শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দল ছিল বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র মার্কসবাদী-লেনিনবাদী রাজনৈতিক দল। এটি ভারতের বিপ্লবী সমাজবাদী পার্টির সহানুভূতিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ১৯৬৯ সালে গঠিত হয়। ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে প্রধান নেতা নির্মল সেনের মৃত্যু হলে দলটি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে দলটি বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের সাথে একীভূত হয়ে যায়।[১]

এই দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন নির্মল সেন[২] ২০১৩-১৬ খ্রিস্টাব্দকালে শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সিদ্দিকুর রহমান। ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের জুলাইতে সিদ্দিকুর রহমানের মৃত্যু হলে দলটি সম্পূর্ণরূপে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।

পার্টি প্রকাশ করতো সমাজবাদী পত্রিকা। এটি আরএসপি'র ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলতো।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৮৩ সালের এপ্রিলে শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দল ১৫ দলীয় জোটে অন্তর্ভুক্ত হয় যেটাতে আওয়ামী লীগও ছিলো এবং এই দল এরশাদ শাসনে বিরোধী ভূমিকা গ্রহণ করে। ১৯৮৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেবেন কিনা এই প্রশ্নে জোট বিভক্ত হয়ে গেলে শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দল আরও চারটি বামপন্থী দলের সাথে জোটবদ্ধ ছিল এই ঘোষণায় যে এরশাদের অধীনে অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচন তারা বয়কট করবে। শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দল বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের এবং ১১ দলের সদস্য ছিল। এই দলের ছাত্র সংগঠন ছিল সমাজবাদী ছাত্র জোট এবং কৃষি শ্রমিক সংগঠন ছিল ক্ষেতমজুর সভা। ২০০১ সালের নির্বাচনে এই দলের একমাত্র প্রার্থী ছিলেন নির্মল সেন

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ডেস্ক, সাহস (২০১৬-০৫-১২)। "বাসদ ও শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দল একিভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত"সাহস। ঢাকা: গোলাম মোস্তফা। ২০২১-০৫-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-০৬ 
  2. বামপন্থী নেতা এবং সাংবাদিক নির্মল সেনের জীবনাবসান, বিবিসি, সংগ্রহ : ৯ জানুয়ারি, ২০১৩