অপর্ণা পাল চৌধুরী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অপর্ণা পাল চৌধুরী
জন্ম১৯২২
মৃত্যু৬ আগস্ট, ১৯৯২
নাগরিকত্ব ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
 ভারত
পেশারাজনীতিবিদ
পরিচিতির কারণব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের নায়ক
রাজনৈতিক দলভারতের কমিউনিস্ট পার্টি, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী)
আন্দোলনব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন, নানকার বিদ্রোহ
দাম্পত্য সঙ্গীসুরথ পালচৌধুরী

অপর্ণা পাল চৌধুরী (১৯২২—৬ আগস্ট, ১৯৯২) বাংলাদেশের শ্রীহট্টে জন্মগ্রহণকারী একজন ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সাম্যবাদী নেত্রী।

ছাত্র রাজনীতি[সম্পাদনা]

ছাত্রাবস্থায় বিপ্লবী রাজনীতির সাথে যোগ দিয়েছিলেন অপর্না। ১৯৪০ এর ছাত্র আন্দোলনে ছিলেন। ছাত্রী বিভাগের সম্পাদিকা ছিলেন। শহরে ও গ্রামে মহিলা সমিতি গড়ার কাজ শুরু করেন ঐ সময় থেকেই।

নানকার বিদ্রোহে[সম্পাদনা]

১৯৪২ সালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেছিলেন তিনি। ১৯২২ সাল থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত কমিউনিস্ট পার্টি ও কৃষক সমিতির সহযোগিতায় বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন থানায় বহু কৃষক নানকার আন্দোলনে অংশ নেয়। সামন্তপ্রথা বিরোধী এই নানকার বিদ্রোহের কেন্দ্রস্থল ছিল বিয়ানীবাজার থানার উলুউরি-শানেশ্বর এলাকা। অপর্না পালচৌধুরী ছিলেন নানকার বিদ্রোহের প্রধান নেত্রী। হিন্দু-মুসলিম নানকার বিদ্রোহীদের দমন করতে সরকার তীব্র দমনপীড়ন চালাতে থাকে। এই আক্রমণ প্রতিরোধ করতে অন্যান্য সহকর্মীর সাথে তিনিও এগিয়ে যান। ১৮ আগস্ট, ১৯৪৯ রাইফেলধারী পুলিশের গুলিতে ছয়জন শহীদ হন। অপর্না দেবী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন, পুলিশের অত্যাচারে তার গর্ভপাত হয়ে যায়।[১] তাকে গ্রেপ্তার করে অমানুষিক অত্যাচার চালালে তিনি পঙ্গু হয়ে যান। শ্রীহট্ট, রাজশাহী ও ঢাকা জেলে ৫ বছর বন্দী থাকেন।[২]

শেষ জীবন[সম্পাদনা]

জেলে স্বাস্থ্যভঙ্গ হলে তিনি মুক্তি পান ১৯৫৪ সালে এবং পশ্চিমবঙ্গে আসেন। ১৯৬৪ তে কমিউনিস্ট পার্টি বিভক্ত হলে স্বামী সুরথ পালচৌধুরীর সাথেই ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী)-তে যোগদান করেন। পার্টির বিভিন্ন নারী সংগঠনের সদস্য ছিলেন। শিক্ষকতা করতেন। তার রচিত গ্রন্থের নাম 'নারী আন্দোলন: স্মৃতিকথা'।[২]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

৬ আগস্ট, ১৯৯২ অপর্ণা পালচৌধুরী মারা যান।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. অনিন্দ্য আরিফ (১৪ নভেম্বর ২০১৪)। "বাংলার বিদ্রোহ, নানকার বিদ্রোহ"কালের কন্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  2. দ্বিতীয় খন্ড, অঞ্জলি বসু সম্পাদিত (২০০৪)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ১৪। আইএসবিএন 81-86806-99-7