় বরং হামাস দলের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল । [৫৪] [৫৫]

নাইজেরিয়া[সম্পাদনা]

বোকো হারাম (দল) ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠা পাবার পর থেকে নাইজেরিয়ায় সক্রিয় ছিল । ২০০১ সালের আগে অবশ্য এটা অন্য আদলে বিদ্যমান ছিল । যদিও প্রাথমিকভাবে এর ক্রিয়াকলাপ উত্তর-পূর্ব নাইজেরিয়াতে সীমাবদ্ধ ছিল, পরবর্তীতে সেটা নাইজেরিয়ার অন্যান্য অংশ, ক্যামেরুন, নাইজার এবং চাদ এ ছড়িযে পরে । বোকো হারাম নাইজেরিয়া জুড়ে শরিয়া আইন বাস্তবায়নের চেষ্টা করে ।

সোমালিয়া[সম্পাদনা]

প্রধান সংকলনঃ সোমালি গৃহ যুদ্ধ এবং আল-শাবাব (জঙ্গি গোষ্ঠী)

২০০৯-২০১০ সালে আল-শাবাব গেরিলা ধাঁচের আক্রমণ থেকে বেশ ভাল ফায়দা লাভ করে। সোমালিয়াতে বর্তমানে চালু জিহাদী দলগুলোর উৎস হলো ১৯৯০ সালের সক্রিয় আল-ইতিহাদ আল-ইসলামিয়া গ্রূপ। ২০০৬ সালের জুলাই মাসে ওয়েব-পোস্টে কথিত ওসামা-বিন-লাদেন সোমালিয়ায় একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সোমালিয়াবাসিদের প্রতি আহবান জানান এবং পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোকে এই বলে সর্তক করে দেন যে, এখানে হস্তক্ষেপ করলে তার আল-কায়দা নেটওর্য়াক তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে । [৫৬] বিদেশী যোদ্ধারা আসতে শুরু করলেও সরকারীভাবে সেদেশে মোজাহিদীনদের উপস্থিতি অস্বীকার করা হয় । যদিও বাইদোয়ার যুদ্ধের[৫৭] পরে বার বার জিহাদের হুমকি প্রকাশ্যে দেয়া হচ্ছিল, উপরন্তু ২০০৬ সালের ডিসেম্বরের ২৩ তারিখে, ইসলামপন্থিরা তাদের যুক্তির পক্ষে দাঁড়াবার জন্য আর্ন্তজাতিক যোদ্ধাদের আহ্বান করেন । [৫৮] প্রায় মরনাপন্ন অবস্থা থেকে ফিরে আসা ইথিওপিয়ান এবং সোমালি অন্তর্বর্তী ফেডারাল সরকার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করা যোদ্ধাদের এখন খোলাখুলি ভাবে মোজাহিদীন বলে ডাকা হচ্ছে ।

বলা হয়, হারাকাত আল-শাবাব মুজাহিদিন দলের ভেতরে বিভিন্ন পদমর্যাদার অ-সোমালীয় এবং বিদেশীরা ছিল বিশেষ করে নেতৃত্ব স্থানীয় অবস্থানে ।[৫৯] সোমালি সরকার ও তাদের ইথিওপিয়ান মিত্রদের বিরুদ্ধে এই পবিত্র যুদ্ধে যোগ দেয়ার জন্য পারস্য উপসাগর ও আর্ন্তজাতিক যোদ্ধাদের আহবান করা হয় । যদিও সোমালিয় মুসলিমপন্থীরা এর আগে কখনও আত্মঘাতী বোমা হামলার যুদ্ধকৌশল ব্যবহার করেনি, কিন্তু আল-শাবাব দলের বিদেশী অংশকে আত্মঘাতী বোমা হামলার জন্য দায়ী করা হয় । [৬০][৬১] নীল নদীর প্রবাহ সুরক্ষিত করার জন্য মিসরের দীর্ঘদিনের নীতি হলো ইথিওপিয়াকে অস্থিতিশীল করে রাখা ।[৬২][৬৩] সাম্প্রতিক মিডিয়া প্রতিবেদন জানায় যে, মিশরীয় এবং আরব জিহাদিরা আল-শাবাবের মূল সদস্য ছিল এবং তারা সোমালিদেরকে উন্নতমানের অস্ত্রশস্ত্র আর আত্মঘাতী বোমা হামলা প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল । [৬৪]

নাম[সম্পাদনা]

২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে, চায়না সরকার বাচ্চাদের নাম মোজাহিদীন রাখার ব্যাপারে বাবা-মা’দের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে । এই নামের তালিকায় ‍দুই ডজনের বেশি নাম ছিল এবং নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য ছিল জিনজিয়াং[৬৫] এর পশ্চিম অঞ্চলের ১০ মিলিয়ন উইঘুরসবাসী

