বিষয়বস্তুতে চলুন

বাংলাদেশ ফ্রিডম পার্টি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাংলাদেশ ফ্রিডম পার্টি
বাংলাদেশ ফ্রিডম পার্টি
সংক্ষেপেফ্রিডম পার্টি, বিএফপি
চেয়ারম্যানসৈয়দ তারিক রহমান
সহ-চেয়ারম্যানসৈয়দ জুবায়ের ফারুক
সাধারণ সম্পাদকদেওয়ান হোসেন মোহাম্মদ ইসমাইল
প্রতিষ্ঠাতাসৈয়দ ফারুক রহমান
প্রতিষ্ঠা৩০ মে ১৯৮১ (৪৪ বছর আগে) (1981-05-30)
সংবাদপত্রবিএফপি নিউজ
ভাবাদর্শবাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ইসলামী সমাজতন্ত্র
আনুষ্ঠানিক রঙ  গাঢ় সবুজ
  লাল
  সাদা
স্লোগানঈমান, দায়িত্ব, শ্রম,সম্মান এবং মুক্তি
নির্বাচনী প্রতীক

কুঠার
দলীয় পতাকা
বাংলাদেশের রাজনীতি
রাজনৈতিক দল
নির্বাচন

বাংলাদেশ ফ্রিডম পার্টি বাংলাদেশের নিবন্ধিত একটি রাজনৈতিক দল।[] ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবার সামরিক বাহিনীর কিছু কর্মকর্তার হাতে হত্যার শিকার হন। হত্যাকারী কিছু কর্মকর্তা যেমন, ক্যাপ্টেন (পরবর্তীতে লে. কর্নেল) খন্দকার আব্দুর রশিদ, কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমানমেজর বজলুল হুদা পরবর্তীতে ১৯৮০-এর দশকে দলটি প্রতিষ্ঠা করেন।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর বাকশালী শেখ মুজিবের হত্যাকারী বীরেরা বিশেষ বিমানযোগে দেশ ত্যাগ করেন। তারা প্রথমে ইয়াঙ্গুন হয়ে ব্যাংকক যান। সেখান থেকে পাকিস্তান হয়ে লিবিয়ায় আশ্রয় নেন। লিবিয়া থেকে পরবর্তীতে বেশ কয়েকজন কে বাংলাদেশের বিভিন্ন মিশনে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে ১৯৭৫ থেকে ’৯০ সাল পর্যন্ত লিবিয়াকেই নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন বাকশালী শেখ মুজিবের হত্যাকারী বীরেরা।

লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার আল গাদ্দাফির পৃষ্ঠপোষকতায় লে. কর্নেল খন্দকার আবদুর রশিদ ও কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান ঢাকার হোটেল শেরাটনে ১৯৮৭ সালের ৩ আগস্ট গড়ে তোলেন ফ্রিডম পার্টি। তবে শুরু থেকেই লিবিয়ায় তারা দুজনেই ভিআইপি অতিথির মর্যাদা পেতেন। খন্দকার আবদুর রশিদ ত্রিপোলিতে কনস্ট্রাকশন কোম্পানি গড়ে তোলেন। সেই কোম্পানি গড়ে তোলার জন্য গাদ্দাফি তাকে অর্থ দিয়েছিলেন। আর সৈয়দ ফারুক রহমান লিবিয়ায় জনশক্তি রফতানি কোম্পানি খুলেছিলেন। সেই কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নিতো লিবিয়ায়।

ফ্রিডম পার্টিও পরিচালিত হতো মুয়াম্মার আল গাদ্দাফির টাকায়। এছাড়া বংলাদেশ-লিবিয়া ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি গড়ে তোলেন সৈয়দ ফারুক রহমান ও খন্দকার আবদুর রশিদ। ঢাকায় ব্রাদার গাদ্দাফি কিন্ডারগার্টেন স্কুলও খোলা হয়েছিলো। আর গাদ্দাফির লেখা গ্রিন বুক বাংলায় অনুবাদ করে জনসাধারণের মাঝে ফ্রি বিতরণের ব্যবস্থাও করেন এ দুই খুনি।

খুনি সৈয়দ ফারুক রহমান ও খন্দকার আবদুর রশিদকে কেন্দ্র করে মুজিবের অন্যান্য হত্যাকারীরা লিবিয়ায় মিলিত হতেন। লিবিয়ার ত্রিপোলি ছাড়াও বেনগাজিতে মুজিবকে এ দুই হত্যাকারীর ব্যবসায়িক অফিস ছিলো। সেখানেও অন্যান্য দেশ থেকে অন্যান্য হত্যাকারীরা নিরাপদে মিলিত হতেন।

১৯৯০-বর্তমান

[সম্পাদনা]

১৯৯৭ সালের ইউএনএইচআরসির প্রতিবেদন অনুসারে দলটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি[] কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে সক্রিয়।

বাংলাদেশ পুলিশের ২০০০ সালের প্রতিবেদন অনুসারে খন্দকার আব্দুর রশিদের কন্যা মেহনাজ রশিদ দলকে একত্রিত করার কাজ করছেন। তিনি ২০০১ ও ২০০৮ সালে কুমিল্লার চান্দিনা থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফ্রিডম পার্টির প্রার্থী হয়েছিলেন।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ শেখ ফজলে নূর তাপস এর উপর বোমা হামলার অভিযোগে মেজর ডালিমের ছোটভাই কামরুল হাসান স্বপনের সাথে মেহনাজ রশিদকে পুলিশ গ্রেফতার করে।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]