বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) (বড়ুয়া)
বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) | |
---|---|
সাধারণ সম্পাদক | ডা. সৈয়দ নুরুল ইসলাম |
প্রতিষ্ঠাতা | সুখেন্দু দস্তিদার |
প্রতিষ্ঠা | ১৯৬৭ |
বিভক্তি | বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) |
সদর দপ্তর | ২৭/১১/১, তোপখানা রোড, ঢাকা[১] |
ভাবাদর্শ | মার্কসবাদ-লেনিনবাদ |
নির্বাচনী প্রতীক | |
![]() | |
বাংলাদেশের রাজনীতি রাজনৈতিক দল নির্বাচন |
বাংলাদেশে সাম্যবাদ |
---|
সিরিজের অংশ |
![]() |
![]() |
বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) হচ্ছে বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল। ২০১৪ সালে থেকে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ডা. সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
কমিউনিস্ট পার্টিতে ভাঙন দেখা দেয়। ১৯৬৭ সালে ১-৩ অক্টোবর ১ম কংগ্রেসে মার্কসবাদ, লেনিনবাদ, মাও সেতুং এর চিন্তাধারাকে আদর্শিক ভিত্তি হিসাবে গ্রহণ করে কমরেড সুখেন্দু দস্তিদার, কমরেড মোহাম্মদ তোয়াহার নেতৃত্বে পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি (এম-এল) প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭২ সনে সুখেন্দু দস্তিদার কর্তৃক পার্টির নাম পরিবর্তন করে পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) থেকে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) রাখা হয়।
১৯৭৬ সালে আলাউদ্দিন আহম্মদের নেতৃত্বাধীন অংশ সাম্যবাদী দলে যোগ দেয়। ১৯৭৭ সনে সাম্যবাদী দল দুই ভাগে বিভক্ত হয়। সুখেন্দু দস্তিদার ও মোহাম্মদ তোয়াহার নেতৃত্বে একটি অংশ সংগঠিত হয়। অন্য অংশের নেতৃত্ব দিতে থাকেন আবদুল হক, শরদিন্দু দস্তিদার, অজয় ভট্টাচার্য এবং হেমন্ত সরকার। ১৯৭৮ সালে আবদুল হকের দল বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) নামটি গ্রহণ করে।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]পুরোনো সাম্যবাদী পিকিংপন্থী দলের অনেক নেতাই ১৯৯৫ সালের আগেই পরলোক গমন করেন; তাঁদের মধ্যে নগেন সরকার, সুখেন্দু দস্তিদার, দেবেন শিকদার, মোহাম্মদ তোয়াহা, আলী আব্বাস, আবদুল হক প্রমুখ।
১৯৮৫ সালে তোয়াহা গ্রুপ এবং আলী আব্বাস ও দিলীপ বড়ুয়া গ্রুপ ঐক্যবদ্ধ হয়। দিলীপ বড়ুয়া ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের সাথে জোটে শামিল হয়ে মন্ত্রী পরিষদে ঠাই নেন।[২] পুঁজিবাদী সামন্তবাদী সমাজব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা নির্মাণের লক্ষ্যে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দল আওয়ামী লীগ সরকারের শিল্পমন্ত্রী হিসেবে ২০০৯-১৩ সালে দায়িত্ব পালন করেন। দিলীপ বড়ুয়া দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে শেখ হাসিনার মন্ত্রী সভায় অংশগ্রহণ করায় দল থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়। দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইদ আহমেদ এর নেতৃত্বে বিএনপির ২০ দলীয় জোটে যোগদান করে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল। কংগ্রেসের মধ্যে দিয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ডা. সৈয়দ নুরুল ইসলাম। বিএনপি ২০ দলীয় জোট ভেঙ্গে যাওয়ার পর ডাক্তার সৈয়দ নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে বতর্মানে বিএনপির জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের অংশীদার। শেখ হাসিনার পদত্যাগের ১ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে ব্যাপক ভূমিকা রাখে দলটি
বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম.এল) এর রয়েছে বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন। “ বাংলাদেশ বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ হক, মনজুরুল (ফেব্রুয়ারি ২০১৮)। "প্রথম অধ্যায়"। পূর্ব বাংলার সাত দশকের কমিউনিস্ট রাজনীতি (১ সংস্করণ)। ঢাকা: ঐতিহ্য। পৃষ্ঠা ১১৬। আইএসবিএন 978-9847764187
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: checksum (সাহায্য)।