আরও দেখুনঃ[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ফারওয়েল, বাইরন,Queen Victoria's Little Wars পেন এন্ড সোর্ডP মিলিটারি বুকস্‌ ২০০৯, পৃষ্ঠা ১৫০-৫১
  2. "উসমান ড্যান ফদিও (ফুলানি লিডার)"। ২০০৭-১১-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০২-২০ 
  3. কিম হডং,Holy War in China: The Muslim Rebellion and State in Chinese Central Asia, 1864–1877.স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস (মার্চ ২০০৪).
  4. "ইউএস লাইব্রেরি অব কংগ্রেস, A Country Study: Sudan"। Lcweb2.loc.gov। ২০১০-০৭-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০২-২০ 
  5. "Civil War in the Sudan: Resources or Religion?"। American.edu। ২০০০-১২-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০২-২০ 
  6. "Slave trade in the Sudan in the nineteenth century and its suppression in the years 1877–80"। Encyclopedia.com। ১৯৯৮-০৪-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০২-২০ 
  7. "The Middle East during World War One"। Bbc.co.uk। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০২-২০ 
  8. "দাগেস্তানের ইমাম শামিল"। Angelfire.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০২-২০ 
  9. "বিদ্রোহী দাগেস্তানের কঠিন শিক্ষা"। BBC News। ২০০৬-০৬-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০২-২০ 
  10. কাসিমোভা, দিদার (২০১২)। "BASMACH"Historical Dictionary of Kazakhstan। Scarecrow Press। পৃষ্ঠা ৪৭। আইএসবিএন 9780810867826। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০২-১১BASMACH[:] A derogatory term used by Russian/Soviet authorities and researchers to designate the participants of the indigenous protest movements in Central Asia against the Russian and Soviet regimes from 1916 to the mid-1930s. [...] The rebels referred to themselves as mojahed, or 'participants of jihad,' a Muslim holy war against infidels, or non-Muslims. 
  11. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২০১৭-০৪-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-২১ 
  12. John J. Lumpkin। "Maktab al-Khidamat"Globalsecurity.org। ২০০৭-০২-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-০৪ 
  13. বার্ক, জেসন (২০০৪)। Al-Qaeda: Casting a Shadow of TerrorI.B. Tauris। পৃষ্ঠা ৫৯। আইএসবিএন 9781850436669 
  14. The Essential Middle East: A Comprehensive Guide by Dilip Hiro। Books.google.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০২-২০ 
  15. আব্রাহামিয়ান, এরভ্যান্ডIran Between Two Revolutions by Ervand Abrahamian, প্রিন্সটন ইউনির্ভাসিটি প্রেস, ১৯৮২, পৃষ্ঠা ২৭৬-৭৭
  16. ইয়েগার, মোশে (১৯৭২)। Muslims of Burma। Wiesbaden: Verlag Otto Harrassowitz। পৃষ্ঠা ৯৬। 
  17. ইয়েগার, মোশে (১৯৭২)। Muslims of Burma। পৃষ্ঠা ৯৮–১০১। 
  18. Pho Kan Kaung (মে ১৯৯২)। The Danger of Rohingya। Myet Khin Thit Magazine No. 25। পৃষ্ঠা ৮৭–১০৩। 
  19. লিন্টনার, বার্টিল (১৯ অক্টোবর ১৯৯১)। Tension Mounts in Arakan State। This news-story was based on interview with Rohingyas and others in the Cox’s Bazaar area and at the Rohingya military camps in 1991: Jane’s Defence Weekly। 
  20. "The CenSEI Report (Vol. 2, No. 13, April 2-8, 2012)"Scribd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-০৪ 
  21. "UCDP Number of Conflicts : 1975-2015"Ucdp.uu.se। ২০১৩-০৬-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-০৪ 
  22. "U.S. Pacific Command: An Official Military Website Wed, Feb. 19, 2003"। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৩। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  23. "SPIN"Books.google.rs। পৃষ্ঠা ৭৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-০৪ 
  24. "Bosnia: The cradle of modern jihadism? - BBC News"Bbc.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-০৪ 
  25. "Resources – Center for Security Studies | ETH Zurich"Isn.ethz.ch (জার্মান ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-০৪ 
  26. "Bosnian Security After Dayton: New Perspectives"Books.google.rs। ২০০৬-০৯-২৭। পৃষ্ঠা 106। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-০৪ 
  27. "Bosnia Seen as Hospitable Base and Sanctuary for Terrorists"। Nettime.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০২-২০ 
  28. "Radio Free Europe (2007)- Vlado Azinović: Al-Kai'da u Bosni i Hercegovini – mit ili stvarna opasnost?"। Slobodnaevropa.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০২-২০ 
  29. "Home | International Criminal Tribunal for the former Yugoslavia"Un.org। ২০০৬-০৩-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-০৪ 
  30. "ICTY – Appeals Chamber – Hadzihasanović and Kubura case"। Un.org। ২০০৭-০৩-০৫। ২০০৮-০৬-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০২-২০ 
  31. "SENSE Tribunal : ICTY"। ২২ ডিসেম্বর ২০০৮। ২২ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  32. "মিরসাদ কেবো: Novi dokazi o zločinima nad Srbima"Nezavisne.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-০৪ 
  33. [১]
  34. "Kebo To Show Evidence Izetbegovic Brought Mujahideen To Bosnia | Срна"Srna.rs। ২০১৬-০৫-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-০৪ 
  35. Denis Dzidic। "Bosnian Party Accused of Harbouring War Criminals"। Balkan Insight। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-০৪ 
  36. "Indian Mujahideen Takes Credit for Mumbai Attacks"। The Weekly Standard। ২০০৮-১১-২৬। ২০০৯-০৮-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৭-১০ 
  37. "Kashmir Mujahideen Extremists (কাশ্মীর মুজাহিদীন এক্সট্রিমিষ্ট)"Council on Foreign Relations। ২০০৬-০৭-১২। ২০০৭-০২-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০২-০৯ 
  38. "VII. Violations by Militant Organizations"Human Rights Watch/Asia: India: India's Secret Army in Kashmir, New Patterns of Abuse Emerge in the ConflictHuman Rights Watch। মে ১৯৯৬। ২০০৬-০২-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০২-০৯ 
  39. Sikand, Yoginder (২০০৫)। Bastions of The Believers: Madrasas and Islamic Education in India। Penguin UK। আইএসবিএন 9789352141067 
  40. [২]
  41. Macleod, হিউগ; ফ্লেমেন্দ, Annasofie (১৩ মে ২০১২)। "Iraq-style chaos looms as foreign jihadists pour into Syria"The Sunday Times। ২ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১২ 
  42. ইয়াকূব, খালেদ (৯ মে ২০১২)। "Syria rebels kill 7, bomb explodes near U.N. monitors"। Reuters। ১৬ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মে ২০১২ 
  43. "Syria's UN ambassador says two Britons killed in Idlib"। BBC News। ১৭ মে ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১২ 
  44. জাবের, হালা (১৭ জুন ২০১২)। "Jihadists pour into Syrian slaughter"The Sunday Times। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১২ 
  45. Andrews, Wyatt (২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২)। "Hillary Clinton: Assad regime dishonors Syria"WorldWatch। CBSNews.com। ২৮ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১২ 
  46. Landay, Jonathan S.। "Top U.S. intelligence officials confirm al Qaida role in Syria"McClatchy Newspapers। ২১ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  47. Karam, Zeina (২০১২-০৭-০৬)। "Iraq: Al-Qaeda migrates to Syria"। Associated Press 
  48. "Lebanon's Most Wanted Sunni Terrorist Blows Himself Up in Syria"। LB: Yalibnan.com। ২৩ এপ্রিল ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মে ২০১২ 
  49. Peel, Michael; Fielding-Smith, Abigail (৫ জুলাই ২০১২)। "Iraq warns over al-Qaeda flux to Syria"। FT.com। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১২ 
  50. Kennedy, Elizabeth A. (১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২)। "Ayman al-Zawahri, Al-Qaeda Chief, Urges Muslims To Help Syrian Rebels"Huffington Post। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  51. "Suicide attack kills and wounds dozens in Damascus"Russia Today। ৬ জানুয়ারি ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১২ 
  52. AFP Staff. (November 13, 2018). "US targets Hezbollah Iraq network with new sanctions ." France 24 website Retrieved 16 November 2018.
  53. "Terrorist Designation of the Mujahidin Shura Council in the Environs of Jerusalem (MSC)"State.gov। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-০৪ 
  54. Wroughton, Lesley & McKeef, Clive. (November 13, 2018). "U.S. designates son of Hezbollah leader a terrorist." Reuters website Retrieved 16 November 2018.
  55. Staff. (March 6, 2016). "Shin Bet nabs Palestinian suspected of recruiting terrorists in Cairo." Times of Israel website Retrieved 16 November 2018.
  56. "Bin Laden releases Web message on Iraq, Somalia"Usatoday.com। ২০০৬-০৭-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-০৪ 
  57. "Africa | Somalis vow holy war on Ethiopia"। BBC News। ২০০৬-১০-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-০৪ 
  58. "Business & Financial News, Breaking US & International News | Reuters"Today.reuters.com। ২০০৭-০২-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-০৪ 
  59. "The rise of the Shabab"। Economist.com। ২০০৮-১২-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০২-২০ 
  60. Salad Duhul (২০০৮-১০-২৯)। "Suicide bombs kill 22 in northern Somalia, UN hit"San Diego Union Tribune। ২০১৬-০২-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  61. "Al- Shabaab led by "dozens of foreign jihadists, most from Arab nations""। Mcclatchydc.com। ২০০৮-১১-১৮। ২০০৯-০২-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০২-২০ 
  62. "Egypt and the Hydro-Politics of the Blue Nile River"। Muse.jhu.edu। ডিওআই:10.1353/nas.2002.0002। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০২-২০ 
  63. "Nile River Politics: Who Receives Water?"। Globalpolicy.org। ২০০০-০৮-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০২-২০ 
  64. "Jihadists from Arab nations and Egyptians"। Mcclatchydc.com। ২০০৮-১১-১৮। ২০০৯-০২-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০২-২০ 
  65. Hernández, Javier C. (২০১৭-০৪-২৫)। "China bans certain baby names in heavily Muslim region"The Boston Globe। New York Times News Service। ২০১৮-০৮-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-২৬